হৃদযন্ত্রের যত কথা
অধ্যায় ৩: হৃদযন্ত্রের যত কথা
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
বিজ্ঞান সাজেশন
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৩: হৃদযন্ত্রের যত কথা
তথ্যকণিকা(Information)
এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
- ১. মানুষের রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি।
- ২. পারপুরা অবস্থা সৃষ্টি হয়- ডেঙ্গুজ্বরে।
- ৩. লোহিত কণিকা ভেঙ্গে সৃষ্ট বংশগত রক্তের রোগ- থ্যালাসিমিয়া।
- ৪. রক্তের অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে- রক্তরস।
- ৫. রক্ত লাল দেখায় হিমোগ্লোবিনের জন্য ।
- ৬. শ্বেত রক্তকণিকাকে আক্রমণ করে HIV
- ৭. রক্তের তরল অংশকে বলে- প্লাজমা।
- ৮. লোহিত কণিকায় অ্যান্টিজেন থাকে— ২টি।
- ৯. রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্যে করে— খনিজ লবণ।
- ১০. অণুচক্রিকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়াকে বলে ম্বোসাইটোসিন।
- ১১. রক্তনালির অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধাকে বলে- থ্রম্বোসিস।
- ১২. রক্তের সর্বজনীন গ্রহীতা গ্রুপ — AB।
- ১৩. মানুষের ধমনির রক্তের pH ৭.8
- ১৪. অক্সিজেন যুক্ত রক্ত সরবরাহ করে থাকে- ধমনি ও পালমোনারি শিরা।
- ১৫. দূষিত রক্ত বহন করে— ফুসফুসীয় ধমনি ।
- ১৬. মানবদেহে রক্তের গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা ৮০-১২০ মি.গ্রাম/ ডিসিলি
- ১৭. মানবদেহের প্রধান রক্ত সংবহনতন্ত্রগুলো হলো- ইৎপিন্ড, ধমনি ও কৈশিক নালিকা ।
- ১৮. মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ mm Hg |
- ১৯. কোলেস্টেরল বেশি থাকে- যকৃতে ও মগজে।
- ২০. নিয়ন্ত্রিত ও পরিমিত ব্যায়াম নিয়ন্ত্রণ করে- ডায়াবেটিস।
- ২১. ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে করণীয় হচ্ছে- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. সিস্টোলিক রক্তচাপ কাকে বলে?
উত্তর: হূৎপিণ্ডের সংকোচনের ফলে ধমনিতে হয় তাকে সিস্টোলিক চাপ বলে।
প্রশ্ন-২.সিরাম কী?
উত্তর: সিরাম হলো রক্ত জমাট বাঁধার পর রক্তের জমাট অংশ থেকে নিঃসৃত হালকা হলুদ বর্ণের এক ধরনের স্বচ্ছ রস।
প্রশ্ন-৩. রক্ত কাকে বলে?
উত্তর: প্রাণীদেহের এক ধরনের লাল বর্ণের অস্বচ্ছ আন্তঃকোষীয় লবণান্ত ও ক্ষারধর্মী তরল যোজক কলাকে রক্ত বলে ।
প্রশ্ন-৪.লাইপোপ্রোটিন কাকে বলে?
উত্তর: স্নেহ এবং প্রোটিনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে লাইপোপ্রোটিন বলে।
প্রশ্ন-৫. হিমোগ্লোবিন কী?
উত্তর: রক্তের লোহিত কণিকায় বিদ্যমান লৌহঘটিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থই হলো হিমোগ্লোবিন।
প্রশ্ন-৬. লিউকেমিয়া কাকে বলে?
উত্তর: মানবদেহের রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা অত্যধিক হারে বেড়ে ৫০,০০০-১,০০০,০০০ হলে তাকে বলা হয় লিউকেমিয়া।
প্রশ্ন-৭. অ্যান্টিজেন কাকে বলে?
উত্তর: যে বহিরাগত প্রোটিন রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে তাকে অ্যান্টিজেন বলে।
প্রশ্ন-৮. অ্যান্টিবডি কী?
উত্তর: অ্যান্টিজেনকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের রক্ত যে পদার্থ তৈরি করে তাই অ্যান্টিবডি।
প্রশ্ন-৯. “ইউনিভার্সাল ডোনার' কাকে বলে?
