এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সংক্ষিপ্ত সাজেশন-২০২৫(MCQ) || SSC Bangla 2nd paper Short Suggestion 2025(MCQ)
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
1.ভাষা ও বাংলা ভাষা
তথ্য কনিকা
- ভাষার মূল উপাদান- ধ্বনি ।
- বাংলা ভাষায় কথা বলে মোট ত্রিশ কোটি লোক |
- মাতৃভাষী জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলা – পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা ।
- বাংলা ভাষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে— ধ্রুপদি ভাষা সংস্কৃত ও পালি ভাষার সাথে।
- বাংলা ভাষা হলো— ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের সদস্য।
- বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে— পূর্ব ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে ৷
- ভাষার আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে বলে— উপভাষা ।
- কুটিল লিপির বিবর্তিত রূপ-বাংলা লিপি ।
- বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক- প্রমথ চৌধুরী।
আরো পড়ুন: বাংলা ২য় পত্র(MCQ)
এই অধ্যায়ের উপর আরো পড়ুন :সন্ধি *
বাংলা ব্যাকরণ
- বাক্যে কর্তা কী করে তা নির্দেশিত হয়- ক্রিয়াপদের মাধ্যমে।
- ক্রিয়া গঠিত হয়— ধাতুর সাথে বিভক্তি যুক্ত হয়ে ।
- ভাবপ্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া— দুই প্রকার।
- যে ক্রিয়া ভাব সম্পূর্ণ করতে পারে না তার নাম— অসমাপিকা ক্রিয়া।
- 'গান করলে তার মন ভালো হয়' বাক্যটিতে 'করলে' হলো- শর্ত অসমাপিকা ক্রিয়া।
- বাক্যে কর্মের উপস্থিতিতে ক্রিয়া- তিন প্রকার।
- বাক্যে ক্রিয়ার কর্ম না থাকলে সে ক্রিয়াকে বলে- অকর্মক ক্রিয়া ।
- গঠন বিবেচনায় ক্রিয়া- পাঁচ রকম।
- কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করালে তাকে বলে- প্রযোজক ক্রিয়া।
- 'মরে যাওয়া' হলো- যৌগিক ক্রিয়ার উদাহরণ।
আরো পড়ুন: বাংলা ২য় পত্র(MCQ)
এই অধ্যায়ের উপর আরো পড়ুন :---
2.বাংলা ব্যাকরণ
- ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়— ব্যাকরণে।
- পর্তুগিজ ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয়— ১৭৪৩ সালে ।
- উইলিয়াম কেরি বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন— ১৮০১ সালে ।
- বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ— গৌড়ীয় ব্যাকরণ (১৮৩৩ সালে প্রকাশিত),
- প্রত্যেক ভাষায় ব্যাকরণের প্রধান আলোচ্য বিষয় – চারটি
- শব্দের ক্ষুদ্রতম একককে বলে— রূপ।
- সন্ধি হলো— রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়
- বাগ্ধারা, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ আলোচিত হয়— অর্থতত্ত
3.বাংলা ভাষার রীতি ও বিভাজন
- অধিকাংশ ভাষার রীতি ২টি – কথ্যরীতি ও লেখ্যরীতি।
- বাংলা ভাষায় লেখ্যরীতির তিনটি স্তর— প্রমিত রীতি, সাধু রীতি ও কাব্য রীতি ।
- প্রতিটি ভাষার মূল রূপ হলো— কথ্য রীতি ।
- বাঙালি জনগোষ্ঠীর সর্বজনীন কথ্য ভাষা হলো— আদর্শ কথ্য রীতি।
- প্রায় এক হাজার বছর আগের লেখ্য বাংলায় রচিত— চর্যাপদ।
- গদ্য রীতির জন্ম হয়- ব্যাবহারিক প্রয়োজনে ।
- লেখ্য বাংলার সর্বজন গৃহীত লিখিত রূপ— প্রমিত রীতি ।
- কাব্য রীতি দু ধরনের- পদ্য কাব্য রীতি ও গদ্য কাব্য রীতি।
4.বাকযন্ত্র
- ধ্বনি উৎপাদনকারী বায়ু প্রবাহের উৎস হলো- ফুসফুস ।
- ধ্বনি উচ্চারণের প্রত্যঙ্গসমূহকে একত্রে বলা হয়— বাগ্যন্ত্র ।
- ধ্বনি উৎপন্ন হয়— শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে ।
- শ্বাসনালির উপরের অংশে- স্বরযন্ত্রের অবস্থান ।
- অধিজিহ্বা, স্বররন্ধ্র, ধ্বনিদ্বার- স্বরযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ।
- বাগযন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় ও সচল হচ্ছে- জিভ।.
