বিজ্ঞান নবম শ্রেণীর সাজেশন -২০২৪
বার্ষিক মূল্যায়ন প্রস্তুতি পরীক্ষা -২০২৪ ইং
শ্রেণী-নবম
সেট-ক
বিজ্ঞান - অনুসন্ধানী পাঠ
অধ্যায় ৯ - জৈব অণু
সময়: ১ ঘন্টা ০ মিনিট
পূর্ণমাণ: ৩০
প্রশ্নপত্রে কোনো প্রকার দাগ/চিহ্ন দেয়া যাবেনা ।
১ । এক কথায় উত্তর দাও
১৫ x ১ = ১৫
ক. সজীব কোষ কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর: অণু দ্বারা
খ. সজীব বস্তু তৈরির প্রদান রাসায়নিক পদার্থ কী?
উত্তর: প্রোটিন ও নিউক্লিয়িক অ্যাসিড
গ. প্রোটিন কার জীবজ পলিমার?
উত্তর: অ্যামিনো অ্যাসিডের।
ঘ. আমরা কোন ধরনের খাবার সবচেয়ে বেশি খাই?
উত্তর: শর্করা জাতীয়
ঙ. শর্করা কী ধরনের জৈব যৌগ?
উত্তর: জটিল প্রাকৃতিক।
চ. মনোস্যাকারাইড এর সাধারণ সংকেত কী?
উত্তর: CnH2nOn
ছ. শর্করা গ্লাইকোজেন রূপে কোথায় সঞ্চিত থাকে?
উত্তর: যকৃৎ ও পেশিতে
জ. ক্রোমোজোম কী দ্বারা তৈরি?
উত্তর: DNA ও প্রোটিন দ্বারা।
ঝ. বংশগতির আণবিক ভিত্তি কী?
উত্তর: DNA
ঞ. RNA-তে কয়টি নাইট্রোজেন বেস থাকে?
উত্তর: চারটি
ট. প্রোটিন গঠনে কত ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড বিদ্যমান?
উত্তর: ২০ ধরনের
ঠ. আলফা অ্যামিনো কার গ্রুপ?
উত্তর: অ্যামিনো অ্যাসিডের।
ড. Lipid শব্দটি সর্বপ্রথম কোন বিজ্ঞানী ব্যবহার করেন?
উত্তর: Bloor
ঢ. আণবিক ওজন বৃদ্ধির সাথে লিপিডের কী বৃদ্ধি পায়?
উত্তর: গলনাঙ্ক
ণ. সাধারণ উষ্ণতায় লিপিড কেমন প্রকৃতির?
উত্তর: তরল বা কঠিন।
২ । সংক্ষেপে উত্তর দাও
১০ x ২ = ২০
ক. জৈব অণু বলতে কী বুঝ?
উত্তর: সজীব কোষ অসংখ্য অণু দিয়ে গঠিত। এই অণুগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র অণু এবং বৃহৎ অণু যেগুলো জীবদেহ গঠনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, এদেরকে একত্রে জৈব অণু বলে।
খ. কোন পরমাণুকে জীবনের ভিত্তি বলা হয়?
উত্তর: সাধারণত ২৫টি মৌলিক পদার্থের মধ্যে ৬টি মৌলিক পদার্থ জীবদেহের সাধারণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। এই ছয়টি পরমাণুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু হচ্ছে কার্বন। এ কারণে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে জীবনের ভিত্তি হচ্ছে কার্বন।
গ. মনোস্যাকারাইড কী?
উত্তর: যেসব কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে আর কোনো সরল কার্বোহাইড্রেট একক পাওয়া যায় না তাদেরকে মনোস্যাকারাইড বলে।
ঘ. রাইবোজ এবং ডিঅক্সিরাইবোজ এর পার্থক্য কী?
উত্তর: রাইবোজ এবং ডিঅক্সিরাইবোজ স্যুগার গঠনগত দিক থেকে একই কিন্তু পার্থক্য শুধু এই যে, ডিঅক্সিরাইবোজ স্যুগারের একটি কার্বনে অক্সিজেন নেই।
ঙ. RNA এর নাইট্রোজেনাস বেস কয়টি ও কী কী?
উত্তর: RNA এর নাইট্রোজেনাস বেস ৪টি।
যথা:
- i. অ্যাডেনিন,
- ii. গুয়ানিন,
- iii. সাইটোসিন,
- iv. ইউরাসিল।
চ. প্রোটিন কী?
