কৃষি প্রযুক্তি
অধ্যায় ১: কৃষি প্রযুক্তি
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ১:কৃষি প্রযুক্তি
তথ্যকণিকা(Information)
এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
- কৃষি কাজ করার প্রক্রিয়াকে বলা হয়- কৃষি প্রযুক্তি ।
- ভূ-পৃষ্ঠের ১৫-১৮ সেমি গভীর স্তরকে বলা হয়-- মাটি।
- ধান চাষের জন্য উপযোগী — কাদা ও কাদা দোআঁশ মাটি।
- গম চাষের জন্য উপযোগী মাটি— বেলে দোআঁশ ও এঁটেল দোআঁশ ।
- মাটির প্রকৃতি ও গঠন অনুযায়ী বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছে— ৩০টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে।
- ধান উৎপাদনের জন্য উপযোগী কাদামাটি অঞ্চল ।
- কাদা ও পলি কাদা বিশিষ্ট মাটি পাওয়া যায় কাদামাটি অঞ্চলে।
- বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চলের মাটির অম্লমান মাত্রা- ৫.৫-৬.৫।
- উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির অম্লমান মাত্রা ৭-৮.৫।
- মাটি ওলট-পালট হয়, বায়ু চলাচল করতে পারে এবং অণুজীবের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ভূমিকর্ষণের ফলে।
- খনার বচন অনুযায়ী ধান চাষের জন্য মাটিতে চাষ দিতে হয়- ৪টি।
- আস্তরণ ভূমিক্ষয়ের দ্বিতীয় ধাপ- রিল ভূমিক্ষয়।
- বাত্যাজনিত ভূমিক্ষয়ের প্রকোপ দেখা যায়— চৈত্র-বৈশাখ মাসে ।
- ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণ হলো— বৃষ্টিপাত।
- ভূমিক্ষয় কম হয়— বেলে দোআঁশ মাটিতে।
- সচ্ছিদ্রতা, শোষণ ক্ষমতা ও ধারণ ক্ষমতা কম থাকে কাদা ও ভারী মাটির।
- চিনাবাদাম ও বিভিন্ন ডালের জাত যেমন- মাসকলাই চাষের মাধ্যমে রোধ করা যায়— ভূমিক্ষয়।
- জৈব পদার্থ অধিক মাত্রায় প্রয়োগে ভালো হয়— মাটির দানাবন্ধন।
- পাহাড়ের ঢালে আড়াআড়ি সমন্বিত লাইনে চাষ করা হয়— কন্টোর পদ্ধতিতে।
- জমি থেকে যখন ফসল কাটা হয় তখন বীজের আর্দ্রতা থাকে— ১৮% থেকে ৪০% 1
- পরবর্তী মৌসুমের জন্য বীজ সংরক্ষণে আর্দ্রতা রাখতে হবে- ১২% বা এর নিচে।
- ভালো বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা- ৮০% ।
- মাছ চাষে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি বাহির থেকে যে অতিরিক্ত খাদ্য দেওয়া হয় তাকে বলে- সম্পূরক খাদ্য।
- খাদ্য দেওয়া হয় তাকে বলে- সম্পূরক খাদ্য।
- আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষে খাদ্য ক্রয়ে খরচ হয় - ৬০%।
- মাছের খাদ্যে আর্দ্রতার পরিমাণ ১০% হলে জন্মায় ছত্রাক। .
- বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৫% এর বেশি হলে জন্মায় ছত্রাক ও পোকামাকড়।
- সম্পূরক খাদ্যের গুণগতমান নষ্ট করে- এনজাইম ও জারণ ক্রিয়া।
- সাধারণত ঘাসের তুলনায় লিগিউম জাতীয় ঘাসে বেশি পরিমাণে থাকে— প্রোটিন।
- হে তৈরির জন্য অধিক উপযোগী — সবুজ খেসারি, মাসকলাই ইত্যাদি।
- হে তৈরির ঘাসের আর্দ্রতা রাখা হয়- ১৫-২০%।
- ভুট্টা, নেপিয়ার, গিনি ঘাস উপযোগী- সাইলেজ তৈরির জন্য।
- সাইলোপিটে ঘাস রাখার সময় ছিটিয়ে দিতে হয়— ঝোলাগুড়।
- গরুকে দৈনিক খড় খাওয়াতে হয়- ৩ থেকে ৪ কেজি।
- একটি গরুকে দৈনিক ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক খেতে দিতে হবে- ৩০০ গ্রাম ।
- খৈল, শুঁটকি মাছের গুঁড়া ইত্যাদির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়— অ্যালজি।
- শুষ্ক অ্যালজিতে আমিষের পরিমাণ - ৫০-৭০%।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি উপস্থিত থাকে— অ্যালজিতে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. কৃষি প্রযুক্তি কী?
