কৃষি উপকরণ

অধ্যায় ২: কৃষি উপকরণ

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।


পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ২:কৃষি উপকরণ

তথ্যকণিকা(Information)

এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।

  • বীজ উৎপাদনের জমিতে জৈব পদার্থ থাকা উচিত— অন্তত শতকরা ২ ভাগ। 
  • বীজ উৎপাদনের জন্য আবশ্যক - প্রত্যায়িত বীজ।
  • ১ লিটার পানিতে ৩০গ্রাম বরিক পাউডার মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট যাবৎ শোধন করা হয়— বীজ আলু ।
  • আলুর ভাইরাস রোগের বিকল্প বাহক হিসেবে কাজ করে— বথুয়া।
  • আলু চাষে নিম্ন তাপমাত্রা, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও মেঘলা আকাশ যুক্ত আবহাওয়াতে দেখা দেয়— মড়ক রোগ।
  • আলুর প্রধান ক্ষতিকারক পোকা— কাটুই।
  • মাটির উপরে আলু গাছের সম্পূর্ণ অংশ উপড়ে ফেলাকে বলে- হুম পুলিং।
  •  মাছ চাষের আদর্শ পুকুরের আয়তন --- ২০-২৫ শতক।
  • আদর্শ পুকুরের পাড়ের ঢাল - ১৪২।
  • পানিতে পরিমিত ফসফেটের উপস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে জন্মায় ফাইটোপ্লাংকটন ।
  • পুকুরের মধ্যস্তরের খাদ্য গ্রহণ করে- রুই।
  • পুকুরের সকল স্তরে বিচরণকারী মাছ তেলাপিয়া
  • মাছের প্রধান প্রাকৃতিক খাবার – ফাইটোপ্লাংকটন।
  • ক্লোরেলা, এনাবেনা, মাইক্রোসিস্টিস ইত্যাদি হলো— এককোষী শেওলা । 
  • ফাইটোপ্লাংকটনের পাশাপাশি জুপ্লাংকটনের উপস্থিতিতে পুকুরের পানির রং হয়- বাদামি সবুজ, লালচে সবুজ বা হলদেটে সবুজ। 
  • ড্যাফনিয়া, কপিপোড, রটিফার ইত্যাদি হলো- জুপ্লাংকটন। 
  • পুকুরের ঢালের অনুপাত বেশি করতে হয়— বেলে মাটিতে 
  • পুকুরের উপরে, পাড়ে বা তলদেশে জন্মানো বিভিন্ন সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে- গ্রাসকার্প।
  • পুকুরের উপরের তলের ধার ও মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে বলা হয়— বকচর ।
  •  মাটিতে বালির পরিমাণ বেশি হলে পুকুরের পাড়ের ঢালের অনুপাত— ১ : ৩।
  • জলজ আগাছা দমনে ব্যবহার করা হয়— কপার সালফেট, সিমাজিন।
  •  শোল, বোয়াল, চিতল, ফলি, টাকি, গজার ইত্যাদি হলো— রাক্ষুসে মাছ। 
  • পোনা পরিবহনের পলিথিন ব্যাগে ব্যবহার করতে হয়- অক্সিজেন । 
  • মাছের পোনার রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমে এবং পরজীবী মুক্ত হয়-- লবণ দ্বারা শোধনে।
  • বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মধ্যে মুক্ত জলাশয় ৮৮ ভাগ।
  • বিপন্ন প্রজাতির মাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ২৮টি প্রজাতি। 
  • কয়েকটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ হলো— রানি, পাবদা, টেংরা ইত্যাদি। 
  • মৎস্য সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়— ১৯৫০ সালে। 
  • ২৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ মাছকে বলা হয়- জাটকা। 
  • হাঁস-মুরগির আবাসন তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য— আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
  • ব্রয়লার মুরগিকে রেশন সরবরাহ করা হয়- ৩ প্রকার । 
  • ঝিনুক খোসা চূর্ণ,হাড়ের গুঁড়া, ডিমের খোসা, চুনাপাথর ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়—খনিজ পদার্থ ।
  • খামারে চলমান ব্যয় সব থেকে কম হয়— মুক্ত পালন পদ্ধতিতে। 
  • দেহে রক্ত তৈরি, হাড় গঠন, কোষের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে সহায়তা করে— সুষম রেশন।
  • রাফেজ জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকে- শক্তি। 
  • লিগিউম জাতীয় ঘসে বেশি পরিমাণে থাকে প্রোটিন। SSC কৃষিশিক্ষা মেইড ইজি প্রশ্নপত্র-৫ক
  • হে প্রস্তুতের সময় সবুজ ঘাসকে শুকিয়ে আর্দ্রতা নামিয়ে আনা হয়- ২০% বা তার নিচে।
  • আলফা-আলফা, খেসারি, ইপিল-ইপিল গাছের মূলে বাস করে রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া ।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন

ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)

প্রশ্ন-১. বীজ কাকে বলে?

 উত্তর: উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য যে অংশ ব্যবহার করা হয় তাকে বীজ বলে।

প্রশ্ন-২. উদ্ভিদতত্ত্ব অনুসারে বীজ কী? 