উত্তর: (O-) গ্রুপের ব্যক্তিরা অন্য যেকোনো গ্রুপের ব্যক্তিকে রক্তদান করতে পারে বলে (O-) গ্রুপকে সর্বজনীন দাতা বা ইউনিভার্সাল ডোনার' বলা হয়।
প্রশ্ন-১০. Rh ফ্যাক্টর কাকে বলে?
উত্তর: রেসাস নামক বানরের লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত এক ধরনের অ্যাগ্লুটিনোজেন কে Rh ফ্যাক্টর বলে।
প্রশ্ন-১১. ধমনি কাকে বলে?
উত্তর: যে রক্তনালির মাধ্যমে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হূৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে বাহিত হয় তাকে ধমনি বলে।
প্রশ্ন-১২ শিরা কাকে বলে?
উত্তর: যেসব রক্তনালির মাধ্যমে সাধারণত কার্বন ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে হূৎপিণ্ডে বহন করে নিয়ে আসে তাদেরকে শিরা বলে।
প্রশ্ন-১৩. হার্টবিট কাকে বলে?
উত্তর: হৃৎপিণ্ডের স্বয়ংক্রিয় পাম্পের মতো দেহের ভিতরে সবসময় ছন্দের হারে স্পন্দিত হওয়াকেই হার্ট-বিট বলে।
প্রশ্ন-১৪.হার্ট অ্যাটাক কাকে বলে?
উত্তর: হৃৎপিণ্ডের করোনারি ধমনি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে হৃদপেশির রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে যে রোগ সৃষ্টি হয়। তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে।
প্রশ্ন-১৫.রক্তচাপ কাকে বলে?
উত্তর: হূৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হূৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধর্মনির মধ্যদিয়ে প্রবাহকালে ধমনির প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে।
প্রশ্ন-১৬.উচ্চরক্তচাপ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকে তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হিসেবে গণ্য করা হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন:১.“শ্বেত রক্ত কণিকা দেহেরপ্রহরী স্বরুপ” ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে শ্বেতকণিকা তা ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ করে। দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেতকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস | পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভিতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বহিঃস্থ জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করে। এভাবে শ্বেতকণিকা দেহে রোগ প্রতিরোধ করে। এ কারণেই শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়।
প্রশ্ন-২ থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর: থ্যালাসামিয়া এক ধরনের বংশগত রক্তের রোগ। এ রোগের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রচ্ছন্ন জিন দ্বারা ঘটে। যেহেতু জিন চরিত্র প্রকাশের একক, সেহেতু এটিই পিতা- মাতার বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চালিত করে।আর এ রোগটি পিতা-মাতা থেকে গ্যামেটের মাধ্যমে জিনসহ সঞ্চালিত হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যাক্তির রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতায় লোহিত কণিকা ভেঙে যায়। ফলে রোগীর দেহে রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-৪. একই ধরনের এন্টিজেন ও এন্টিবডি একই ব্যক্তির রক্তে থাকে না কেন?
উত্তর: একজন ব্যক্তির রক্তে যে ধরনের অ্যান্টিজেন থাকে, কোনোভাবেই সেই একই ধরনের অ্যান্টিবডি তার রক্তে থাকতে পারে না। কারণ একই ধরনের অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি থাকলে এই অ্যান্টিবডি নিজেই নিজের লোহিত কণিকাকে আক্রমণ করে। মৃত্যুর কারণ হয়ে যাবে। তাই একই ধরনের অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি একই ব্যক্তির রক্তে থাকে না।
প্রশ্ন-৫. রক্তের গ্রুপ জানা জরুরি কেন?
উত্তর: এক ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত অন্য ব্যক্তির দেহে প্ৰদান করতে হলে উভয় ব্যক্তির রক্ত সমবিভাগের হতে হবে। পরীক্ষাগারে মানবদেহের বাইরে দাতা ও গ্রহীতার রক্ত মিশ্রিত করে দেখা গিয়েছে যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের রক্ত স্বাভাবিকভাবে না মিশে রক্তকণিকাগুলো গুচ্ছবদ্ধ হয়। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যুবরণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেই মানুষের রক্তের গ্রুপ জানা জরুরি।
প্রশ্ন-৬. AB গ্রুপের রক্তকে কেন Universal Acceptor বা সর্বজনীন রক্ত গ্রহীতা বলা হয়?
