আদর্শ জীবনচরিত
অধ্যায় ৫: আদর্শ জীবনচরিত
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
ইসলাম শিক্ষা সাজেশন
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৫:আদর্শ জীবনচরিত
তথ্যকণিকা(Information)
এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
- ১. মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) জন্মগ্রহণ করেন— ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে।
- ২. রাসুল (স) জন্মগ্রহণ করেন— কুরাইশ বংশে।
- ৩. মহানবি (স)-এর মাতার নাম আমিনা।
- ৪. রাসুল (স)-এর দাদার নাম— আব্দুল মুত্তালিব ।
- ৫. মুহাম্মদ (স)-এর দুধ মাতার নাম — হালিমা।
- ৬.হারবুল ফিজার বা অন্যায় সমর স্থায়ী হয়— পাঁচ বছর।
- ৭. 'হিলফুল ফুযুল সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন — মুহাম্মদ (স)।
- ৮.মহানবি (স)-এর উপাধি ছিল— আল-আমিন ।
- ৯. মক্কা শরিফের কালো পাথরের নাম- হাজরে আসওয়াদ
- ১০. রাসুল (স) নবুয়ত প্রাপ্ত হন ৪০ বছর বয়সে।
- ১১. রাসুল (স) নবুয়ত প্রাপ্ত হন ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।
- ১২. রাসুল (স) মদিনায় হিজরত করেন- ৬২২ খ্রিস্টাব্দে।
- ১৩. 'আনসার' শব্দের অর্থ— সাহায্যকারী।
- ১৪. বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান— মদিনা সনদ।
- ১৫. মদিনা সনদের ধারা ছিল— ৪৭টি।
- ১৬. হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়— ৬ষ্ঠ হিজরিতে।
- ১৭. মক্কা বিজয় করেন— ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে।
- ১৮. মহানবি (স) হজ সম্পাদন করেন – দশম হিজরিতে।
- ১৯. ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা)
- 20.সিদ্দিক উপাধিতে ভূষিত হন – হযরত আবু বকর (রা)
- ২১. ইসলামের ত্রাণকর্তা হযরত আবু বকর (রা)।
- ২২. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম - হযরত উমর (রা)।
- ২৩. ফারুক শব্দের অর্থ— সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী।
- ২৪. শাসক হিসেবে হযরত উমর (রা) ছিলেন— গণতন্ত্রমনা ।
- ২৫. মুসলিম জাহানের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রা)।
- ২৬. যুননুরাইন উপাধি ছিল— হযরত উসমান (রা)-এর।
- ২৭. হযরত উসমান (রা)-কে বলা হতো— গনি (ধনী) ।
- ২৮. জামিউল কুরআন বা কুরআন সংকলনকারী বলা হয়- হযরত উসমান (রা)-কে
- ২৯. ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি (রা)।
- ৩০. বালকদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন- হযরত আলি (রা)।
- ৩১. ‘আসাদুল্লাহ' উপাধি লাভ করেন— হযরত আলি (রা)।
- ৩২. হুদায়বিয়ার সন্ধির লেখক ছিলেন— হযরত আলি (রা)।
- ৩৩. 'দিওয়ানে আলি' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা- হযরত আলি (রা)।
- ৩৪. বুখারি শরিফ সংকলন করেন— ইমাম বুখারি (র)।
- ৩৫. বুখারি শরিফের হাদিস সংখ্যা- ৭২৭৫টি
- ৩৬. ফিকাহ শাস্ত্রের জনক— ইমাম আবু হানিফা (র)।
- ৩৭. কুতুবে হানাফিয়্যাতে লিপিবদ্ধ রয়েছে— ৮৩ হাজার মাসআলা ।
- ৩৮. হানাফি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আবু হানিফা (র)।
- ৩৯. 'হুজ্জাতুল ইসলাম' বলা হয়— ইমাম গাযালি (র)-কে।
- ৪০. আল মানসুরি গ্রন্থটি রচনা করেন- আল রাযি
- ৪১. আল মানসুরি গ্রন্থটি বিভক্ত— ১০ খণ্ডে।
- ৪২. শল্যচিকিৎসার দিশারি — ইবনে সিনা ।
- ৪৩. চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইবেল হিসেবে খ্যাত আল কানুন ফিত তিব্ব ।
- ৪৪. রসায়নশাস্ত্রের জনক - জাবির ইবনে হাইয়ান ।
- ৪৫. 'ভূগোল বিশ্বকোষ রচনা করেন— আল মাসুদি ।
- ৪৬. 'আল মুকাদ্দিমা' রচনা করেন –ইবনে খালদুন ।
- ৪৭, প্রথম শ্রেণির গণিতবিদ ছিলেন-উমর খৈয়াম ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১.জীবনাদর্শ কী?
