ইবাদত
অধ্যায় ৩: ইবাদত
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
ইসলাম শিক্ষা সাজেশন
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৩:ইবাদত
তথ্যকণিকা(Information)
এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
- ১.ইবাদত' শব্দের অর্থ— বিনয় প্রকাশ করা, আনুগত্য করা।
- ২. ইবাদতের মূল উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
- ৩. ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ — সালাত ।
- ৪. সালাতের ফারসি ভাষা- নামায।
- ৫. দৈনিক সালাত ফরজ করা হয়েছে— ৫ বার ।
- ৬. মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে- সালাত।
- ৭. ইমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্যকারী— সালাত।
- ৮. মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে— সালাত ।
- ৯. রোযা শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে।
- ১০. রোযা বা সাওম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে— তাকওয়া অর্জনের জন্য ।
- ১১. 'সাওম' শব্দের অর্থ— বিরত থাকা ।
- ১২. সাওম অস্বীকারকারী — কাফির।
- ১৩. সাওম হলো— ঢালস্বরূপ।
- ১৪. যাকাতের প্রধান উদ্দেশ্য হলো— অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা 1
- ১৫. ইসলামের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে— যাকাত।
- ১৬. 'যাকাত' শব্দের অর্থ- পরিশুদ্ধতা, পবিত্রতা ও বৃদ্ধি পাওয়া।
- ১৭. যাকাত ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ।
- ১৮. যাকাতের নিসাবের শতকরা হার ২.৫০ টাকা।
- ১৯. দরিদ্রদের অধিকার— যাকাত।
- ২০. ন্যূনতম সম্পদ যা থাকলে যাকাত ফরজ হয় তাই— নিসাব ।
- ২১. গুরুত্বের দিক থেকে যাকাতের স্থান- সালাতের পর।
- ২২. দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়ক – যাকাত ।
- ২৩. 'হজ' শব্দের অর্থ— সংকল্প করা, ইচ্ছা করা।
- ২৪. শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত হজ।
- ২৫. ইসলামের পঞ্চম ভিত্তি— হল।
- ২৬. হজের ওয়াজিব - সাতটি।
- ২৭, কুরবানি করা— হজের একটি ওয়াজিব।
- ২৮. হজ অস্বীকারকারী — কাফির।
- ২৯. বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মেলন — হজ।
- ৩০. একজন অধীন কর্মচারীকে দৈনিক ক্ষমা করা যায় ৭০ বার।
- ৩১. হযরত আনাস (রা) রাসুল (স)-এর খেদমত করেছেন-১০ বছর।
- ৩২. 'ইলম' শব্দের অর্থ— জ্ঞান, জানা, অবগত হওয়া।
- ৩৩. জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।
- ৩৪. পৃথিবীতে সবচাইতে সম্মান ও মর্যাদার পেশা – শিক্ষকতা।
- ৩৫. আদর্শ জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষক।
- ৩৬. ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস - আল-কুরআন ও আল হাদিস।
- ৩৭. 'জিহাদ' শব্দের অর্থ— পরিশ্রম, সাধনা, কষ্ট, চেষ্টা।
- ৩৮. কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ হলো— বড় জিহাদ।
- ৩৯. ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা— সর্বোচ্চ স্তরের জিহাদ।
- ৪০. সন্ত্রাসবাদের আরবি হলো— ইরহাব।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
১. মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা।
প্রশ্ন-২.ইবাদত কাকে বলে?
উত্তর: দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলে ।
প্রশ্ন-৩.ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
প্রশ্ন-৪. 'হাক্কুল্লাহ' কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পৃক্ত অধিকার বা কর্তব্যকে হারুল্লাহ বলে।
প্রশ্ন-৫. হাক্কুল ইবাদ কাকে বলে?
উত্তর: মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট ইবাদত অর্থাৎ মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালনকে হাক্কুল ইবাদ বলে।
প্রশ্ন-৬. সালাত অর্থ কী?
উত্তর: সালাত অর্থ দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ও রহমত কামনা করা।
প্রশ্ন-৭. সালাতের ফার্সি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: সালাতের ফার্সি প্রতিশব্দ নামায ।
প্রশ্ন-৮. সাওমের প্রতিদান সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: সাওমের প্রতিদান সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে “সাওম আমার জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো।” (বুখারি)
প্রশ্ন-৯. যাকাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: 'যাকাত' শব্দের অর্থ পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা, বৃদ্ধি পাওয়া।
প্রশ্ন-১০. যাকাত ইসলামের কততম রুকন বা স্তম্ভ?
উত্তর: যাকাত ইসলামের তৃতীয় রুকন বা স্তম্ভ ।
প্রশ্ন-১১.যাকাত কাকে বলে?
উত্তর: ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো মুসলিম নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে বছরান্তে তার সম্পদের শতকরা ২.৫০ টাকা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করাকে যাকাত বলে ।
প্রশ্ন-১২.কোন ইবাদতকে সেতুর সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: যাকাতকে সেতুর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন-১৩.'হজ' শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর: 'হজ' শব্দের আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা।
প্রশ্ন-১৪.'তাওয়াফে যিয়ারত' কী?