- নাসিক্য ধ্বনি উচ্চারণে প্রধান ভূমিকা— আলজিভের।
- মুখগহ্বরের কোমল তালু ও জিভমূলের স্পর্শে— কণ্ঠ্যধ্বনি উচ্চারিত হয়।
ক্রিয়াবিশেষণ
- যে শব্দ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাকে বলে— ক্রিয়াবিশেষণ।
- ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ- লোকটি ধীরে হাঁটে।
- ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ নির্দেশ করে- কোনো ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় ।
- ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ— টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।
- কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ নির্দেশ করে— ক্রিয়া সম্পাদনের কাল।
- স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ- মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায় ।
- না, নি ইত্যাদি দিয়ে বোঝায়— ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা।
- বাক্যে পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে— কি, যে, বা না, তো প্রভৃতি।
- গঠন বিবেচনায় ক্রিয়াবিশেষণ— দুই প্রকার।
- বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ- ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি ইত্যাদি।
অনুসর্গ
- অনুসর্গ বসে- শব্দের পরে।
- অনুসর্গের কাজ হলো— শব্দকে বাক্যের সাথে সম্পর্কিত করা “কোন পর্যন্ত পড়েছ?” বাক্যে অনুসর্গ হলো- পড়েছ।
- যে শব্দের পর অনুসর্গ বসে সে শব্দে যুক্ত হতে পারে- কে, রে ইত্যাদি বিভক্তি।
- অনুসর্গকে ভাগ করা যায়— দুই ভাগে।
- অনুসর্গের বিভাজনগুলোর নাম- সাধারণ ও ক্রিয়াজাত ।
- সাধারণ অনুসর্গ তৈরি হয়- ক্রিয়া ছাড়া অন্য শব্দ থেকে।
- সাধারণ অনুসর্গের উদাহরণ- মাথার উপরে নীল আকাশ।
- যে অনুসর্গ ক্রিয়াপদ থেকে তৈরি হয়েছে তাকে বলে- ক্রিয়াজাত অনুসর্গ। .
- ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ- ভালো করে খেয়ে নাও।
যোজক
- পদ, বর্গ বা বাক্যকে যুক্তকারী শব্দের নাম - যোজক।
- দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে- সাধারণ যোজক।
- সাধারণ যোজকের উদাহরণ- রহিম ও করিম কাজটি করেছে।
- বিকল্প যোজক নির্দেশ করে-- একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প।
- বিকল্প যোজকের উদাহরণ— চা না-হয় কফি খান ।
- বাক্যের দুটি অংশের মাঝে সংযোগ ও বিরোধ সৃষ্টি করে— বিরোধ যোজক।
- পরস্পর নির্ভরশীল দুটি বাক্যের মাঝে সংযোগ ঘটায়— কারণ যোজক।
- কারণ যোজকের উদাহরণ— বাবার সময় নেই, তাই যেতে হচ্ছে।
- সাপেক্ষ যোজক বাক্যে ব্যবহৃত হয়- একে অন্যের পরিপূরক হয়ে।
- সাপেক্ষ যোজকের উদাহরণ- যদি রোদ ওঠে, তবে রওনা দেব।
আবেগ শব্দ
- মনের ভাব বা আবেগ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়— আবেগ শব্দ ।
- আবেগ শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হয়— স্বাধীনভাবে।
- অনুমোদন, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশিত হয়- সিদ্ধান্ত আবেগের ব্যবহারে।
- প্রশংসা আবেগের উদাহরণ- বাহ্, চমৎকার লিখেছ।
- বিরক্তি আবেগ ব্যবহৃত হয়— অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি প্রকাশে।
- আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা প্রকাশে ব্যবহৃত হয়- আতঙ্ক আবেগ। .
- বিস্ময় আবেগের প্রয়োগের দৃষ্টান্ত – আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য।
- করুণা, মায়া, সহানুভূতি প্রকাশ করে- করুণা আবেগ ।
- সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়— সম্বোধন আবেগ।
- অলংকার আবেগ প্রয়োগের উদাহরণ- যাকগে, ওসব কথা থাক।
- বাংলা ভাষায় মাত্রাবিহীন বর্ণ— ১০টি।
- বাংলা ভাষায় মৌলিক ধ্বনি – ৩৭টি।
- বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি— ৭টি । .