উত্তর: মানুষের সামগ্রিক জীবন সুন্দর সফল করতে যেসব জীবনকর্ম অনুসরণীয়, অনুকরণীয় তাই জীবনাদর্শ।
প্রশ্ন-২. আইয়ামে জাহেলিয়া কী?
উত্তর: মহানবি (স)-এর আগমনের আগের প্রায় একশত বছর সময়কে আইয়ামে জাহিলিয়া বলা হয়।
প্রশ্ন-৩.'আস-সাউল মুআল্লাকাত' কী?
উত্তর: আস-সাবউল মুআল্লাকাত হলো প্রাক-ইসলামি আরবে অনুষ্ঠিত উকাজ মেলায় স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত সেরা সাতটি কবিতা।
প্রশ্ন-৪. 'হারবুল ফিজার' কী?
উত্তর: হারবুল ফিজার হলো আরবের কায়স ও কুরাইশ গোত্রের মধ্যে সংঘটিত অন্যায় যুদ্ধ।
প্রশ্ন-৫. হিলফুল ফুযুল কী?
উত্তর: হিলফুল ফুযুল হলো মহানবি (স)-এর গঠিত একটি শান্তিসংঘ।
প্রশ্ন-৬.মদিনা সনদ কী?
উত্তর: মদিনা সনদ রাসুল (স) প্রণীত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান।
প্রশ্ন-৭. খুলাফায়ে রাশেদিন কারা?
উত্তর: হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ইন্তেকালের পর যে চারজন খলিফা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে খিলাফত পরিচালনা করেছেন, তাদেরকে খুলাফায়ে রাশেদিন বলা হয় ।
প্রশ্ন-৮.কাকে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয়?
উত্তর: হযরত আবু বকর (রা)-কে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয়।
প্রশ্ন-৯. ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম কী?
উত্তর: ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম হযরত উমর ফারুক (রা)।
প্রশ্ন-১০. যুননুরাইন কাকে বলা হয়?
উত্তর: হযরত উসমান (রা)-কে যুননুরাইন (দুই জ্যোতির অধিকারী) বলা হয়।
প্রশ্ন-১১. হযরত আলি (রা)-এর উপাধি কী?
উত্তর: হযরত আলি (রা)-এর উপাধি হলো 'আসাদুল্লাহ' বা আল্লাহর সিংহ।
প্রশ্ন-১২. কামুস দুর্গ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: কামুস দুর্গ খায়বারে অবস্থিত।
প্রশ্ন-১৩. ইমাম আবু হানিফা (র)-এর উপাধি কী?
উত্তর: ইমাম আবু হানিফা (র)-এর উপাধি ইমাম আযম বা বড় ইমাম।
প্রশ্ন-১৪. কিতাবুল মানায়ির কী বিষয়ক গ্রন্থ?
