ভিটামিন (Vitamin)

  


ভিটামিন (Vitamin)

আমাদের খাদ্যে এমন কিছু জৈব পদার্থ (Organic Compounds) আছে যা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এ প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থগুলোকে খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন বলে। পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী ক্যাসিমির ফ্রাঙ্ককে ভিটামিনের আবিষ্কারক বলা হয়। ভিটামিন দুই প্রকার। 

যথা-

  • তেলে দ্রবণীয় ভিটামিন- Vit-A, Vit-D, Vit-E, Vit-K.
  • পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন: Vit-B Complx, Vit-C.

সবুজ তরিতরকারীতে সবচেয়ে বেশি খনিজ লবণ ও ভিটামিন থাকে। শাক তেল দিয়ে রান্না করতে বলা হয় কারণ শাকের ভিটামিন তেলে দ্রবীভূত হয়। মানুষের শরীরে Vit-D, Vit-B3, Vit-B, এবং Vit-K, তৈরি হয়। মানবদেহের অভ্যন্তরে বিটা-ক্যারোটিন হতে Vit-A তৈরি হয়।

ভিটামিনর-সি (Vitamin C)

ভিটামিন সি এর অপর নাম অ্যাসকরবিক এসিড। সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন- লেবু, কমলালেবু, মাল্টা, জাম্বুরায় প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। টক জাতীয় ফল যেমন-আমলকি, আনারস, আমড়া,সবুজ শাক-সবজি ও ফল যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক, অঙ্কুরিত ছোলা, টমেটো, আম, পেঁপে, লেটুসপাতা ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল আমলকি।আমাদের দেশে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবচেয়ে লাভজনক ফল কাজী পেয়ারা। ডিম ও দুধে ভিটামিন সি- নেই । তাপে এই ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় । ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি হয়। এ রোগে মাড়ি ফুলে যায় এবং মাড়ি থেকে রক্ত পুঁজ পড়ে। ভিটামিন -ি স এর অভাবে অন্যান্য রোগ বিশেষ করে সর্দি ও কাশি সহজে আক্রমণ করে। এই রোগে ত্বক খসখসে হয়ে যায়, চুলকায়, ত্বকে ঘা হলে সহজে তা শুকাতে চায় না

ভিটামিন এ

উৎস: মাছের তেল এবং প্রাণীজ স্নেহে যেমন- দুধ, মাখন, ডিম কড মাছ প্রভৃতি । ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাক-সবজি যেমন- গাজর, টমেটো, লালশাক, পুই শাক, পালং | শাক, বীট এবং মিষ্টিকুমড়া। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন- পাকা আম, পেঁপে, কাঁটাল । ছোট মাছ যেমন- মলা, ঢেলা ইত্যাদি।

অভাবজনিত রোগ:

  • জেরপথালমিয়া।
  • রাতকানা। XN -রাতকানা রোগ বোঝানো প্রতীক ।

 ভিটামিন ডি (Vitamin D )

ভোজ্য তেল, দুধ, দুগ্ধজাত খাদ্য ( মাখন, ঘি প্রভৃতি), মাছের তেল, ডিমের কুসুম | ভিটামিন ডির প্রধান উৎস। সূর্যকিরণ হতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সূর্যকিরণের | অতি-বেগুনী রশ্মি (UV-ray) ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। এজন্য শিশুদেরকে কিছুক্ষণের জন্য রোদে খেলাধুলা করতে দেওয়া উচিত। ভিটামিন ডি | পরিশোষণে স্নেহ জাতীয় পদার্থ অপরিহার্য। ভিটামিন ডি অস্থি এবংদত্ত গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে ছোটদের রিকেটস এবং বড়দের অস্টিওম্যালশিয়া রোগ হয় ।

ভিটামিন ই (Vitamin E)

ভোজ্যতেল ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস। মাছ-মাংসের চর্বি, যকৃত, শস্যদানা, বাঁধাকপি, পালং শাক, লেটুস, অঙ্কুরিত ছোলা, মটরশুটিতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এর অভাবে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অকালে গর্ভপাত ঘটে। | ভিটামিন কে (Vitamin-K)সবুজ রঙের শাকসবজি পালং শাক, লেটুসপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সয়াবিন, ডিমের কুসুম, প্রকৃত, দুগ্ধজাত দ্রব্য ভিটামিন কে পাওয়া যায়। মানবদেহের অস্ত্রের অভ্যন্তরের ব্যাকটেরিয়া ভিটামিনকে তৈরি করে। রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর- II, VII, IX, X তৈরিতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে এর অভাবে ক্ষতস্থান হতে রক্ত পড়া বন্ধ হতে চায় না।

১.ভিটামিনের আবিষ্কারক কে?

ক. লুই প্রাস্তুর
খ. লিউয়েন হুক 
গ. ফ্রাঙ্ক
ঘ. রেভি
উত্তর: গ

২.What are vitamins? 

A. Organic Compounds 
B. Living Organism 
C. Inorganic Substance 
D. None of the above
Ans: A

৩.সবুজ তরিতরকারীতে সবচেয়ে বেশি থাকে-

ক. শর্করা
খ. আমিষ
গ. খনিজ লবণ ও ভিটামিন
 ঘ. স্নেহজাতীয় পদার্থ
উত্তর: গ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url