বনায়ন
অধ্যায় ৫: বনায়ন
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৫: বনায়ন
তথ্যকণিকা(Information)
এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
- বাংলাদেশের মোট বনভূমির আয়তন— ২২.৫ লক্ষ হেক্টর (প্রায়)।
- সমতলভূমির বনের প্রধান বৃক্ষ—শাল ।
- সুন্দরবনের মোট আয়তন-৬০০০ বর্গ কি.মি. ।
- ম্যানগ্রোভ বনের প্রধান বৃক্ষ-সুন্দরি।
- অধিকাংশ উদ্ভিদের উর্ধ্বমূখী বায়বীয় মূল রয়েছে— ম্যানগ্রোভ বনের।
- মানুষ সম্মিলিতভাবে বসতভিটা,পুকুর,নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পাশে গড়ে তোলে— গ্রামীণ বন ।
- মজুদ কাঠের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি— গ্রামীণ বনে ।
- সামাজিক বন ব্যবস্থাপনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে— জনগণ ।
- দারিদ্র্য বিমোচন ও জ্বালানি কাঠের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে— সামাজিক বনায়ন ।
- বন সংরক্ষণ আইন ভঙ্গকারীর ন্যূনতম জেল হয়— ৬ মাসের ।
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকার আইন প্রণয়ন করে— ১৯৭৩ সালে।
- বনজ নার্সারির আভিধানিক অর্থ— চারালয় ।
- অল্প জায়গায় অধিক সংখ্যক চারা তৈরি করে বীজের অপচয় কমানো যায়— বেড নার্সারিতে।
- মাঝ বয়সী, বিস্তৃত শাখা-প্রশাখা, প্রচুর পল্লবধারী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ নির্বাচন করা হয়- আদর্শ বীজ বৃক্ষ হিসেবে।
- বাবলা, কড়ই গাছের ফল— পড় জাতীয়
- ক্যাপসিউল জাতীয় ফলের উদাহরণ— মেহগনি ও চম্পা।
- পাইন উদ্ভিদের ফল- কোণ জাতীয় ।
- আম, কাঁঠাল, তেঁতুল, পেয়ারা ইত্যাদি উদ্ভিদের বীজ নিষ্কাশন করা হয়— পচন পদ্ধতিতে।
- গাছ থেকে ঝরে পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোপণ করতে হয়— গর্জন, শাল, সেগুন ।
- ১৮ সেমি x ১২ সেমি আকারের পলিব্যাগে প্রতি বর্গমিটারে রোপণ উপযোগী চারার সংখ্যা- ৪৫টি।
- বাবলা, কড়ই, মেহগনি, চম্পা, পাইন উদ্ভিদের ফল পরিপক্ক হলে বীজ সংগ্রহ করা হয়— সরাসরি গাছের পরিপক্ক ফল থেকে ।
- দুরন্ত বা কাঁটা মেহেদী, মেন্দী, ঢোল কলমী প্রভৃতি গাছ নার্সারিতে ব্যবহৃত হয়— জীবন্ত বেড়া হিসেবে।
- গামার, শিশু, আম, কড়ই, হরিতকী, ছাতিয়ান, চন্দন, রেইনট্রি ইত্যাদি হলো— মাঝারি আবর্তনকালের উদ্ভিদ।
- দীর্ঘ আবর্তনকালের সময়সীমা- ৪০-৫০ বছর।
- খণ্ডিত গাছের গোল অংশকে বলে – লগ।
- গোল কাঠ পরিমাপে সঠিক আয়তনের সূত্র আবিষ্কার করেন— নিউটন ।
- ব্যবহার উপযোগী কাঠ বেশি পেতে গাছের উভয় দিকে কাটতে হবে- ১০ সেমি উপরে।
- লগের ভলিউম নির্ণয়ের সূত্র- ০.০৮ (বেড় ১) + ৪ × (বেড় ২)2 + (বেড় ৩)৬* × দৈর্ঘ্য
- কাঠ সংরক্ষণে যে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয় তা হলো— সিসিএ ১০ (CCA)।
- ক্রোমিক অক্সাইড ৪৭.৫%, কপার অক্সাইড ১৮.৫%, আর্সেনিক পেন্টা অক্সাইড ৩৪% এর মিশ্রণ – সিসিএ সংরক্ষণ দ্রব্যের।
- দেবদারু গাছের উচ্চতা- ৫০-৬০ মিটার।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. বন কাকে বলে?