উত্তর: কিতাবুল মানাযির চক্ষু বিষয়ক গ্রন্থ ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আইয়ামে জাহিলিয়া বলতে মহানবি (স)-এর আবির্ভাবের আগে আরব সমাজের বিশৃঙ্খল অবস্থাকে বোঝায়।আরবি শব্দ আইয়াম অর্থ যুগ বা সময় এবং জাহিলিয়া অর্থ অজ্ঞতা বা মূর্খতা। সুতরাং 'আইয়ামে জাহিলিয়া' এর শাব্দিক অর্থ অজ্ঞতার যুগ। মহানবি (স)-এর আবির্ভাবের আগে আরব সমাজের লোকেরা নবি ও রাসুলদের আদর্শ ও শিক্ষা ভুলে গিয়েছিল। ফলে তারা বিভিন্ন অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। যেমন--- খুন-রাহাজানি, ডাকাতি, নবজাতক কন্যা সন্তান হত্যা, জুয়াখেলা ইত্যাদি। সমাজে কোনো আইন-শৃঙ্খলা ছিল না। আরব সমাজের এ বিশৃঙ্খল অবস্থাকেই আইয়ামে জাহিলিয়া বা অজ্ঞতার যুগ বলা হয়।
প্রশ্ন-২. হিলফুল ফুযুল গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: হিলফুল ফুযুল গঠনের উদ্দেশ্যে ছিল, যুদ্ধ-বিশৃঙ্খলা বন্ধ করে শাস্তি প্রতিষ্ঠা করা।আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে আরবে সামান্য বিষয় নিয়ে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগেই থাকত। সমাজে সর্বদা অশান্তি-বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত। তাই যুদ্ধ বন্ধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহানবি (স) হিলফুল ফুযুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংঘের উদ্দেশ্য ছিল আর্তের সেবা, অত্যাচারীকে প্রতিরোধ ও অত্যাচারিতকে সাহায্য করা, শান্তি- শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং গোত্রে গোত্রে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখা।
প্রশ্ন-৩.মদিনা সনদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) মক্কা থেকে মদিনা পৌঁছে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সনদ প্রণয়ন করেন, যা ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিত মদিনা সনদ বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান। মহানবি হিজরতের পর মদিনার ইহুদিদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য 'মদিনা সনদ' নামে এক মহাসনদ প্রণয়ন করেন। এ সনদে মোট ৪৭টি ধারা ছিল। এটি প্রণয়নের মাধ্যমে মদিনায় একটি সাধারণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বসবাসকারী সব নাগরিক সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।
প্রশ্ন-৪. হযরত আবু বকর (রা)-কে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো
উত্তর: ইসলামের সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য হযরত আবু বকর (রা)-কে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয়। রাসুল (স)-এর ইন্তিকালের পর হযরত আবু বকর (রা) অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মুরতাদ ও যাকাত অস্বীকারকারীদের দমন করেন। তাছাড়া ইয়ামামার যুদ্ধে অনেক হাফিজে কুরআন শাহাদাত বরণ করেন। এ ঘটনায় পবিত্র কুরআন বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা দিলে তিনি পবিত্র কুরআনকে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কারণে তাকে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয় ।
প্রশ্ন-৫. হযরত উমর (রা)-কে ফারুক বলা হয় কেন?
উত্তর: হযরত উমর (রা) ইসলামের মর্মবাণী অনুধাবন করে ইসলাম গ্রহণ করায় মহানবি (স)-এর কাছ থেকে ফারুক (সত্য- মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি পেয়েছিলেন ।হযরত উমর (রা) প্রথম জীবনে প্রচণ্ড ইসলামবিদ্বেষী ছিলেন। তিনি ৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে মহানবি (স)-কে হত্যার জন্য খোলা তরবারি হাতে নিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তিনি তার বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাইদের ইসলাম গ্রহণের সংবাদ শুনে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যান। তবে বোনের কণ্ঠে সূরা তাহার তিলাওয়াত শুনে ইসলামের মর্মবাণী বুঝতে পারেন। ইসলাম ও কুফরির (সত্য ও মিথ্যার) মধ্যে কোনটি সঠিক তা অনুধাবন করতে পেরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি প্রকাশ্যে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায়ের ঘোষণা দেন । এজন্য মহানবি (স) খুশি হয়ে তাকে ফারুক উপাধি প্রদান করেন।
