পল্লিজননী সাজেশন

বাংলা ১ম পত্র

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।




পল্লিজননী 

 জসীমউদ্দীন

তথ্যকণিকা(Information)

  • ১.জসীমউদ্দীনের জন্ম— ১৯০৩ সালে ফরিদপুর জেলার অম্বুলখানা গ্রামে ।
  • ২.জসীমউদ্দীন খ্যাত— ‘পল্লিকবি’ নামে ।
  • ৩. জসীমউদ্দীন অধ্যাপনা করেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। 
  • ৪. নিশ্বাস ফেললে তার শব্দ শোনা যায়— স্তব্ধ নিঝুম রাতে । 
  • ৫. অসুস্থ ছেলের শিয়রে একাই জেগে রয়েছেন — মা। 
  • ৬. অসুস্থ পুত্রের শিয়রের কাছে জ্বলছে— নিবু নিবু দীপ । 
  • ৭. রাতের আঁধারে বাঁশবনে বসে ডাকে— কানা কুয়ো । 
  • ৮. মা ছেলের রোগমুক্তির জন্য মানত করেছে— দুই জায়গায় । 
  • ৯. ‘আড়ং’ শব্দের অর্থ— হাট, বাজার, মেলা ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১. 'পল্লিজননী' কবিতায় কোনটিকে অকল্যাণ বলা হয়েছে? 

ক)  বাদুড়

খ) হুতুম

গ) কানাকুয়ো

ঘ)  জোনাকি

উ:খ

২.‘পল্লিজননী' কবিতার মূলকথা কী?

ক)  অপত্যস্নেহের অনিবার্য আকর্ষণ

খ) পল্লির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা

গ) দারিদ্র্যের নির্মম পরিহাস

ঘ) রোগমুক্তির কামনা

উ:ক

৩. বিরহিনী ডাক ডাকিতেছে ঝুরি ঝুরি'— বলতে ‘পল্লিজননী' কবিতায় কোন পাখির কথা বোঝানো হয়েছে? 

ক) বাদুড়

খ) কানাকুয়ো

গ) ডাহুক

ঘ) হুতুম

উ:গ

৪. নিচের কোন চরিত্রটি পল্লিমায়ের শাশ্বতরূপ হয়ে উঠেছে? 

ক) জাহানারা ইমাম

খ) অভাগী

গ) সর্বজয়া

ঘ) খোদেজা

উ:গ

৫.'পল্লিজননী' কবিতায় কোনটিকে অকল্যাণের প্রতীক বলা হয়েছে?

(ক) মশার ভনভন

খ) হুতুমের ডাক 

গ) কানাকুয়োর ডাক

ঘ) বাদুড়ের পাখা ঝাপটানি

উ:খ

৬.'দুর ছাই! কিবা শঙ্কায় মার পরান উঠিছে ভরি'— এ চরণে পুত্রে জন্য ফুটে উঠেছে মায়ের —

ক) ভালোবাসা

খ) ক্ষোভ

গ) অসহায়ত্ব

ঘ) আশঙ্কা

উ:ঘ

৭. শিয়রে বসিয়া মনে মনে মাতা গণিছে ছেলের আয়ু’–চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে? 

ক)  ছেলের মুমূর্ষু অবস্থা

খ) ছেলে হারানোর আশঙ্কা

গ) অফুরন্ত সন্তানবাৎসল্য

ঘ) সন্তানের রোগমুক্তির চিন্তা

উ:খ

৮.‘সাঁঝ হয়ে গেল তবু আসে নাকো'— 'পল্লিজননী' কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে মায়ের- 

ক) রাগ

খ)  শঙ্কা 

গ) ভালোবাসা 

ঘ) আক্ষেপ

উ:খ

৯.‘চলে মুসাফির' কোন জাতীয় রচনা?

৩) ভ্রমণকাহিনি

গ) কাব্যগ্রন্থ

খ) অনুবাদ গ্রন্থ

ঘ) কাহিনিকাব্য

উ:ক

১০. কানাকুয়োর ডাক, বাদুড়ের পাখার ঝাপটানি পল্লি মায়ের মনে কোন আশঙ্কা তৈরি করে? 