উত্তর: উদ্ভিদতত্ত্ব অনুসারে বীজ হলো নিষিক্ত ও পরিপর ডিম্বক।

প্রশ্ন-৩. কৃষিতত্ত্ব অনুসারে বীজ কাকে বলে? 

উত্তর: উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, শিকড় ইত্যাদি যে সকল অংশ বংশবিস্তারের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে বীজ বলে।

 প্রশ্ন-৪. হাম পুলিং কী?

 উত্তর: মাটির উপরে গাছের সম্পূর্ণ অংশকে উপড়ে ফেলাকে হাম পুলিং বলে ।

 প্রশ্ন-৫. রোগিং কী?

 উত্তর: বীজ বপনের পরে চারা গজালে কাঙ্ক্ষিত চারা রেখে অন্য জাতের চারা বা আগাছা তুলে ফেলাকে  রোগিং বলে।

 প্রশ্ন-৬. মাছের প্রাকৃতিক খাবার কী?

উত্তর: মাছের প্রধান প্রাকৃতিক খাবার হলো ফাইটোপ্লাংকটন ও জু-প্লাংকটন ।

 প্রশ্ন-৭. প্লাংকটন কী? 

উত্তর: প্লাংকটন হলো পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান অণুবীক্ষণিক জীব। 

প্রশ্ন-৮.মৌসুমী পুকুর কাকে বলে?

উত্তর: যে পুকুরে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় (৩-৮ মাস) পানি যাকে, গভীরতা বেশি হয় না এবং মাটি বেশি সময় পানি ধরে রাখতে পারে না তাকে মৌসুমি পুকুর বলে।

প্রশ্ন-৯. ডিম পোনা কাকে বলে? 

উত্তর: মাছের ডিম ফুটার পরের অবস্থাকে ডিম পোনা বলে।

প্রশ্ন-১০.ধানী পোনা কাকে বলে? 

 উত্তর: রেণু পোনা বড় হয়ে ধানের মতো আকার হলে তাকে ধানী পোনা বলে।

প্রশ্ন-১১. আঁতুড় পুকুর কাকে বলে?

উত্তর: যে পুকুরে রেণু পোনা ছেড়ে ধানী পোনা পর্যন্ত বড় করা হয় তাকে নার্সারি বা আঁতুড় পুকুর বলে ।

প্রশ্ন-১২.রুই মাছ কোন স্তরের খাবার খায়? 

 উত্তর: রুই মাছ মধ্যস্তরের খাবার খায়।


প্রশ্ন-১৩. কোন সময় পুকুরে খাবার প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়?

উত্তর: পুকুর অত্যধিক সবুজ হয়ে গেলে খাবার প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়।

প্রশ্ন-১৪.ফসটক্সিনে কী? 

 উত্তর: ফসটক্সিন হলো এক ধরনের রাসায়নিক বিষ যা দ্বারা মাছ মারা হয়।

প্রশ্ন-১৫. মহুয়ার খৈল কী? 

 উত্তর: মহুয়ার খৈল বা রোটেনন এক প্রকার মাছ মারার বিষ । যা দিয়ে রাক্ষুসে ও অচাষযোগ্য মাছ দূরীকরণ করে পুকুরকে মাছ চাষের উপযোগী করা হয়।

প্রশ্ন-১৬. মৎস্য অভয়াশ্রম কী?

উত্তর: কোনো জলাশয় বা এর নির্দিষ্ট অংশ যেমন- হাওর, বিল বা নদীর অংশ যেখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বা সারাবছর বা দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ীভাবে মাছ ধরা নিষেধ করে মাছের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রজননের ব্যবস্থা করা হয় তাকে মৎস্য অভয়াশ্রম বলে। 

প্রশ্ন-১৭.বর্তমানে দেশে মোট কতটি মৎস্য অভয়াশ্রম আছে?

উত্তর: বর্তমানে দেশে মোট ৫০০টি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে। 

প্রশ্ন-১৮. কারেন্ট জাল বা ফাস জাল কী? 

 উত্তর: ৪৫ সেমি বা তার কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জালকে কারেন্ট জাল বা ফাঁস জাল বলে ।

প্রশ্ন-১৯. জাটকা কী?

 উত্তর: ২৩ সেমি বা ৯ ইঞ্চির নিচের আকৃতির ইলিশের বাচ্চাকে জাটকা বলে ।

প্রশ্ন-২০. হ্যাচারি ঘর কী? 

 উত্তর: হাঁস-মুরগির হ্যাচারি খামারের অন্তর্গত যে ঘরে বাচ্চা ফোটে তাকে হ্যাচারি ঘর বলা হয়।

প্রশ্ন-২১. গ্যাবল টাইপ ঘর কী? 

 উত্তর: আবদ্ধ অবস্থায় হাঁস-মুরগি পালনের জন্য দোতালা টাইপ ঘরকে বলে গ্যাবল টাইপ ঘর।

প্রশ্ন-২২. হে তৈরির জন্য কোন ধরনের ঘাস উপযোগী?

