সত্তরের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ

অধ্যায়:১৩ সত্তরের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।


 বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা সাজেশন

পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ১৩:সত্তরের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ

তথ্যকণিকা(Information)

এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।

  • ১. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
  • ২. বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । 
  • ৩. স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছিল— ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন
  • ৪. বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়— ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ।
  • ৫. বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে— ইউনেস্কো ।
  • ৬. পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঘুমন্ত মানুষের ওপর আক্রমণ করে— ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে।
  • ৭. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন— তাজউদ্দীন আহমদ । 
  • ৮. মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে – ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল 
  • ৯. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়— ১১টি সেক্টরে । 
  • ১০. নারীদের মধ্যে 'বীর প্রতীক' খেতাব লাভ করেন— তারামন বিবি ও সেতারা বেগম ।
  • ১১. 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এর উদ্যোগ গ্রহণ করেন— পণ্ডিত রবিশংকর।
  • ১২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি সমর্থন দেয়— ভারত ।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন

ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক) 

প্রশ্ন-১.‘আইনগত কাঠামো আদেশ' কী? 

উত্তর: আইনগত কাঠামো আদেশ হলো ইয়াহিয়া খান ঘোষিত একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া, যেখানে সার্বভৌম পার্লামেন্টের বদলে একটি দুর্বল পার্লামেন্টের রূপরেখা দেওয়া হয় ।

প্রশ্ন-২.১৯৭০ এর নির্বাচনে কার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৭০ এর নির্বাচনে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩.১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে সর্বমোট কতটি আসন লাভ করেছিল?

 উত্তর: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনসহ জাতীয় পরিষদে সর্বমোট ১৬৭টি আসন লাভ করেছিল ।

প্রশ্ন-৪. পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয় কত সালে?

 উত্তর: পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয় ১৯৫৬ সালে ।

প্রশ্ন-৫. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ১ম দাবিটি কী ছিল?

উত্তর: বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ১ম দাবিটি ছিল 'চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার' করা।

প্রশ্ন-৬.‘অপারেশন সার্চলাইট' কী?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পূর্ব বাংলায় যে হত্যাযজ্ঞ চালায় তার সাংকেতিক নাম ছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'।

 প্রশ্ন-৭. 'কালরাত্রি' কী?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের গণহত্যার রাতটি বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘কালরাত্রি' হিসেবে পরিচিত

প্রশ্ন-৮. মুজিবনগর সরকার কী?

 উত্তর: মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় যে সরকার গঠন করা হয় সেটিই মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-৯. কত তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। 

প্রশ্ন-১০.মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে কত তারিখে? .

উত্তর: মুজিবনগর সরকার ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-১১. মুজিবনগর সরকার কোথায় শপথ গ্রহণ করে?

উত্তর: মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার বর্তমান মুজিবনগরে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।

 প্রশ্ন-১২. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন-১৩. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। 

প্রশ্ন ১৪. বীরাঙ্গনা কাদেরকে বলা হয়?

উত্তর; বীরাঙ্গনা সেই সমস্ত বীর নারীদেরকে বলা হয়, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন।

 প্রশ্ন-১৫. 'পোড়ামাটি নীতি' কী? 

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার সব সম্পদ ও প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে পাকবাহিনী কর্তৃক গৃহীত নীতিই হলো 'পোড়ামাটি নীতি'। 

প্রশ্ন-১৬.কখন যৌথবাহিনী গঠন করা হয়?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়। 

প্রশ্ন-১৭. 'যৌথ কমান্ড' কী ছিল?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতের সেনাবাহিনী মিলে যে কমান্ড গঠন করা হয় তা যৌথ কমান্ড' হিসেবে পরিচিতি।

প্রশ্ন-১৮. 'চরমপত্র' কী?

 উত্তর: চরমপত্র হলো এম আর আখতার মুকুল রচিত ও উপস্থাপিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান।

 প্রশ্ন-১৯. বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকার রূপকার কে?

উত্তর: বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকার রূপকার কাম হাসান।

 প্রশ্ন ২০.জাতীয় পতাকার বৃত্তের লাল রং কীসের প্রতীক? 

উত্তর: জাতীয় পতাকার বৃত্তের লাল রং মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের রক্তের প্রতীক।

 প্রশ্ন-২১.‘আমার সোনার বাংলা' সংগীতটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন প্রেক্ষিতে রচনা করেন?

