রাসায়নিক পরিবর্তন

  রাসায়নিক পরিবর্তন

অধ্যায় ৪: রাসায়নিক পরিবর্তন

 অধ্যায় ৪:রাসায়নিক পরিবর্তন সাজেশন

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।


রসায়ন ১ম পত্র

রসায়ন সাজেশন(এইচএসসি)

পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৪: রাসায়নিক পরিবর্তন

তথ্যকণিকা(Information)

এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।


জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন

ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক) 


প্রশ্ন ১। গ্রিন কেমিস্ট্রি কী? 

উত্তর : রসায়নের যে শাখার কোনো রাসায়নিক দ্রব্যাদির উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য টেকসই ও নিরাপদ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে গ্রিন কেমিস্ট্রি বলে ।

প্রশ্ন ২। এটম ইকোনমি কী?

ত্তর : কোনো বিক্রিয়ার কাঙ্ক্ষিত উৎপাদের মোট আণবিক ভর এবং বিক্রিয়াতে ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়কের সংকেত ভরের যোগফলের অনুপাতকে এটম ইকোনমি বলে ।

প্রশ্ন ৩। বিক্রিয়ার হার ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তর : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যদি প্রতিটি বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা 1 mol/L হয় তাহলে হারকে বিক্রিয়ার হার ধ্রুবক বলে ।

প্রশ্ন ৪। রাসায়নিক সাম্যাবস্থা কী?

উত্তর : রাসায়নিক সাম্যাবস্থা হলো এমন একটি অবস্থা যখন কোনো উভমুখী বিক্রিয়ায় সম্মুখ বিক্রিয়া বা অগ্রবর্তী বিক্রিয়ার গতিবেগ পশ্চাৎবর্তী বা বিপরীত বিক্রিয়ার গতিবেগের সমান হয় ।

প্রশ্ন ৫। লা-শাতেলিয়ার নীতিটি বিবৃত কর ।

উত্তর : লা-শাতেলিয়ার নীতিটি হলো- যেসব নিয়ামকের (তাপমাত্রা, চাপ এবং ঘনমাত্রা) উপর কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা নির্ভরশীল তাদের যে কোনো এক বা একাধিক নিয়ামকের পরিবর্তন ঘটলে সাম্যাবস্থার অবস্থান ডানে বা বামে এমনভাবে স্থানান্তরিত হয় যাতে এসব নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয় ।

প্রশ্ন ৬। ভরক্রিয়া সূত্রটি লিখ।

উত্তর : ভরক্রিয়া সূত্রটি হলো— নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্তে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার, সেই মুহূর্তে উপস্থিত বিক্রিয়ক পদার্থগুলোর প্রত্যেকটির সক্রিয় ভরের সমানুপাতিক

প্রশ্ন ৭। সাম্যধ্রুবক কী?

উত্তর : স্থির তাপমাত্রায় ও স্থির চাপে একটি উভমুখী বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থসমূহের সক্রিয় ভর যেমন মোলার ঘনমাত্রা বা আংশিক চাপ এর গুণফল এবং বিক্রিয়কসমূহের সক্রিয় ভরের গুণফলের অনুপাত একটি স্থির রাশি হয়ে থাকে যাকে সাম্যধ্রুবক বা সাম্যাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ৮। Kc বলতে কী বোঝ? 

উত্তর : কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় ভরক্রিয়ার সূত্র মতে, উৎপাদসমূহের মোলার ঘনমাত্রা গুণফল ও বিক্রিয়কসমূহের মোলার ঘনমাত্রার গুণফলের অনুপাতকে মোলার সাম্যধ্রুবক Kc বলে।

প্রশ্ন ৯। বিয়োজন মাত্রা কী?

উত্তর : দ্রবণে উপস্থিত কোনো এসিডের মোট মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত হয় তাকে ঐ এসিডের বিয়োজন মাত্রা বলে।

প্রশ্ন ১০। আয়নিক গুণফল কী?

উত্তর : যেকোনো দ্রবণের প্রতি মোল দ্রব থেকে উৎপন্ন আয়নসমূহের উপযুক্ত ঘাতসহ ঘনমাত্রার গুণফলকে আয়নিক গুণফল বলে।

প্রশ্ন ১১। pk কী?

উত্তর : Kug-এর ঋণাত্মক লগারিদমকে বলা হয় pk।

প্রশ্ন ১২। এসিডের বিয়োজন ধ্রুবক কী?

উত্তর : প্রতি লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো অম্লের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে তাকে ঐ এসিডের বিযোজন ধ্রুবক বলে।

প্রশ্ন ১৩। ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবক kg কী?

উত্তর : প্রতি পিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো ক্ষারকের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে, তাকে ঐ ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবক (Kg) বলে।

প্রশ্ন ১৪। pH স্কেল কী?

উত্তর : কোনো দ্রবণের pH এর মান 0 হতে 14 ব্যবধিতে প্রকাশ করার জন্য যে স্কেল ব্যবহৃত হয়, তাকে pH বলে।

প্রশ্ন ১৫। pH এর সংজ্ঞা লিখ।

উত্তর : কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে pH বলে ।

প্রশ্ন ১৬। pOH কী?