উত্তর: কৃষিকাজ করার জন্য যেসব ধারণা, পদ্ধতি, যন্ত্র বা জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়, সেগুলোই হচ্ছে কৃষি প্রযুক্তি অর্থাৎ বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত,বিরূপ অবহাওয়া সহনশীল জাত, বিভিন্ন ধরনের চাষ পদ্ধতি, বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন— ট্রাক্টর, সবুজ সার ইত্যাদি কৃষি প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত ।
প্রশ্ন-২. আলু চাষের ক্ষেত্রে কোন মাটি উপযোগী?
উত্তর: আলু চাষের ক্ষেত্রে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযোগী।
প্রশ্ন-৩. মাটি কী?
উত্তর: যেখানে ফসল জন্মায়, বন সৃষ্টি হয় এবং গবাদিপশু বিচরণ করে তাই মাটি।
প্রশ্ন-৪. কৃষকের ভাষায় মাটি কাকে বলে?
উত্তর: কৃষকের ভাষায়' ভূ-পৃষ্ঠের ১৫-১৮ সেমি গভীর স্তরকে মাটি বলা হয় ।
প্রশ্ন-৫. জমি প্রস্তুতির প্রধান ধাপ কী?
উত্তর: জমি প্রস্তুতির প্রধান ধাপ হলো ভূমি কর্ষণ ।
প্রশ্ন-৬. ভূমি কর্ষণ কাকে বলে?
উত্তর:মাটিকে খুঁড়ে বা আঁচড়ে আগাছামুক্ত, নরম,আলগা ও ঝুরঝুরে করার প্রক্রিয়াকে ভূমি কর্ষন বলে ।
প্রশ্ন-৭. জমি চাষ কাকে বলে?
উত্তর: ফসল ফলানোর উদ্দেশ্যে যন্ত্রপাতির সাহায্যে জমির উপরের স্তরের মাটি আলগা করাকে জমি চাষ বলে।
প্রশ্ন-৮. বাত্যাজনিত ভূমিক্ষয় কী?
উত্তর: গতিশীল বায়ু প্রবাহ কর্তৃক এক স্থানের মাটি অন্যত্র বয়ে। নেওয়ার প্রক্রিয়াই হলো বাত্যাজনিত ভূমিক্ষয় ।
প্রশ্ন-৯. ভূমিক্ষয় কী?
উত্তর; বিভিন্ন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের একস্থানের মাটি ক্রমাগত সরে অন্যস্থানে চলে যাওয়াকে ভূমিক্ষয়
প্রশ্ন-১০.কন্টোর পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তর: ভূমিক্ষয় রোধ করে পাহাড়ের ঢালে আড়াআড়ি সমন্বিত লাইনে জমি চাষ করাকে কন্টোর পদ্ধতি বলে। বলে।
প্রশ্ন-১১. বীজ সংরক্ষণ কাকে বলে?
[কুমিল্লা বোর্ড ২০২৩ ঢা. বো, কু. বো., সি. বো, ২০২]
উত্তর: বীজের উৎপাদন, শুকানো, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, বিপণন ইত্যাদি যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাকেই বীজ সংরক্ষণ বলে ।
প্রশ্ন-১২.বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কী?
উত্তর: ফসল কাটার পর ফসলের দানাকে বীজে পরিণত করা এবং পরবর্তী সময়ে বপনের পূর্ব পর্যন্ত বীজের উন্নতমান ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাকে বজায় রাখার জন্য বীজের সর্বপ্রকার পরিচর্যা করাই হলো বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ।
প্রশ্ন-১৩. খাদ্য সংরক্ষণ কী?
উত্তর: খাদ্যকে রোগজীবাণু ও পচনের হাত থেকে রক্ষা করাই হলো খাদ্য সংরক্ষণ।
প্রশ্ন- ১৪. সুষম সম্পূরক খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: যে সম্পূরক খাদ্যে পুষ্টি উপাদান যথাযথ মাত্রায় রেখে তৈরি করা হয় তাকে সুষম সম্পূরক খাদ্য বলে ।
প্রশ্ন-১৫. FCR এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: FCR এর পূর্ণরূপ Food Conversion Ratio
প্রশ্ন-১৬.সাইলেজ কী?