উত্তর: AB গ্রুপকে Universal Acceptor বা সর্বজনীন রক্ত গ্রহীতা বলা হয়। কারণ AB গ্রুপের প্লাজমায় অ্যান্টিবডি A বা অ্যান্টিবডি B কোনোটিই থাকে না। AB গ্রুপের ব্যক্তি AB, A, B গ্রুপ ও 0 গ্রুপেরদাতাদের রক্ত গ্রহণ করতে পারে। কারণ, AB গ্রুপের অ্যান্টিবডি না থাকার কারণে A ও B রক্ত গ্রুপের অ্যান্টিজেন গ্রহীতার (AB) রক্তের সাথে কোনো বিক্রিয়া করে না। এ কারণে AB গ্রুপের ব্যক্তিদেরকে Universal Acceptor বা সর্বজনীন রক্ত গ্রহীতা বলা হয় ।
প্রশ্ন-৭. সন্তান সম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে Rh ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে Rh ফ্যাক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ অ্যান্টি Rh ফ্যাক্টর মায়ের রক্ত থেকে অমরার মাধ্যমে ভ্রূণের রক্তে প্রবেশ করে ভ্রূণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে। ফলে স্তূপ বিনষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটে। এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচণ্ড রক্তস্বল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয় ।
প্রশ্ন-৮. হার্ট-বিট বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: হূৎপিণ্ড মানবদেহে একটি পাম্পের মতো কাজ করে। এটি স্বয়ংক্রিয় পাম্পের ন্যায় দেহের ভেতরে সর্বক্ষণ ছন্দের হারে স্পন্দিত হয়। হৃৎপিণ্ডের এই স্পন্দনই হলো হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন। এই হার্টবিটের মাধ্যমে হূৎপিণ্ড আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহিত করে। বাইরের কোনো উদ্দীপনা ছাড়া হৃদপেশি নিজে থেকে সংকোচন ও প্রসারণের দ্বারা হার্টবিট সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন-৯. উচ্চ রক্তচাপ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকে তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়। হৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হূৎপিণ্ড থেকে ধমনির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহকালে ধমনি গাত্রে কোনো ব্যক্তির সিস্টোলিক রক্তচাপ যদি সবসময় ১৬০ মিলিমিটার পারদস্তম্ভ বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৯৫ মিলিমিটার পারদস্তম্ভ বা তার বেশি থাকে, তবে তার উচ্চ রক্তচাপ আছে বলা যায়।
প্রশ্ন-১০. উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ক্ষতিকর কেন?
উত্তর: রক্তে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা ১০০-২০০ mg/dl যদি স্বাভাবিক মাত্রার থেকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাহলে হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা রক্তনালীর আন্তঃপ্রাচীরে জমা হয়ে নালী গহ্বর সংকুচিত করে। এতে ধর্মানর স্থিতিস্থাপকতা কমে গিয়ে শক্ত হয়ে গিয়ে Arteriosclerosis দেখা দেয়। তাই উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল দেহের জন্য ক্ষতিকর ।
প্রশ্ন-১১. ডায়াবেটিস রোগে কেন ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: মানুষের শরীরে ইনসুলিন নামক এক ধরনের হরমোন নির্গত হয়, যেটি রক্তের গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না বলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিনের চাহিদা পূরণ করতে ডায়াবেটিস রোগে ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১.পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহের মোট ওজনের কত ভাগ রক্ত?
ক) ৬%
খ) ৭%
গ) ৭%
ঘ) ৯%
উ:
২.রক্তরসে খাদ্যসার হিসাবে উপস্থিত থাকে কোনটি?
ক) অ্যামিনো এসিড
খ) কোলেস্টেরল
গ) অ্যামোনিয়া
ঘ) অ্যালবুমিন
উ:ক
৩. রক্তে রক্তরসের পরিমাণ শতকরা ---
ক) ৫৪%
খ) ৫৫%
গ) ৪৪%
ঘ) ৪৫%
উ:ক
৪.কোনটি অজৈব পদার্থ?