উত্তর : কোনো দ্রবণের হাইড্রক্সিল আয়ন (OH) এর ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে pOH বলে ।

প্রশ্ন ১৭। বাফার ক্রিয়া কী?

উত্তর : কোনো দ্রবণের সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষারক যোগ করলে সে দ্রবণের pH পরিবর্তনে বাধা দেওয়ার ক্রিয়াকৌশল বা প্রক্রিয়াকে বাফার ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন ১৮। বাফার দ্রবণ কী?

উত্তর : যে দ্রবণে সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষারকের দ্রবণ যোগ করার পরও দ্রবণের pH এর মান অপরিবর্তিত থাকে, তাকে বাফার দ্রবণ বলে।

প্রশ্ন ১৯। বাফার ক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর : বাফার দ্রবণের একক pH পরিবর্তনের জন্য কোনো তীব্র ক্ষারকের যতটুকু ঐ দ্রবণে যোগ করতে হয়, তাকে বাফার ক্ষমতা বলে।

প্রশ্ন ২০। সক্ৰিয়ণ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : একটি বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য ন্যূনতম যে শক্তির প্রয়োজন তাকে সক্রিয়ণ শক্তি বলে।

প্রশ্ন ২১। দ্রবণ তাপ কাকে বলে?

উত্তর : একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যথেষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে 1 মোল দ্রবকে দ্রবীভূত করে যদি দ্রবণ প্রস্তুত করা হয় এবং তাতে যদি আরও দ্রাবক যোগ করেও তাপীয় অবস্থায় কোনো পরিবর্তন ঘটানো না যায়। তবে ঐ দ্রবণ প্রস্তুত করতে তাপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে ঐ দ্রবের দ্রবণ তাপ বলে ।

প্রশ্ন ২২। এনথালপি কি?

উত্তর : এনথালপি হলো প্রমাণ অবস্থায় (অর্থাৎ 298 K এবং 1 atm চাপে) একটি বিক্রিয়ার তাপের পরিবর্তন।

প্রশ্ন ২৩। দহন তাপ কাকে বলে?

উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও 1 atm চাপে 1 মোল কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে অক্সিজেনে সম্পূর্ণরূপে দহন করলে এনথালপির যে পরিবর্তন ঘটে তাকে দহন তাপ বলে ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  

খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)

প্রশ্ন ১। গ্রিন কেমিস্ট্রির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : গ্রিন কেমিস্ট্রির গুরুত্ব/তাৎপর্য এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ-

  • ১. রাসায়নিক পদার্থের সংশ্লেষণ সেইসব বিক্রিয়ক, বিকারক ও দ্রাবক ব্যবহার করতে হবে যেগুলো মানবজাতি তথা সমগ্র জীবজগৎ ও পরিবেশের পক্ষে বিপজ্জনক (hazardous) নয়। 
  • ২. বিক্রিয়ক ও বিকারকগুলোকে রাসায়নিক বিক্রিয়াকলে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এরূপ ব্যবহার করতে হবে যাতে খুব কম পরিমাণে বর্জ্য সৃষ্টি হয়।
  • ৩. কোনো একটি পদার্থের সংশ্লেষণে এরূপ রাসায়নিক বিক্রিয়া নির্বাচন করা দরকার যাতে বিক্রিয়ক ও বিকারকগুলো প্রায় সম্পূর্ণরূপে বিক্রিয়াজাত পদার্থে রূপান্তরিত হয়।
  • ৪. সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বর্জ্য পদার্থের উৎপাদন নিবারণ করা সম্ভব হবে যদি কাঙ্ক্ষিত পদার্থটিকে যত বিক্রিয়ার সাহায্যে প্রস্তুত করা যায় । 
  • ৫. কোনো একটি পদার্থের সংশ্লেষণের ক্ষেত্রে বিক্রিয়ক, বিকারক, বিক্রিয়ার ধরন ও বিক্রিয়া পদ্ধতির জন্য প্রতিনিয়ত বিকল্পের সন্ধান করতে হবে যাতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা যথাসম্ভব কমানো যায়।

প্রশ্ন ২। উভমুখী বিক্রিয়া কখনও শেষ হয় না কেন?

উত্তর : উভমুখী বিক্রিয়ার হার অসীম হয় কারণ— একটি উভমুখী বিক্রিয়া বিশেষ শর্তাধীনে ঘটলে বিক্রিয়ক পদার্থগুলো পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে যেমন উৎপাদ উৎপন্ন করে তেমনি একই সময়ে উৎপাদ পদার্থগুলোও উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে বিক্রিয়ক পদার্থে পরিবর্তিত হয়। এ দুই বিপরীতমুখী বিক্রিয়া একই সাথে চলতে থাকে। এ জাতীয় বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সম্মুখ বিক্রিয়ায় গতিবেগের পাশাপাশি পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার গতিবেগও বর্তমান থাকে। ফলে এ জাতীয় বিক্রিয়া কখনো শেষ হয় না।