উত্তর: খাদ্যের গুণাগুণ ও পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রেখে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য বায়ুরোধী অবস্থায় সংরক্ষিত সবুজ ঘাসকে সাইলেজ বলে।
প্রশ্ন-১৭.অ্যালজি কী?
উত্তর: অ্যালজি (Algae) হলো এককোষী বা বহুকোষী উদ্ভিদ ।
প্রশ্ন-১৮. মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: মাটি ও পানির স্বাভাবিক উর্বরতায় অথবা সার প্রয়োগের মাধ্যমে জলাশয়ের পানিতে মাছের যে খাদ্য তৈরি হয় সেগুলোকে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-১৯. কাফ স্টার্টার কাকে বলে?
উত্তর: বাছুরের খাবার উপযোগী বিশেষ দানাদার খাদ্য মিশ্রণ। যাতে ২০% এর অধিক পরিপাচ্য আমিষ ও ১০% এর কম আঁশযুক্ত খাদ্য থাকে তাকে কাফ স্টার্টার বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. দোআঁশ মাটিতে সব ধরনের ফসল ভালো হয় কেন?
উত্তর: যে মাটিতে বালি, পলি ও কদমকণা প্রায় সমান অনুপাতে বিদ্যমান থাকে তাকে দোআঁশ মাটি বলে ।দোআঁশ মাটিতে অর্ধেক বালি ও বাকি অর্ধেক পলি ও কদম কণার মিশ্রণ থাকে। দোআঁশ মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণবেশি। এই মাটির পানি শোষণ ও ধারণ ক্ষমতা উভয়ই বেশি। এই মাটি চাষের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম। এসব কারণে প্রায় সব ধরনের ফসল এই মাটিতে ভালো জন্মে।কৃষিক্ষেত্রে দোআঁশ মাটিকে আদর্শ মাটি বলা হয়।
প্রশ্ন-২. বিনা চাষের সুবিধা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যে চাষ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে চাষের প্রয়োজন হয় না তাকে বিনা চাষ পদ্ধতি বলে। বিনা চাষে পান, ভুট্টা, ডাল ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করা হয়। বিনা চাষ প্রথায় যেহেতু চাষের প্রয়োজন হয় না সেহেতু চাষের আনুষাঙ্গিক যে খরচ হয় তা সাশ্রয় হয়, সময় বাঁচে, অধিক ফসল উৎপাদন করা যায়। ফলে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
প্রশ্ন-৩. জমি কর্ষণ কীভাবে পোকামাকড় দমনে সহায়তা করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মাটির নিচে বসবাসকারী পোকা হলো উঁই, উড়চুঙ্গা ও পিপীলিকা, যারা ফসলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। ভূমি কর্ষণের সময় এসব পোকা, পুত্তলি ও ডিম উন্মুক্ত হয় এবং চাষের সাথে মাটির উপরে উঠে আসে, পাখিরা এগুলো খেয়ে নিধন করে। তাছাড়া সূর্যালোকের তাপেও সেগুলো ধ্বংস হয়। এভাবে ফসলের ক্ষতিসাধন দূর করার জন্য ভূমি কর্ষণের মাধ্যমে ভূ- অভ্যন্তরস্থ কীটপতঙ্গ দমন করা হয়।
প্রশ্ন-৪.মাটিস্থ জীবাণুসমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ভূমি কর্ষণের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ভূমি কর্ষণ করলে মাটি আলগা হয় এবং বায়ু চলাচল ভালো হয় যা মাটিস্থ জীবাণুসমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ভূমি কর্ষণের ফলে বিভিন্ন সার ও জৈব পদার্থের মিশ্রণ ঘটে। এ মিশ্রণ থেকে জীবাণুসমূহ তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে নিজেদের বৃদ্ধি ঘটায় এবং জৈব পদার্থের পচনে ও উদ্ভিদের পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে।
প্রশ্ন-৫. জমি প্রস্তুতির গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: কৃষির সকল কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জমি প্রস্তুতি। সঠিকভাবে জমি প্রস্তুত করা হলে মাটিতে বীজের অবস্থান ভালো থাকে এবং সহজেই অঙ্কুরোদগম হয়। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় ও ভূ-অভ্যন্তরের ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়। মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা এবং মাটিস্থ অণুজীবের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া মাটির ক্ষয়রোধ হয় ।
প্রশ্ন-৬.ফসলের প্রকারভেদের কারণে জমি চাষে তারতম্য হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জমি চাষ কেমন হবে তা নির্ভর করে ফসলের প্রকারভেদের উপর। যেমন: ধানের চাষের জন্য কয়েকবার আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে জমি কর্দমাক্ত করতে হয়। কিন্তু মুলা, মরিচ ইত্যাদির জন্য মাটি মিহি ঝুরঝুরা করে চাষ করতে হয়। আখ ও আলুর চাষের জন্য গভীরভাবে জমি চাষ করতে হয়। আবার পান চাষের ক্ষেত্রে জমি চাষের প্রয়োজন হয় না ।