উত্তর: ১০ই জিলহজ ভোর থেকে ১২ই জিলহজ পর্যন্ত যেকোনো দিন কাবা শরিফ তাওয়াফ করাকে তাওয়াফে যিয়ারত বলে। এটি হজের একটি ফরজ।
প্রশ্ন-১৫. 'দম দেওয়া' অর্থ কী?
উত্তর: ভুলে বা স্বেচ্ছায় হজের কোনো ওয়াজিব বাদ পড়লে তার কাফফারা হিসেবে একটি অতিরিক্ত কুরবানি দেওয়াই দম।
প্রশ্ন-১৬. হযরত আনাস (রা) কত বছর মহানবি (স)-এর খেদমত করেছেন?
উত্তর: হযরত আনাস (রা) দশ বছর মহানবি (স)-এর খেদমত করেছেন।
প্রশ্ন-১৭. একজন অধীনস্থ কর্মচারীকে দৈনিক কতবার ক্ষমা করা যেতে পারে?
উত্তর: একজন অধীনস্থ কর্মচারীকে দৈনিক সত্তরবার ক্ষমা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন-১৮. 'ইলম' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘ইলম' শব্দের অর্থ জ্ঞান, বিদ্যা, জানা; অবগত হওয়া প্রভৃতি।
প্রশ্ন-১৯. 'ইলম' কী?
উত্তর: ইলম হলো কোনো বস্তুর প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করা।
প্রশ্ন ২০. ইসলামি শিক্ষার মূল উৎস কী?
উত্তর: ইসলামি শিক্ষার মূল উৎস হলো- কুরআন ও হাদিস ।
প্রশ্ন-২১. নৈতিকতা কী?
উত্তর: সততা, সদাচার, সৌজন্যমূলক আচরণ, সুন্দর স্বভাব, মিষ্টি কথা ও উন্নত চরিত্র এসব কিছুর সমন্বয় হলো নৈতিকতা।
প্রশ্ন-২২. জিহাদ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: 'জিহাদ' শব্দের অর্থ পরিশ্রম, সাধনা, চেষ্টা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-২৩. জিহাদ কী?
উত্তর: জান-মাল, ইলম, আমল, লেখনি ও বক্তৃতার মাধ্যমে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর দীনকে সমুন্নত করাই হলো জিহাদ।
প্রশ্ন-২৪. জিহাদ কত প্রকার?
উত্তর: জিহাদ তিন প্রকার ।
প্রশ্ন-২৫.'জিহাদে কাবির' কাকে বলে ?
উত্তর: জ্ঞানের সাহায্যে জিহাদ করাকে জিহাদে কাবির বলে ।
প্রশ্ন-২৬. জিহাদের সর্বোচ্চ স্তর কী?
উত্তর: জিহাদের সর্বোচ্চ স্তর হলো ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
প্রশ্ন-২৭.শহিদ কারা?
উত্তর: শহিদ হলেন ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গকারী ব্যক্তি।
প্রশ্ন-২৮. 'ইরহাব' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: “ইরহাব শব্দের অর্থ সন্ত্রাসবাদ ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. 'আল্লাহর হক' বা হাক্কুল্লাহ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: আল্লাহ্র সাথে সম্পৃক্ত অধিকার বা কর্তব্যকে হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক বলে। হারুল্লাহ অর্থ আল্লাহর হক বা অধিকার। আমরা দৈনন্দিন জীবনে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অনেক ধরনের ইবাদত (কাজ) করি। সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ইবাদত আছে, যেগুলো আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। এগুলো হলো- সালাত, রোযা, হজ, যাকাত ইত্যাদি। এগুলোকেই হাক্কুল্লাহ বলা হয় ।
প্রশ্ন-২. 'হাক্কুল ইবাদ' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: হাক্কুল ইবাদ বলতে মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে বোঝায়। মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজবদ্ধ হয়েই তাদেরকে বসবাস, করতে হয়। আমরা পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া- প্রতিবেশীদের নিয়ে সামাজিকভাবে একসাথে বসবাস করি। একজনের দুঃখে অন্যজন সাড়া দেই। বিপদে-আপদে একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করি। পরস্পরের প্রতি এ সহানুভূতি ও দায়িত্বই হাক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক বা অধিকার ।
প্রশ্ন-৩.হাক্কুল ইবাদের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: হাক্কুল ইবাদ অর্থ বান্দার প্রতি অপর বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য । হাক্কুল ইবাদের গুরুত্ব অনেক। আমরা পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে সামাজিকভাবে একসাথে বাস করি। এতে একে অপরের প্রতি আমাদের নির্ভরশীল থাকতে হয়। একজনের দুঃখে অন্যজন সাড়া না দিলে মানুষের প্রতি মানুষের অধিকার লঙ্ঘন হয়। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে, যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (স) পছন্দনীয় নয়। এ কারণে হাক্কুল ইবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন-৪. ইকামাতুস সালাত' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ইকামাতুস সালাত' বলতে সালাত প্রতিষ্ঠা করাকে বোঝায়। সালাত অর্থ দোয়া করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইকামাত অর্থ কায়েম করা, প্রতিষ্ঠা করা। সালাত শুধু নিজে আদায় করলে হবে না বরং সমাজেও সালাত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সবার মধ্যে সালাত আদায় করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এভাবে সালাত প্রতিষ্ঠা করাই ইকামাতুস সালাত।
প্রশ্ন-৫. তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: 'তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো'— আয়াতটি দ্বারা জামাআতে নামায আদায় করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নামায আদায় করার ক্ষেত্রে জামাআতে আদায় করার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবি (স) জামাআতের সাথে নামায আদায় করার গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, 'জামাআতে নামায আদায় করলে একাকী আদায় করার চাইতে সাতাশ গুণ বেশি সাওয়াব পাওয়া যায়।' অনুরূপভাবে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, 'তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ৪৩)