- বাংলা ভাষায় মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি- ৩০টি।
- ধ্বনির প্রতীককে বলা হয়- বর্ণ ।
- যেকোনো ভাষার সব বর্ণকে একত্রে বলা হয়— বর্ণমালা ।
- বাংলা বর্ণমালায় মূল বর্ণের সংখ্যা- ৫০।
- মূল বর্ণ ছাড়া বাংলা বর্ণমালায় রয়েছে— কারবর্ণ, অনুবর্ণ, যুক্তবর্ণ ও সংখ্যাকা স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয়- কারবর্ণ ।
- যুক্তবর্ণ দুই প্রকার- স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ।
- শ, ষ, স, হ-এ চারটি বর্ণকে বলে – উষ্ণ বর্ণ । '
- হ্ম'-এ যুক্তবর্ণের সঠিক বিশ্লেষণ – হ+ম।
- উচ্চারণের সময়ে জিভের উপরে ওঠা ও নিচে নামার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি— চার ভাগে বিভক্ত
- উচ্চ স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিভ-- উপরে ওঠে
- নিম্ন স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিভ- নিচে নামে ।
- জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অনুযায়ী স্বরধ্বনি— তিন ভাগে বিভক্ত ।
- স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট কী পরিমাণ উন্মুক্ত হয় তার ভিত্তিতে ভাগে বিভক্ত।
- সংবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময়- ঠোঁট কম খোলে।
- বিবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় — ঠোঁট বেশি খোলে।
ব্যঞ্জনধ্বনি
- উচ্চারণের স্থান ও প্রকৃতি এবং ধ্বনির কম্পন ও বায়ুপ্রবাহ বিবেচনায় ব্যঞ্জনধ্বনি- চার ধরনের।
- উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনি – সাত প্রকার ।
- দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনি নামে পরিচিত— ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন।
- ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় ধ্বনিগুলো — মূর্ধন্য ব্যঞ্জন।
- কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনের মুখ্য বাক্প্রতঙ্গ হলো- জিভের পেছনের অংশ ।
- দুটি বাপ্রতঙ্গ পরস্পর সংস্পর্শে এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে উৎপন্ন ধ্বনি— স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন ।
- . বর্ণের উচ্চারণ- 'রি'-এর মতো [ঋতু (রিতু)]।
- .এফ' বর্ণের নিজস্ব কোনো ধ্বনি নেই; এর উচ্চারণ— অঁ (মিঞা), নৃ (চঞ্চল (চ)।
- .ফলা হিসেবে 'ব'-এর উচ্চারণে— স্বাতন্ত্র্য রয়েছে।
- .শব্দের মধ্যে ম-ফলা থাকলে – ম-ফলা যুক্ত বর্ণটি দ্বিত্ব ও সামান্য অনুনাসিক হয়।
- .শব্দের মাঝে বা শেষে য-ফলা থাকলে- য-ফলা যুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দ্বিত্ব হয়, কিন্তু 'j'-এর উচ্চারণ হয় না।
- .শ'-এর দুই রকম উচ্চারণ দেখা যায়— শত (শতো), শ্রমিক (স্লোমিক)। '.
- .আ' বর্ণ দুই ভাবে উচ্চারিত হয়— স্বাভাবিক [আকাশ], 'অ্যা'-এর মতো [জ্ঞান (গ্যান)]।
নির্দেশক
- যেসব লগ্নক শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা বোঝায় সেগুলো হলো— .নির্দেশক
- নির্দেশক উদাহরণ— -টা, -টি, -খানি ইত্যাদি।
- টা, -টি নির্দেশক বসে বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণের সঙ্গে। -টা, -টি এর রূপান্তর হলো— -টো ও টে।
- খানা, খানি বলে- বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে।
- জন নির্দেশক ব্যবহৃত হয়— কেবল মানুষের ক্ষেত্রে।
- জন নির্দেশকটি সংখ্যার পরে আলাদাভাবে বসে— অধিক সংখ্যার বেলায় -
- জন নির্দেশক আলাদা শব্দের ন্যায় ব্যবহারের উদাহরণ— পঁচিশ জন
- কোনো কিছুর সামান্য অংশকে বোঝায়— -টুকু নির্দেশকের মাধ্যমে। -
- টুক নির্দেশক ব্যবহৃত হয়— বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে
বচন