প্রশ্ন-৭.জমিতে অধিক মাত্রায় জৈব পদার্থ প্রয়োগে কীভাবে ভূমিক্ষয় রোধ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে গেলে মাটির বুনট হালকা হয়ে যায় এবং মাটি সহজে ক্ষয় হয়। ফলে মাটি উর্বরতা হারায় এবং ফসলের ফলন কমে যায়। জৈব পদার্থ মাটির দানাগুলোকে শক্তভাবে আটকে ধরে রাখে। এতে মাটির বুনট শক্ত হয় ফলে মাটি ক্ষয়ের সম্ভাবনা কমে যায়। এভাবে অধিক মাত্রায় জৈব পদার্থ প্রয়োগ করার মাধ্যমে ভূমিক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয়।
প্রশ্ন-৮. বায়ুর প্রভাবে আবাদি জমির উর্বরতা কমে যায় কেন?
উত্তর: গতিশীল বায়ু প্রবাহ কর্তৃক এক স্থানের মাটি অন্যত্র বয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাত্যাজনিত ভূমিক্ষয় বলে। বেলে ও বেলে দোআঁশ মাটি আলগা ও হালকা হওয়ায় প্রবল বায়ুপ্রবাহে এসব মাটি সহজেই উড়ে যায়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর- রাজশাহী অঞ্চলে চৈত্র-বৈশাখ মাসে বায়ু প্রবাহজনিত ভূমিক্ষয়ের প্রকোপ দেখা যায়। এছাড়াও সমতল এলাকা,গাছপালা ও বৃষ্টিপাত কম এমন অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহজনিত ভূমিক্ষয় হয়ে থাকে। এ সকল কারণে বায়ুর প্রভাবে আবাদি জমির উর্বরতা কমে যায়।
প্রশ্ন-৯. কোন ধরনের ভূমিক্ষয়ের ফলে জমিতে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসুবিধা হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রিল ভূমিক্ষয়ের ফলে জমিতে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসুবিধা হয়। রিল ভূমিক্ষয় আস্তরণ ভূমিক্ষয়ের দ্বিতীয় ধাপ। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে জমির ঢাল বরাবর লম্বাকৃতির রেখার সৃষ্টি হয়। যা অনেকটা হাতের রেখার মতো। এই ছোট ছোট রেখা কালক্রমে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বড় হতে থাকে। ফলে বৃষ্টির পানির স্রোতধারায় উর্বর মাটি জমি থেকে স্থানচ্যুতি হয় এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসুবিধা হয়।
প্রশ্ন-১০. ভূমিক্ষয়ের অসুবিধা কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ভূমিক্ষয়ের কারণে বিভিন্ন রকমের ক্ষতি সাধিত হয়। যেমন— ভূমিক্ষয়ের ফলে মাটিতে জমির পুষ্টিসমৃদ্ধ উপরের স্তরের মাটি অন্যত্র চলে যায়। ফলে মাটির উর্বরতা ব্যাপক হ্রাস পায় এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসুবিধা হয়। এছাড়া ক্রমাগত ভূমিক্ষয়ের কারণে নদী-নালা, হাওড়-বিল ভরাট হয়ে যায়। ফলে দেশে প্রায়ই বন্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয় ও ফসলের ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন-১১. ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর; বৃষ্টিপাত হলো ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণ। যখন মুষলধারে বৃষ্টি হয় তখন বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা মাটিতে সজোরে আঘাত করে মাটিতে গর্তের সৃষ্টি করে। এসময় মাটির কণা আলগাহয়ে যায়। ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে যখন মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কমে যায় তখন বৃষ্টির প্রবাহিত পানির সাথে ভূমির উপরের স্তরের মাটির কণা আলগা হয়ে নিম্নভূমিতে গিয়ে জমা হয়। পানির বেগ যত বেশি হয় মাটির ক্ষয়ও তত বেশি হবে।
প্রশ্ন-১২. বীজ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বীজকে রোগ, পোকা ও অন্যান্য ক্ষতিকারক অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য যে প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণ করা হয় তাকে বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বলে ।বীজ আহরণ থেকে রোপণের পর্ব পর্যন্ত সঠিক প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণ করতে হয়। সঠিক প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণের মাধ্যমে বীজকে পোকামাকড়, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করা যায়। বীজের গুণগত মান রক্ষা করা ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বজায় রাখা যায় । ভালো উদ্ভিদ পাওয়ার জন্য ভালো মানের বীজ প্রয়োজন। তাই বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন-১৩.বীজ সংরক্ষণের পূর্বে আর্দ্রতা কমানো হয় কেন?