উত্তর: বিজ্ঞানের ভাষায় লতা, গুল্ম ও ছোট বড় গাছপালায় আচ্ছাদিত আদি, ব্যাপক ও নিরবচ্ছিন্ন এলাকাকে বন বলা হয় ।
প্রশ্ন-২. বর্তমানে এদেশের মোট বনভূমির আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশের বনভূমির মোট আয়তন ২২.৫ লক্ষ হেক্টর।
প্রশ্ন-৩.ম্যানগ্রোভ বন কী?
উত্তর: সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা দ্বারা প্লাবিত লবণাক্ত পলি ও কর্দম সঞ্চিত এলাকায় যেখানে ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ (যেমন- সুন্দরি, গেওয়া,গরান ইত্যাদি) জন্মে সেই বনই ম্যানগ্রোভ বন ।
প্রশ্ন-৪. আমাদের দেশে পাহাড়ি বনের পরিমাণ কত?
উত্তর: আমাদের দেশে পাহাড়ি বনের পরিমান ১৩.১৬ লক্ষ হেক্টর।
প্রশ্ন-৫. ম্যানগ্রোভ বনের প্রধান বৃক্ষ কী?
উত্তর: ম্যানগ্রোভ বনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরি।
প্রশ্ন-৬.সর্বশেষ কতসালে বনবিধিতে সংশোধনী আনা হয়?
উত্তর: সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে বনবিধিতে সংশোধনী আনা হয়।
প্রশ্ন- ৭. নার্সারি কাকে বলে?
উত্তর: যে স্থানে গাছের চারা উৎপন্ন করে রোপণের পূর্ব পর্যন্ত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তাকে নার্সারি বলে।
প্রশ্ন-৮.বন নার্সারি কাকে বলে?
উত্তর: যেখানে চারা স্থানান্তর ও রোপণের পূর্ব পর্যন্ত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তাকে বন নার্সারি বলে।
প্রশ্ন-৯.বীজ সংরক্ষণ কী?
উত্তর: সংগৃহীত বীজ বপনের আগ পর্যন্ত গুদামজাত করাকে বীজ সংরক্ষণ বলে।
প্রশ্ন-১০. বীজ নিষ্কাশন কী?
উত্তর: ফল সংগ্রহ করার পর বীজগুলোকে শাঁস, আবর্জনা, খোসা ইত্যাদি থেকে পৃথক করাই হলো বীজ নিষ্কাশন।
প্রশ্ন-১১. উপকূলীয় বন কী?
উত্তর: সমুদ্র উপকূলবর্তী লোনা মাটির বনাঞ্চলকে উপকূলীয় বন বলে।
প্রশ্ন-১২.কোন বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে?
উত্তর: উপকূলীয় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।
প্রশ্ন-১৩.আবর্তনকাল কী?
উত্তর: বৃক্ষের চারা রোপণ থেকে শুরু করে যে সময়ে বৃক্ষের বৃদ্ধি সর্বাধিক হয় এবং গাছ পরিপক্বতা লাভ করে ব্যবহার উপযোগী হয় সে সুনির্দিষ্ট সময়কালকে আবর্তনকাল বলে।
প্রশ্ন-১৪.কাঠ সিজনিং কী?
উত্তর: কাঠের স্থায়ীত্ব দীর্ঘায়িত করার জন্য নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কাঠ থেকে পানি বের করে নেওয়ার পদ্ধতিকে বলে কাঠ সিজনিং।
আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-15)
প্রশ্ন-১৫. এয়ার ড্রাইং কী?
উত্তর; গাছ কেটে চেরাই করার পর বাতাসে কাঠ শুকানোই হলো এয়ার ড্রাইং।
প্রশ্ন-১৬.CCA কী?
উত্তর: CCA হলো এক প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য যা কাঠ ও বাঁশ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. সমতলভূমির বনের পরিমাণ কমছে কেন?
উত্তর: বৃহত্তর ঢাকা, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও কুমিল্লা অঞ্চল জুড়ে সমতলভূমির বন অবস্থিত।এই প্রাকৃতিক বনের কাছাকাছি বসতি থাকায় এ বনের ওপর মানুষের চাপ বাড়ছে। মানুষের গৃহনির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি ও অন্যান্য নির্মাণ কাজের জন্য সমতল ভূমির বনের গাছের বিশেষ কদর আছে। ফলে সমতলভূমির বনের পরিমাণ কমছে।
প্রশ্ন-২.কোন বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে?