উত্তর: হে তৈরির জন্য শিম গোত্রীয় ঘাস যেমন- সবুজ খেসারি, মাসকলাই বেশি উপযোগী।

 প্রশ্ন-২৩.মুরগি খামার পরিচালনায় কোন খাতে খরচ বেশি হয়? 

উত্তর: মুরগি খামার পরিচালনায় মোট খরচের ৭০ ভাগই খরচ হয় খাদ্য ক্রয় করতে।

প্রশ্ন-২৪. সুষম খাদ্য কাকে বলে?

উত্তর: যে খাদ্যে প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি, খনিজ লবণ ও ভিটামিন উপস্থিত থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে ।

প্রশ্ন-২৫. দানাদার খাদ্য কাকে বলা হয়?

উত্তর:যে খাদ্যে কম পরিমাণে আঁশ এবং বেশি পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায় তাকে দানাদার খাদ্য বলা হয় ।

প্রশ্ন-২৬. গুরুকে দৈনিক কত কেজি শুকানো খড় দিতে হয়?

উত্তর: গরুকে দৈনিক ৩-৪ কেজি শুকনো খড় দিতে হয়।

প্রশ্ন-২৭. সুষম রেশন কাকে বলে?

 উত্তর: যে রেশনে পাখির প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি, খনিজ লবণ ও ভিটামিন উপস্থিত থাকে তাকে সুষম রেশন বলে।

প্রশ্ন-২৮.সাইলেজ কী?

 উত্তর: রসালো অবস্থায় ফুল আসার সময় সবুজ ও সতেজ। ঘাসকে কেটে টুকরো করে সেগুলো বায়ুরোধী অবস্থায় সংরক্ষণ করাই হলো সাইলেজ ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  

খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)

প্রশ্ন-১. বীজ সংগ্রহ 'বীজ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ  -ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বীজ উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া। বীজ সংগ্রহ বীজ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বীজ উৎপাদনের জন্য আগে |১২৭ বীজ সংগ্রহ করতে হবে নয়তো বীজ উৎপাদন সম্ভব নয়। বীজ পরিপক্ক হওয়ার পর পরই কাটতে হবে। তারপর মাড়াই করে ঝেড়ে পরিষ্কার করে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। সঠিকভাবে বীজ সংগ্রহ না করলে পরবর্তীতে বীজ ঠিকমতো উৎপাদন হবে না। ফলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে।

প্রশ্ন-২. রোগিং করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: রোগিং বা বাছাইকরণ হলো কাঙ্ক্ষিত ফসলের জমি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ তুলে ফেলা ।রোগিং করার ফলে ফসল বীজের মৌলিক বিশুদ্ধতা বজায় থাকে। এর মাধ্যমে উন্নত গুণাগুনসম্পন্ন বীজ উৎপাদন এবং রোগ ও পোকার বিস্তার রোধ করা যায়।এ পদ্ধতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ তুলে ফেলা হয় বলে পুষ্টি ও আলো-বাতাস নিয়ে জমিতে প্রতিযোগিতা কম হয় এবং নির্বাচিত গাছ সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

প্রশ্ন-৩. আলুর হাম পুলিং করা হয় কেন?

 উত্তর: আলু গাছে মাটির উপরে গাছের সম্পূর্ণ অংশ উপড়ে ফেলাকে হাম পুলিং বলে। হাম পুলিং এর ফলে আলুর ত্বক শক্ত হয়, রোগাক্রান্ত গাছ থেকে রোগ বিস্তার কম হয় এবং আলুর সংরক্ষণগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই আলুতে হাম পুলিং করা হয়।

প্রশ্ন-৪. বীজ উৎপাদনের জন্য বীজ জমি পৃথকীকরণ গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। 

 উত্তর: বীজ উৎপাদনের জন্য নির্বাচিত জমি ও পার্শ্ববর্তী একই ফসলের জমির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বের ব্যবধান থাকাকে বীজ জমি পৃথকীকরণ বলে । বীজ জমি পৃথকীকরণের উদ্দেশ্য হলোবীজের জন্য উৎপাদিত শস্যের সাথে অন্য বীজের সংমিশ্রণ রোধ করা। বীজ ফসলের পাশেই একই ফসলের জমি থাকলে বীজ ফসলের বীজের সাথে যেকোনো মাধ্যমে সংমিশ্রণ হবার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি পরাগায়নের মাধ্যমে জাতের বিশুদ্ধতা নষ্ট হতে পারে। এ কারণে বীজ জমি পৃথক রাখতে হয় ।

প্রশ্ন-৫. মাছ চাষের ক্ষেত্রে সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: মাছ চাষের ক্ষেত্রে সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা অধিক। যে পুকুরে সূর্যালোক বেশি পড়ে সেখানে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে সেখানে ফাইটোপ্লাংকটন বেশি উৎপাদিত হয় যা খাদ্যের যোগান দিয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় যে অক্সিজেন তৈরি করে তা পুকুরের পানিতে দ্রবীভূত হয় । পুকুরের বসবাসকারী মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণী এ অক্সিজেন দ্বারা শ্বাসকার্য চালায়। তাই পুকুরে অক্সিজেন তৈরিতে সূর্যালোকের সালোকসংশ্লেষণ প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম

প্রশ্ন-৬. প্লাংকটনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: পুকুরে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন প্লাংকটন (উদ্ভিদ ও প্রাণিকণা) হলো মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য ।প্লাংকটন মাছের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রধান উৎস। প্রাণীকণা থেকে মাছ প্রায় ৪০%-৭০% প্রাণিজ আমিষ পেয়ে থাকে। এ প্রাকৃতিক খাদ্য মাছ চাষের খরচকমিয়ে দেয় এবং রাসায়নিক খাদ্যের ক্ষতি থেকে মাছকে নিরাপদ রাখে। প্লাংকটনের উপস্থিতিতে মাছ চাষ করলে রোগবালাই কম হয় এবং স্বাস্থ্যবান ও পুষ্ট মাছ পাওয়া যায় ।

প্রশ্ন-৭. জু-প্লাংকটন ও ফাইটোপ্লাংকটন কী? উদাহরণ দাও ।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান গ্রুপ), বরিশাল। উত্তর: পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান অণুবীক্ষণিক প্রাণীকণাকে জু- প্লাংকটন বলে । যেমন- ড্যাফনিয়া, কপিপোড, রটিফার। পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান এককোষী শেওলা বা অণুবীক্ষণিক উদ্ভিদকণাকে ফাইটোপ্লাংকটন বলে। যেমন- ক্লোরেলা, এনাবেনা, মাইক্রোসিস্টিস। পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটন উপস্থিত থাকলে পানির রং সবুজ বা সবুজাভ হয়। আর পানির রং বাদামি সবুজ, লালচে সবুজ বা হলদেটে সবুজ থাকলে বোঝা যায় ফাইটোপ্লাংটনের পাশাপাশি জু-প্লাংকটনও উপস্থিত।

প্রশ্ন-৮. পুকুরের গভীরতা বেশি হওয়া ভালো নয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মাছ চাষের জন্য পুকরের গভীরতা ০.৭৫-২ মিটার হওয়া সুবিধাজনক ।মাছ চাষের জন্য পুকরের গভীরতা বেশি হওয়া ভালো নয়। কারণ, গভীরতা বেশি হলে সূর্যের আলো পুকুরের অধিক গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে অধিক গভীর অঞ্চলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন তৈরি হয় না। আবার সেখানে অক্সিজেনের অভাবও হতে পারে। এসব কারণে মাছের ক্ষতি হতে পারে ও উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।

 প্রশ্ন-৯. বেনথোস বলতে কী বোঝ?

উত্তর: বেনথোস হলো পুকুরের ভিতরে বসবাসকারী জীব। যেমন ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ।  জা তলদেশে কাদার উপরে বা শামুক, ঝিনুক, পচনকারীএই পচনকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো পুকুরে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ এবং জৈব পদার্থ পচিয়ে উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান যেমন- নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি মুক্ত করে। ফলে পানিতে পুষ্টি উপাদান বাড়ে যা প্লাংকটনের পুষ্টি যোগায়। মাছ উক্ত প্লাংকটন খেয়ে জীবনধারণ করে। আর বেনথোস এইভাবে মাছের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন-১০. পুকুরের তলদেশে বেশি কাদা থাকা উচিত নয় কেন? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: পুকুরের তলদেশে বেশি কাদা থাকলে মাছের বৃদ্ধি ও ফলন ব্যাহত হয়। পুকুরের তলদেশে ২০-২৫ সেমি এর অতিরিক্ত কাদা থাকলে পানি ঘোলা হয়ে যায়। ফলে পানিতে সূর্যালোক প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হয়ে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাছাড়া পুকুরের তলায় বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও পোকামাকড় পুকুরের পরিবেশকে দূষিত করে ফেলে। তাই পুকুরের তলদেশে বেশি কাদা থাকা উচিত নয় ।

প্রশ্ন-১১.পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: চুন পুকুরে প্রয়োগকৃত অন্যান্য সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ছন মাটি ও পানির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং পানির পিএইচ ঠিক রাখে। এছাড়া মাছের রোগবালাই দূর করে। এ সমস্ত কারণে পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হয় ।

প্রশ্ন-১২. পুকুর থেকে রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করা হয় কেন?

 উত্তর: যেসব মাছ চাষের মাছকে খেয়ে ফেলে তাকে রাক্ষুসে মাছ বলে। বিভিন্ন রাক্ষুসে মাছ, যেমন- শোল, বোয়াল, চিতল, টাকি, গজার ইত্যাদি মাছ অন্য মাছ বা পোনা খেয়ে ফেলে। আবার চাষকৃত মাছের জায়গা, খাদ্য, অক্সিজেন সবকিছুতেই ভাগ বসায়। এর ফলে চাষকৃত মাছের উৎপাদন কমে যায়। এজন্য পুকুর হতে রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করা জরুরি।

প্রশ্ন-১৩. পুকুরে সার প্রয়োগের কারণ ব্যাখ্যা করো। 

 উত্তর: পুকুরে সার প্রয়োগের ফলে পানিতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয়। মাছের প্রধান প্রাকৃতিক খাবার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্লাংকটন। সার প্রয়োগের ফলে পানিতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন— ফসফরাস, পটাশিয়াম পানিতে মিশে যায়। এ পুষ্টি উপাদান ব্যবহার করে পানিতে ফাইটোপ্লাংকটন ফাইটোপ্লাংকটনের ওপর নির্ভর করে  জু-প্লাংকটন তৈরি হয়। আর তৈরি হয়। এগুলো মাছের লাভজনক উৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যক।

প্রশ্ন- ১৪. শীতকালে পুকুরে সার ও খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয় কেন? 