প্রশ্ন-৬. 'আমি জ্ঞানের শহর এবং আলি তার দরজা'—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: হযরত আলি (রা) অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী হওয়ায় মহানবি (স) আলোচ্য উক্তিটি করেছেন। হযরত আলি (রা) অসাধারণ মেধাসম্পন্ন ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন জ্ঞানতাপস ও জ্ঞানসাধক।তিনি সর্বদা জ্ঞানচর্চা করতেন। হাদিস, তাফসির, আরবি সাহিত্য ও আরবি ব্যাকরণে তিনি তার যুগের সেরা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার রচিত 'দিওয়ানে আলি’ কাব্যগ্রন্থটি আরবি সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। এসব কারণেনবি (স) নিজেকে জ্ঞানের শহর আর আলি (রা)-কে সেই শহরের দরজা বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন-৭.কোন মুসলিম মনীষীকে 'হুজ্জাতুল ইসলাম' বলা হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ইমাম গাজালি (র)-কে হুজ্জাতুল ইসলাম বলা হয়। ইমাম গাজালি (র) ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি সুফিবাদের ওপর গুরুত্ব প্রদান করতেন। তিনি তার লেখনীতে আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতির জন্য নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইসলামকে যুক্তি ও প্রমাণের সাথে উপস্থাপন এবং সুফিবাদ ও ইসলামি দর্শনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ইমাম গাজালি তার সব রকমের চেষ্টা ও সাধনা করেন। ইসলামি দর্শন ও শিক্ষায় অবদানের
স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে 'হুজ্জাতুল ইসলাম (ইসলামের দলিল) নামে অভিহিত করা হয় ।
প্রশ্ন-৮. জাবির ইবনে হাইয়ানকে রসায়ন শাস্ত্রের জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: জাবির ইবনে হাইয়ান সর্বপ্রথম রসায়নশাস্ত্রের মৌলিক গবেষণায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন বিধায় তাকে এ শাস্ত্রের জনক বলা হয়। জাবির ইবনে হাইয়ান রসায়ন বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যথা— পরিস্রবণ, ভস্মীকরণ, বাষ্পীকরণ, ধাতুর শোধন ও তরলীকরণ, ইস্পাত তৈরির প্রক্রিয়া প্রভৃতি আবিষ্কার করেন। এছাড়া তিনি লোহার মরিচা রোধক বার্নিশ, চুলের কলপ, লেখার কালি, কাঁচ ইত্যাদি দ্রব্য প্রস্তুত প্রণালি উদ্ভাবন করেন । এসব আবিষ্কারের ফলে রসায়নশাস্ত্র বিজ্ঞানের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এ কারণে তাকে রসায়নশাস্ত্রের জনক বলা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. 'আদর্শ' শব্দটির আরবি প্রতিশব্দ কোনটি?
ক) তাকওয়া
খ) উছওয়া
গ)আসাদুন
ঘ) হাসানাহ
উ:খ
২. গ্রহণীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক) বদান্যতা
খ) দলাদলি
গ) অসহনশীলতা
ঘ) আড়ম্বরতা
উ:ক
৩.আল্লাহর বাণী “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুল (স) এর জীবনে উত্তম আদর্শ রয়েছে" এটি কোন সূরার আয়াত?
ক) আল বাকারা
খ) আল মায়িদাহ
গ) আল আহ্যাব
ঘ) আল আনকাবুত
উ:খ
৪. আরবি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ কোন যুগে রচিত হয়?
ক) জাহেলি যুগে
খ) প্রাচীন যুগে
গ) মধ্য যুগে
ঘ) আব্বাসি যুগে
উ:ক
৫. রাসুল (স)-এর নানার নাম কী?
ক) আব্দুল মুত্তালিব
খ) আৰু তালিব
গ) ওয়াহাব
ঘ) বুহায়রা
উ:গ
৬.হযরত খাদিজা (রা) ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (স)- এর গুণাবলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য কাকে পাঠান?
ক)আয়শা
খ) রাহেলা
গ) মাইসারা
ঘ)হালিমা
উ:গ
৭. হারবুল ফিজার অর্থ কী?
ক) ন্যায় যুদ্ধ
খ)অন্যায় আচরণ
গ) অন্যায় যুদ্ধ
ঘ) ন্যায় আচরণ
উ:গ
৮.ফিজার যুদ্ধ কত বছর স্থায়ী ছিল?
ক) ৩
খ)৫
গ) ৭
ঘ) ৯
উ:খ
৯.বর্তমান আধুনিক বিশ্বের জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শান্তিসংঘ হিলফুল ফুযুলের কাছে অনেকাংশে ঋণী। কারণ এর মাধ্যমে-
i. গোত্রে গোত্রে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপিত হয়
ii. দাস-দাসী প্রথা বিলুপ্ত হয়
iii. অত্যাচারিত ব্যক্তি সাহায্যপ্রাপ্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:খ
১০. আরবের লোকজন হযরত মুহাম্মদ (স)-কে কেন 'বিশ্বাসী' উপাধি দিয়েছিলেন?
i. আমানতদারির কারণে
ii. দায়িত্বশীলতার জন্য
iii. মহানবি (স) সুন্দর ছিলেন বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ)i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
১১. রাসুল (স)-এর কত বছর বয়সে কাবাঘর পুননির্মাণ করা হয়?