ক) ক্লোরিন
খ) ভিটামিন
গ) গ্লুকোজ
ঘ) অ্যালবুমিন
উ:ক
৫.রক্তরসে প্রোটিনধর্মী জৈব পদার্থ কোনটি?
ক) কোলেস্টরল
খ) লেসিথিন
গ) অ্যান্টিটক্সিন
ঘ) ফাইব্রিনোজেন
উ:ঘ
৬.অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় কোনটি?
ক) বিলিরুবিন
খ) এনজাইম
গ) হরমোন
ঘ) লসিকা
উ:গ
৭. মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু কত দিন?
ক) ১২০
খ) ১৩০.
গ) ১৫০
ঘ) ১৬৯
উ:ক
৮.লোহিত রক্তকণিকা কোথায় উৎপন্ন হয়?
ক) মৃৎপিণ্ডে
খ) প্লীহায়
গ) অস্থিমজ্জায়
ঘ) বৃক্কে
উ:গ
৯. অ্যান্টিবডি গঠন করে--
ক) গ্ৰাফলোসাইট
খ) লিম্ফোসাইট
গ) এরিথ্রোসাইট
ঘ) প্রম্বোসাইট
উ:ঘ
১০. নিচের কোনটি দেহে এলার্জি প্রতিরোধ করে?
ক) লোহিত কণিকা
খ) লিম্ফোসাইট
গ) মনোসাইট
ঘ) ইওসিনোফিল
উ:ঘ
১১. কোন রোগে লোহিত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়?
ক) পলিসাইথিমিয়া
খ) অ্যানিমিয়া
গ) লিউকেমিয়া
ঘ) পারপুরা
উ:খ
১২. পারপুরা অবস্থা সৃষ্টি হয় কোন রোগে আক্রান্ত হলে?
ক) থ্যালাসেমিয়া
খ) ডেঙ্গু জ্বর
গ) ভোজর
ঘ) অ্যানিমিয়া
উ:খ
১৩. রক্তশূন্যতা হয়, যখন ---
ক) RBC বৃদ্ধি পায়
খ) RBC হ্রাস পায়
গ) WBC বৃদ্ধি পায়
ঘ) অণুচক্রিকা বৃদ্ধি পায়
উ:খ
১৪. কোন ব্লাড গ্রুপে কোনো অ্যান্টিজেন থাকে না?
ক) A
খ) B
গ) AB
ঘ) O
উ:ঘ
১৫. সর্বজনীন দাতা গ্রুপ কোনটি?
ক) B
খ) AB
গ) A
ঘ) O
উ:ঘ
১৬. গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ জানা সম্ভব না হলে কোন গ্রুপের রক্ত দেয়া সবচেয়ে নিরাপদ?
ক) AB+
খ) AB-
গ) 0-
ঘ) O+
উ:গ
১৭. AB গ্রুপধারী ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারবে?
ক) A
খ) B
গ) AB
ঘ) AB 3 O
উ:ঘ
১৮. অ্যান্টি Rh ফ্যাক্টরের প্রভাবে নবজাতকের কোন রোগ হয়?
ক) যক্ষ্মা
খ) নিউমোনিয়া
গ) জন্ডিস
ঘ) ডায়রিয়া
উ:গ
১৯. হূৎপিণ্ড বেষ্টনকারী পর্দার নাম কী?
ক) পেরিকার্ডিয়াম
খ) ভেন্ট্রিকল
গ) অ্যাট্রিয়াম
ঘ) ভেনাক্যাভা
উ:ক
২০. নিচের কোনটি অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে?
ক) ধমনি ও পালমোনারি ধমনি
খ) শিরা ও পালমোনারি শিরা
গ) ধমনি ও পালমোনারি শিরা
ঘ) শিরা ও ধমনি
উ:গ
২১. কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত বৃৎপিণ্ডের কোন অংশে প্রথমে প্রবেশ করে?
ক) ডান অ্যাট্রিয়াম
খ) ডান ভেন্ট্রিকল
গ) বাম অ্যাট্রিয়াম
ঘ) বাম ভেন্ট্রিকল
উ:ক
২২. 'ভাব' সদৃশ শব্দ কার্ডিয়াক চক্রের কোন পর্যায়ে হয়?