প্রশ্ন ৩। বদ্ধ পাত্রে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা সংঘটিত হয় ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যে অবস্থায় কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিক্রিয়ক ও উৎপাদের গতিবেগ সমান হয়ে যায় তাকে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলে। খোলা পাত্রে কোনো গ্যাসীয় উৎপাদ বিক্রিয়া স্থান ত্যাগ করে বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ তৈরি হয় এবং উৎপাদ থেকে পুনরায় বিক্রিয়ক বলে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা সংঘটিত হতে পারে না। কিন্তু বহু পারে তৈরি হয়ে রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় পৌঁছে।

প্রশ্ন ৪ :রাসায়নিক সাম্যাবস্থা গতিশীল- ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখ বিক্রিয়ার হার ও পশ্চাৎমুখী। বিক্রিয়ার হার সমান হলেই বিক্রিয়াটি সাম্যাবস্থায় উপনীত হয়। আপাত দৃষ্টিতে সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়াটিকে স্থির মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে বিক্রিয়াটি গতিশীল। এ অবস্থায় একক সময়ে যে পরিমাণ বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় ঐ একই সময় উৎপাদেরও একই পরিমাণ বিক্রিয়কে পরিবর্তিত হয়। 

অর্থাৎ এ অবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো বিক্রিয়ক অণু বিক্রিয়া করে উৎপাদ তৈরি করে ঐ সময়ে উৎপাদ বিক্রিয়া করে ঠিক ততগুলো বিক্রিয়ক অণু উৎপন্ন করে। তাই সমাবস্থা একটি গতিশীল অবস্থা স্থির অবস্থা নয়।

প্রশ্ন ৫। সামাধ্রুবকের মান কখনও শূন্য হয় না কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : সাম্যধ্রুবক (K, ও K.) এর মান কখনো শূন্য বা অসীম হয় না। কারণ একটি উভমুখী বিক্রিয়া-

A+B↔C+D

বিক্রিয়ার Kcবা Kp এর মান শুন্য হতে হলে উৎপাদের পরিমাণ শূন্য (০) হতে হবে যা উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় অসম্ভব। আবার K বা K, এর মান অসীম হতে হলে বিক্রিয়কের পরিমাণ শূন্য হতে হবে য উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় অসম্ভব। এজন্য সাম্যধ্রুবকের মান শূন্য বা অসীম হয় না ।

প্রশ্ন ৬। Kc এর মান শূন্য হয় না কেন?

উত্তর : সাম্যধ্রুবক K, কখনো শূন্য হতে পারে না। উক্তিটি ব্যাখ্যা করার জন্য নিচের উভমুখী সমীকরণটি বিবেচনা করা যায়।

A + B = C + D

ভরক্রিয়ার সূত্রানুসারে সাম্যধ্রুবক, Kc =(PcX PD)/(PAX PB)

যদি Kcশূন্য হতে হয় তবে Pc ও PD এর মধ্যে অন্ততপক্ষে একটিকে শূন্য হতে হবে। সেক্ষেত্রে পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হতে হবে। যেহেতু উভমুখী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সম্মুখমুখী/পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হয় না সেহেতু সাম্যধ্রুবক K. এর মান শূন্য হতে পারে না।

প্রশ্ন ৭। ফরমিক এসিডের Ka = 1.8 x 10^-4 বলতে কী বোঝ? 

উত্তর : প্রতি লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো অম্লের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে তাকে ঐ এসিডের বিযোজন ধ্রুবক বলে ।বুঝায় এক লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত ফরমিক এসিড (HCOOH) এর একে K. দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ফরমিক এসিডের K = 1.8 x 10 বলতে যে সংখ্যার 1.8 x 10 অংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে। 

প্রশ্ন ৮। পানির আয়নিক গুণফল বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : বিশদ্ধ পানিতে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা ও হাইড্রোক্সিল মায়নের ঘনমাত্রার গুণফল ধ্রুবক হয়। এই গুণফলকে পানির আয়নিক গুণফল বলে। পানির আয়নিক গুণফলকে K দ্বারা প্রকাশ করা হয়। 25°C বা 298K তাপমাত্রায় পানির আয়নিক গুণফলের মান 10-14।

∴ [H] [O] = 10^-14

প্রশ্ন ৯। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পানির আয়নিক গুণফলের মান বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর : তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পানির আয়নিক গুণফলের মান বৃদ্ধি পায় ৷ কারণ পানির বিয়োজন প্রক্রিয়াটি তাপপহারী             

2H2O(l) + তাপ ↔H3O+ (aq) + OH- (aq)

তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে H,O' ও OH আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায় বলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পানির আয়নিক গুণফল বৃদ্ধি পায় ৷

প্রশ্ন ১০। পানিকে উভধর্মী পদার্থ বলা হয় কেন?