ক) ৩৫
খ)৪৫
গ) ৪০
ঘ) ৫०
উ:ক
১২. কত খ্রিষ্টাব্দে রাসুল (স) নবুয়ত প্রাপ্ত হন?
ক) ৫৭০
খ) ৬১০
গ) ৬২২
ঘ) ৬৩০
উ:খ
১৩. রাসুল (স) কত খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয় করেন?
ক) ৬২২ খ্রি.
খ) ৬২৩ খ্রি.
গ) ৬৩২ খ্রি.
ঘ) ৬৩০ খ্রি.
উ:ঘ
১৪. বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান কোনটি?
ক) মদিনা সনদ
খ) চার্টার অব ইংল্যান্ড
গ) বিল অব রাইটস
ঘ) ভারতীয় সংবিধান
উ:ক
১৫. মদিনা সনদে মোট কতটি ধারা ছিল?
ক) ১৭
খ) ২৭
গ) ৩৭
ঘ) ৪৭
উ:ঘ
১৬. মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়গুলো হলো-
i. ইহুদি ও খ্রিষ্টান
ii. কুরাইশ ও কায়েস
iii. মুসলিম ও পৌত্তলিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:খ
১৭. মসজিদে নববি কখন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়?
(ক) হিজরতের পর
(খ) হুদায়বিয়ার সন্ধির পর
(গ) মক্কা বিজয়ের পর
(ঘ) বদর যুদ্ধে জয় লাভের পর
উ:গ
১৮. বিদায় হজ কত সালে সম্পন্ন হয়?
ক)৬৩০
খ)৬৩১
গ)৬৩৩
ঘ)৬৩২
উ:ঘ
১৯. কোনটির পার্শ্বে 'জাবালে রহমত' অবস্থিত?
ক) মক্কা শরিফ
খ) বদর প্রান্তর
গ) মদিনা শরিফ
ঘ) আরাফাতের ময়দান
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব আঃ আজিজ সাহেব কুরআন-হাদিস অনুযায়ী জীবনযাপন করেন। তিনি স্ত্রীর প্রতি সদয় আচরণসহ তার কাজের লোকেরা কোনো অন্যায় করলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন।
২০. জনাব আঃ আজিজ সাহেবের আচরণে ইসলামের কোনটির শিক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে?
ক )বিদায় হজের ভাষণ
খ) মদিনায় হিজরত
গ) মক্কা বিজয়
ঘ) শান্তি সংঘ প্রতিষ্ঠা
উ:ক
২১. উক্ত ঘটনা অনুসরণ করলে আমাদের দেশ ও জাতি-
i. সমৃদ্ধি অর্জন করবে
ii. উন্নত ও সুন্দর হবে
iii. দারিদ্র্য ও অভাবমুক্ত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
২২. হযরত আবু বকর (রা)-কে সিদ্দিক উপাধি দেওয়া হয়েছিল কেন?
ক) হিজরতের সাথী হওয়ায়
খ) মিরাজের ঘটনা বিশ্বাস করায়
গ) সততার কারণে
ঘ) ইসলাম গ্রহণ করায়
উ:খ
২৩. মিরাজের ঘটনা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কে বেশি অগ্রগামী ছিলেন?
ক) হযরত আলি (রা)
খ)হযরত আবু বকর (রা)
গ) হযরত উমর (রা)
ঘ) হযরত উসমান (রা)
উ:খ
২৪. আবু বকর (রা)-কে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয় কেন?
ক) চূড়ান্তভাবে কুরআন সংকলন করায়
খ). আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করায়
গ)চরম বিশৃঙ্খলা থেকে খিলাফত রক্ষা করায়
ঘ) যুদ্ধক্ষেত্রে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করায়
উ:ক
২৫. হযরত আবু বকর (রা) বর্তমান যুগের প্রশাসকদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ কারণ-
i. রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যয়ে তিনি সাবধানতা অবলম্বন করেন
ii. তিনি কুরআন সংরক্ষণ করেন
iii. তিনি দৃঢ়তার সাথে সমস্যা মোকাবিলা করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:খ
২৬. কোন খলিফা কৃষি কাজের উন্নয়নে খাল খনন করেন?