- একের বেশি সংখ্যা বোঝাতে যেসব লগ্নক বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয় সেগুলোর নাম- বচন ।
- একবচন শব্দে সংঙ্গে যুক্ত হয় না- বহুবচন লগ্নক।
- বহুবচন লগ্নক যুক্ত হয়ে তৈরি হয়- বহুবচন শব্দ ।
- আমি শব্দের বহুবচন - আমরা।
- প্রাণী বা বস্তুর নামকে বহুবচন করতে ব্যবহৃত হয়— সব, সমূহ, অবলি, মালা ইত্যাদি লগ্নক।
- অবলি' লগ্নক যুক্ত হয়ে বহুবচনের উদাহরণ— নিয়মাবলি ।
- মানী পক্ষের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়— ‘-গণ' ‘-বৃন্দ', ‘-মণ্ডলী’, ‘-বর্ণ” ইত্যাদি। '
- সুধী' শব্দের বহুবচন— সুধীমণ্ডলী।
- ‘মন্ত্রী' শব্দের বহুবচন— মন্ত্রীবর্গ ।
- লগ্নকের ব্যবহার ছাড়াই বহুবচনের দৃষ্টান্ত – বাজারে লোক কম ।
বিভক্তি
- বিভক্তি হলো- বিশেষ্য ও সর্বনামের সাথে যুক্ত অর্থহীন লগ্নক ।
- বিভক্তি ব্যবহৃত হয়— বাক্যের মধ্যে অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক বোঝাতে বিভক্তিকে ভাগ করা যায়— তিন শ্রেণিতে।
- ক্রিয়ার স্থান, কাল, ভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়— -এ -তে, -য়, -য়ে ইত্যাদি বিভক্তি ।
- কার চিহ্ন নেই এমন শব্দের শেষে যুক্ত হয়— -এ বিভক্তি
- শব্দের শেষে ই-কার ও উ-কার থাকলে হয়— -তে বিভক্তি ।
- শব্দের শেষে দ্বিস্বর থাকলে হয়- -য়ে বিভক্তি।
- বাক্যে গৌণকর্মের সাথে সাধারণত বসে— -কে এবং -রে বিভক্তি ।
- বাক্যে পরবর্তী শব্দের সাথে সম্বন্ধ বোঝাতে পূর্ববর্তী শব্দে যুক্ত হয়— -র, -এর এবং -য়ের বিভক্তি ।
- ভাইয়ের, বইয়ের শব্দগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে— -য়ের বিভক্তি।
ক্রিয়াবিভক্তি
- ক্রিয়ার অংশ— দুটি।
- ক্রিয়ার প্রথম অংশ— ধাতু বা ক্রিয়ামূল।
- ক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ- ক্রিয়াবিভক্তি।
- ক্রিয়ার কাল ও পক্ষ নির্দেশের জন্য ক্রিয়ামূলের সাথে যুক্ত লগ্নক -- ক্রিয়াবিভক্তি ।
- বক্তা পক্ষের বর্তমান কালের ক্রিয়ার উদাহরণ— পড়ছি ।
- শ্রোতা পক্ষের ভবিষ্যত কালের ক্রিয়ার উদাহরণ— পড়বেন।
- অধিকাংশ বাংলা ক্রিয়ার দুটি রূপ হলো- সাধারণ ও প্রযোজক।
- সাধারণ ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ক্রিয়াবিভক্তির উদাহরণ— করছ, করেছেন ইত্যাদি সাধারণ অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ক্রিয়াবিভক্তির উদাহরণ— করে, করতে ইত্যাদি।
- প্রযোজক ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ক্রিয়াবিভক্তির উদাহরণ— করাই, করাবেন ইত্যাদি
প্রকৃতি ও প্রত্যয়
- .শব্দমূল তৈরি হয়— এক বা একাধিক ধ্বনি দিয়ে শব্দমূলের আরেক নাম— প্রকৃতি ।
- .ক্রিয়াপ্রকৃতির অন্য নাম — ধাতু।
- .নতুন শব্দ গঠনে নামপ্রকৃতি ও ধাতুর সাথে যুক্ত হয়— উপসর্গ ও প্রত্যয়। উপসর্গ বসে— শব্দমূলের পূর্বে।
- .প্রত্যয় বসে— শব্দমূলের পরে। লগ্নক- চার প্রকারের।
- .বিভক্তির প্রকারভেদ হলো— ক্রিয়া-বিভক্তি ও কারক-বিভক্তি
- .পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বক্তব্যকে জোরালো করে— বলক।
- .পদ আলোচিত হয়— রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব উভয়টিতেই।
উপসর্গ
- উপসর্গ মূলত— অর্থহীন শব্দাংশ ।
- নতুন শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে উপসর্গ বসে— শব্দের শুরুতে।
- উপসর্গের নিজস্ব অর্থ না থাকলেও আছে অর্থদ্যোতনার ক্ষমতা ।
- বাংলা ভাষায় উপসর্গ আছে— অর্ধশতাধিক
- উপসর্গের কাজ— নতুন শব্দ তৈরি ও শব্দের অর্থ পরিবর্তন ।
- অর্থের সংকোচনের দৃষ্টান্ত— 'সু+নজর= সুনজর'।
- অভাব অর্থে ‘অনা’ উপসর্গের প্রয়োগের দৃষ্টান্ত – অনাবৃষ্টি ।
- ‘আরক্ত' শব্দে ‘আ’ উপসর্গ সৃষ্টি করে— ‘ঈষৎ' দ্যোতনা।
- ‘পাতিহাঁস’ শব্দে ‘পাতি' উপসর্গ যুক্ত হয়েছে— ছোট বোঝাতে। .