প্রশ্ন-৬.‘সাওম ঢালস্বরূপ' – বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: সাওম বা রোযা মানুষকে কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে নিরাপদ থাকতে সহায়তা করে বলে একে ঢাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সাওম ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ। প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নর-নারীর ওপর সাওম পালন করা ফরজ। যুদ্ধক্ষেত্রে ঢাল যেমন মানুষের জীবন রক্ষা করে, তেমনি সাওম খারাপ কাজ না করার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৭. সাওম কীভাবে সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সাওম পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়, যা সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করে। সাওম পালনের মাধ্যমে একজন লোক ক্ষুধার যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারে। সমাজের নিরন্ন ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারে। সাওম পালনকারী ব্যক্তি অন্যায়-অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে চলে । হানাহানি থেকে দূরে থাকে। ফলে সমাজে শান্তি বিরাজ করে। অধিক সাওয়াব পাওয়ার আশায় একে অপরকে সেহেরি ও ইফতার করায় এবং অভাবীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে। এতে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক বন্ধন আরও মজবুত ও শক্তিশালী হয়।
প্রশ্ন-৮.যাকাত ফরজ করার উদ্দেশ্য কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যাকাতের মাধ্যমে সমাজ থেকে ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর হয় বলে মূলত এই উদ্দেশ্যেই যাকাতকে ফরজ করা হয়েছে। আমাদের সমাজে ধনী ও গরিব উভয় শ্রেণির মানুষ রয়েছে। এই ধনী-গরিবেরমাঝে আর্থিক সমন্বয় সাধন করার জন্য আল্লাহ তায়ালা যাকাতের বিধান দিয়েছেন। যাকাত আদায় করলে সমাজের দুর্বল লোকেরাও আর্থিকভাবে সবল হয়ে ওঠে। ধনী-গরিবের মাঝে সমতা তৈরি হয়। তাই আল্লাহ তায়ালা যাকাত আদায়কে ফরজ করে দিয়েছেন ।
প্রশ্ন-৯. যাকাতকে 'ইসলামের সেতুবন্ধন' বলা হয়েছে কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আর্থিক ভারসাম্য ও সুসম্পর্ক সৃষ্টিতে যাকাত ধনী ও গরিবের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। অর্থনৈতিকভাবে ধনী ও গরিব উভয় শ্রেণির মানুষ সমাজে রয়েছে। ধনী-গরিবের মধ্যে আর্থিক সমন্বয় সাধন করতে মহান আল্লাহ যাকাতের বিধান দিয়েছেন। যাকাত আদায় করলে সমাজের দুর্বল লোকেরাও সবল হয়ে যায়। এতে ধনীদের প্রতি গরিবের শ্রদ্ধাবোধ ও সুধারণা সৃষ্টি হয়। ফলে ধনী-গরিবের মধ্যে এক ধরনের বন্ধন তৈরি হয় ।
প্রশ্ন-১০. যাকাত অসহায় দরিদ্রের অধিকার— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যাকাত দেওয়া দরিদ্রের প্রতি ধনী লোকের কোনো দয়া বা অনুগ্রহ নয়, বরং এটা দরিদ্রের অধিকার আমাদের সমাজের সম্পদশালীরা মনে করে, যাকাত আদায়ের মাধ্যমে দরিদ্রের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়। কিন্তু যাকাত সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “আর তাদের (ধনীদের) সম্পদে ভিক্ষুক ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।” (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ১৯) তাই কোনো মুসলমান সামর্থ্যবান হলে তার উচিত স্বেচ্ছায় যাকাত প্রদান করা। অন্যথায় তার সব সম্পদ তার জন্য অপবিত্র হয়ে যাবে। পরিণামে তাকে পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
প্রশ্ন-১১. হজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: হজ ইসলামের পঞ্চম ভিত্তি। 'হজ' এর আভিধানিক অর্থ হলো- সংকল্প করা, ইচ্ছা করা বা প্রদক্ষিণ করা। ইসলামের পরিভাষায়, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজের মাসের নির্ধারিত দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাইতুল্লাহ (আল্লাহর ঘর) ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ যিয়ারত করাকে হজ বলে।
প্রশ্ন-১২. 'হজ বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মেলন'— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রতিবছর হজের সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলিম একই স্থানে মিলিত হয় বলে হজকে মুসলিমের মহাসম্মেলন বলা হয়। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের নির্ধারিত সময়ে পবিত্র মক্কায় পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে লাখো মুসলিম এসে সমবেত হন। হজের মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্ব তৈরি হয়। হজে এসে ধন- সম্পদ, বর্ণ-গোত্র, জাতীয়তাসহ সকল পার্থক্য ভুলে গিয়ে সবাই একই রকম পোশাক পরিধান করে আল্লাহর দরবারে নিজেকে সমর্পণ করে। তাদের সবার একটাই উদ্দেশ্য থাকে। আর তা হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ'। এভাবেই হজ বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মেলনে পরিণত হয়
প্রশ্ন-১৩. হজের শিক্ষা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: হল মানুষকে বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় । হজের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজা-প্রজা, মালিক-ভৃত্য সবাই একই সেলাই বিহীন কাপড় পরিধান করে। একই উদ্দেশ্যে মহান প্রভুর দরবারে সমবেত হয়।এতে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি, শৃঙ্খলাবোধ, সাম্য ও সহানুভূতি তৈরি হয়। পারস্পরিক ভাব ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সৌহার্দবোধ জাগ্রত হয়।
প্রশ্ন-১৪.মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক কেমন হবে?