উত্তর: কৃষি বন হলো কোনো জমি থেকে একই সময়ে যা পর্যায়ক্রমিকভাবে বিভিন্ন গাছ, ফসল ও পশুপাখি উৎপাদন ব্যবস্থা।
প্রশ্ন-৩ কৃষি বনায়ন কী?
উত্তর: কৃষি বনায়ন হলো কোনো জমি থেকে একই সময়ে বা পর্যায়ক্রমিকভাবে বিভিন্ন গাছ, ফসল ও পশুপাখি উৎপাদন ব্যবস্থা।
নিচে কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো-
- একই জমি বারবার ব্যবহার করে সঠিক উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যায়।
- বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও ফসলের সমাহার ঘটায় ও উৎপাদন ঝুঁকি কমে যায় ।
- খামারের উৎপাদন স্থায়িত্বশীল হয় বিধায় কর্মসংস্থান বাড়ে। ৪. সামাজিক ও পরিবেশগত গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
প্রশ্ন-৪. উপকূলীয় বনের অধিকাংশ গাছের শ্বাসমূল থাকে কেন?
উত্তর: সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের লোনা পানিতে এক ধরনের বিশেষ উদ্ভিদ জন্মায়। এ সকল উদ্ভিদের শ্বসন ( শ্বাস-প্রশ্বাস) আদান-প্রদানের জন্য বিশেষ ধরনের উর্ধ্বমুখী মূল থাকে। এই মূলই হচ্ছে শ্বাসমূল ।জলাবদ্ধ লোনা মাটি থেকে সাধারণ মূল অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। শ্বাসমূল বা বায়বীয় মূল সৃষ্টির মাধ্যমে এরা বায়ু থেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনসংগ্রহ করে। তাই উপকূলীয় বনে অধিকাংশ গাছের শ্বাসমূল থাকে।
প্রশ্ন-৫. উপকূলীয় বনায়নের ১টি উপযোগীতা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সমুদ্র উপকূলবর্তী লোনামাটির বনাঞ্চলকে উপকূলীয় বন বলে।
উপকূলীয় বনাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ জন্মে থাকে। মানুষের চলাচল কম থাকায় নির্বিঘ্নে মৌমাছিরা এ সকল গাছের ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা করে এবং মধু ও মোম উৎপাদন করে। উপকূলীয় বনাশ্যল থেকে দেশের সিংহভাগ মধু ও মোম সংগ্রহ করা হয়। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
প্রশ্ন-৬. ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: ম্যানগ্রোভ হলো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যা লবণাক্ত পরিবেশে জন্মায়। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
- অধিকাংশ গাছের ঊর্ধ্বমুখী শ্বাসমূল থাকে যার সাহায্যে শ্বসন ক্রিয়ায় অক্সিজেন গ্রহণ করে।
- লবণাক্ত মাটির জন্য গাছের শিকড় খুব গভীরে যায় না।
প্রশ্ন-৭.বন আইন লঙ্ঘনের শাস্তি কী ?