ক)  ছেলের রোগ বৃদ্ধির

খ) ছেলেকে হারানোর

গ) ছেলে দূরে যাওয়ার

ঘ) ছেলে সেরে ওঠার

উ:খ

১১. ‘পল্লিজননী' কবিতায় কোথায় বসে কানাকুয়ো ডাকে? 

ক) সুপারি বন

খ) পচা ডোবা

গ) বাঁশ বন

ঘ) এঁদো ডোবা

উ:গ

১২.‘পল্লিজননী' কবিতায় মা রূগুণ ছেলেকে কী বলে সম্বোধন করেছেন?

ক) বাবারে

খ) বাবুরে 

গ) বাছারে

ঘ) বাপরে

উ:গ

১৩. 'রাখালী' কাব্যের কবি কে?

ক)  কাজী নজরুল ইসলাম

খ) জসীমউদ্দীন

গ) নির্মলেন্দু গুণ

ঘ) সুকান্ত ভট্টাচার্য 

উ:খ

১৪. ‘পল্লিজননী' কবিতায় ছেলে কার সাথে খেলতে চায়? 

ক) রহিমের

খ) আজিজের

গ) কৃষাণ ছেলের

ঘ) করিমের

উ:ঘ

১৫. ‘পল্লিজননী' কবিতায়, ছেলেটি তার মাকে যত্ন করে কোনটি রাখতে বলেছে?

ক) চ্যাপের মোয়া

খ)  হুভূমের কোলা

গ) পুতুল

ঘ)  লাটাই

উ:ঘ

১৬. “শোন মা, আমার লাটাই কিন্তু রাখিও যতন করে'— ছেলের কথায় ফুটে উঠেছে— 

ক) আদর 

খ) আবদার

গ) দাবি

ঘ)  ফরিয়াদ

উ:খ

১৭. ‘পল্লিজননী' কবিতায় রুগুণ ছেলে তার মাকে সাতনরি সিকায় কী রাখতে বলেছিল?

ক) ট্যাপের মোয়া

খ) গুড়ের পাটালি

গ) হুডুমের কোলা

ঘ) বেথুল ফল

উ:ক

১৮. 'পল্লিজননী' কবিতায় ছেলে মাকে না বলে কোথায় গিয়েছিল?

ক) বিলে

খ) মাঠে

গ) বনে

ঘ্)  নদীতে

উ:গ

১৯. মুসলমানের ভাড়ঙ দেখিতে নাই”—পল্লিজননীর এ কথার মধ্য দিয়ে মূলত প্রকাশ পেয়েছে তার- 

ক)  কুসংস্কারাছন্নতা

খ) কূটকৌশল

গ) অসহায়ত্ব

ঘ) ধর্মভীরুত ‘

উ:গ

২0.'পল্লিজননী' কবিতায় ঘরের চালেতে কোনটি ডাকছে?

ক) কাক

খ)   হুতুম

গ) বাদুড়

ঘ) জোনাকি

উ:খ

২১.‘পল্লিজননী' কবিতায় ‘ফুরায়ে এসেছে তেল'— পত্তিটিতে কবি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো— 

ক) রাতের অবসান হয়েছে

খ) মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে

গ) বাতির তেল ফুরিয়ে আসছে

ঘ) চিকিৎসার টাকা ফুরিয়ে গেছে

উ:খ

২২.‘পল্লিজননী' কবিতায় কোনটিকে অকল্যাণ বলা হয়েছে?