ক) আবু বকর (রা)
খ) আলি (রা)
গ) উসমান (রা)
ঘ) উমর (রা)
উ:ঘ
২৭. হযরত উমর (রা)-এর জেরুজালেম সফরের আচরণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল—
i. সাম্য
ii. ঐক্য
iii. মানবতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:খ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৮ ও ২৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব শফিক পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে শহরের রাস্তাঘাট মেরামত ও শহরের মানুষের খোজ-খবর নেওয়ার জন্য গভীর রাত্রে ঘুরে বেড়ান ।
২৮. জনাব শফিক সাহেবের এ কাজ কোন খলিফার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
ক) হযরত আবু বকর (রা)
খ) হযরত উমর (রা)
গ) হযরত ওসমান (রা)
ঘ)হযরত আলি (রা)
উ:খ
২৯. জনাব শফিকের কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে—
i. দায়িত্বশীলতা
ii. প্রজাবাৎসল্য
iii. স্বার্থপরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ক
৩০. তাবুক যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিল?
ক) ১০০০০
খ) ২০০০০
গ) ৩০০০০
ঘ) ৪০০০০
উ:গ
৩১. একই পঠন রীতি প্রচলনে কুরআনের পুনঃসংকলন করেছিলেন কে?
ক) আবু বকর (রা)
খ) উপমান (রা)
গ) উমর (রা)
ঘ) আলি (রা)
উ:খ
৩২. 'দিওয়ানে আলি' কোন ধরনের গ্রন্থ?
ক) সাহিত্য
(খ) কাব্য
গ) নাটক
ঘ) উপন্যাস
উ:খ
৩৩. কাকে 'আসাদুল্লাহ' উপাধি প্রদান করা হয়?
(ক) আবু বকর (রা)
(গ) উসমান (রা)
(খ) উমর (রা)
ঘ) আলি (রা)
উ:ঘ
৩৪. ইমাম আবু হানিফা (র)-কে ইসলামি আইন শাস্ত্রের জনক বলা হয় কেন?
ক) হাদিস শাস্ত্রে অবদানের জন্য
খ) ফিকাহ্ শাস্ত্রে অবদানের জন্য
গ) আরবি ব্যাকরণ শাস্ত্রে অবদানের জন্য
ঘ) তাফসির শাস্ত্রে অবদানের জন্য
উ:খ
৩৫. রসায়ন শাস্ত্রের জনক কে?
ক) আল বিরুনি
খ)ইবনে সিনা
গ) জাবির ইবনে হাইয়ান
ঘ) হাসান ইবনে হায়সাম
উ:গ
৩৬. কে বসন্ত ও হাম রোগ বিষয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেন?
ক) আল বিরুনি
খ) আবু বকর আল-রাযি
গ) উমর খইয়াম
ঘ) ইবনে সিনা
উ:ঘ
৩৭. 'আল জুদাইরি ওয়াল হাসবাহ' গ্রন্থখানা কোন বিষয়ক?
ক) বসন্ত
খ) হাম
গ) বর্ষপঞ্জি
ঘ) জ্বর
উ:ক
বিজ্ঞান
৩৮. ‘আল-কানুন ফিত-তিব্ব' গ্রন্থটির প্রণেতা কে?
ক) আল বিরুনি
খ) আল রাযি
গ) ইবনে সিনা
ঘ) ইবনে রুশদ
উ:গ
৩৯. ‘আল-উসতাদ' নামে খ্যাতি অর্জন করেন কে?
ক) আল-বিরুনি
খ) ইবনে রুশদ
গ) ইবনে সিনা
ঘ) আল-রাযি
উ:ক
৪০. 'মুজামুল বুলদান' গ্রন্থখানা কার লেখা?
ক) আল মাসুদি
খ) ইয়াকুত ইবনে আব্দুল্লাহ
গ) জাবির ইবনে হাইয়ান
ঘ) হাসান ইবনে হায়সাম
উ:খ
৪১. মুসলিম দৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাত
ক) উমার খৈয়াম
খ) হাসান ইবনে হায়সাম
গ) মুসা আল খাওয়ারেযমি
ঘ) জাবির ইবনে হাইয়্যান
উ:খ
৪২. নাসির উদ্দিন তুসি কত খ্রিষ্টাব্দে ইন্তিকাল করেন?
