পড়া মনে রাখার ৫টি সহজ কৌশল

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।


পড়া মনে রাখার ৫টি সহজ কৌশল

১.পড়ায় জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা 

অনেকেরই ধারণা সারাদিন-সারারাত ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিকালের পরে অর্থাৎ সন্ধ্যায় বা রাতে পড়া বেশি। একইভাবে কাজ করতে পারে না। কিন্তু গবেষণা করে দেখা গেছে বিকালের পর আমাদের পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে।

 এটা নিতান্তই ভুল ধারণা, কারণ সবসময়ই আমাদের ব্রেইনকার্যকর হয়।

২.নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানো 

 বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রেইন যেকোনো ইনফরমেশন বা তথ্যকে মেমোরি বা স্মৃতিতে পরিণত করে ঘুমানোর সময় । তাই পড়ালেখা মনে রাখার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমানো জরুরি। সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তির কমপক্ষে প্রত্যহ ৬-৮ ঘণ্টার মতো ঘুমানো উচিত। 

এর থেকে কম ঘুমালে পড়া মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায় ৷

৩.পড়তে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটা 

 পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয় । ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে পড়ার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ পরিমাণ বেড়ে যায়।

 তাহলে একটু হাঁটার পরেই শুরু হোক পড়ালেখা ।

৪.পড়ার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ 

যে বিষয়টি পড়বে তার প্রতি মনোযোগ হওয়াটা অতীব জরুরি। এতে পড়া সহজেই মনে থাকবে। পড়ার সময় মোবাইল ফোনটি বন্ধ রেখে অথবা সাইলেন্ট করে পড়তে হবে। তা-না হলে পড়ার মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। পড়ার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ অনুভব করলে তা সহজেই মস্তিষ্কে মেমোরি বা স্মৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৫.বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা 

আমাদের ব্রেইন ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিগুলোকে তখনই দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করে, যখন তা বারবার ইনপুট দেয়া হয় । বারবার ইনপুট দেয়ার ফলে ব্রেইনের স্মৃতি গঠনের  গাঠনিক পরিবর্তন হয় যা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরিতে সাহায্য করে। 

তাই বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা, পড়া মনে রাখার অন্যতম উপায় ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url