উত্তর : প্রোটনীয় মতবাদ অনুসারে পানি (H2O) একটি উভধর্মী পদার্থ যা NH3-এর সাথে বিক্রিয়া করে NH OH গঠন করে। এক্ষেত্রে পানি NH3-কে প্রোটন দিয়ে NH3আয়নে পরিণত করে বলে এটি একটি অম্ল বা এসিড ।

NH3 + H2O ↔NH4 + OH-

আবার, একই H2O যখন HCI-এর সাথে বিক্রিয়া করে তখন হাইড্রোনিয়াম আয়ন ও ক্লোরাইড আয়ন গঠন করে। এক্ষেত্রে পানি HCl থেকে প্রোটন গ্রহণ করে হাইড্রোনিয়াম আয়ন (H3O+) গঠন করে বলে এটি একটি ক্ষার।

HCl + H2O ↔ H3O+ + Cl-

সুতরাং এতে প্রতীয়মান হয় যে, পানি একটি উভধর্মী পদার্থ অর্থাৎ অম্ল-ক্ষার উভয়রূপে আচরণ করে।

প্রশ্ন ১১। HSO আয়নটি উভধর্মী কেন? ব্যাখ্যা কর। 

 উত্তর : যেসব পদার্থ এসিড ও ক্ষারক উভয় ধরনের ধর্ম প্রদর্শন করে তাদেরকে উভধর্মী পদার্থ বলে। HSO একটি উভধর্মী পদার্থ, কারণ HSO, এসিড ও ক্ষারক উভয় ধরনের ধর্ম প্রদর্শন করে। HSO প্রোটন দাতার কাছ থেকে প্রোটন গ্রহণ করে ক্ষারক হিসেবে এবং প্রোটন ত্যাগ করে এসিড হিসেবে আচরণ করে। ক্ষারক হিসেবে :

 HSO + H → H2SO4-

এসিড হিসেবে : HSO4 + H2O → HO + SO/2

প্রশ্ন ১২। CuSO4 এর জলীয় দ্রবণ অম্লধর্মী কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কপার সালফেট (CuSO4) হলো দুর্বল ক্ষারক Cu(OH)2 ও সবল অম্ল H,SO, এর লবণ। এটি পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় প্রথমে Cu2+ আয়ন ও SO -- আয়নে বিভক্ত হয়। পরে দ্রবণে Cu2+আয়ন পানির সাথে নিম্ন সমীকরণ মতে বিক্রিয়া করে দ্রবণে হাইড্রোনিয়াম আয়ন (H,O') বৃদ্ধি করে।

CuSO4(s)+'aq→Cu2+(aq) + SO4(aq)

Cu2+(aq) + 4H2O = Cu(OH)2 (aq) + 2H2O (aq)

ফলে দ্রবণে H2O আয়নের সংখ্যা বাড়ার কারণে pH মান 7 এর চেয়ে কম হয় অর্থাৎ CuSO4 এর জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি অম্লীয় হয়।

প্রশ্ন ১৩। Na2CO3 এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কেন?

উত্তর : যে সকল লবণ সবল ক্ষারক ও দুর্বল অম্ল থেকে উৎপন্ন হয় তারা দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরি করে। সোডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3) এই প্রকৃতির একটি লবণ। এটি সবল ক্ষারক NaOHএবং দুর্বল অম্ল কার্বনিক এসিড থেকে (H2CO3) থেকে উৎপন্ন হয়। Na2CO3 পানিতে দ্রবীভূত হয়ে প্রথমে আয়নে বিভক্ত হয়। পরে দ্রবণে কার্বনেট (CO32) আয়ন পানির সাথে নিম্ন সমীকরণ অনুযায়ী বিক্রিয়া করে দ্রবণে OH আয়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। 

প্রশ্ন ১৪। Ka এর মান বেশি মনে হলে এসিডের শক্তি অধিক  ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : Kaহলো এসিডের বিয়োজন ধ্রুবক। যে এসিডের বিয়োজন ধ্রুবকের মান যত বেশি সে এসিডের তীব্রতা তত বেশি । HCI, HBr, HIL ,HNO3, H2SO4 ইত্যাদি এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ বিয়োজিত থাকে বলে Ka এর মান বেশি। এজন্য এরা প্রত্যেকেই তীব্র এসিড। আবার CH COOH, H COOH, H2CO, প্রভৃতি এসিড জলীয় দ্রবণে খুবই সামান্য বিয়োজিত হয় বলে এসব এসিডের K, মান কম। এজন্য এরা লঘু এসিড । অর্থাৎ K, এর মান বেশি হয়ে এসিডের শক্তি অধিক হয় ।

প্রশ্ন ১৫। HNO3 এবং H3PO4 এর মধ্যে কোন এসিডটি অধিক শক্তিশালী? কেন? 

উত্তর : HNO3 এবং H3PO4 এর মধ্যে HNO3 এসিড অধিক | শক্তিশালী এসিড । কারণ HNO, ও H,PO, উভয়ের কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ মান সমান + 5 হলে নাইট্রোজেন পরমাণুর আকার ফসফরাস পরমাণুর আকারের চেয়ে ছোট। ফলে ফসফরাসের তুলনায় নাইট্রোজেনের চার্জ বেশি। তাই HNO, অধিক শক্তিশালী ।

প্রশ্ন ১৬। HF ও HCI এর মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : HF ও HCl এর মধ্যে HCI তীব্র এসিড। কারণ হাইড্রাসিডগুলোর ক্ষেত্রে অ্যানায়নের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোটন (H') ত্যাগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে অম্লের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। HF ও HCI যৌগদ্বয়ের অ্যানায়ন F 3 CHF অপেক্ষা CIT আয়নের আকার বড় হওয়ায় HCl এসিড HF অপেক্ষা তীব্র এসিড।  

প্রশ্ন ১৭। বিশুদ্ধ পানির pH এর মান 7 কেন?