ক) ১২২৮ খ্রিষ্টাব্দে
খ) ১০৪৪ খ্রিষ্টাব্দে
গ) ১২৭৪ খ্রিষ্টাব্দে
ঘ) ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে
উ:গ
৪৩. গণিতশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন—
i. মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খাওয়ারেযমি
ii. আবু আলি আল হুসাইন ইবনে সিনা
iii. আবু রায়হান মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪ ও ৪৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব 'ক' শ্রেণিকক্ষে প্রথম শ্রেণির একজন গণিতবিদ সম্পর্কে আলোচনায় বললেন যে, একজন মুসলিম মনীষী ঘন সমীকরণ এবং সংজ্ঞানুসারে এগুলোকে শ্রেণিভুক্ত করে বীজগণিতের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব লাভ করেন।
৪৪. জনাব ‘ক’ কোন মুসলিম মনীষীর কথা বলেছেন?
ক) ইবনে খালদুন
খ) হাসান ইবনে হাইসাম
গ) উমর খৈয়াম
ঘ) আল-খাওয়ারেযমি
উ:গ
৪৫. অনুচ্ছেদের এ মুসলিম মনীষীর রচিত গ্রন্থ হলো-
ক) কিতাবুল জিবার ওয়াল মুকাবালা
খ) মুজামুল বুলদান
গ) কিতাবুল মানাযির
ঘ) কিতাবুল হিন্দ
উ:ক
সৃজনশীল প্রশ্ন
ক. জীবনাদর্শ বলতে কী বোঝ?
খ. হযরত আবু বকর (রা)-কে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. রফিক সাহেবের বইয়ের বর্ণনাকে কোন সমাজের সাথে তুলনা করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আগন্তুক ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত 'সবুজ সংঘটি' মহানবি (স)-এর জীবনের কোন কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? বিশ্লেষণ করো।
২. জনাব হামিদ সাহেব সমাজের একজন দানশীল ব্যক্তি । তিনি নিজ অর্থ ব্যয়ে গ্রামের লোকদের জন্য একটি বড় পুকুর খনন করে দেন। মুসল্লিদের সুবিধার জন্য গ্রামের মসজিদটি সম্প্রসারণ করে দেন।
হামিদ সাহেবের প্রতিবেশী জাফর আহমদ পৌরসভার নির্বাচিত কমিশনার জনাব জাফরের ছেলে মিজান মাদক সেবন করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। জাফর সাহেব বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই তার
ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ছেলেকে নিয়ে যাবার সময় পুলিশ অফিসার রোকন উদ্দিন সাহেব বলেন, জাফর সাহেবের মতো সচেতন অভিভাবক তৈরি হলে আমরা সহজেই সমাজকে মাদকমুক্ত করতে পারব।
ক. আদর্শ জীবন কাকে বলে?
খ. ইমাম গাযালি (র)-কে 'হুজ্জাতুল ইসলাম' কেন বলা হয়?
গ. জনাব হামিদের কর্মকাণ্ডে কোন মহান খলিফার আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. কমিশনার জাফর সাহেবের চরিত্রে যে মহান খলিফার আদর্শ ফুটে উঠেছে তা চিহ্নিতপূর্বক পুলিশ অফিসার মহোদয়ের বক্তব্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৩। জনাব লিমন একজন বিত্তশালী ব্যক্তি। তিনি জনাব নোমানের ওপর অনেক অত্যাচার করেন। এমনকি তার অত্যাচারের কারণে নোমান নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে জনাব নোমান সুযোগ পাওয়ার পরেও তার প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। আর তার ছোট ভাই জনাব মানিক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। নিজের কাজ নিজ হাতে সম্পাদন করেন ।
ক.কিতাবুল মানাযির' কোন বিষয়ক গ্রন্থ?
খ.জাবির ইবনে হাইয়ানকে রসায়ন শাস্ত্রের জনক বলা হয় কেন?