 উত্তর: ‘আমার সোনার বাংলা' সংগীতটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে রচনা করেন।

প্রশ্ন-২২. অপরাজেয় বাংলা নির্মাণ করেন কে?

উত্তর: অপরাজেয় বাংলা নির্মাণ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ।

প্রশ্ন-২৩. শিখা চিরন্তন স্থাপিত হয় কত সালে?

উত্তর: শিখা চিরন্তন স্থাপিত হয় ১৯৯৭ সালে।

 প্রশ্ন-২৪.শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এর স্থপতি কে? 

উত্তর: শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের স্থপতি হলেন মোস্তফা আলী কুদ্দুস।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  

খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)

 প্রশ্ন-১. ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল কীরূপ ছিল? ব্যাখ্যা

উত্তর: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসন লাভ করে। সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন লাভ করে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রাদেশিক পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ ৩১০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মোট ২৯৮টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

প্রশ্ন-২. মুজিবনগর সরকার কেন গঠন করা হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকপথে ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বাঙালিরা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে। এর দুই সপ্তাহ পর যুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি করাই ছিল এ সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। 

প্রশ্ন-৩. ‘অপারেশন সার্চলাইট' বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাঙালির তথা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের · নিরস্ত্র, নিরীহ ও স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনতার ওপর হামলা করে। তারা এ দেশের নিরীহ জনগণের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের এ অভিযানের নাম দেয় 'অপারেশন সার্চ লাইট'।

প্রশ্ন-৪. মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা তুলে ধরো। 

 উত্তর: প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন দেশে তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের নিকট ছুটে  গিয়েছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন, পাকিস্তানকে অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ না করতে সরকারের নিকট আবেদন করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে  তারা কাজ করেছেন।

প্রশ্ন-৫. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধের কথা প্রচার ও জনমত গঠনে সহায়তা করার মাধ্যমে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের বেতার শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন । পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এই বেতার কেন্দ্র সংবাদ, কথিকা, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি প্রচারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মনোবল চাঙ্গা রাখত। এছাড়া মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো যুদ্ধের খবর প্রচার ও জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বিবিসি, আকাশবাণী ইত্যাদি বিদেশি গণমাধ্যমও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন গড়ে তুলতে সহায়তা করেছিল।

প্রশ্ন-৬. মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ভূমিকা কেমন ছিল?

উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ভূমিকা ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতামূলক। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকবাহিনী বাঙালিদের ওপর যে গণহত্যা চালায় তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে ভারত। ভারতের জনগণ ও সরকার প্রায় এক কোটি বাঙালি শরণার্থীকে আশ্রয়দান, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করে। ভারতীয় সৈন্যবাহিনী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধকে আরও বেগবান করে । ফলে আমাদের স্বাধীনতা লাভের পথ সুগম হয়। ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ ভারত প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করে ।

প্রশ্ন-৭. যৌথ কমান্ড গঠন করা হয় কেন?

 উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার লক্ষ্যে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ‘যৌথ কমান্ড' গঠন করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তান মুক্তিবাহিনীর পাশাপাশি ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। এ প্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ‘যৌথ কমান্ড' গঠন করে। এতে মুক্তিযুদ্ধ নতুন গতি লাভ করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পথ আরও সুগম হয় ।

প্রশ্ন-৮. জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয় কেন? 

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ নাম না জানা শহিদদের অমর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকা শহর থেকে অল্প দূরে সাভারে অবস্থিত। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের  মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনার ফলেই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ বারবার আমাদের সেই মহান শহিদদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১. জাতীয় পরিষদে মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল-

ক) ১৩ জান

খ) ১৪ জান

গ) ১৫ জন 

ঘ)১৬জান

উ:ক

 ২.১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক কী ?

ক) হারিকেন

খ) লাকাল

গ) মশাল 

ঘ) মৌকা

উ:ঘ

৩.১৯৭০ সালের পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট ভোটের কত শতাংশ পায়।

ক) ৭০.৫%

খ) ৭০.১০%

গ) ৭৫.৫%

ঘ) ৭৫.১০%

উ:ঘ

নিচের ছকটি দেখে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

                                     মোট আসন = ৩১০
আওয়ামী লীগ = ২৯৮                                       অন্যান্য দল = ১২

৪. উপরের ছকটি কোন সালের নির্বাচনকে নির্দেশ করে?