উত্তর : বিশুদ্ধ পানির pH এর মান 7 হয়। কারণ বিশুদ্ধ পানির বিয়োজন নিম্নরূপ :

H2O ↔  H + OH-

বিশুদ্ধ অবস্থায় H2O এর বিয়োজন খুবই কম হয়, তাই [H2O] এর ঘনমাত্রার তেমন পরিবর্তন হয় না ।

বা, K [H2O] = [H] [O]

বা, Kw = [H] [OH] [ Kw = পানির আয়নিক গুণফল] যেহেতু বিশুদ্ধ পানির বিয়োজনের ক্ষেত্রে [H] = [O] . Kw = [H] [H] বা, Kw = [H]

আমরা জানি, 25°C তাপমাত্রার Kw এর মান = 10-14 .. [H] = 104 বা, [H] = 107 বা, - log [H] = 7 .. pH = 7 [যেহেতু pH = - log [H] সুতরাং বিশুদ্ধ পানির pH এর মান 7.

প্রশ্ন ১৮। pH স্কেল 0–14 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ কেন?

উত্তর : কোনো দ্রবণের pH স্কেল (0) হতে 14 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। দ্রবণে [H+] = 1 g ion L হলে pH = - log 1 = 0 যদি দ্রবণে [OH ] = 1g ion L-1 হয় তাহলে [H+] =Kw/ [OH-]                                       
=10^-14/1
=10-14 gion L-1
এ দ্রবণের ক্ষেত্রে pH =-log10^-14
 =14 [25°C তাপমাত্রায় Kw = 10-14]
সুতরাং, pH স্কেল 0 – 14 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।

প্রশ্ন ১৯। ক্ষারীয় প্রকৃতির বাফার দ্রবণ কীভাবে প্রস্তুত করবে?

উত্তর : কোনো একটি নির্দিষ্ট pH মান বিশিষ্ট ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ প্রস্তুত করতে হলে pH এর কাছাকাছি pK, মানবিশিষ্ট একটি ক্ষারক ও তার লবণ নিতে হবে। হেন্ডারসন সমীকরণ ব্যবহার করে ক্ষারীয় বাফার দ্রবণে কী পরিমাণ লবণ বা ক্ষারক নিতে হবে তা নির্ণয় করা হয়।
হেন্ডারসন সমীকরণটি হলো— pH = pKa + log ([লবণ]/[অম্ল])
এখানে লবণ ও অম্লের ঘনমাত্রার অনুপাত অর্থাৎ [লবণ]/[অম্ল] = 1 হলে সবচেয়ে ভালো হয় । কেননা তখন বাফার ক্ষমতাও বেশি হয়। যেমন— NH4OH ও NH4Cl এর দ্রবণ একটি ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ । 

প্রশ্ন ২০। রক্ত একটি উৎকৃষ্ট বাফার দ্রবণ। ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : রক্ত একটি উৎকৃষ্ট বাফার দ্রবণ। রক্তের বাফার এমনভাবে কাজ করে যাতে করে রক্তের pH সীমা 7.4 বা 7.35 - 7.45 এর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত থাকে । যদি অতিরিক্ত এসিড রক্তে প্রবেশ করে তখন এসিডের H3O+, রক্তের HCO-3 আয়ন দ্বারা প্রশমিত হয়।
H3O+ (aq) + HCO3- (aq) → H2CO3(aq) + H2O (1) 
এভাবে এসিড রক্ত থেকে অপসারিত হয়। উৎপন্ন H3CO3
হয়ে H2O এবং CO2 উৎপন্ন করে।
H2CO3 ⇒ H2O + CO2
উৎপন্ন CO2 ফুসফুসের মাধ্যমে নিঃশ্বাসের সাথে নির্গত হয়।বাইরে থেকে কোনো ক্ষার রক্তে প্রবেশ করলে তাও প্রশমিত হয়।
H2CO3 + OH- ↔HCO3- + H2O
এভাবে মানুষের রক্তের pH 7.35 হতে 7.45 এর মধ্যে নির্দিষ্ট থাকে।
তাই বলা যায় রক্ত একটি উৎকৃষ্ট বাফার দ্রবণ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১.গ্রিন কেমিস্ট্রিতে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ নীতি কোনটি?

(ক) প্রভাবকের ব্যবহার

(খ) নিরাপদ দ্রাবক ব্যবহার

(গ) সর্বোত্তম এটম ইকোনমি

(ঘ) দুর্ঘটনা প্রতিরোধ

উ:গ

২.গ্রিন কেমেস্ট্রির সূচনা কত সালে হয়েছিল?

ক) 1991

খ) 1891

গ) 1990

ঘ) 1890

উ:ক

৩.কোনটির পরিবর্তনকে বিক্রিয়া তাপ বলে?

ক) এনথালপি

খ) শক্তি

গ) তাপ

ঘ)  মুক্তশক্তি

উ:ক

8. গ্রিন দ্রাবক কোনটি?