উত্তর: তাপমাত্রায় বৃদ্ধির ওপর মাছের বৃদ্ধি নির্ভর করে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন বেড়ে যায়। শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাছের বৃদ্ধি কমে যায়। শীতকালে পুকুরে অতিরিক্ত সার ও খাদ্য প্রয়োগ করলে মাছ তা গ্রহণ করতে পারে না। এ সময় মাছ কম পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে । তাই মাছের খাদ্যের অপচয় কমাতে শীতকালে পুকুরে সার। ও খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়।

প্রশ্ন-১৫. মাছের অভয়াশ্রম বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মৎস্য অভয়াশ্রম হচ্ছে কোনো জলাশয় বা এর একটি নির্দিষ্ট অংশ যেখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বা সারাবছর বা দীর্ঘমেয়াদের জন্য অথবা স্থায়ীভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।অনেক সময় উক্ত স্থানে যেন মাছ আহরণ না করা হয় সেজন্য পাছের ডালপালা, বাঁশ স্থাপন করা হয়। এতে মাছের নিরাপদ আশ্রয়, বিচরণ ও অবাধ প্রজনন সুনিশ্চিত হয়।

 প্রশ্ন-১৬.“মৎস্য সংরক্ষণ আইন” প্রণীত হয়েছিল কেন?

উত্তর: ১৯৫০ সালে সরকার “মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ ১৯৫০" প্রণয়ন করে। যা 'মৎস্য সংরক্ষণ আইন' নামে পরিচিত। এই আইন প্রণীত হওয়ার কারণগুলো হলো

  • প্রাকৃতিক জলাশয়ে পোনা মাছ ও প্রজননক্ষম মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ।
  • হারিয়ে যাওয়া প্রজাতিকে সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখা। 
  • মাছের আকার, প্রজনন ও বৃদ্ধির সময় উপযোগী রাখা।
  • অবাধে পোনা আহরণকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা এবং পোনা আহরণ থেকে বিরত রাখা।

প্রশ্ন-১৭. ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি ও চরম বিপন্ন প্রজাতি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যেসব প্রজাতি বিপন্ন (অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকি মোকাবেলা করছে) না হলেও মধ্যমেয়াদি ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি বলে। 

যেমন: বাংলাদেশে ১৪ প্রজাতির মাছকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যার মধ্যে ফলি, গুলশা, কাজলি, মেনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।

যেসব প্রজাতি প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে অচিরেই বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকি মোকাবেলা করছে তাদের চরম বিপন্ন প্রজাতি বলে। যেমন: বাংলাদেশে ১২ প্রজাতির মাছকে চরম বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যার মধ্যে সরপুঁটি, মহাশোল, বাঘাআইড় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন-১৮. দ্রুত মুনাফা পেতে কোন ধরনের মুরগির খামার করা উত্তম? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: দ্রুত মুনাফা পেতে উন্নত জাতের লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির খামার করা উত্তম।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা ২:১। অর্থাৎ ব্রয়লার মুরগি ২ কেজি খাবার খেয়ে ১ কেজি ওজন প্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে দেশি জাতের মুরগির খাদ্য গ্রহণ ও বৃদ্ধির পরিমাণ সে তুলনায় কম। দেশি জাতের মুরগি বছরে ৫০-৬৫টি ডিম দিয়ে থাকে ...অপরদিকে উন্নত জাতের লেয়ার মুরগি বছরে ২০০-২৫০টি ডিম দিয়ে থাকে। অর্থাৎ উন্নত জাতের মুরগির মাংস ও ডিম উৎপাদন ক্ষমতা দেশি জাতের তুলনায় অধিক হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়া যায়।

 প্রশ্ন-১৯.আঁশ জাতীয় খাদ্য বলতে কী বোঝায়?

 উত্তর: যেসব খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকে এবং কম পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়, তাকে আঁশজাতীয় খাদ্য বলে। যেমন- খড়, ঘাস, সাইলেজ প্রভৃতি। আঁশ জাতীয় ঘাস, গবাদিপশু চারণভূমি থেকে পেয়ে থাকে বা ঘাস কেটে পশুকে সরবরাহ করা হয়। সৃজনশীল বহুনির্বাচনি

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১.নিচের কোনটি উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজ?

 (ক) আদা

 খ) কচু

 গ) বরবটি

 ঘ)গম

 উ:গ

২.নিচের কোনটি কৃষিতাত্ত্বিক বীজ? 