উত্তর: বন আইন লঙ্ঘনে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। আইন ভঙ্গের জন্য নূন্যতম ছয় মাসের জেলসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেলসহ পঞ্চাশ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে।
প্রশ্ন-৮. স্থায়ীত্বের ভিত্তিতে নার্সারির প্রকারভেদ বর্ণনা করো।
উত্তর: স্থায়ীত্ব ভিত্তিক নার্সারি দুই ধরনের।
যথা:
- স্থায়ী নার্সারি :এ ধরনের নার্সারিতে বছরের পর বছর চারা উত্তোলন করার সুযোগ থাকে। স্থায়ী নার্সারির সুবিধা হলো নার্সারির জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা যায়। গ্রিন হাউজ ও বীজাগার নির্মাণ করা যায় তবে মূলধনের প্রয়োজন বেশি হয়।চারার পরিবহন খরচ বেশি হয়।
- অস্থায়ী নার্সারি: এ নার্সারিতে চাহিদা অনুযায়ী চারা উৎপাদন করা হয়। তবে এ ধরনের নার্সারি সংরক্ষণে বেগ পেতে হয়।
প্রশ্ন-৯. মাতৃগাছের ১টি গুণাগুণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সুস্থ সবল ও নিরোগ বীজ পাওয়ার জন্য মাতৃগাছকে হতে হবে সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত। মাতৃগাছের শাখা প্রশাখা হবে বিস্তৃত ও প্রচুর পল্লবধারী। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের বীজ হতে উন্নতমানের চারা উৎপাদন করা সম্ভব।
প্রশ্ন-১০.পলিব্যাগ নার্সারির সুবিধা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পলিব্যাগ নার্সারি মধ্যম ভিত্তিক নার্সারির একটি প্রকার । এ ধরনের নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা উত্তোলন করা হয়। পলিব্যাগ সহজে সরানো যায় বলে চারা খরা, বৃষ্টি ও দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায়। গাছ থেকে গাছে রোগ সংক্রমণ কম হয়।সর্বোপরি এ পদ্ধতিতে নিবিড়ভাবে চারার যত্ন নেওয়া যায়।
প্রশ্ন-১১.সঠিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বীজ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: বীজ হলো উদ্ভিদের প্রধান বংশ বিস্তারক উপাদান। উদ্ভিদ হতে সংগৃহীত বীজ আহরণ থেকে রোপণের পূর্ব পর্যন্ত সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হয়। কেননা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে বীজ পোকা-মাকড়, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি দিয়ে আক্রান্ত হয়। ফলে বীজের মানের অবনতি হয়। অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমে যায়। অপেক্ষাকৃত শুষ্ক ও ঠাণ্ডা, স্থানে বীজ সংরক্ষণ করতে হয়।ভালো উদ্ভিদ পাওয়ার জন্য ভালো বীজের প্রয়োজন। এজন্য সঠিক পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণ করা অপরিহার্য।
প্রশ্ন-১২.গাছের আবর্তনকাল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বৃক্ষের চারা রোপণ থেকে শুরু করে যে সময়ে বৃক্ষের বৃদ্ধি সর্বাধিক হয় এবং গাছ পরিপক্কতা লাভ করে ব্যবহার উপযোগী হয়,সে সুনির্দিষ্ট সময়কালকে আবর্তনকাল বলে । পরিপক্ক হওয়ার আগেই বৃক্ষ কর্তন করলে ভালো মানের কাঠ পাওয়া যায় না। তাই সাধারণত গাছের আবর্তনকাল শেষ হলে গাছ কাটা উত্তম।
প্রশ্ন-১৩. গ্রোয়িং স্টক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: একটি বনে যে পরিমাণ কাঠ মজুদ থাকে তাকে বলে গ্রোয়িং স্টক। জরীপ ও সমীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বনভূমিতে মজুদ কাঠের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। যেমন: পাহাড়ি বনে মজুদ কাঠের পরিমাণ ২০.৭১ মিলিয়ন ঘনমিটার। গ্রোয়িং স্টকের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই বন ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
প্রশ্ন-১৪.তত্ত্বার ভলিউম নির্ণয়ের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: তক্তার ডলিউম নির্ণয়ের সূত্রটি হলো, ভলিউম = দৈর্ঘ্য x প্রস্থ x পুরুত্ব। একটি পরিমাপ ফিতার সাহায্যে তক্তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও পুৰুত্ব মেপে উক্ত সূত্রটির সাহায্যে ভলিউম বের করা যায়। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও পুরুত্ব মিটারে মাপা হলে ভলিউম হবে ঘনমিটারে।
প্রশ্ন-১৫. গাছ কাটার সময় কুঠার ও করাত উভয়ই ব্যবহার করার সুবিধা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গাছ কাটার সময় কুঠার ও করাত উভয় ব্যবহার করা হয়। গাছ করাত দিয়ে কাটতে হবে। এতে কাঠের অপচয় রোধ হয়। প্রথমে যেদিকে গাছকে ফেলতে হবে সেদিকে করাত দিয়ে কাটতে হবে। এতে গাছ কাঙ্ক্ষিত দিকে পড়বে। এভাবে গাছ কাটলে গাছকে সুনির্দিষ্ট দিকে ফেলা সম্ভব হয়। এতে পাশ্ববর্তী গাছের ক্ষতি কম হওয়ায় কুঠার ও করাত উভয় ব্যবহার করে গাছ কাটা সুবিধাজনক ।
প্রশ্ন-১৬. গর্জন, শাল গাছের বীজ গাছ থেকে ঝরে পরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বপন করতে হয় কেন?