উত্তর: প্রোটিন হলো মূলত অ্যামাইনো অ্যাসিডের পলিমার যা দেহের অন্যতম গাঠনিক একক।
ছ. স্টার্চ কী?
উত্তর: অ্যামাইলোজ এবং অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইডের সমন্বয়ে গঠিত পদার্থকে স্টার্চ বলে।
জ. জীবজ পলিমার বলতে কী বুঝ?
উত্তর: জীবদেহের মূল উপাদান কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, নিউক্লিয়িক অ্যাসিড ও লিপিড যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় তাদেরকে কোষের জীবজ পলিমার বলে। যেমন- কার্বোহাইড্রেট সরল স্যুগারের, প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিডের জীবজ পলিমার।
ঝ. কোন কোন রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে জীবদেহ গঠিত?
উত্তর: জীবদেহ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, নিউক্লিয়িক অ্যাসিড এবং লিপিড নামে চার ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে গঠিত। এদের ভেতরে প্রোটিন ও নিউক্লিয়িক অ্যাসিড এই দুটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া সজীব বস্তু তৈরি হয় না।
ঞ. জৈব অণুর সাধারণ উপাদান কয়টি ও কী কী?
উত্তর: জৈব অণুর সাধারণ উপাদান ছয়টি।
যথা-
- i.কার্বন (C),
- ii.হাইড্রোজেন (H)
- iii.নাইট্রোজেন (N)
- iv.অক্সিজেন (O).
- v. ফসফরাস (P)
- vi.সালফার (S)
৩ । রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটবিহীন)
৫ x ৫ = ২৫
ক. শর্করাকে শক্তির ভান্ডার বলা হয় কেন?
উত্তর: জীবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ গাঠনিক, সঞ্চয়ী উপাদান ও শক্তির ভান্ডার হচ্ছে শর্করা। জীবদেহের সকল শক্তির মূল হলো শর্করা।জীবদেহ ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য তার শরীরে শর্করা সঞ্চয় করে রাখে। তাই শর্করাকে শক্তির ভাণ্ডার বলা হয়।
খ. DNA কে বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: DNA কে বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি বলা হয়। কারণ- DNA ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান এবং বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি। DNAই জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক এবং বাহক, যা জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সরাসরি যহন করে মাতাপিতা থেকে তাদের বংশধরে নিয়ে যায়।
গ. লিপিডের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: লিপিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো-
- ১. লিপিড পানিতে প্রায় অদ্রবণীয়, এটি বর্ণবিহীন, স্বাদহীন ও গন্ধহীন।
- ২. এরা ইথার,অ্যালকোহল, বেনজিন, ক্লোরোফর্ম, অ্যাসিটোন, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি দ্রবণে দ্রবণীয়।
- ৩. এরা ফ্যাটি অ্যাসিডের এস্টার হিসেবে বিরাজকরে।
- ৪. লিপিড পানির চেয়ে হালকা, তাই পানিতে ভাসে।
- ৫. হাইড্রোলাইসিস শেষে এরা ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয়।
ঘ. কার্বনকে জীবনের ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: ২৫টিরও বেশি মৌলিক পদার্থ নিয়ে জৈব অণু গঠিত হয়। এদের মধ্যে কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাস ও সালফার এই ছয়টি সাধারণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। এই সাধারণ উপাদানের ৬টি পরমাণুর মধ্যে কার্বন পরমাণু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাই কার্বনকে জীবনের ভিত্তি বলা হয়।
ঙ. সালোকসংশ্লেষণ উদ্ভিদের পাতায় হয় কেন?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এটি কখনই ক্লোরোফিলের অনুপস্থিতিতে সম্ভব নয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি,আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতেই কেবলমাত্র সালোকসংশ্লেষণ সম্ভব। আর উদ্ভিদের সবুজ অংশ, বিশেষ করে পাতাতেই থাকে
সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্লোরোফিল। সাধারণত উদ্ভিদের অন্যান্য অঙ্গ যেমন- কাণ্ড ও মূলে কোনো ক্লোরোফিল থাকে না।এজন্য সালোকসংশ্লেষণ উদ্ভিদের পাতাতেই হয়।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url