ক) আলু

 খ) ধৈঞা

 গ) শিম

 ঘ)গম

 উ:ক

৩. রসুন কী জাতীয় বীজ? 

(ক) অাজ

(খ) দানা

গ) সবজি

(ঘ) মসলা

উ:ক

8.বীজ উৎপাদনের জন্য নির্বাচিত জমিতে কত ভাগ জৈব পদার্থ থাকা উচিত?

ক) ১%

খ) 2%

গ)৩%

ঘ) 8%

উ:খ

৫.বীজ উৎপাদনের জন্য অবশ্যই কোন বীজ সংগ্রহ করতে হবে?

ক)প্রত্যায়িত

খ) মৌল 

গ) ভিত্তি 

ঘ) অঙ্গজ

উ:ক

৬.জমিতে কয় পর্যায় রোগিং করতে হয়? 

ক) দুই

খ)তিন

গ) চার

ঘ)পাঁচ

উ:খ

৭.রগিং বা বাছাইকরণ করা হয়— 

i ফুল আসার আগে

ii. ফুল আসার পরে

iii. ফুল আসার সময়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ)ii ও iii

ঘ)i, ii ও iii

উ:খ

৮.বীজ আলু শোধন করতে ৩ লিটার পানিতে কত গ্রাম বরিক এসিড মিশাতে হবে?

ক)৩০

খ) ৬০

গ)৯০

ঘ) ১২০

উ;গ

৯.আলুর ভাইরাস রোগের বিকল্প বাহক হিসেবে কোনটি কাজ করে? 

ক)দূর্বা

খ) মেথি

(গ) বথুয়া

 ঘ) কাঁটানটে

উ:গ

১০.কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আকাশ অবস্থা আলুতে কোন রোগের আক্রমণ বেশি দেখা যায়?

(ক) ব্লাস্ট রোগ

(খ) ডাইব্যাক রোগ

(গ) লেইট ব্লাইট রোগ

(ঘ) উইন্ট রোগ

উ:গ

১১. আলুর কোন রোগ ব্যাপক ক্ষতি করে?

(ক) আলুর মড়ক

খ) ঢলে পড়া

গ) কাণ্ড পচা

ঘ) ভাইরাসজনিত

উ:ক

১২. আলুর মড়ক রোগে কোন জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়?

(ক) ছত্রাকনাশক

(খ) ভাইরাসনাশক

(গ) শৈবালনাশক

(ঘ) ব্যাকটেরিয়ানাশক

উ:ক

১৩. আলুর প্রধান ক্ষতিকারক পোকা কোনটি?

ক) কাটুই পোকা

খ) লেইট ব্লাইট

গ)জাব পোকা

(ঘ) বিছা পোকা

উ:ক

১৪. জাব পোকা আলু গাছের কী খায়?

(ক) পাতা

খ) ডাল

(গ) শিকড়

(ঘ) রস

উ:ঘ

১৫. কোন ফসলের ক্ষেত্রে হাম পুলিং করা হয়?

(ক) পাট

(খ) ডাল

গ) আলু

ঘ) বেগুন

উ:গ

১৬. মাটির উপরে আলু গাছের সম্পূর্ণ অংশ উপড়ে ফেলাকে কী বলে?

ক) রোগিং

খ) হাম পুলিং

গ)মালচিং

ঘ)পুলিং 

উ:গ

১৭.আলু সংগ্রহের কত দিন পূর্বে হাম পুলিং করতে হয়?

ক)৪-৬ দিন

খ)  ৭-১০ দিন

গ)১২-১৫ দিন

ঘ)১৬-২০ দিন

উ:খ

১৮. সাধারণত কোন সময় পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়? 

(ক) সকালে

(খ) দুপুরে

গ) বিকেলে 

ঘ) সন্ধ্যায় 

উ;ক

১৯. পুকুরের কোন স্তরে দ্রবীভূত অক্সিজেন ও তাপমাত্রা খুব কম থাকে?

ক) উপরের স্তরে

(খ) মধ্যস্তরে 

(গ) নিচের স্তরে

(ঘ) সবস্তরে

উ:গ

২০. পুকুরে পানির ভৌত গুণাগুণ হলো— 

i. গভীরতা

ii. পিএইচ (pH) মান

iii. তাপমাত্রা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i. ii

(খ) i ও iii

(গ)  ii ও iii

(ঘ)i. ii ও iii

উ:খ

২১. আদর্শ পুকুরের জন্য মাটি সবচেয়ে ভালো হয়--

i. দো-আঁশ

ii. পলি দো-আঁশ

iii. এঁটেল দো-আঁশ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i. ii

(খ) i ও iii

(গ)  ii ও iii

(ঘ)i. ii ও iii

উ:ঘ

২২.পুকুরের পাড়ে বড় গাছ থাকলে—

i. সূর্যালোক ও বাতাসের ঘাটতি হবে

ii. ফাইটোপ্লাংটন বৃদ্ধি ব্যাহত হবে

iii. খাদ্য খরচ কম হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i. ii

(খ) i ও iii

(গ)  ii ও iii

(ঘ)i. ii ও iii

উ:ক

২৩. স্বাভাবিক সীমা থেকে pH এর মান বেশি হলে পুকুরের পানিতে দিতে হবে— 

i. অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট

ii. অ্যামোনিয়াম সালফেট

iii. তেঁতুল মিশ্রিত পানি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i. ii

(খ) i ও iii

(গ)  ii ও iii

(ঘ)i. ii ও iii

উ:গ

২৪. নিচের কোনটি দেখে পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটনের উপস্থিতি বোঝা যায়?