(ক) কঠিন কার্বন ডাইঅক্সাইড

(খ) কার্ব ডাইঅক্সাইড গ্যাস

গ. 31 - 1°C এর নিচের কার্বন ডাইঅক্সাইড 

(ঘ) 72.8°C তাপমাত্রার কার্বন ডাইঅক্সাইড

উ:ঘ

৫.অ্যাসিডোসিস মানুষের কোন কোষকে দুর্বল করে ফেলে?

ক) রক্তকোষ

খ) স্নায়ুকোষ

গ) চোখের কোষ

ঘ) আবরণী কোষ

উ:খ

৬. CH3 - CH2 - OH + CH3- COOH →CH - C00 - CH2 - CH3 + H2O যৌগটির এটম ইকনোমি কত?

(ক) 65%

(খ) 83%

(গ) 78%

(ঘ) 100%

উ:খ

৭.সবুজ রসায়নের মূলনীতি কয়টি?

ক) 10

খ) 14

গ) 12

(ঘ) 16

উ:গ

৮.Super Critical CO2-এর ক্ষেত্রে কত চাপ ব্যবহৃত হয়?

ক) 32 atm

খ) 72.9 atm

গ) 72.1 atm

ঘ) 72.2 atm

উ:খ

৯.M যৌগ উৎপাদনের বিক্রিয়া নিম্নরূপ-

X + Y→ M + N (বর্জ্য); এদের আণবিক ভর যথাক্রমে 78g, 98g ,84g, 92g. উপরোক্ত বিক্রিয়ার এটম ইকনোমি হচ্ছে—

ক) 47.72%

খ) 85.71%

গ) 52.27%

ঘ) 100%

উ:ক

১০. মন্ট্রিয়েল চুক্তিতে 1999 সালের মধ্যে শতকরা কত ভাগ CFC হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়?

ক) 50%

খ) 20%

গ) 30%

ঘ) 60%

উ:ক

১১. সবুজ রসায়নের অন্তর্ভুক্ত-

i. কম ক্ষতিকর রাসায়নিক 

ii. বর্জ্য পদার্থ প্রতিরোধ 

iii.সংশ্লেষণ নবায়নযোগ্য কাঁচামাল ব্যবহার

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ঘ

১২. সবুজ রসায়নে-

i.দ্রাবক হিসেবে CCL ব্যবহৃত হয়

ii. বর্ষা উৎপাদন সর্বনিম্ন রাখা হয়

iii. বিষক্রিয়া মুক্ত দ্রব্যাদি ব্যবহৃত হয় 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:গ

১৩. উভমুখী বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য হলো-

ক)প্রভাবকের ভূমিকা আছে

খ) বিক্রিয়াটি শেষ হয়

গ) উভয়দিকের বিক্রিয়ার হার সমান হয় না।

ঘ) সাম্যাবস্থায় আসার প্রবণতা

উ:ঘ

১৪. নিচের কোনটি একমুখী বিক্রিয়ার শর্ত?

ক) বিক্রিয়া বদ্ধ পাত্রে সংঘটিত হওয়া

খ) অধঃক্ষেপ সংঘটিত হওয়া

গ) বিক্রিয়ার অসম্পূর্ণতা -

ঘ) বিক্রিয়া সাম্যাবস্থা বিরাজ করা

উ:খ

১৫. একটি উভমুখী বিক্রিয়া কীভাবে একমুখী করা যায়? 

i. একটি উৎপাদ গ্যাসীয় হলে

ii. একটি উৎপাদ অধঃক্ষিপ্ত হলে

iii. একটি উৎপাদকে বিক্রিয়াস্থল থেকে সরিয়ে নিলে 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ঘ

১৬. উভমুখী বিক্রিয়া-

Δ

i. 2KCIO3→2KCI + 302

ii. 2NO2→N2O4

iii. H2 + I2→2HI

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:গ

👉বন্ধপাত্রে Caco, নিম্নরূপে বিয়োজিত হয়—

CaCO3(s) →CaO(s) + CO2(g)

উদ্দীপকটির আলোকে নিম্নের ১৭ ও ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১৭. বিক্রিয়াটিকে একমুখী করতে হলে-

i. পাত্রের ঢাকনা খুলে দিতে হবে

ii. উৎপাদকে কস্টিক সোডা দ্রবণে চালনা করতে হবে

iii. প্রভাবক ব্যবহার করতে হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ক

১৮.উৎপাদ গ্যাসটির অক্সিজেন পরমাণুতে সৃষ্ট সংকরণ হলো—

ক) sp

খ) sp২

গ) O sp 

ঘ) 7 dsp

উ:ঘ

১৯. রাসায়নিক সাম্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য কোনটি?

ক) বিক্রিয়ার সমাপ্তি

খ) বিক্রিয়ার একমুখিতা

গ) সাম্যের স্থিতিশীলতা

ঘ)  সাম্যের স্থিতিশীলতা

উ:ঘ

২০.লেড স্টোরেজ ব্যাটারিতে মাঝে মাঝে পানি দিতে হয় কেন?

ক) ময়লা পরিষ্কারের জন্য

খ) দ্রবণের ঘনমাত্রা ঠিক রাখতে

গ) ) ব্যাটারিকে শীতল রাখার জন্য

ঘ) PbSO4কে দ্রবীভূত করার জন্য

উ:খ

২১.সাম্যবস্থার অর্থ কোনটি?

