জনসংখ্যা
অধ্যায় ৭: জনসংখ্যা
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৭: জনসংখ্যা
তথ্যকণিকা(Information)
এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
- প্রথম লোক গণনা করা হয়— ১৬৫৫ সালে।
- ১৬৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল - ০.৫ বিলিয়ন।
- জন্ম এবং মৃত্যুর হার উভয়ই বেশি ছিল— প্রাথমিক পর্যায়ে।
- কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হয়— ১৮৫০ সালে।
- চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে হ্রাস পেয়েছে— মৃত্যুহার।
- শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে — জন্মহার কম।
- অভিবাসনের স্বাভাবিক ফলাফল – জনসংখ্যার বণ্টন।
- মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে— শিক্ষা, সংস্কৃতি।
- মরণশীলতা পরিমাপের বহুল প্রচলিত পদ্ধতি — স্থূল মৃত্যুহার ।
- অভিগমনের বিকর্ষণমূলক কারণ— অর্থনৈতিক মন্দা।
- ঝড়, বন্যা, দুর্ভিক্ষ, মহামারি ইত্যাদি— অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ।
- মৃত্যুহার বেশি— অনুন্নত দেশে।
- মোট জনসংখ্যা ও ভূমির অনুপাত— জনসংখ্যা ঘনত্ব ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১.সাধারণ জন্মহার কাকে ?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট এক বছরের প্রতি হাজার নারীর সान জন্মদানের মোট সংখ্যাকে সাধারণ জন্মহার বলে।প্রশ্ন-২.স্থানভেদে অভিগমনকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: স্থানভেদে অভিগমনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।প্রশ্ন-৩. বলপূর্বক অভিবাসন কাকে বলে?
উত্তর: প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক চাপের মুখে কিংবা পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টির ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে যে অভিগমন করে তাকে বলপূর্বক অভিবাসন বলে ।প্রশ্ন-৪. জনসংখ্যার ঘনত্ব কী?
উত্তর: বিভিন্ন মানুষের সংঘবদ্ধতা তথা জনবসতির নিবিড়তাই জনসংখ্যার ঘনত্ব ।প্রশ্ন-৫. জনস্বল্পতা কাকে বলে?
উত্তর: জনসংখ্যার তুলানায় কার্যকর ভূমির পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে জনস্বল্পতা বলে।প্রশ্ন-৬ কাম্য জনসংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দেশের মোট জনসংখ্যা ও কার্যকর ভূমির অনুপাতের ভারসাম্য থাকাই কাম্য জনসংখ্যা।প্রশ্ন-৭ নির্ভরশীল জনসংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: সাধারণত ০-১৮ বছর ব্যাসের শিশু এবং উর্দু ৬৫ বছর বয়সের জনসংখ্যাকে নির্ভরশীল জনসংখ্যা বলে।অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১ অধিক জন্মহার ও মৃত্যুহার কোন পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য? ব্যাখ্যা করো।
সুদূর অতীতকাল থেকে ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে প্রাথমিক পর্যায় বলে। এ সময় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ও বৃদ্ধির হার উভয় ছিল কম। এই পর্যায়ে পৃথিবীর সকল অংশেই জন্ম ও মৃত্যুর
হার উভয় খুব বেশি ছিল।
প্রশ্ন-২. কোন ধরনের জনসংখ্যায় মোট জনসংখ্যা ও কার্যকর ভূমিকা আদর্শ অনুপাতের ভারসাম্য প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কাম্য জনসংখ্যায় মোট জনসংখ্যা ও কার্যকর ভূমির আদর্শ অনুপাতের ভারসাম্য প্রয়োজন ।মোট জনসংখ্যা ও কার্যকর ভূমির আদর্শ অনুপাতের ভারসাম্য যখন নষ্ট হয় তখন কোথাও অতিজনাকীর্ণতা (জনসংখ্যার তুলনায় কার্যকর ভূমির পরিমাণ অন্ন) আবার কোথাও জনসংখ্যা স্বল্পতা
(জনসংখ্যার তুলনায় কার্যকর ভূমির পরিমাণ বেশি দেখা দেয়।
প্রশ্ন-৩. মাটির উর্বরতা হ্রাসে অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তর: একটি দেশের আয়তন সীমিত হওয়ায় অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাবে ভূমির অধিক ব্যবহার, খণ্ডিতকরণ ইত্যাদি কারণে উৎপাদনযোগ্য ভূমি কমে যায়। ফলে মাটিতে যে সকলঅনুজীব, ক্ষুদ্রজীব বাস করে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটির জৈব উপাদান কমে যায়। অধিক উৎপাদনের জন্য অধিক সার, কীটনাশক ব্যবহারে মাটি দূষিত হয়ে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়।
প্রশ্ন-৪. জনসংখ্যা পিরামিড বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নারী-পুরুষের বয়সভিত্তিক বিন্যাস গ্রাফে প্রকাশ করলে ত্রিভূজ বা পিরামিড সদৃশ যে নকশা তৈরি হয় তাকে জনসংখ্যা কাঠামো বলে।জনসংখ্যা পিরামিডের উলম্ব অক্ষে বয়স আর অনুভূমিক অক্ষে বামে পুরুষ ও ডানে নারীর শতকরা হার স্তম্ভে স্থাপন করা হয়। এরূপ জনসংখ্যা কাঠামোকে জনসংখ্যা পিরামিড বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১.বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?