(ক) পানি স্বচ্ছ থাকলে

(খ) পানি সবুজাভ থাকলে

গ) পানি ঘোলা থাকলে

(ঘ) পানি বাদামি থাকলে

উ:খ

২৫. মাছের পোনা আঙ্গুলের মত লম্বা হলে কী বলা হয়?

ক)ধানী পোনা

(খ) ডিম পোনা

গ) রেণু পোনা

(ঘ) চারা পোনা

উ:ঘ

২৬. নিচের কোন মাছটি মৌসুমী পুকুরে চাষ উপযোগী?

(ক) সিলভার কার্প

(খ) কাতলা

গ) মৃগেল

ঘ) রুই

উ:ক

২৭. লালন পুকুরের গভীরতা কত মিটার? 

ক)১-১.৫

খ)১.৫-২

গ)২-০

ঘ)১.৫-৩

উ:খ

২৮. কোন মাছ পুকুরের মধ্যস্তরের খাবার খায়? 

ক) শ রুই

 (খ) কাতলা 

(গ) মুগেল 

(ঘ) মাগুর

উ:ক

 ২৯. নিচের কোন মাছ পুকুরের উপরের স্তর থেকে খাদ্য গ্রহণ করে?

i. রুই 

ii. কাতলা

iii. সিলভার কার্প

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i. ii

(খ) i ও iii

(গ)  ii ও iii

(ঘ)i. ii ও iii

উ:গ

৩৫. কোনটি এককোষী শেওলা? 

ক) এনাবেনা

(খ) ড্যাফনিয়া

গ)নেকটন

 (ঘ) বেনথোস 

উ:ক

৩৬. ফাইটোপ্লাংকটনের পাশাপাশি জুপ্লাংকটন থাকলে পানির রং হতে  পারে--

i. গাড় সবুজ

ii. বাদামি সবুজ

iii. লালচে সবুজ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i. ii

(খ) i ও iii

(গ)  ii ও iii

(ঘ)i. ii ও iii

উ:গ

৩৭. নিচের কোনটি জু-প্লাংকটন? 

ক)কোরেলা

খ) রটিফার

গ) মাইক্রোসিস্টিস

ঘ) এনাবেনা

উ:খ

৩৮. নিচের কোনটি ডুবন্ত উদ্ভিদ? 

ক) শুসনি শাক

(খ) পানি ফল

গ) আড়াইল

ঘ) নাজাস

উ:ঘ

৩৯.কোন উদ্ভিদটি পানির তলদেশে থাকে?

ক)আড়াইল

খ) নাজাস

গ) হেলেঞ্চা

ঘ) শাপলা

উ:খ

৪০. কোন ধরনের মাটিতে পুকুরের ঢালের অনুপাত বেশি করতে হয়?

ক)এঁটেল মাটি

খ)বেলে মাটি

গ) দোআঁশ মাটি

ঘ) কাদা মাটি

উ:

৪১. নিচের কোনটি রাক্ষসে মাছ নয়?

ক) বোয়াল 

খ)চাপিলা

 গ) গজার 

ঘ) শোল 

উ:ঘ

নিচের উদ্দীপকটি পড় ৪২ ও ৪৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

 আবু মিয়া তাঁর বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরটিতে পোনা ছাড়ার উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পারেন যে পুকুরের উপরের স্তরে ও পাড় সংলগ্ন স্থানে জলজ উদ্ভিদের পরিমাণ বেশি। তাই সে পুকুরের পানির মধ্য স্তরেও পর্যবেক্ষণ করেন সেখানে জলজ ভাসমান আগাছা জন্মাতে শুরু করেছে। আবু চিন্তায় পড়লেন সে কি পোনা ছাড়বে না কি পুকুর শুকিয়ে নেবে। 

৪২. আৰু পুকুরে পোনা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কোন মাছে পোনা নির্বাচনে প্রাধান্য দিবে?

ক)সিলভার কার্প

খ)মৃগেল

গ) গ্রাস কার্প

(ঘ) বুই

উ:খ

নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং ৪৪ ও ৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

                                              পুরানো একটি পুকুরের           

৪৪. চিত্রের পুকুরটিতে মাছ চাষের জন্য কোন মাছ নির্বাচন করতে হবে?

ক)সিলভার কার্প

খ) কাতলা

গ) গ্রাস কার্প

(ঘ) বুই

উ:গ

৪৫. চিত্রের পুকুরটিতে কীসের অভাবজনিত ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

ক)খাদ্যের

খ)অক্সিজেনের

গ) সূর্যালোকের

(ঘ) জুপ্লাংকটন

উ:খ

৪৬. 'সিমাজিন' কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?