উত্তর: ইসলাম শিক্ষানুযায়ী মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হবে নিবিড়। মানুষ সামাজিক জীব। পৃথিবীর কোনো মানুষই একা তার কল কাজ করতে পারে না। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এক ব্যক্তির অধীনে একাধিক ব্যক্তিকাজকর্ম করে। এতে কেউ মালিক হয় আবার কেউ হয় শ্রমিক। এদের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। মালিক যেমন শ্রমিক শ্রেণির সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না, তেমনি শ্রমিক শ্রেণির দৈনন্দিন জীবন মালিকের বেতন ভাতার ওপর নির্ভরশীল। ইসলামে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে এমন সম্পর্কই থাকবে।
প্রশ্ন-১৫. শ্রমিকদেরকে তাদের মজুরি যথাসময়ে দিতে হবে কেন?
উত্তর: পারিশ্রমিক বা মজুরি শ্রমিকদের অধিকার, তাই যথাসময়ে তা আদায় করতে হবে।ইসলামে কারও শ্রমকেই ছোট করে দেখার কোনো উপায় নেই । সবার শ্রমের মূল্য রয়েছে। খাওয়া, পরা থেকে শুরু করে অন্যান্য সব কাজে মালিক শ্রমিকের মধ্যে কোনো প্রকার বৈষম্য ইসলাম অনুমোদন করে না।শ্রমিকের সাথে সদ্ব্যবহার করা, তার প্রাপ্য যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে আদায় করার সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে ইসলামে। এজন্য নবি (স) বলেন, শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।' (ইবনে মাজাহ)
প্রশ্ন-১৬.দুনিয়াবি ইলম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দুনিয়াবি ইলম বলতে শুধু পার্থিব উন্নতির সাথে সম্পৃক্ত জ্ঞানকে বোঝায়।
দুনিয়াবি ইলমের মধ্যে রয়েছে— গণিত, বিজ্ঞান, ভূগোল, সাহিত্য, রসায়ন, পদার্থ ইত্যাদি বিষয়ের জ্ঞান। এ বিষয়গুলোর জ্ঞান মানুষের পরকালীন জীবনের শান্তির জন্য কোনো উপকারে আসে না। তাই ইহকালীনও পরকালীন শান্তি ও মুক্তি নিশ্চিত করতে দুনিয়াবি ইলমের সাথে দীনি ইলম (কুরআন, হাদিস, ফিকাহ, তাফসির ইত্যাদির জ্ঞান) অর্জন করা জরুরি।
প্রশ্ন-১৭. ইলম অর্জন করতে হবে কেন?
উত্তর: ইসলামকে ভালোভাবে জানা, বোঝা ও জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য ইলম অর্জন করতে হবে। মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে এবং পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে উঠতে জ্ঞানচর্চা অপরিহার্য। একজন মুসলিম কীভাবে ও কার কাছে আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ করবে তা জানার জন্য জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। তাছাড়া রাসুল (স) জ্ঞান অর্জনকে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত বলে অভিহিত করেছেন। তাই ইসলামে জ্ঞানার্জন করা ফরজ।
প্রশ্ন-১৮. ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের মতো সম্পর্ক হওয়া উচিত শিক্ষক হলেন আদর্শ জাতি গঠনের কারিগর। পিতা-মাতার পরই শিক্ষকের মর্যাদা। ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক পিতা-পুত্রের মতো হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কেননা পিতা যেমন সর্বদা পুত্রের কল্যাণ কামনা করেন ও তাকে কল্যাণের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন, শিক্ষকও তেমনি তার ছাত্রের কল্যাণ কামনা করেন ও তাকে সৎপথ দেখান । পুত্র তার পিতা থেকে সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়, অন্যদিকে ছাত্রও তার শিক্ষক থেকে জ্ঞানের উত্তরাধিকারী হয়। তাই ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক পিতা-পুত্রের মতো হওয়া আবশ্যক।
প্রশ্ন-১৯. জিহাদ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ইসলামের দৃষ্টিতে জিহাদ তিন প্রকার ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১.ইবাদত' শব্দের অর্থ কী?