উত্তর: বীজের গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য গাছ থেকে বীজ সংগ্রহের পরপরই সংরক্ষণ করতে হয়।কিছু বীজ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করলে অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস পায়। এজন্য এসব বীজ গাছ থেকে ঝরে পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বপন করতে হয়। যেমন- গর্জন, শাল ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৭. উপকূলীয় বনায়নের উপযোগিতা লেখো।
উত্তর: উপকূলীয় বনায়নের বিভিন্ন রকম উপযোগিতা রয়েছে। যেমন: পরিবেশগত, নান্দনিক ও অর্থনৈতিক উপযোগিতা ।উপকূলীয় বনায়নের ফলে যে নির্মল সবুজ বেষ্টনী তৈরি হয় তার নান্দনিক সৌন্দর্য অভূতপূর্ব। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী সামুদ্রিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও সাইক্লোনের কবল থেকে মানুষ ও জীব জন্তুকে রক্ষা করে এবং ভূমির লবণাক্ততা হ্রাস করে। এ অঞ্চলের বৃক্ষরাজি উপকূল অঞ্চলের ভূমিক্ষয় রোধ করে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। বনাঞ্চলে উৎপাদিত মধু ও মোম থেকে অর্থ উপার্জিত হয়। তাছাড়া জ্বালানি কঠ, আসবাবপত্র, খুঁটি, ঘরবাড়ি, যানবাহন, কৃষি উপকরণ প্রভৃতি তৈরিতে, খাদ্যের চাহিদা পূরণে ও অর্থ উপার্জনে উপকূলীয় বনায়নের ভূমিকা অপরিসীম।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১.বর্তমানে বাংলাদেশের মোট বনভূমির আয়তন কত লক্ষ হেক্টর?
ক)20.5
খ)21.5
গ) 22.5
ঘ)23.5
উ:গ
২.বনভূমির অবস্থান ও বিস্তৃতি অনুসারে বাংলাদেশের বনাঞ্চলকে প্রধানত কত ভাগে ভাগ করা যায়?
ক)২
খ)৩
গ)৪
ঘ)৫
উ:ঘ
৩.সমতল ভূমির বনের প্রধান গাছ কোনটি?
ক) কড়ই
খ)গেওয়া
(গ) শাল
ঘ) রেইনট্রি
উ:গ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বৃহত্তর ঢাকা, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ইত্যাদি অঞ্চলে এক ধরনের বন রয়েছে। এ বনের প্রধান বৃক্ষের পাশাপাশি কড়ই, রেইনট্রি, জারুল ইত্যাদি বৃক্ষ জন্মে থাকে।
8. এই বনের প্রধান বৃক্ষের নাম কী?
ক) শাল
(খ) সেগুন
গ) গর্জন
ঘ) সুন্দরি
উ: ক
৫.লক্ষ করো-
i.এ ধরনের বনকে সমতল ভূমির বন বলে
ii. বাংলাদেশে এ বনের মোট পরিমাণ ১.৩২ লক্ষ হেক্টর
ii. বাংলাদেশে এ বনের মোট পরিমাণ ৫.৩২ লক্ষ হেক্টর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i ,ii
গ)i ও iii
ঘ)i’ii ও iii
উ: ক
৬.ম্যানগ্রোভ বনের প্রধান বৃক্ষ কোনটি?
ক) গেওয়া
খ) গরান
গ) সুন্দরি
ঘ) গোলপাতা
উ: গ
৭.কোন বনে অধিকাংশ উদ্ভিদে ঊর্ধ্বমূখী বায়বীয় মূল আছে?
ক) পাহাড়ি বন
খ)সমতলভূমির বন
গ) ম্যানগ্রোভ বন
(ঘ) গ্রামীণ বন
উ:গ
৮.অধিকাংশ ঊর্ধ্বমুখী বায়বীয় মূল কোন বনের বৈশিষ্ট্য?
ক) পাহাড়ি বন
খ) ম্যানগ্রোভ বন
গ) সমতল ভূমির বন
(ঘ) গ্রামীণ বন
উ:খ
৯.ম্যানগ্রোভ বন দেখা যায়-
i. চকোরিয়া
ii. তেতুলিয়া
ii.টেকনাফ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i,ii
গ)i ও iii
ঘ)i’iiও iii
উ) গ
১০.মানুষ সম্মিলিতভাবে বসতভিটা, পুকুর, নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পাশে কোন বন গড়ে তোলে?