- ‘বেআইন' শব্দে ‘বে' উপসর্গ যুক্ত হয়েছে— বহির্ভূত বোঝাতে।
উদ্দেশ্য ও বিধেয়
- বাক্যকে ভাগ করা যায়— উদ্দেশ্য ও বিধেয় এ দুটি অংশে।
- বাক্যে যাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয় তাকে বলে— উদ্দেশ্য।
- বাক্যে উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় তা হলো- বিধেয়। '
- সুমন বল খেলে' বাক্যটিতে উদ্দেশ্য হলো- সুমন।
- উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে যেসব শব্দ ও বর্গ প্রসারিত করে তাদেরকে বলা হয়- প্রসারক ।
- পূরক হলো- বিধেয় ক্রিয়ার বিশেষ অংশ।
- 'সুমন গাছতলায় বসে এই পড়ছে - বাক্যটিতে বিধেয়ের ক্রিয়ার পূরক হলো বই সাধারণত উদ্দেশ্যের প্রসারক বসে উদ্দেশ্যের পূর্বে।
- সাধারণত বিধেয়ের প্রসারক বসে- বিধেয়ের পূর্বে। –
- বিধেয়ের স্থান ও কাল সংক্রান্ত প্রসারক বসতে পারে- উদ্দেশ্যের পূর্বে।
প্রত্যয়
- প্রত্যয় হলো— শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত অর্থহীন শব্দাংশ।
- শব্দের পরে যুক্ত প্রত্যয়ের নাম— তদ্ধিত প্রত্যয় ।
- তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলে- তদ্ধিতান্ত শব্দ।
- ধাতুর পরে যুক্ত প্রত্যয়ের নাম- কৃৎ প্রত্যয় ।.
- কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলে— কৃদন্ত শব্দ । '
- জয়' শব্দের গঠন হলো— জি+অ ।
- ‘সহিষ্ণু' শব্দের গঠন হলো— সহ + ইষ্ণু । '
- মুক্ত' শব্দের গঠন হলো— মুচ + ত ।
- চোরা' শব্দটিতে প্রকাশ পেয়েছে— ‘অবজ্ঞা' অর্থ ।
- ঢাকাই' শব্দটি ব্যবহৃত হয়— ‘জাত’ অর্থে ।
উদ্দেশ্য ও বিধেয়
- বাক্যকে ভাগ করা যায়— উদ্দেশ্য ও বিধেয় এ দুটি অংশে।
- বাক্যে যাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয় তাকে বলে— উদ্দেশ্য।
- বাক্যে উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় তা হলো- বিধেয়। '
- সুমন বল খেলে' বাক্যটিতে উদ্দেশ্য হলো- সুমন।
- উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে যেসব শব্দ ও বর্গ প্রসারিত করে তাদেরকে বলা হয়- প্রসারক ।
- পূরক হলো- বিধেয় ক্রিয়ার বিশেষ অংশ।
- 'সুমন গাছতলায় বসে এই পড়ছে - বাক্যটিতে বিধেয়ের ক্রিয়ার পূরক হলো বই সাধারণত উদ্দেশ্যের প্রসারক বসে উদ্দেশ্যের পূর্বে।
- সাধারণত বিধেয়ের প্রসারক বসে- বিধেয়ের পূর্বে। –
- বিধেয়ের স্থান ও কাল সংক্রান্ত প্রসারক বসতে পারে- উদ্দেশ্যের পূর্বে।
সমাস
- বাক্যে পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের এক শব্দে পরিণত হওয়াকে বলে— সমাস ।
- সমাসবদ্ধ শব্দের নাম— সমস্তপদ ।
- সমাস মূলত- ৪ প্রকার ।
- পূর্বপদ ও পরপদ উভয়েরই প্রাধান্য থাকে— দ্বন্দ্ব সমাসে ।
- পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় কর্মধারয় সমাসে।
- যাকে তুলনা করা হয় তাকে বলে— উপমেয়।
- উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের অভেদ কল্পনা করা হয়— রূপক কর্মধারয় সমাসে।
- তৎপুরুষ সমাসে লোপ পায় – সমস্যমান পদের বিভক্তি ও সন্নিহিত অনুসর্গ ।
- পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ ব্যতিরেকে অন্য কিছু বোঝায়— বহুব্রীহি সমাসে।
- পূর্বপদের বিভক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে— অলুক বহুব্রীহি সমাসে।
বাচ্য
- বাক্যের প্রকাশিত ভঙ্গিকে বলা হয়- বাচ্য।
- প্রকাশবঙ্গির ভিন্নতা অনুসারে বাচ্য- তিন প্রকার ।
- যে বাক্যের ক্রিয়া কর্তার অনুগামী তাকে বলে— কর্তাবাচ্য। .