ক) আনুগত্য করা
খ) শান্তি প্রতিষ্ঠা করা
গ) আত্মসমর্পণ করা
ঘ) প্রার্থনা করা
উ:ক
২.জিন ও মানবজাতিকে আমি (আল্লাহ) আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।'-আয়াতটি পবিত্র কুরআনের কোন সূরা থেকে নেওয়া হয়েছে?
ক) আয-যারিয়াত
খ) আল-জুমুআহ
গ) আল-হাশর
ঘ) আল-বায়্যিনাহ
উ:ক
৩.ইবাদত প্রধানত কত প্রকার?
ক) দুই
খ) তিন
গ) চার
ঘ) পাঁচ
উ:ক
৪.মানুষের প্রতি মানুষের অধিকারকে কতভাগে ভাগ করা হয়?
ক)পাঁচ
খ) সাত
গ) ছয়
ঘ) আট
উ:ঘ
৫.'নামায' কোন ভাষার শব্দ?
ক)আরবি
খ) উর্দু
গ) ফার্সি
ঘ)হিন্দি
উ:গ
৬. কিয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম কীসের হিসাব নেওয়া হবে?
ক) সম্পদের
খ) যাকাতের
গ) নামাযের
ঘ) হজের
উ:গ
৭.তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো” দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক) রুকু করতে বলা হয়েছে
খ) নামায কায়েম করতে বলা হয়েছে
গ) একসাথে চলতে বলা হয়েছে
ঘ) মসজিদে আসতে বলা হয়েছে
উ:খ
৮.সালাত কোন দুটির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী?
ক) ইসলাম ও শিল্পক
খ) ইমান ও কুফর
গ)তাওহিদ ও শিরক
ঘ) কৃষ্ণর ও নিফাক
উ:খ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯ ও ১০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
ইমরান সাহেব আল্লাহর হক আদায় করতে গিয়ে এমনভাবে অভ্যস্ত হয়েছেন যে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের অন্তত এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে ওঠেন। তার ইমান এতই মজবুত যে, কোনো অশ্লীলতা তিনি কল্পনাও করেন না ।
৯.ইমরান সাহেবের অভ্যাসে প্রাত্যাহিক জীবনের কোন ইবাদতটির গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে?
ক) সালাত
খ) সাওম
গ) যাকাত
ঘ) হজ
উ:ক
১০. উক্ত ইবাদতের ফলে সমাজে সৃষ্টি হয়—
i. পারস্পরিক সমতা
ii. ভ্রাতৃত্ব বন্ধন
iii. দলাদলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
১১. 'রোযা' কোন ভাষার শব্দ?
ক) আরবি
খ)হিন্দি
গ) হিন্দি
ঘ) ফার্সি
উ:ঘ
১২. ইবাদতের ক্ষেত্রে কোন আমলটি লোক দেখানোর মনোভাব পরিহারে সহায়তা করে?
ক) সালাত
খ) যাকাত
গ)সাওম
ঘ) হজ
উ:গ
১৩. “সাওম (রোযা) ঢালস্বরূপ” । কেননা তা -
ক) ক্ষুধা বৃদ্ধি করে
খ)মন্দ কাজকে প্রতিহত করে,
গ) শত্রুকে ভীত করে
ঘ)সাহস বৃদ্ধি করে
উ:খ
১৪. সাওম অস্বীকারকারীকে কী বলা হয়?
ক) ফাসিক
খ) মুনাফিক
গ)মুশরিক
ঘ)কাফির
উ:ঘ
১৫. শারীরিক সামর্থ্য থাকার পরও হাসান সাহেব রমযানের রোযা পালন করতে অস্বীকার করেন। তার কাজটি কীরূপ?
ক)শিরক
খ) কুফর
গ) নিফাক
ঘ)জুলুম
উ:খ
১৬. 'সাওম' পালনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ লাভ করা যায় —
ক) সহানুভূতি
খ) ইবাদতের
গ) আনুগত্যের
ঘ) আল্লাহভীতির
উ:ঘ
১৭. সাওম পালনের দ্বারা মানুষ মুক্ত হয় —
i. লোভ-লালসা থেকে
ii. ক্রোধ ক্ষোভ থেকে
iii. হিংসা-বিদ্বেষ থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ঘ
১৮. যাকাতের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
ক) অর্থ বৃদ্ধি
খ) অর্থ অপচয়রোধ
গ) অর্থনৈতিক সাম্য
ঘ) অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
উ:গ
১৯. যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
ক) বৃদ্ধি পাওয়া
খ) জমা করা
গ) ব্যয় করা
ঘ) দান করা
উ:ক
২০. যাকাতের শতকরা হার কত?
ক) ১.৫০
খ) ২.৫০
গ) ৩.৫০
ঘ) ৪.৫০
উ:খ
২১. যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদ নিজ মালিকানায় কতদিন থাকতে হবে?