উত্তর: বীজ সংগ্রহের সময় এর আর্দ্রতা থাকে ১৮% - ৪০% পর্যন্ত। এই আর্দ্রতা বীজের জীবনীশক্তিকে দ্রুত নষ্ট করে দেয়। তাই বীজকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বীজের আর্দ্রতা কমানো হয় ।
প্রশ্ন-১৪. অক্সিজেন কীভাবে মৎস্য খাদ্যের গুণগতমানকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: মাছ চাষকে লাভজনক করার উদ্দেশ্যে মাছকে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করা হয়।মাছের খাবার খোলা অবস্থায় রাখা হলে তা বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে। অক্সিজেন খাদ্যের চর্বির জারণ ক্রিয়া অর্থাৎ রেন্সিডিটি ঘটায় ফলে খাদ্যের গুণগতমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও অক্সিজেন মাছের খাদ্যে ছত্রাক ও পোকা-মাকড় জন্মাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন-১৫.পশুপাখির খাদ্য সংরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্যটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গুণগত ও পুষ্টিমান ঠিক রেখে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে রেখে দেওয়াকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে। খাদ্য সংরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে খাদ্যকে রোগজীবাণু ও পচনের হাত থেকে রক্ষা করা। খাদ্যে আর্দ্রতা বেশি হলে এতে ছত্রাক জন্মায়। ছত্রাক জন্মানো খাদ্য পশুপাখিতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অনেক সময় পশু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। পশুপাখির দানাদার খাদ্যে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত করে গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন-১৬. মাছ চাষে সম্পূরক খাদ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
বা,
পুকুরে মাছ চাষে সম্পূরক খাদ্য দেওয়া হয় কেন?
উত্তর: মাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি মাছকে সম্পূরক খাদ্য দিতে হয়।মাছ চাষের ক্ষেত্রে অধিক উৎপাদন পাওয়ার জন্য পুকুরে অধিক ঘনত্বে পোনা ছাড়া হয় । শুধু প্রাকৃতিক খাদ্য মাছের দ্রুত বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উৎপাদন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এমনকি সার প্রয়োগ করে প্রাকৃতিক খাদ্য বৃদ্ধি করলেও তা যথেষ্ট হয় না। মাছের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য তখন পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করা হয়। এসব সম্পূরক খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন- আমিষ, শর্করা, স্নেহ, খনিজ, লবণ ও ভিটামিন মাত্রানুযায়ী থাকে। ফলে মাছের দৈহিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়া যায় । তাই মাছের পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করা হয়,।
প্রশ্ন-১৭. FCR-এর মানের উপর মাছের খাদ্যের গুণগত মান নির্ভর করে- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: FCR (Food Conversion Ratio) হলো খাদ্য প্রয়োগ ও খাদ্য গ্রহণের ফলে জীবের দৈহিক বৃদ্ধির অনুপাত। তবে প্রয়োগকৃত খাদ্যের কী পরিমাণ মাছ ব্যবহার করতে পারছে তা FCR এর মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। FCR এর মান সবসময় ১ এর চেয়ে বড় হয় । তবে ২ এর অধিক হলে উৎপাদন লাভজনক হয় না। কারণ খাদ্যের অপচয় হয় এবং পানির গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। যে খাদ্যের FCR যত কম সে খাদ্যের গুণগত মান তত ভালো। অর্থাৎ কম খাদ্য ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন পাওয়া যায় । অতএব বলা যায়, FCR এর মানের উপর মাছের খাদ্যের গুণগত মান নির্ভর করে ।
প্রশ্ন-১৮. অ্যালজি একটি সম্ভাবনাময় পুষ্টিকর খাদ্য কেন?