- যে বাক্যের ক্রিয়া কর্মকে অনুসরণ করে তাকে বলে- কর্মবাচ্য।
- কর্মবাচ্যের উদাহরণ- চিঠিটা পড়া হয়েছে।
- ভাববাচ্যে বাক্যের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে- ক্রিয়া বিশেষ্য।
- ভাববাচ্যের উদাহরণ- আমার যাওয়া হলো না ।
- কর্তাবাচ্যের বাক্যকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যুক্ত হয়- দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি অনুসর্গ।
- কর্মবাচ্যের বাক্যকে কর্তাবাচ্যে রূপান্তরিত করতে
উক্তি
- উদ্ধারচিহ্ন ব্যবহৃত হয়— প্রত্যক্ষ উক্তিতে।
- প্রত্যক্ষ উক্তির যেখানে উদ্ধারচিহ্ন শুরু হয় পরোক্ষ উক্তিতে সেখানে বসে - যে।
- প্রত্যক্ষ থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে অর্থ-সংগতি রক্ষায় পরিবর্তিত হয়- সর্বনাম ।
- প্রত্যক্ষ থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তরে ক্রিয়ারূপ পরিবর্তিত হয়— কর্তা অনুযায়ী পরোক্ষ উক্তিতে কালের পরিবর্তন হয় না- প্রত্যক্ষ উক্তিতে চিরন্তন সত্যের উদ্ধৃতি থাকলে ।
যতিচিহ্ন
- মনের ভাব লিখিত রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাম বোঝাতে ব্যবহৃত হয়— যতিচিহ্ন।
- যতিচিহ্নের অন্য নাম- বিরামচিহ্ন বা বিরতিচিহ্ন। সেমিকোলনের প্রতীক চিহ্ন হলো- ;
- যতিচিহ্নটির নাম — কোলন ।
- বাক্যের সমাপ্তি নির্দেশ করে- দাঁড়ি।
- শব্দ, বর্ণ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়- কমা।
- প্রশ্নচিহ্ন বসানো হয়— কোনো কিছু জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে। .
- বাক্যের মধ্যকার একাধিক পদকে সংযুক্ত করে— হাইফেন ।
- দুটি বাক্যকে একবাক্যে পরিণতি করার জন্য ব্যবহৃত হয়— ড্যাশ।
- কোনো কিছু বাদ দিতে চাইলে ব্যবহার করা হয় – ত্রিবিন্দু।
সন্ধি
- পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে বলে - সন্ধি
- সন্ধির সূত্র কাজে লাগে— উপর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ার শব্দগঠনে।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সন্ধি- ৩ প্রকার।
- স্বরসন্ধি হলো- স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলন।
- শীতার্ত এর সন্ধি বিচ্ছেদ - শীত + ঋত
- নাবিক-এর সন্ধি বিচ্ছেদ হলো- নৌ + ইক।
- স্বরসন্ধির সূত্র মেনে চলে না— নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে স্বরে ও ব্যঞ্জনে ব্যঞ্জনে হয় – ব্যঞ্জনসন্ধি ।
- বৃহস্পতি— শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ— বৃহৎ + পতি ।
- 'নীরব' এর সন্ধি বিচ্ছেদ – নিঃ + রব।
শব্দদ্বিত্ব
- অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারার কোনো শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হলে তার নাম- শব্দদ্বিত্ব।
- শব্দদ্বিত্ব- তিন ধরনের।
- পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে বলে- অনুকার দ্বিত্ব।
- অনুকার দ্বিত্বের দ্বিতীয় শব্দটি - অর্থহীন হয় ।
- অনুকার দ্বিত্বের উদাহরণ— চুপচাপ।
- প্রাকৃতিক শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়— ধ্বন্যাত্মক শব্দ
- ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ- ঝমঝম।
- ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের মাঝে স্বরধ্বনির আগমনের দৃষ্টান্ত— দমাদম ।
- পুনরায় আবৃত্ত হলে তার নাম- পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব।
- বিভক্তিহীন পুরাবৃত্ত দ্বিত্বের উদাহরণ— ঘুম ঘুম।
বাগর্থ
- ভাষা ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য— মনের ভাব প্রকাশ ।