গ. জনাব নোমানের চরিত্রের সাথে কোন মহামানবের চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব মানিকের জীবনযাপন পদ্ধতি খুলাফায়ে রাশেদিনের জীবনাদর্শের আলোকে চিহ্নিত করে বিশ্লেষণ করো।
৪. জালালপুরে বাসের ধাক্কায় একটি রিকশা উল্টে গেলে আরোহী ও রিকশাওয়ালা মারাত্মকভাবে আহত হন। ডাক্তার সুজন তাদের কেটে যাওয়া হাত-পা সেলাই করেন। জনাব জলিল বলেন, মধ্যযুগের একজন কুরআনে
হাফিজকে চিকিৎসায় তার অসাধারণ অবদানের জন্য চিকিৎসা শাস্ত্রের। বিশেষ করে শল্যচিকিৎসার দিশারি মনে করা হয়। অপরদিকে একজন কাপড় ব্যবসায়ী তাফসির, হাদিস ও ফিকাহশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করে।
জগতময় খ্যাতি অর্জন করেন। ইতিহাসের শিক্ষক জনাব কালাম বলেন, আল্লাহভীরু এ যুগশ্রেষ্ঠ আলেমকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়।
ক. 'আস-সাবউল মুআল্লাকাত' কী?
খ. ‘এ বালক-ই হবেন শেষ নবি'- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. জনাব জলিলের বক্তব্যে কোন মহামনীষীকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. কাপড় ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে জনাব কালামের বক্তব্যের যথার্থতা বর্ণনা করো।
৫. কামরুল ও ছামছুল দুইজন জনপ্রতিনিধি। কামরুল নির্বাচিত হবার পর তার এলাকার জনগণকে ডেকে বললেন, ভাইসব, যতদিন আমি আল্লাহ ও রাসুল (স)-এর অনুসরণ করব ততদিন তোমরা আমার অনুসরণ করবে এবং আমার ভুলগুলো সংশোধন করে দেবে। অন্যদিকে ছামছুল তার ছেলের অপরাধে ছেলেকে কঠোর শাস্তি দেন এবং জনগণের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য রাতের অন্ধকারে পাড়ায়-মহল্লায় ঘুরে বেড়ান।
ক. হযরত আবু বকর (রা) কোন গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. হযরত উমর (রা)-কে ফারুক বলা হয় কেন?
গ. কামরুল সাহেবের বক্তব্যে কার বক্তব্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ছামছুল সাহেবের কর্মে হযরত উমর (রা)-এর কর্মের যে প্রতিফলন ঘটেছে তা তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৬. জনাব শামসুল আলম একজন মুসলিম মনীষী সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, যাকে আধুনিক শল্যচিকিৎসা ঔষধি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার দিশারি মনে করা হয়। তিনি একজন দার্শনিক চিকিৎসাবিদ, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং সর্বোপরি বিজ্ঞানী। অপরদিকে জনাব সুলতান একজন বিখ্যাত মনীষী সম্পর্কে বললেন, যিনি সর্বপ্রথম প্লেটো ও এরিস্টটলের মতবাদের সমন্বয় সাধন করেন।
ক. 'আস সুফফা' কী?
খ. বায়তুল হিকমা বলতে কী বোঝায়?
গ. জনাব শামসুল আলমের আলোচনায় কোন মুসলিম মনীষীর কথা প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব সুলতানের আলোচিত মুসলিম মনীষীকে চিহ্নিত করো। তিনি কোন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন? বিশ্লেষণ করো।
৭. প্রেক্ষাপট-১: নির্জনপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর। তারা কারণে-অকারণে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকে। সেখানে নারীদের ভোগ্য | পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হতো। গ্রামবাসী বিনোদনের জন্য রাতের বেলা মদ্যপান,
প্রেক্ষাপট-২: আসিফ সাহেব নিজ উদ্যোগে বেশকিছু ভালো কাজ করতে চাইলে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরোধীতা করে এবং তাকে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। তিনি অন্য এলাকায় গিয়ে বসবাস করেন এবং জনগণের
প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। সেখানে তিনি সকল বর্ণ ও গোত্রের মানুষদের নিয়ে একটি লিখিত সনদ প্রণয়ন করেন ।
ক. 'হারবুল ফিজার' কাকে বলে?
খ. হযরত আলিকে 'জ্ঞানের শহরের দরজা' বলা হয় কেন?
গ. প্রেক্ষাপট-১ এর চিত্রটি কোন সমাজ ব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রেক্ষাপট-২ এ উল্লিখিত সনদের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন সনদের সাদৃশ্য আছে? বিশ্লেষণ করো।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url