ক) ১৯৭৩

খ) ১৯৫৪

গ) ১৯৬০

ঘ) ১৯৭০

উ:ঘ

৫. উক্ত নির্বাচনে বিজয়ী দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর না করায়—

i. বিজয়ী দল অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়

ii. পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বহুলোক আহত হয় 

iii. পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ঘোষণা করা হয় 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i,ii ও iii

উ:ক

৬.বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কে?

ক) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ)  ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী

গ)  সৈয়দ নজরুল ইসলাম

ঘ) এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান

উ:ক

৭.বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি কে? 

ক) তাজউদ্দীন আহমদ

খ) মওলানা ভাসানী

গ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম

ঘ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

উ:ঘ

৮. সাবিনা অনুপমকে বলল যে, একটি নির্বাচনের ফলাফল স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছিল। সাবিনা কত সালের নির্বাচন সম্পর্কে এ কথা বলেছে?

ক)১৯৬৭

খ) ১৯৬৮ 

গ) ১৯৬৯

ঘ)১৯৭০

উ:ঘ

৯.৭ই মার্চের ভাষণের মূল প্রতিপাদ্য ছিল— 

i.স্বায়ত্তশাসন

ii. জাতিগত অধিকার

iii. পরাধীনতা থেকে মুক্তি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i,ii ও iii

উ:ঘ

১০. কোন সংস্থা কর্তৃক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে?

ক) ইউনিসেফ

খ)  এডিবি

গ) সার্ক

ঘ) ইউনেস্কো

উ:ঘ

উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

সুজন সাহেব নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। তাকে বারবার ক্ষমতা ও ধন সম্পদের লোভ দেখানো সত্ত্বেও দেশের মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন।

১১. উদ্দীপকে কোন নেতার চরিত্র ফুটে উঠেছে? 

ক). বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ) এ. কে. ফজলুল হক 

গ) মওলানা ভাসানী

ঘ) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

উ:ক

সৃজনশীল প্রশ্ন    


১. 



খ. ২৫শে মার্চ রাতকে 'কালরাত্রি' বলা হয় কেন?
গ. ছকে প্রদর্শিত তথ্যসমূহ দ্বারা কোন ঐতিহাসিক ঘটনা প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত ঘটনার ফলে এ দেশের জনগণ দেশকে শত্রুমুক্ত করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে উদ্বুদ্ধ হয়— বিশ্লেষণ করো।
২. আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে 'ক' গ্রামের লোকজন ‘খ' গ্রামের উপর ক্ষিপ্ত হয়। রাতের অন্ধকারে 'ক' গ্রামের লোকজন 'খ' গ্রামের মানুষদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। 
এতে অনেক মানুষ হতাহত  হয়।
ক. মুজিবনগর সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
খ. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
গ. 'ক' গ্রামের নৃশংস হত্যাকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের হত্যাকাণ্ডই মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করে— বিশ্লেষণ করো।
৩.


                         চিত্র-১                                                 চিত্র-২
(চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২১: যশোর বোর্ড ২০২১।
ক. 'অপরাজেয় বাংলা' ভাস্কর্যটি কীসের প্রতীক?
খ. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের নকশার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
গ. চিত্র-১ বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়? বর্ণনা করো।
ঘ. চিত্র-২ বাংলাদেশের মানুষের বহু আকাঙ্ক্ষিত অর্জন'- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

৪. যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গে এক কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেছিলেন। যে ভাষণে তিনি দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন ক্রীতদাসদের মুক্তির কথা। 
তার ভাষণ ক্রীতদাসদের সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছিল। পাশাপাশি সব বর্ণ ও ধর্মের মানুষকে দিয়েছিল সাম্যের শিক্ষা। মালিক ও শ্রমিকের ব্যবধান ঘোচানো এ ভাষণ ১৮৬৫
 সালে গৃহযুদ্ধ অবসানে রেখেছিল অসামান্য অবদান । 
ক. 'শিখা চিরন্তন' কী?
খ. আগরতলা মামলার পটভূমি ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ভাষণের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের যে ভাষণের মিল আছে তার গুরুত্ব আলোচনা করো ।
ঘ. “উক্ত ভাষণ ইতিহাসে এক কালজয়ী অধ্যায়ের সূচনা করে” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url