ক) ১ বছর
গ) ৮ মাস
গ) ৬ মাস
ঘ) ১০ মাস
উ:ক
২২. ইসলামি রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কোনটি ?
ক) যাকাত
খ) গনিমত
গ) খনিজ সম্পদ
ঘ )ভূমি কর
উ:ক
২৩. ইসলামের কোন মৌলিক স্তম্ভটি দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়ক?
(ক) সালাত
(খ) যাকাত
(গ) সাওম
(ঘ) হজ
উ:খ
২৪. “যাতে সম্পদ শুধু তোমাদের অর্থশালীদের হাতেই পুঞ্জিভূত না হয় — অত্র আয়াতে কোন বিষয়টি নির্দেশ করে?
ক) হজ
খ) সাহায্য করা
গ) দান করা
ঘ) যাকাত আদায়
উ:ঘ
২৫. যাকাত প্রদানের ফলে –
ক)দাতার অর্থ উপার্জন হবে
খ)কর্মসংস্থান কমে যাবে
গ) অর্থনৈতিক ভিত মজবুত হবে
ঘ) ধনী আরও ধনী হবে
উ:গ
২৬. যাকাতকে সেতুবন্ধ বলা হয়, কারণ এটি-
i. ধনী-গরিবের মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি করে
ii. ধনী-গরিবের মাঝে আর্থিক সমতা বিধান করে
iii. যাকাত দাতার সম্পদকে পবিত্র করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
২৭. ‘হুজ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো—
(ক) যিয়ারত করা
(খ) একত্রিত হওয়া
(গ) প্রার্থনা করা
(ঘ) ইচ্ছা করা
উ:ঘ
২৮. কোনটি শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত?
(ক) সালাত
(খ) হজ
(গ) যাকাত
(ঘ) সিয়াম
উ:খ
২৯. তায়ফা হজের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলেন। তিনি হজের কোনো আহকামটি পালন করবেন?
ক) সুন্নত
খ) নফল
গ) ওয়াজিব
ঘ) ফরজ
উ:ঘ
৩০. সামর্থ্যবানদের ওপর হজ জীবনে কতবার ফরজ?
ক) ১ বার
খ) ২ বার
গ) ৩ বার
ঘ) ৪ বার
উ:ক
৩১. হজের ফরজ কয়টি?
ক) তিন
খ) চার
গ)পাঁচ
ঘ) ছয়
উ:ক
৩২. হজের ওয়াজিব কয়টি?
ক) ৩
খ) ৫
গ) ৭
ঘ) ৮
উ:গ
৩৩. হজে শয়তানের উদ্দেশ্যে কী মারতে হয়?
ক) পানি
খ) বালি
গ) পাথর
ঘ) কাদা
উ:গ
৩৪. কোথায় জোহর ও আসর সালাত একত্রে আদায় করতে হয়?
ক) মসজিদে নামিরায়
খ) মিনায়
গ) মসজিদে খাওফে
ঘ) মুযদালিফায়
উ:ক
৩৫. ইসলামের কোন স্তম্ভের নামে আল-কুরআনে একটি সূরা নাজিল হয়?
ক) সালাত
খ) যাকাত
গ) সাওম
ঘ) হজ
উ:ঘ
৩৬. বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মেলন কোনটি?
ক) সালাত
খ) যাকাত
গ) সাওম
ঘ) হজ
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব ‘ক’ একজন সম্পদশালী ব্যক্তি, তিনি নিয়মিত সালাত ও সাওম পালন করলেও হজ পালন করতে অস্বীকার করেন। তিনি মনে করেন, হজ করে শুধু টাকা খরচ করা হয় মাত্র।
৩৭. হজের ব্যাপারে জনাব 'ক'-এর মনোভাব কীসের শামিল?
ক) শিরক
খ) নিফাক
গ) ফিসক
ঘ) কুফর
উ:ঘ
৩৮. হজ পালন না করার কারণে জনাব 'ক' বঞ্চিত হচ্ছেন—
i. মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা থেকে
ii. ফরজ বিধান পালন করা থেকে
iii. অপচয় করা থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
৩৯. পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের কাজ করে শ্রমের মূল্য গ্রহণ করা—
ক) অভদ্রতা
খ) ঘৃণার
গ) সঠিক
ঘ) লজ্জার
উ:গ
৪০. শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। কোন হাদিস গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
ক) বুখারি
খ)তিরমিযি
গ) মুসলিম
ঘ) ইবনে মাজাহ
উ:ঘ
৪১. ইসলামের শ্রমনীতি অনুসরণ করলে —
i. শ্রমিক তার ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবে
ii. মালিক সঠিক শ্রম পাবে
iii. শ্রমিক ও মালিকে মনোমালিন্য হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
৪২. 'ইলম' শব্দের অর্থ কী?
ক) জ্ঞান
খ) দক্ষতা
গ) নৈতিকতা
ঘ)পরিশুদ্ধি
উ:ক
৪৩. কোনো বস্তুর প্রকৃত অবস্থা জানা বা বোঝাকে কী বলে?