(ক) মাটি শোধনে

খ) আখ-বীজ শোধনে

গ) পানি পরিশোধনে

ঘ) জলজ আগাছা দমনে

উ:ঘ

৪৭. জলজ আগাছা দমনে কোনটি ব্যবহৃত হয়?

ক)চুন

খ)রোটেনন

গ) ফসটক্সিন

(ঘ) কপার সালফেট

উ:ঘ

৪৮. রাক্ষুসে মাছ অপসারণের জন্য নিচের কোনটির ব্যবহার উত্তম?

ক) চুন

খ)  রোটেনন 

গ)ট্যাবলেট

(ঘ) সরিষার খৈল

উ:খ

৪৯.পুকুরে প্লাংকটন উৎপাদনের জন্য কোনটি ব্যবহৃত হয়?

ক) সার

খ) রোটেনন 

গ)খৈল

ঘ)চুন

উ:ক

সৃজনশীল প্রশ্ন

১. নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:-

ক. মৎস্য অভয়াশ্রম কী?
খ.রগিং বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের চিত্র অঙ্কন করে ক, খ, ঘ, ঙ, চ অংশগুলো চিহ্নিত করো । 
 ঘ. উদ্দীপকের চিহ্নিত অংশগুলো সঠিকভাবে তৈরি করা না হলে মাছ চাষে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? বিশ্লেষণ করো ।
 2. পুকুর হচ্ছে চাষযোগ্য মাছের বাসস্থান। মাছ চাষের পুকুরে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার যা চাষ প্রক্রিয়াকে লাভজনক করে তোলে। তা ছাড়া মাছ চাষের পুকুরের পানির দুই ধরনের, যথা— ক. ভৌত খ. রাসায়নিক গুণাগুণ থাকে যা মাছের বেঁচে থাকা, খাদ্য গ্রহণ ও আশানুরূপ বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ক. প্লাংকটন কী?
খ. পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'ক' এর গুণাগুণমূহ কীভাবে মাছ চাষের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে? তা বিশ্লেষণ করো।
৩.মনির তার বাড়ির পাশের একখণ্ড জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষের সিদ্ধান্ত নিলেন। এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলেন ।মৎস্য কর্মকর্তা তাকে মাছ চাষের জন্য পুকুরের বিভিন্ন স্তর বিবেচনায় রেখে কার্প জাতীয় মাছ চাষের পরামর্শ দিলেন। সঠিক পদ্ধতিতে পুকুর খনন, পুকুর প্রস্তুতকরণ ও পুকুরের মাছের পোনা ছাড়ার পদ্ধতিসহ মাছ চাষে অন্যান্য করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলেন। মৎস্য কর্মকর্তা আরও বললেন, “মাছের ভালো ফলন প্রাপ্তিতেসঠিকভাবে পুকুর খনন ও পুকুর প্রস্তুতকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ” । সে অনুযায়ী মাছ চাষ করে মনির বেশ লাভবান হলেন । 
ক. প্লাংকটন কী?
খ. মাছ চাষের পুকুরে চুন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো । 
গ. মনিরের মাছ চাষের পুকুরের বিভিন্ন স্তরের সচিত্র ব্যাখ্যা দাও। 
ঘ)“মাছের ভালো ফলন প্রাপ্তিতে সঠিকভাবে পুকুর খনন ও পুকুর প্রস্তুতকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ’– মৎস্য কর্মকর্তার এই উক্তিটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।

৪.

         


 

ক. অঙ্গজ বীজ কাকে বলে?
খ. আলুর বীজ শোধন করতে হয় কেন?
গ. ২০ শতক জমিতে উপরিউক্ত উপকরণটি উৎপাদনে সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি বর্ণনা করো ।
ঘ. বংশবিস্তারক উপকরণ হিসেবে চিত্রে উল্লিখিত ফসল শ্রেণির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।


৫.মাছ চাষে পুকুরের পানির গুণাগুণ

ক. বেনথোস কাকে বলে?
খ. পুকুরের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকের প্রদর্শিত B চিহ্নিত গুণাগুণগুলো বিশ্লেষণ করো।
ঘ) পুকুরে C চিহ্নিত গুণাগুণ রক্ষায় তুমি কী ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে আলোচনা করো ।

৬. অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ সাহেব তাঁর বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কয়েক মাস পর তিনি লক্ষ করেন মাছের উৎপাদন ভালো হচ্ছে না।তখন তিনি মৎস্য কর্মকর্তার নিকট যান এবং পরামর্শ নেন। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে রাক্ষুসে মাছ নিধন ও চুন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দেন।পরবর্তীতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে লাভবান হতে থাকেন। 
ক. FCR এর পূর্ণরূপ লেখো।
খ. মাছের পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করা হয় কেন ?
গ. ফরিদ সাহেবের রাক্ষুসে মাছ নিধনের কৌশল ব্যাখ্যা করো। 
ঘ.মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে ফরিদ সাহেবের মৎস্য চাষে লাভবান হওয়ার বিষয়টি বিশ্লেষণ করো।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url