পরিমাপ(নার্সিং)
ডিপ্লোমা(নার্সিং) IHT & MATS এর ১০০% কমন সাজেশন
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
পরিমাপ :কোন কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলে। পরিমাপের আদর্শ পরিমাণকে পরিমাণের একক বলা হয়। যেমন: সময়ের পরিমাপ হচ্ছে সেকেন্ড, পরিমাপের একক হচ্ছে মিটার ইত্যাদি।
রাশি: ভৌতজগতে যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকেই রাশি বলে।
রাশি দুই প্রকার। যথা-
- মৌলিাক রাশি এবং
- লব্ধ রাশি।
মৌলিক ও লব্ধ রাশি: যে সকল রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ যেগুলো অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে।
যথা: দৈর্ঘ্য, ভর, সময় তাপমাত্রা, তড়ি প্রবাহ, দীপন ক্ষমতা এবং পদার্থের পরিমাণ।
যে সকল রাশি মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা। |
যায়, তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে। মৌলিক সাতটি ছাড়া বাকি সবই লব্ধ রাশি।
যথাঃ বেগ, ত্বরণ, বল, কাজ ইত্যাদি।
স্কেলার ও ভেক্টর রাশি: দিকের বিবেচনায় বস্তু জগতের সকল রাশিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা-
- স্কেলার রাশি এবং
- ভেক্টর রাশি ।
যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দ্বারা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায়, দিক নির্দেশের প্রয়োজন হয় না তাদেরকে স্কেলার রাশি বলে।
উদাহরণ: দৈর্ঘ্য, ভর, দ্রুতি, কাজ, ক্ষমতা, মক্তি, সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদি।
যে সকল ভৌত রাশিকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে। উদাহরণ: সরণ, ওজন, বেগ, ভরবেগ, বল, তড়িৎ তীব্রতা, চৌম্বক তীব্রতা ইত্যাদি।
রাশি পরিমাপের পদ্ধতি:
রাশি- একক
- দৈর্ঘ্য- CG-M.K.S-F.P.S
- ভর- Gram- Kilogram-Pound
- সময়-Second-Second-Second
S.I পদ্ধতি: ১৯৬০ সাল থেকে দুনিয়া জোড়া বিভিন্ন রাশি একই রকম একক চালু ১. করার সিদ্ধান্ত হয়। এককের এই পদ্ধতিকে বলা হয় আন্তর্জাতিক পদ্ধতি (International Systems of Units) বা সংক্ষেপে এস.আই (S.I) । আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে M.K.S পদ্ধতিকে আত্মীয়করণ করা হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে সাতটি মৌলিক রাশির জন্য সাতটি মৌলিক একক ধরা হয়েছে এবং বাকী সকল একক এক বা একাধিক মৌলিক রাশির জন্য সাতটি মৌলিক একক ধরা হয়েছে এবং বাকী সকল একক এক বা একাধিক মৌলিক এককের গুণফল বা ভাগফল থেকে প্রতিপাদন করা হয়েছে।
সাতটি মৌলিক একক হলো-
- মৌলিক রাশি ----একক
- দৈর্ঘ্য---মিটার
- তড়িৎ প্রবাহ---অ্যাম্পিয়ার
- ভর---কিলোগ্রাম
- দীপন ক্ষমতা---ক্যান্ডেলা
- সময়-সেকেন্ড
- পদার্থের পরিমাণ--মোল
- তাপমাত্রা-কেলভিন
MCQ
1.নিচের কোনটি Scalar quantity?
খ. বল
গ. Momentum
ঘ. মাস (Mass)
উত্তর: ঘ
2. কোনটি ভেক্টর রাশি নয়?
খ. বেগ
গ. সরণ
ঘ. দ্রুতি
উত্তর: ঘ
3.কোনটি ভেক্টর রাশি?
খ. ভরবেগ
গ. কোণ
ঘ. দ্রুতি
উত্তর: খ
8.ভরের আন্তর্জাতিক একক কী?
খ. আউন্স
গ. লিটার
ঘ. কিলোগ্রাম
উত্তর: ঘ
5.বলবিদ্যার বিভিন্ন মৌলিক ভৌত রাশি সমূহ হল-
খ. ভর, দৈর্ঘ্য এবং সময়
গ. বল, শক্তি এবং সময়
ঘ. বল, ভর এবং সময়
উত্তর: খ
৬.নিচের কোনটি মৌলিক একক?
খ. Ampere
গ. Volt
ঘ. Ohm
উত্তর: খ
পরিমাপের যন্ত্রাদি(Measuring Instruments)
একে মিটার স্কেল বলা হয় কারণ এর দৈর্ঘ্য ১ মিটার বা ১০০ সে.মি.।
এই স্কেলের সাহায্যে মিলিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে মাপা যায়।
ভার্নিয়ার স্কেল (Vernier Scale ) : মূল বা প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের ভগ্নাংশের নির্ভুল পরিমাপের জন্য মূল স্কেলের পাশে যে ছোট আর একটি স্কেল ব্যবাহর করা হয় তার নাম ভার্নিয়ার স্কেল। ভার্নিয়ার স্কেলকে মিটার স্কেলের সাথে ব্যবহার করে মিলিমিলিটারের ভগ্নাংশ ( যেমন- ০.২ মি.মি, ০.৬ মি.মি. ইত্যাদি) সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়। গণিত শাস্ত্রবিদ পিয়েরে এ স্কেল আবিষ্কার করেন। | তাঁর নামানুসারে এ স্কেলের নাম ভার্নিয়ার স্কেল।
স্লাইড ক্যালিপার্স (Slid Callipers): স্লাইড ক্যালিপার্স যন্ত্রের সাহায্যে কোন বস্তুর দু প্রান্তের মধ্যবর্তী দূলত্ব নির্ণয় করা যায়। এ যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করতে ভার্নিয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বলে একে ভার্নিয়ার ক্যালিপার্সও বলা হয়। বস্তুর দৈর্ঘ্য, চোঙ বা বেলনের উচ্চতা,সিলিন্ডার বা বেলনের আয়তন নির্ণয়, ফাঁপা নলের অন্তঃব্যাস ও বর্হিব্যাস, গোলকের ব্যাস নির্ণয় ইত্যাদি পরিমাপে স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহৃত হয়।তুলা যন্ত্র বস্তু বা পদার্থের পরিমাণ যত কম হবে তার ভর পরিমাপের নিক্তি হতে হবে তত সূক্ষ্ম । এরকম একটি সূক্ষ্ম নিক্তি হলা তুলা যন্ত্র বা তুলা । পদার্থবিদ্যা ও রসায়নবিদ্যার ল্যাবরেটরীতে খুব অল্প পরিমাণ জিনিসের ভর সূক্ষ্মভাবে পরিমাপের জন্য এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
স্প্রিং নিক্তি (Spring Balane): স্প্রিং নিক্তি একটি বিশেষ ধরনের নিক্তি বলা হয় | কারণ এতে একটি ইস্পাতের পেচানো স্প্রিং থাকে। এই স্প্রিং এর এক প্রান্তে একটি রিং বা আংটা লাগানো থাকে এবং অপর প্রান্তে একটি ধাতুর শলাকার সাহায্যে একটি হুক লাগানো থাকে। বস্তুকে ওজন করতে হবে তা নিচের হুকে ঝুলানো। হয়। স্প্রিং নিক্তির সাহায্যে সহজে যে কোনো স্থানে কোনো বস্তুর ওজন নির্ণয় ও বল পরিমাপ করা যায়।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url