ক)ইলম
খ)সিলম
গ) তাযকিয়া
ঘ) হিকমাহ
উ:ক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪ ও ৪৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব নাজিম অনেক সাধনা করে ইলম বা জ্ঞান অর্জন করেছেন। ফলে তিনি ইসলামের বিধি-বিধান পালন এবং পরিবার পরিচালনায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন না ।
৪৪. জনাব নাজিমের জ্ঞান অর্জনের বিষয়টি কী?
ক) ফরজ
খ) সুন্নত
গ) ওয়াজিব
ঘ) মুস্তাহাব
উ:ক
৪৫. জনাব নাজিমের অর্জিত ইলম বা জ্ঞান-
i. দীনি ইলম
ii. পার্থিব ইলম
iii. বর্জনীয় ইলম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
৪৬. ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক হবে—
i. মালিক-ভৃত্যের মতো
ii. পিতা-পুত্রের মতো
iii. ক্রেতা-বিক্রেতার মতো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৭ ও ৪৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
আবু জাফর নিয়মিত স্কুলে যায় এবং শিক্ষকের আদেশ-নিষেধ মেনে চলে ।
৪৭. আবু জাফরকে কী বলা যায়?
ক) মেধাবী
খ) মনোযোগী ছাত্র
গ) আদর্শ শিক্ষার্থী
ঘ) অনুগত ছাত্র
উ:গ
৪৮. আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে আবু জাফর -
i. সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখে
ii. সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করে
iii. জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে লজ্জাশীল হয়।
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
৪৯. শিক্ষার সাথে অপরিহার্য বিষয় কোনটি ?
ক) নৈতিকতা
খ) একাগ্রতা
গ) আন্তরিকতা
ঘ) অধ্যবসায়
উ:ক
৫০. ইসলাম শিক্ষার সাথে কোনটির সমন্বয় থাকতে হবে?
ক) বিশ্বাসের
খ) সংযমের
গ) নৈতিকতার
ঘ)যাকাত
উ:
৫১. ইরহাব শব্দের অর্থ কী?
ক) জঙ্গিবাদ
খ) জিহাদ
গ) সন্ত্রাসবাদ
ঘ) ইজতেহাদ
উ:গ
৫২. জিহাদ ও সন্ত্রাসকে এক মনে করার কারণ কোনটি?
ক) মানুষের মূর্খতা
খ) জ্ঞানীদের অসাবধানতা
গ) ইসলামের শত্রুদের ক্ষমতা
ঘ)ইসলামি জ্ঞানের স্বল্পতা
উ:ঘ
৫৩. কাদের বিরুদ্ধে জিহাদকে 'জিহাদে বাতিনী' বলা হয়?
i. কাফিরদের
ii. শয়তানের
iii. কৃপ্রবৃত্তির
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:গ
সৃজনশীল প্রশ্ন
বরং এটি একটি ইবাদত। অন্যদিকে জামিল মিয়া জুমার নামাজের খুতবা শুনেছিলেন যেখানে ইমাম সাহেব বলেন, 'ইসলামে এমন একটি ইবাদত রয়েছে যা মানুষকে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ,
কাম-ক্রোধ প্রভৃতি থেকে বিরত রাখে। ঢাকা বোর্ড ২০২৩ |
ক. মিযান কী?
খ. ‘আমাকে শাফাআত করার অধিকার দেওয়া হয়েছে'— ব্যাখ্যা করো।
গ. রহমতুল্লাহ যে ইবাদত পালন করেছেন তা শনাক্তপূর্বক ইসলামে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ইমাম সাহেবের বক্তৃতায় উল্লিখিত ইবাদতটি চিহ্নিতপূর্বক এর শিক্ষা বিশ্লেষণ করো।
২. জনাব ‘ক' নিয়মিত নামায পড়েন। এ বছর তিনি হজও পালন করে এসেছেন। একদিন তার দরিদ্র প্রতিবেশী খায়ের মিয়া মেয়ের বিয়েতে কিছু সহযোগিতা করার অনুরোধ করলে জনাব 'ক' তাকে খালি
হাতে ফিরিয়ে দেন। এমনকি তিনি তার অসুস্থ বোনকে দেখতে হাসপাতালেও যাননি। তার ছেলে বিশু সারাক্ষণ ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকে। লেখাপড়ার প্রতি তার কোনো মনোযোগ নেই। বখাটে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা মেরেই তার সময় অতিবাহিত হয়। তার মা আফসোস করে বলল, 'ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারিনি বলেই তার আজ এই অধঃপতন।'
ক. হযরত মুহাম্মদ (স) কোন প্রকারের উপাজনকে উত্তম ও পবিত্র বলেছেন?
খ. শিক্ষা ও নৈতিকতার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।
গ. জনাব 'ক' কোন প্রকার ইবাদত পালন থেকে বিরত রয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি রিশুর মায়ের মন্তব্যের সাথে একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি প্রমাণ দাও ।
৩. জনাব 'ক' টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে ইবাদত সম্পর্কিত | আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, ইসলামে এমন একটি ইবাদত রয়েছে যার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে দেবেন এবং এ ইবাদত
পালনকারীর অতীত জীবনের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তখন একজন শ্রোতার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইসলামে এমন আরও একটি ইবাদত আছে যার মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে এবং এত পালনকারী শিশুর মতো।
নিষ্পাপ হয়ে যায়।
ক. যাকাত কাকে বলে?