ক)২
খ)৩
গ)৪
ঘ)৫
উ:খ
২.মৃত্যুহারের পার্থক্য কোন বিষয়গুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে?
ক) প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ
খ) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শিক্ষা
গ) রোগ ও দুর্ঘটনা, বৈবাহিক অবস্থা
ঘ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শিলা
উ:ক
৩.জনস্বল্পতা দেখা যায় কোন দেশে?
ক) পাকিস্তানে
খ) ইতালিতে
গ)ইন্দোনেশিয়ায়
ঘ) অস্ট্রেলিয়ায়
উ:ঘ
৪.জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে কীসের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে?
ক) অর্থনীতি
খ)মাটি
গ) ভূমি
ঘ)পানি
উ:গ
৫.কত সালে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হয়?
ক)১৬৫০
খ) ১৮৫০
গ)১৮৫০
ঘ)১৬০০
উ:ঘ
৬. চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে কোনটি হ্রাস পেয়েছে?
(ক) শিশু মৃত্যুহার
খ)জনসংখ্যা
গ) জন্মহার-
ঘ)আয়ুষ্কাল
উ:ক
৭.কোন ধরনের পেশাজীবী মানুষের মাঝে জন্মহার বেশি?
(ক) ডাক্তার
খ) আইনজীবী
(গ) ব্যবসায়ী
ঘ) শ্রমজীবী
উ:ঘ
৮.মানুষ ও ভূমির অনুপাতে ভারসাম্য থাকলে তাকে কী বলে?
ক) কাম্য জনসংখ্যা
খ) স্বাভাবিক জনসংখ্যা
গ)স্থূল জনসংখ্যা
ঘ)ভারসাম্যপূর্ণ জনসংখ্যা
উ:ক
৯.জনসংখ্যা বণ্টনের অপ্রাকৃতিক প্রভাবক কোনটি?
(ক) অর্থনৈতিক
খ) খনিজ
গ)মাটি
ঘ)পানি
উ:ক
১০. মৃত্যুহার বেশী কোথায়?
ক) অনুন্নত দেশে
খ) উন্নত দেশে
গ) উন্নয়নশীল দেশে
(ঘ) উন্নয়নশীল অঞ্চলে
উ:ক
১১. অকালে বা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলতে কী বোঝায়?
ক) অসুখে মৃত্যু
খ) আঘাতে মৃত্যু
গ )যুদ্ধে মৃত্যু
(ঘ) পরিণত বয়সের পূর্বে মৃত্যু
উ:ঘ
সৃজনশীল প্রশ্ন
১। দৃশ্যকল্প-১ : ১৯৭১ সালে জীবন বাঁচাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয় । শেষে তারা আবার নিজ দেশে ফিরে আসে।
দৃশ্যকল্প-২ : নাবিলা উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করে। পড়াশুনা শেষে সে ঐ দেশে চাকরি নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
খ. জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো ।
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ বর্ণিত অভিগমনের কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দৃশ্যকল্প-১ ও দৃশ্যকল্প-২ এ বর্ণিত অভিবাসন কি একই ধরনের? যুক্তিসহ মতামত দাও ।
থেকে অনেক মুসলমান তার দেশে চলে আসছে।
ক. নির্ভরশীর জনসংখ্যা কাকে বলে?
খ. পেশা কীভাবে জন্মহারকে প্রভাবিত করে?
গ. মিয়ানমারের মুসলমানদের তার দেশে আগমন কোন ধরনের অভিগমন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নাহিদার কানাডায় অভিগমন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে— বিশ্লেষণ করো।
ক.অভিবাসন কী?
খ.শরণার্থী বলতে কী বোঝায়?
ঘ.রোহিঙ্গাদের অভিগমন এই অঞ্চলের সার্বিক পরিবেশের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলবে? বিশ্লেষণ করো।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url