ক) কানাকুয়ো

খ) হুতুম

গ) বাদুড়

ঘ) জোনাকি

উ:খ

২৩. ‘তারি সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে।’— এ চরণে ‘দোলে' শব্দ দ্বারা ‘পল্লিজননী' কবিতায় বোঝানো হয়েছে— 

i.শঙ্কা

ii. দোলা

iii. ভয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ)  i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i,ii ও iii

উ:খ

২৪. ‘যে কথা ভাবিতে পরাণ শিহরে’– ‘পল্লিজননী' কবিতার এ চরণে প্রকাশ পেয়েছে-

i. শঙ্কা

ii. ভয়

iii. অভাব

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ)  i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i,ii ও iii

উ:ক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৫ ও ২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: রহমত অভাবের তাড়নায় আফগানিস্তান থেকে এদেশে ব্যাবসা করতে এসে, কিসমিস ও বাদাম ঘুষ দিয়ে মিনির ক্ষুদ্র মনটি জয় করেছিল । কেননা, মধ্যে সে তার কন্যা রত্নকে খুঁজে পায়।

২৫. উদ্দীপকে রহমতের প্রতিনিধি হিসেবে ‘পল্লিজননী' কবিতায় যাকে পাই --

ক)  অসুস্থ ছেলেটি 

খ) রহিম চাচা 

গ) আজিজ

ঘ) ছেলেটির মা

উ:ঘ

২৬. উক্ত চরিত্রের মধ্যে প্রকাশিত দিকটি পল্লিজননী কবিতায়—

i. দরিদ্রতার কষাঘাত

ii. অপত্যস্নেহ

iii. সন্তানের প্রতি নিষ্ঠুরতা 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ)  i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i,ii ও iii

উ:ক

সৃজনশীল রচনামূলক

১. হেরিলে মায়ের মুখ,
দূরে যায় সব দুখ,
মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান,
মায়ের শীতল কোলে
সকল যাতনা ভোলে
কতনা সোহাগে মাতা বুকটি ভরান ।
ক.‘নয়ন নীর' অর্থ কী?
খ. 'বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে' কথাটি বুঝিয়ে লেখো ।
গ. উদ্দীপকে ‘পল্লিজননী' কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো । 
 ঘ. “উদ্দীপকে ‘পল্লিজননী' কবিতার সব দিক ফুটে ওঠেনি।”— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
২.৫ম শ্রেণির ছাত্র বসির হঠাৎ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি 1 ডাক্তার বলেছেন, তার অবস্থা বেশি ভালো নয়। রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে বসির। ছেলের এ অবস্থা দেখে তার মা-বাবা চিন্তায় অস্থির। ছেলের রোগমুক্তির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছেন। 
ক. কোথা থেকে পচা পাতার ঘ্রাণ আসছে?
খ. শঙ্কায় মায়ের প্রাণ ভরে ওঠে কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘পল্লিজননী' কবিতার মায়ের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের মা-বাবা যেন ‘পল্লিজননী' কবিতার চিরন্তন মায়ের রূপটি ধারণ করে আছে।”— উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

৩.ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন পাগলপ্রায় ফারহানা ব্যস্ত ও উদ্‌বিগ্ন অবস্থায় স্বামীকেও খবর পাঠান। ঘরে ফিরে দেখেন জ্বরে ছেলের গা পুড়ে যাচ্ছে।ঝাড়ফুঁকের জন্য তার শাশুড়ি গ্রামের ইদ্রিস মোল্লাকে নিয়ে এসেছেন। এসব বাদ দিয়ে ফারহানা ছেলেকে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ডেঙ্গু আশঙ্কা করে চিকিৎসক পরীক্ষা- নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিলেন। পরদিন পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এবং ছেলের প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। ফারহানা ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নাওয়াখাওয়া ভুলে সারাক্ষণ ছেলের সেবা করে তাকে সারিয়ে তোলেন। এদিকে তার শাশুড়ি নাতির রোগমুক্তি কামনা করে মসজিদে দান করার মানত করেন।

ক. জসীমউদ্দীনের কোন গ্রন্থটি বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়?
খ. ‘যে কথা ভাবিতে পরাণ শিহরে তাই ভাসে হিয়া কোণে'- কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের শাশুড়ির মধ্যে 'পল্লিজননী' কবিতার যে বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ফারহানা ও ‘পল্লিজননী' একসূত্রে গাঁথা।”— বিশ্লেষণ করো।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url