ক) একমুখিতা

খ) গতিহীনতা

গ) উভমুখিতা

ঘ) প্রভাবকের উপর নির্ভরশীলতা

উ:গ

২২. রাসায়নিক সাম্যাবস্থার শর্ত নয় কোনটি?

ক)  সাম্যের স্থায়িত্ব

খ) বিক্রিয়ার সম্পূর্ণতা

গ) উভয়দিকের সুগম্যতা

ঘ) প্রভাবকের ভূমিকাহীনতা

উ:খ

২৩. নিচের কোন বিক্রিয়ায় An > 0?

ক) N2O(g) 

খ) 2NO(g)

গ) উভয়দিকের সুগম্যতা

ঘ) প্রভাবকের ভূমিকাহীনতা

উ:ক

২৪. PCl5(g)⇄ PCl3(g) + Cl2: ΔH= + 124 kj/mol-1 বিক্রিয়াটিতে চাপ হ্রাস করলে-

i. Cl এর পরিমাণ হ্রাস পায়
ii. বিক্রিয়া সম্মুখমুখী হয়
iii. Kp
 নিচের কোনটি সঠিক
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:ক

২৫. CH4(g)+ 202(g) ⇄CO2(g) + 2H20তাপমাত্রা বাড়লে--

i.  Kp মান হ্রাস পাবে

ii. Kp এর মান বৃদ্ধি পাবে 

iii. সাম্য বা সরে যাবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:খ

২৬. রাসায়নিক সাম্যাবস্থা-

i. গতিশীল

ii. এর সাম্যাংক = 0 হয়

iii. এর সাম্যাংক তাপমাত্রা নির্ভর

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:খ

২৭. সাম্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য- 

i. সাম্যের স্থায়িত্ব

ii. উভয় দিক হতে সাম্যাবস্থা অর্জন

iii. বিক্রিয়ার অসম্পূর্ণতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ঘ

২৮.A2+B2(g)⇄2AB △H=+X kJ/mol বিক্রিয়াটি----

i.. চাপের প্রভাব বিদ্যমান

ii. তাপমাত্রার প্রভাব বিদ্যমান

iii. প্রভাবকের ভূমিকা বিদ্যমান

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii

ঘ) i, ii ও iii

উ:গ

২৯.A2(g)+ B2(g)⇌ △H=+ ve

i. বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী

ii.  সাম্যধ্রুবক kpএবং Kc সমান

iii. সাম্যাবস্থার উপর চাপের প্রভাব নেই 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ঘ

নিচের সাম্যাবস্থার চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৩০ ও ৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩০.সাম্যাবস্থায় নিচের কোনটি সঠিক?

 ক) প্রভাবকের প্রভাব আছে 

খ) ) পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার বেশি ৎ

গ) সম্মুখমুখী বিক্রিয়ার হার বেশি

ঘ) কখনো বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না

উ:ঘ

৩১. সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি করলে-

i. সাম্যাবস্থার পরিবর্তন ঘটে

ii. সাম্যধ্রুবকের মানের কোনো পরিবর্তন ঘটে না

iii. সাম্যাবস্থা ডানদিকে সরে যায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ঘ

তথ্য-ব্যাখ্যা : বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি করলে সাম্যাবস্থার পরিবর্তন হয় এবং সাম্যাবস্থা ডানদিকে সরে যায়। তবে সাম্যধ্রুবকের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না।
অর্থাৎ সবগুলো অপশনই সঠিক।

উদ্দীপক হতে ৩২ এবং ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

X2 (g) + 3Y2 (g); = 2XY,(g); AH = -ve

৩২.সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়াটিতে X, গ্যাস প্রবেশ করালে-

i. সাম্যাবস্থার অবস্থা সম্মুখ দিয়ে সরে যাবে

ii. সাম্যাংকের মান বৃদ্ধি পাবে

iii. উৎপাদের পরিমাণ হ্রাস পাবে 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i 

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ক

৩৩. উদ্দীপকের বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে Ke ও K এর সম্পর্কের সমীকরণ কোনটি?

ক) Ke= Kc
খ)  Ke = KA(RT)
গ) Kp = KC(RT)-2
ঘ) Ke = K (RT) -2
উ:গ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং পরবর্তী দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও :

80 mL 0.25 M NH4OH দ্রবণে 20 mL 0.25 M HCl দ্রবণ যোগ করা হলো।

৩৪. উদ্দীপক মিশ্রণে অতিরিক্ত এসিড বা ক্ষারের পরিমাণ কত?

ক) 60 mL NH OH
খ) 100 mL HCI
গ) 40 mL HN,OH
ঘ) 20 mL HCI
উ:ক

৩৫.উদ্দীপক মিশ্রণটির pH পরিবর্তন করতে হলে নিম্নের কোনটি সামান্য যোগ করতে হবে?

ক) NH4OH 
খ) HCOOH
গ) HNO3
ঘ) CH3COOH
উ:গ

৩৬. কোন পরিবর্তনটি তাপোৎপাদী?