ক) গ্রামীণ বন
খ) কৃষি বন
গ) সমতলভূমির বন
(ঘ) সামাজিক বন
উ:ক
১১. সামাজিক বনায়ন ব্যবস্থাপনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে-
ক) সরকার
খ)জনগণ
গ) বনবিভাগ
(ঘ) এনজিও
উ:খ
১২. এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম কত সালে বন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে?
ক)১৯২৫
খ) ১৯২৬
গ)১৯২৭
ঘ) ১৯২৮
উ:গ
১৩. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধ্যাদেশ প্রণয়ন হয় কত সালে?
ক) ১৯৭২
(খ) ১৯৭৩
গ)১৯৭৮
ঘ)১৯৮২
উ:খ
১৪. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিধি লঙ্ঘনের শাস্তি কোনটি?
(ক) ছয়মাসের জেলসহ একশত টাকা জরিমানা
খ) ছয়মাসের জেলসহ পাঁচশত টাকা জরিমানা
(গ) আটমাসের জেলসহ পাঁচশত টাকা জরিমানা
ঘ) আটমাসের জেলসহ আটশত টাকা জরিমানা
উ:খ
১৫. আদর্শ বীজ বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য হলো—
i. গাছটি মাঝ বয়সী হবে
iiগাছটি শখ প্র শখ
iiiগাছটি প্রচুর পদ্মবধারী হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i,ii
গ)ii ও iii
ঘ))i,ii ও iii
উ: ঘ
১৬. ভূমি হতে সংগৃহীত বীজের উদাহরণ হচ্ছে—
i. পিতরাজ
ii. তেলসুর
iii পাইন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i,ii
গ)iiও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:খ
১৭. ‘পড়’ জাতীয় বীজ কোনটি?
ক) পাইন
(খ) চম্পা
গ)করই
(ঘ) মেহগনি
উ:গ
১৮. পাইন গাছের বীজ কোণ জাতীয়?
ক)পড়
খ) ক্যাপসিউল
গ) কোণ
(ঘ) মেহগনি
উ:গ
১৯. কোনটির বীজ পচন পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়?
ক)জাবুল
খ) মেনজিয়াম
গ) আম
ঘ) নারিকেল
উ:গ
২০.গাছ থেকে ঝরে পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোপণ করতে হয়--
i. গর্জন
ii. শাল
ii. সুন্দরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i ,ii
গ)ii ও iii
ঘ)i,ii ও iii
উ:খ
২১. পলিব্যাগের আকার কত হলে সেখানে প্রতি বর্গমিটারে ৬৫ টি চারা লাগানো যাবে?
ক) ১৫ সেমি. x ১০ সেমি,
খ)২৫ সেমি. x ১৫ সেমি.
গ) ১৮ সেমি. x ১২ সেমি,
ঘ) ২৮ সেমি. x ৩২ সেমি,
উ:ক
২২.পলিব্যাগের আকার ২৫ সেমি. x ১৫ সেমি. হলে প্রতি বর্গমিটারে চারার সংখ্যা কতটি হবে?
ক)২০
খ)২৬
(গ) ৩০
ঘ)৩৬
উ:খ
২৩.নার্সারিতে নিচের কোনটি জীবন্ত গাছের বেড়া হিসাবে ব্যবহার করা হয়?
ক) রেইন্টি
খ) মেহগনি
গ) দুরন্ত
ঘ) রান
উ:গ
২৪. দীর্ঘ আবর্তনকাল কত বছর?
ক) ১০-২০ বছর -
খ) ৩০-৪০ বছর -
গ) ৪০-৫০ বছর
ঘ)৫০-৬৫ বছর
উ:গ
২৫. নিচের কোন উদ্ভিদটি ব্যবহার উপযোগী হতে সময় বেশি লাগে?
ক) আকাশমনি
খ)বাবলা
(গ) হরিতকী
ঘ)জাবুল
উ:ঘ
২৬. গাছ কাটার পর খণ্ডিত গোল অংশকে কী বলে?
ক)গুড়ি
খ) তত্তা
গ) লগ
ঘ) ভলিউম
উ:গ
নিচের চিত্রটি থেকে ২৭ ও ২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
চিত্র
২৭. ঝুঁকিপূর্ণ কর্তন প্রক্রিয়া হলো---
i. চিত্র 'A'
ii চিত্র 'B'
iii চিত্র C
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i ,ii
গ)ii ও iii
ঘ)i,ii ও iii
উ:খ
২৮. কোন চিত্রটিতে কাঠের পরিমাণ কম হবে?