ক) নিলয়ের সিস্টোল
খ) অলিন্দের সিস্টোল
গ) নিলয়ের ডায়োস্টোল
ঘ) অলিন্দের ডায়াস্টোল
উ:গ
২৩. রক্তে কীসের পরিমাণ বেশি থাকা শরীরের জন্য উপকারী?
ক) HDL
খ) স্টেরয়েড
গ) LDL
ঘ) চর্বি
উ:ক
২৪.মানবদেহের রক্তের গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা কত মি. গ্রাম/ডেসিলি?
ক) ৮০-১২০
খ) ৭০-১১০
গ) ৯০-১৩০
ঘ) ৮০-১৪০
উ:খ
২৫. রক্তরস পরিবহন করে—
i. অক্সিহিমোগ্লোবিন রূপে অক্সিযোন
ii. রক্ত জমাট বাঁধার প্রয়োজনীয় উপাদান
iii. হরমোন, এনজাইম, লিপিড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:গ
২৬. শ্বেত কণিকা---
i. প্লীহা থেকে উৎপন্ন হয়
ii. B রক্তগ্রুপের ব্যক্তিকে
iii. কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:ক
২৭. B রক্তগ্রুপের ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবে—
i. o রক্তগ্রুপের ব্যক্তিকে
ii. হেপারিন নিঃসৃত করে
iii. AB রক্তগ্রুপের ব্যক্তিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:গ
২৮. অ্যান্টি Rh ফ্যাক্টর –
i. ভূণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে
ii. মৃগ বিনষ্ট করে
iii. জন্মের পর হাম রোগ সৃষ্টি করে।
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:ক
২৯. কোলেস্টেরল বেশি থাকে
i. যকৃতে
ii. কিডনিতে
iii. মগজে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:খ
৩০. শিরার বৈশিষ্ট্য হলো-
i. প্রাচীর পাতলা
ii. CO2 সমৃদ্ধ রক্ত বহন করে
iii. O2 সমৃদ্ধ রক্ত বহন করে .
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:খ
৩১. ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ হলো ---
i. ওজন বেশি হওয়া
ii. খুব বেশি পিপাসা লাগা
iii. চোখে ঝাপসা দেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:গ
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো এবং ৩২ ও ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
রাহাত ইয়ারখান দিয়ে একটি পাখি শিকার করলো। সে দেখতে পেলো পাখিটির শরীর দিয়ে লাল রঙের এক ধরনের তরল পদার্থ ঝরছে।
৩২. রাহাতের দেখা তরলটির নাম কী?
ক) রক্তরস
খ) সিরাম
গ) রক্ত
ঘ) হিমোসিল
উ:গ
৩৩. উক্ত পদার্থটি লালবর্ণের হয়—
i. ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকায়
ii. হিমোগ্লোবিন উপস্থিত থাকায়
iii. লৌহ ঘটিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:গ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৪ ও ৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও: রহিমের থ্যালাসেমিয়া হয়েছে। তার দাদার ও এই রোগ ছিল।
৩৪. থ্যালাসেমিয়া কী ধরনের রোগ?
ক) ছোঁয়াচে
খ) বংশগত
গ) সংক্রামক
ঘ) খনিজ লবণের অভাবে
উ:খ
৩৫. থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে-
i. হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা
ii. অটোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন জিনের কারণে
iii. অতিরিক্ত রক্তের চাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উ:ক
সৃজনশীল প্রশ্ন
লোহিত কণিকা শ্বেত কণিকা
A------ -------B
ক.অ্যান্টিবডি কী?
খ. রক্তের গ্রুপ জানা জরুরি কেন?
গ. A উপাদানটির গঠন বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের B রোগজীবাণু ভক্ষণ ও ধ্বংস করে কথাটি— মূল্যায়ন করো।
২.সাইফুল ও শামসুল দুই বন্ধু ক্রিকেট খেলছে। হঠাৎ শামসুলের মাথায় বলের আঘাতে রক্ত পড়তে শুরু করল। পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সাইফুলের বাবা হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তার শরীরে অতিরিক্ত
ওজন এবং তিনি মানসিক চাপগ্রস্ত।
ক. রক্ত কাকে বলে?