খ. শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করে'- ব্যাখ্যা করো।
গ. জনাব 'ক' এর আলোচনায় কোন ইবাদতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. শ্রোতার প্রশ্নের উত্তরে জনাব 'ক' যে ইবাদতের কথা বলেছেন তা চিহ্নিত করে এর শিক্ষা ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৪. জব্বার সাহেব একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি। অনেক দুস্থ ও অসহায় মানুষের বাস তার কারখানার পাশে। রমযান মাসের শেষের দশকে তিনি তার সম্পদ হিসেব করে নির্ধারিত অংশ গরিব-অসহায় মানুষের
মাঝে বিতরণ করেন। অন্যদিকে তার সহোদর আবির সাহেব এ বছর হজ সম্পাদন করার জন্য সৌদি আরব গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আরাফাতে অবস্থান না করেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়।
ক. 'হাক্কুল্লাহ' কাকে বলে?
খ. হাক্কুল ইবাদের গুরুত্ব লেখো ।
গ. জব্বার সাহেব কোন ইবাদতটি পালন করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. হজ সম্পাদনে আবির সাহেবের করণীয় ইসলামের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৫. জনাৰ 'Y' গরিব লোকদেরকে গরু ও ছাগল কেনার জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য করতে চান। এরপর তিনি তাদেরকে বললেন, তারা যদি পরের বছর তাকে টাকা ফেরত দেয় তবে তিনি তাদের আবার দ্বিগুণ পরিমাণে টাকা দেবেন এবং কেউ যদি টাকা ফেরত দিতে না পারে তাকে আর আর্থিক সাহায্য করবেন না। সত্যিকার অর্থে জনাব গ্রামের লোকদের বলেননি যে, এ টাকা যাকাতের। তিনি কয়েক জন আলিমের সাথে এ ব্যাপারে পরামর্শ করলে তারা তাকে কিয়াস করার পরামর্শ দেন। [ পাবনা ক্যাডেট কলেজ।
ক. 'কিয়াস' শব্দের অর্থ কী?
খ. যাকাত বলতে কী বোঝায়?
গ. জনাব 'Y'-এর যাকাত আদায় সার্বিকভাবে হয়েছে কি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব 'Y'-এর যাকাত আদায়ের পাঠটি মূল্যায়ন করো।
৬. জনাব 'চ' একজন শিল্পপতি। তিনি কারখানার কর্মচারীদের মাসিক বেতন প্রতি মাসে না দিয়ে তিনি থেকে চার মাস পর পরিশোধ করেন। এর সময় তিনি বেতনের টাকা অন্যত্র বিনিয়োগ করেন।
ফলে কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ লেগেই থাকে এবং উৎপাদনও আশানুরূপ হয় না। অপরদিকে তার বড়ভাই জনাব 'ল' এ বছর একটি বিশেষ ইবাদত পালন করেন। তিনি পৃথিবীর প্রথম ঘর প্রদক্ষিণ
ও বিশেষ দুটি প্রান্তরে অবস্থানসহ নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদন করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার লোকদের সাথে মিলিত হওয়ার কারণে তাঁর মাঝে বিশ্বভ্রাতৃত্বের চেতনা জাগ্রত হয়।
ক. ইলম কাকে বলে?
খ. যাকাত হলো ইসলামের সেতুবন্ধ বুঝিয়ে লেখো।
গ. জনাব 'চ'-এর কর্মকাণ্ডে কার নির্দেশ লঙ্ঘিত হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাৰ 'ল' কর্তৃক পালনকৃত ইবাদতটি চিহ্নিতপূর্ব ভ্রাতৃত্ববোধ অনুশীলনে এর গুরুত্ব বর্ণনা করো।
৭. জনাব 'ক' একজন লোভী মানুষ সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে সে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছে। সে সবসময় বিশৃঙ্খলা ও তাণ্ডবলীলার মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত থাকে।
এ বিষয়ে তার মনোভাব জানতে চাওয়া হলে সে বলে সমাজে টিকে থাকতে হলে এভাবে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া অবৈধ নয়। ইহতেশাম স্বীয় লেখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে ইসলামকে সমুন্নত করার জন্য চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে তার মনোভাব জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠাই আমার উদ্দেশ্য।
ক. সন্ত্রাসবাদের আরবি প্রতিশব্দ কী?
খ. “যাতে সম্পদ শুধু তোমাদের অর্থশালীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়”-বাণীটি ব্যাখ্যা করো।
গ. জনাব ‘ক'-এর মনোভাব অনুযায়ী তার কাজটি জিহাদ— এ কথাটি কতটুকু সঠিক? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ইহতেশামের কাজটিকে এক কথায় কী বলে তা উল্লেখ করে তার বক্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url