ক)চিত্র 'A'
খ) চিত্র 'B
গ)চিত্র C
ঘ)চিত্র 'D
উ:ঘ
২৯. গোল কাঠ পরিমাপে সঠিক আয়তনের সূত্রটি কে বলেন?
(ক) গ্যালিলিও
খ) প্লেটো
(গ) নিউটন
ঘ) আইনস্টাইন
উ:গ
৩০. একটি দেবদারু গাছ কত বছর পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে?
(ক) ১০০-২০০ বছর
খ) ২০০-৩০০ বছর
(গ) ৫০০-৬০০ বছর
ঘ)) 800-600 বছর
উ:গ
৩১.দেবদারু গাছ কত মিটার লম্বা হয়?
ক) ২০-৩০ মি.
খ) 80- ৫০ মি
(গ) ৫০-৬০ মি
ঘ)) 80-60 মি
উ:গ
৩২. নিচের কোন এলাকায় উপকূলীয় বন দেখতে পাওয়া যায়?
i.সাতক্ষীরা
ii. পটুয়াখালী
iii. বাগেরহাট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i
খ)i ,ii
গ)ii ও iii
ঘ)i,ii ও iii
উ:ঘ
সৃজনশীল প্রশ্ন
১.বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা ভাসানচর মানুষ বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাঁধ তৈরি, বনায়ন এ সবের জন্য কার্যক্রম চলছে। এমন সময় রাজশাহী বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী কৃষি বিষয়ক শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষা সফরে যায় উত্ত স্থানে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ এলাকা ও উপকূলীয় তথা ভাসানচর এলাকায় বনায়ন ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য চিহ্নিত করে।
খ. গাছ কাটার সময় কুঠার ও করাত উভয়ই ব্যবহার করার সুবিধা ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের চরটিতে বনায়ন পরিকল্পনায় বৃক্ষ নির্বাচনসহ ভিন্নতার দিকগুলো বর্ণনা করো।
ঘ. “দুর্যোগ মোকাবেলায় উদ্দীপকের এলাকা দুটির বনায়ন পরিকল্পনার কৌশলগত ভিন্নতা রাখা অপরিহার্য" বক্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো ।
২. হাশেম সরদার তার বাড়ির পাশের ৩০ বছর বয়সী মেহগনি গাছটি ফার্নিচার তৈরির জন্য কাটেন। কর্তনের কাজে তিনি কুঠার ব্যবহার করেন। কর্তনকৃত গাছের কাঠ সিজনিং না করে ফার্নিচার তৈরি করেন। গাছটির লগের দৈর্ঘ্য ৮ মিটার। চিকন মাথার বেড় ২.৫ মিটার,মাঝের অংশের বেড় ৩ মিটার এবং মোটা অংশের বেড় ৩.৫ মিটার ছিল। (সকল বোর্ড ২014/
খ. গাছের আবর্তনকাল বলতে কী বোঝ?
গ. হাশেম সরদারের কর্তনকৃত গাছটির ভলিউম নির্ণয় করো ।
ঘ. হাশেম সরদারের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন: ৩. প্রকৃতিপ্রেমী গফুর মিয়া বাঘা উপজেলার একজন সচেতন কৃষক। দিন দিন গাছপালার পরিমাণ কমে যাওয়ায় তিনি বেশ চিন্তিত।
তাই তিনি বন কর্মকর্তার পরামর্শে এলাকার জনগনের সহায়তায় বসতবাড়ি, রাস্তার ধারে ও পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফলন ও বনজ বৃক্ষ লাগালেন।
কয়েক বছরের মধ্যে তার এলাকা সবুজে ভরে গেল।
ক. বনায়ন কী?
খ. নার্সারি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।
গ. গফুর মিয়ার বনায়ন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গফুর সাহেবের উদ্যোগটি মূল্যায়ন করো।
প্রশ্ন:৪.
চিত্র: ১ চিত্র: ২
ক. কাঠ সিজনিং কী?
খ. নার্সারি স্থাপনের একটি প্রয়োজন ব্যাখ্যা করো।
গ. চিত্র-১ এর বনায়ন পদ্ধতিটি কীভাবে করা হয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশের জজন্য চিত্র-২ এর পদ্ধতিটি কতটা উপযোগী যুক্তি প্রদর্শন করো ।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url