- বাগর্থ বলতে বোঝায়- শব্দের বৈচিত্র্যময় অর্থকে।
- শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে মনে যে বোধ জাগে, তা-ই শব্দের বাচ্যার্থ
- অভিধানে প্রাধান্য দেওয়া হয়- শব্দের বাচ্যার্থকে।
- বাচ্যর্থকে উপেক্ষা করে শব্দের যে আলাদা অর্থ তৈরি হয় তা হলো— লক্ষ্যার্থ।
- লক্ষ্যার্থের আরেক নাম - গৌণার্থ ও বা লাক্ষণিক অর্থ।
- 'বর্ষ' শব্দটি প্রসারিত অর্থ হলো— বছর।
- 'মৃগ' শব্দটি দ্বারা একসময় বোঝানো হতো- সকল পশুকে।
নরবাচক ও নারীবাচক শব্দ
- .বিশেষ্য ও বিশেষণের নর-নারীভেদের নাম- লিঙ্গ।
- .ব্যাকরণে শব্দের নরবাচকতাকে প্রকাশ করা হয়— ‘পুং' দ্বারা।
- .ব্যাকরণে শব্দের নারীবাচকতাকে প্রকাশ করা হয়— স্ত্রী দ্বারা।
- .নর ও নারীবাচক উভয়কেই বোঝায় এমন শব্দ হলো— উভলিঙ্গ
- .নর বা নারীবাচক কোনোটিই বোঝায় না এমন শব্দকে বলা হয়— ক্লীবলিঙ্গ ।
- .নিত্য নরবাচকের উদাহরণ— কৃতদার।
- .নিত্য নারীবাচকের উদাহরণ- সতীন
- .‘অক’ প্রত্যয়যুক্ত নরবাচক শব্দ নারীবাচকে— 'ইকা' হয়।
- .নারী নির্দেশক যোগে সৃষ্ট নারীবাচক শব্দ— ছেলে বউ।
- .বাংলা ভাষায় নারীবাচক করা হয় না- প্রাতিষ্ঠানিক পদমর্যাদাকে।
সংখ্যাবাচক শব্দ
- সংখ্যাবাচক শব্দের আরেক নাম- সংখ্যাশব্দ।
- সংখ্যাশব্দ - দুই ধরনের।
- একের পর এক আসে- ক্রমবাচক সংখ্যাশব্দ।
- "দুই" সংখ্যাশব্দের প্রতিশব্দ — দ্বি, দু, দো।
- ক্রমবাচক সংখ্যাশব্দের উদাহরণ- এক, দুই, তিন ইত্যাদি।
- পুরণবাচক সংখ্যাশব্দ দিয়ে বোঝায় - সংখ্যার ক্রমিক অবস্থান ও পরিমাপ।
- পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ -- তিন ধরনের।
- সাধারণ পুরণবাচক নির্দেশ করে - ক্রমবাচক সংখ্যার পর্যায়কে।
- তারিখ পুরণবাচক সংখ্যাশব্দ হলো- পয়লা (১লা), দোসরা (২রা) ইত্যাদি আড়াই, তেহাই ইত্যাদি হলো- ভগ্নাংশ পূরণবাচক সংখ্যা।
প্রতিশব্দ
- যেসব শব্দের অর্থ অভিন্ন বা প্রায় সমান সেগুলো পরস্পরের প্রতিশব্দ।
- ‘অকস্মাৎ' শব্দের প্রতিশব্দ— দৈবাৎ, আচমকা, হঠাৎ ইত্যাদি ‘অশ্ব' শব্দের প্রতিশব্দ— তুরগ, ঘোড়া, ঘোটক ইত্যাদি।
- ‘আগুন' শব্দের প্রতিশব্দ— পাবক, হুতাশন, অগ্নি ইত্যাদি 'ইচ্ছা' শব্দের প্রতিশব্দ— কামনা, বাসনা, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি।
- ‘কিরণ' শব্দের প্রতিশব্দ— রশ্মি, শিখা,
- প্রভা ইত্যাদি । ‘দেহ' শব্দের প্রতিশব্দ— শরীর, গা, তনু, বপু ইত্যাদি । .
- ‘পৃথিবী' শব্দের প্রতিশব্দ— জগৎ, ভুবন, সংসার, বিশ্ব ইত্যাদি ।
- 'বৃক্ষ' শব্দের প্রতিশব্দ— গাছ, তরু, উদ্ভিদ ইত্যাদি । ‘
- সমক' শব্দের প্রতিশব্দ— সাগর, সিন্ধু, দরিয়া, জলধি ইত্যাদি।
বিপরীত শব্দ
- যেসব শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে তাদের বলে— বিপরীত শব্দ ।
- বিপরীত শব্দ একে অন্যের পরিপূরক।
- 'অগ্র' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো— পশ্চাৎ ।
- ‘আমদানি শব্দের বিপরীত শব্দ হলো- রপ্তানি । '
- কৃপণ' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো— উদার।
- ‘গৃহী' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো- সন্ন্যাসী।
- 'ভর্ৎসনা' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো- প্রশংসা।
- ‘মৌন' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো— মুখর।
- 'সাকার' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো— নিরাকার।
- 'হ্রাস' শব্দের বিপরীত শব্দ হলো— বি
শব্দের শ্রেণীবিভাগ
- উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দভান্ডারকে বিভক্ত করা যায়- চার শ্রেণিতে তৎসম শব্দ হলো— সংস্কৃত ভাষার শব্দের অনুরূপ।