ক) H2O→H2O(g)
খ) H2O(g)→ H2O(1)
গ) HNO
ঘ) H2O(g) → H2O(1)
উ:খ

৩৭.হেবার বস পদ্ধতিতে NH3 শিল্পোৎপাদনে প্রভাবক সহায়ক হিসাবে কোনটি ব্যবহৃত হয়?

ক)  Mo

খ) Ni+

গ) ON

ঘ) Fe

উ:ক

৩৮.2SO2(g)+O2⟶ 2SO3;+44.8 kcal  বিক্রিয়াটিতে তাপমাত্রা বাড়ালে কি ঘটে?

ক)  SO3 এর উৎপাদন হ্রাস পায়

খ) তরল SO3উৎপন্ন হয়

গ) SO3 এর উৎপাদন বৃদ্ধি পায়

ঘ) বিক্রিয়া সম্মুখমুখী হয়

উ:ক

৩৯.2SO2(g)+O2⟶ 2SO3;AH=-200 kJ.উপরোজ বিক্রিয়া মোতাবেক কোন শর্তে SO3এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে?

ক) নিম্ন তাপমাত্রা, নিম্ন চাপ

খ)  উচ্চ তাপমাত্রা, উচ্চ চাপ

গ) নিম্ন তাপমাত্রা, উচ্চ চাপ

ঘ) উচ্চ তাপমাত্রা, নিম্ন চাপ

উ:গ

৪০. নিচের কোন বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে চাপের প্রভাব নেই?

ক) N2O4(g)⇌2NO2(g)

খ) H2(g) + 12(g) ⇌2HI (g)

গ) 2S02 (g)+02(g) ⇌2SO3(g)

ঘ)  N(g) + 2H (g) ⇌2 NH,(g)

উ:ঘ

৪১. বিক্রিয়ার বেগ হ্রাসের জন্য কোন তথ্যটি সঠিক?

(ক) বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি

খ)  তাপমাত্রা বৃদ্ধি

গ)  সক্রিয়ণ শক্তি বৃদ্ধি

ঘ) বিক্রিয়কের পৃষ্ঠতল বৃদ্ধি

উ:গ

৪২.উদ্দীপকের লেখ থেকে নির্ণীত সক্রিয়ন শক্তি হলো—                    



ক) 1148-82 J

খ) 16-620 KJ

গ) 11-48882 KJ

ঘ) 216-604 J

উ:ক

৪৩. নিচের কোন বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা শুধু ঘনমাত্রা ও তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল?

ক)  N2 (g) + O2(g) ⇌2NO(g)

খ)  N2O4(g) ⇌2NO2(g)

গ )PCl5(g)  ⇌ PCl3(g) + Cl2(g) 

ঘ) N2(g) + 5H2(g) ⇌ 2NH (g

উ:ঘ

৪৪. ভরক্রিয়ার সূত্রে নিচের কোনটিকে সক্রিয় ভর হিসেবে নির্দেশ করা -

(ক) আণবিক ভর

খ) মোল সংখ্যা

গ) মোলার ঘনমাত্রা

ঘ) পারমাণবিক ভর

উ:গ

৪৫. কোন প্রক্রিয়াটি তাপোৎপাদী?

ক) বন্ধন বিয়োজন-

খ) গলন

গ)  বাষ্পীভবন

ঘ)  ঘনীভবন

উ:ঘ

৪৬.2SO2(g) + O2(g) = 2SO3 (g) + 44.8k Cal বিক্রিয়াটিতে তাপমাত্রা বাড়ালে কি ঘটে?

ক) SO3এর উৎপাদন হ্রাস পায়

খ) তরল SO3উৎপন্ন হয়

গ)  বিক্রিয়া সম্মুখমুখী হয়

ঘ) O2 এর পরিমাণ কমে যায়

উ:ক

৪৭. তাপহারী বিক্রিয়া হলো-

i. X + Y + তাপ → উৎপাদ 

ii. R+Z→ উৎপাদ; AH = + ve 

iii. L + T → উৎপাদ + তাপ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ক

৪৮. 2AB2(g) + C2 (g) ⇄ 2AC(g) + 2B2 (g); AH =- XkJ molt বিক্রিয়াটির-

i.চাপ বৃদ্ধি করলে উৎপাদ হ্রাস পাবে

ii. তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে উৎপাদ হ্রাস পাবে 

iii. বিক্রিয়াটির উভয় দিকের সুগম্যতা আছে

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ঘ

৪৯.A2(g) + B2(g) ⇄ 2AB(g), AH = + X kJ/mol বিক্রিয়াটিতে

i. চাপের প্রভাব বিদ্যমান

ii. তাপমাত্রার প্রভাব বিদ্যমান

iii. প্রভাবকের ভূমিকা বিদ্যমান

নিচের কোনটি সঠিক?

ক)  ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:ক

৫০.M2(g) + D2(g)⇌2MD(g); AH = +ve এই বিক্রিয়ায়— 

i.তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে উৎপাদ বৃদ্ধি পায়

ii. সাম্যধ্রুবক Kp ও Kc এর মান সমান নয় 

iii. সাম্যাবস্থার উপর চাপের প্রভাব নেই

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

উ:খ




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url