খ. “থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ” —ব্যাখ্যা করো ।
গ. শামসুলের মাথায় রক্ত পড়া কীভাবে বন্ধ হয়? ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. সাইফুলের বাবার রোগটি প্রতিরোধে করণীয় ব্যবস্থা মূল্যায়ন করো।
৩. সুমন দীর্ঘদিন যাবৎ বক্ষগহ্বরের মাঝখানে, মধ্যচ্ছদার উপরে চার প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট অঙ্গে ব্যথা অনুভব করেন। আবার অসীমের রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা ৮০-১২০ মি.গ্রাম/ডেসি.লি এর চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে প্রবাহের দেহে এক ধরনের লিপিড বা স্টেরয়েড জাতীয় পদার্থ আছে যা যকৃত ও মগজে বেশি থাকে।
ক. প্লাজমা কাকে বলে?
খ. মানবদেহে দ্বি-অবতল ও চাকতি আকৃতির কণিকাটি অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সুমনের অঙ্গটি সুস্থ রাখার উপায়- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রবাহ ও অসীমের রোগ দুইটির মধ্যে কোনটি দীর্ঘস্থায়ী হলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? বিশ্লেষণ করো।
৪. রাতুলের রক্তের গ্রুপ A পজিটিভ। তার বন্ধু রাহির রক্তের গ্রুপ O পিপাসা, ক্ষত দেরিতে শুকানো, ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিয়মিত নেগেটিভ। তাদের অপর বন্ধু রাজিবের ইদানীং ঘনঘন প্রস্রাব, বেশি ঔষধ ও
শৃঙ্খলাবোধ জীবনযাপনের পরামর্শ দিলেন।
ক. হার্ট অ্যাটাক কাকে বলে?
খ. সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে Rh ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ. রাহি কী তার বন্ধু রাতুলকে রক্তদান করতে পারবে? বর্ণনা করো ।
ঘ. রাজিবকে ডাক্তারের পরামর্শের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।'
৫.
P---------- লাল বর্ণের যোজক টিস্যু।
Q-----------বক্ষ গহব্বরে অবস্থিত ত্রিকোণাকার অঙ্গ।
ক. সিস্টোলিক রক্তচাপ কাকে বলে?
খ. এন্টিজেন ও এন্টিবডি বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে Q এর মাধ্যমে P এর সঞ্চালন প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।
ঘ. মানবদেহে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে P এর ভূমিকা করো।
৬. আলী দীর্ঘদিন যাবৎ বক্ষগহ্বরের মাঝখানে মধ্যচ্ছদার উপরে চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট অঙ্গে ব্যাথা অনুভব করেন। আবার অসীমের রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা ৮০-১২০ মি. গ্রাম/ডেসিলিটার এর চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে শরীফের দেহে এক ধরনের লিপিড বা স্টেরয়েড জাতীয় পদার্থ আছে যা যকৃৎ ও মগজে বেশি থাকে।
ক. সিরাম কী?
খ. একই ধরনের অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি একই ব্যক্তির রক্তে থাকে না কেন?
গ. উদ্দীপকের আলীর অঙ্গটি সুস্থ রাখার উপায় ব্যাখ্যা করো।
ঘ. অসীম ও শরীফের রোগ দুটির মধ্যে কোনটি দীর্ঘস্থায়ী হলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বিশ্লেষণ করো।
৭. রাকিব সাহেব সামান্য পরিশ্রম করলে দুর্বলতাবোধ করেন। শরীরের কোথাও ক্ষতের সৃষ্টি হলে দেরিতে শুকায়। যথেষ্ঠ খাওয়া সত্ত্বেও তার ওজন কমে যাচ্ছে এবং দিন দিন শীর্ণ হয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে তার স্ত্রী বিলকিস
বেগম প্যারালাইসিস রোগে ভুগছেন।
ক. আর্টোরিওল কাকে বলে?
খ. হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার উপায় লেখো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিলকিস বেগমের রোগটি হওয়ার পূর্বে সতর্কতামূলক নিয়মগুলো বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সৃষ্ট সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা কি সম্ভব? বিশ্লেষণ করো।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url