- তৎসম শব্দের উদাহরণ— পৃথিবী, আকাশ, বৃক্ষ ইত্যাদি
- প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে- তদ্ভব শব্দ ।
- কুড়ি, চুলা, ডাব ইত্যাদি হলো— দেশি শব্দ ।
- গঠন বিবেচনায় বাংলা শব্দ বিভক্ত— দুটি ভাগে ।
- অর্থপূর্ণ কোনো অংশে বিশ্লেষণ করা যায় না— মৌলিক শব্দকে।
- সাধিত শব্দ তৈরি হয়- উপসর্গ বা প্রত্যয় যোগে অথবা সমাসের মাধ্যমে।
- শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন তার নাম- পদ।
- পদকে ভাগ করা যায়— আট শ্রেণিতে।
শব্দজোড়
- অর্থে ভিন্ন, উচ্চারণে অভিন্ন বা প্রায় এক এমন শব্দযুগলকে বলে – শব্দজোড় শব্দজোড় বাক্যে ব্যবহৃত হলে পার্থক্য বোঝা যায়— প্রসঙ্গ বিবেচনায়।
- ‘অকূল” শব্দের অর্থ— তীরহীন ।
- ‘অন্ন’ অর্থ ভাত এবং 'অন্য' অর্থ— অপর ।
- ‘আপণ' অর্থ দোকান এবং 'আপন' অর্থ- নিজ ।
- 'কাঁদা' অর্থ ক্রন্দন এবং ‘কাদা’ অর্থ-- পাঁক।
- ‘জ্যেষ্ঠ' অর্থ বড়ো এবং জ্যৈষ্ঠ' হলো— বাংলা দ্বিতীয় মাস ।
- 'দেশ' অর্থ রাজ্য এবং ‘দ্বেষ' অর্থ— হিংসা ।
- 'পানি' অর্থ জল আর 'পাণি' মানে – হাত।
- 'শব' অর্থ লাশ এবং 'সব' অর্থ- সকল ।
সর্বনাম
- বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে বলে – সর্বনাম।
- বাক্যে সর্বনাম পালন করে- বিশেষ্যের অনুরূপ ভূমিকা।
- সর্বনামকে ভাগ করা যায়— নয়টি শ্রেণিতে।
- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম- তিন ধরনের।
- নিজে, স্বয়ং ইত্যাদি হলো— আত্মবাচক সর্বনাম ।
- নির্দেশক সর্বনাম নির্দেশ করে- নৈকট্য বা দূরত্ব।
- যারা তারা, যেমন-তেমন হলো- সাপেক্ষ সর্বনাম ।
- পরস্পর, নিজেরা নিজেরা ইত্যাদি হলো- পারস্পরিক সর্বনাম।
- ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝাতে হয়— সকলবাচক সর্বনাম ।
- নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়— অন্যবাচক সর্বনাম ।
বিশেষণ
- বিশেষণ দিয়ে বোঝায়— বিশেষ্য ও সর্বনামের দোষ, গুণ, সংখ্যা, অবস্থা ইত্যাদি।
- যে বিশেষণ রং নির্দেশ করে তার নাম- বর্ণবাচক বিশেষণ।
- চালাক ছেলে বাক্যে 'চালাক' হলো- গুণবাচক বিশেষণ।
- 'এক টাকা' বাক্যটিতে 'এক' হলো- ক্রমবাচক বিশেষণ।
- যে বিশেষণ দিয়ে পূরণসংখ্যা বোঝায় তাকে বলে— পূরণবাচক বিশেষণ ।
- ‘পাথুরে মূর্তি' বাক্যে 'পাথুরে' হলো— উপাদানবাচক বিশেষণ ।
- প্রশ্নবাচকতা নির্দেশিত হয়— প্রশ্নবাচক বিশেষণ দিয়ে।
- যে বিশেষণ বাক্যের অন্তর্গত অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে তার নাম- ভাববাচক বিশেষণ ।
- বিধেয় বিশেষণ বসে বাক্যের বিধেয় অংশে ৷
- 'লোকটা পাগল' বাক্যটিতে বিধেয় বিশেষণ হলো— পাগল ।
এমসিকিউ সাজেশন:বাংলা ২য় পত্র-2025
- সন্ধি ***৯৯%
- বাগযন্ত্র***৯৯%
- ধ্বনি ও বর্ণ ***৯৯%
- বর্ণের উচ্চারণ ***৯৯%
- শব্দজোড়***৯৯%
- উপসর্গ দিয়ে শব্দ গঠন ***৯৯%
- সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠন***৯৯%
- প্রত্যয় দিয়ে শব্দ গঠন ***৯৯%
- উদ্দেশ্য ও বিধেয় ***৯৯%
- সংখ্যাবাচক শব্দ***৯৯%
- বিশেষ্য *** ৯৯%
- শব্দের শ্রেণীবিভাগ ***৯৯%
- সর্বনাম***৯৯%
- বিশেষণ***৯৯%
- ক্রিয়া***৯৯%
- ক্রিয়াবিশেষণ ***৯৯%
- অনুসর্গ ***৯৯%
- যোজক ***৯৯%
- আবেগ ***৯৯%
- নির্দেশক ***৯৯%
- বিভক্তি ***৯৯%
- ক্রিয়াবিভক্তি ***৯৯%
- বাক্যের অংশ ও শ্রেণিবিভাগ ***৯৯%
- প্রতিশব্দ ***৯৯%
- বাগধারা ***৯৯%
- উক্তি ***৯৯%
- সরল,জটিল ও যৌগিক বাক্য***৯৯%
- কারক***৯৯%
- বাগর্থ***৯৯%
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url