উত্তর: অ্যালজি বিভিন্ন ধরনের আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন— খৈল, শুঁটকি মাছের গুঁড়া ইত্যাদির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। শুষ্ক অ্যালজিতে শতকরা ৫০-৭০ ভাগ আমিষ, ২০-২২ ভাগ চর্বি এবং ৮-২৬ ভাগ শর্করা থাকে। এছাড়া অ্যালজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি থাকে। তাই অ্যালজিকে একটি সম্ভাবনাময় পুষ্টিকর খাদ্য বলা হয় ।
প্রশ্ন-১৯. চিংড়িকে রাতে খাবার দিতে হয় কেন?
উত্তর: চিংড়ি নিশাচর প্রাণী। এরা প্রধানত রাতে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এ কারণেই চিংড়িকে সন্ধ্যায় খাবার দিতে হয়।
প্রশ্ন-২০.কোন ক্ষেত্রে মাছের জন্য খাদ্য ট্রে ব্যবহার করা উত্তম তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মাছের সম্পূরক খাদ্য প্রদানের জন্য খাদ ট্রে বা খাদ্যদানি ব্যবহার করা হয়।
শুকনো খাবার পানির উপরে ছিটিয়ে এবং আর্দ্র বা ভেজা খাবার পানির ৩০-৬০ সে.মি. নিচে স্থাপিত খাদ্যপানি, ট্রে বা মাচায় প্রয়োগ করতে হয়। এতে খাদ্যের অপচয় কম হয়।
২১.খৈল ভেজানো পানি মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা উচিত নয় কেন?
উত্তর: খৈল মাছের সম্পূরক খাদ্যের একটি উদ্ভিদজাত উপাদান । বিষাক্ত উপাদান, যেমন- অ্যালারজেনিক থৈলে কিছু(Alergenic) ও গয়ট্রোজেনিক (Goitrogenic) থাকে যা মাছের ক্ষতিকর। এগুলো মাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং পরিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। সেজন্য সম্পূরক খাদ্য তৈরির সময় গৈল। একদিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বিষাক্ত উপাদানগুলো তাতে ঘৰীভূত হয়ে যায়। তাই লৈ ভেজানো পানি মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা উচিত নয়। .
প্রশ্ন-২২. মিল্ক রিপ্লেসার বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মিল্ক রিপ্লেসার বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি এক ধরনের ভরল পশুখাদ্য যাতে দুধের উপাদান থাকে এবং বাছুরের জন্য দুধের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। এতে ২০% আমিষ ও ১০% এর অধিক চৰি থাকে। এর উপাদানসমূহকে গরম স্ক্রিম মিল্কে বা পানিতে মিশ্রিত করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১.ভূপৃষ্ঠের কত সেমি. গভীর স্তরকে মাটি বলে?
ক) ৮-১০
খ) ১০-১২
গ) ১৫-১৮
ঘ)২০-২৫
উ:গ
২.যে প্রক্রিয়ায় কৃষি কাজ করা হয় তাকে কী বলে?
ক. কৃষি প্রযুক্তি
খ) কৃষি যান্ত্রিকীকরণ
গ) জমি প্রস্তুতি
ঘ)কৃষি আবহাওয়া
উ:ক
৩.কোন মাটি ধান চাষের অনুপযোগী?
ক) দোআঁশ মাটি
খ) কংকরযুক্ত মাটি
গ) বেলে দোআঁশ মাটি
ঘ) এঁটেল মাটি
উ:খ
৪.গোল আলুর জন্য মাটির pH মাত্রা কত থাকা ভালো?
ক) pH মাত্রা ৬-৭
খ)pH মাত্রা ৬ এর কম
গ pH মাত্রা ৭ এর বেশি
ঘ) pH মাত্রা ১–২
উ:ক
৫.কোন মাটি টমেটো চাষের জন্য উপযোগী?
ক) এঁটেল মাটি
খ) বেলে মাটি
গ )বেলে দোআঁশ মাটি
ঘ) কংকরযুক্ত মাটি
উ:গ
৬.বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে গমের চাষ ভালো হয়?
ক) উত্তরাঞ্চলে
খ) পূর্বাঞ্চলে
গ) দক্ষিণাঞ্চলে
ঘ) পশ্চিমাঞ্চলে
উ:ক
৭.গমের জন্য উপযোগী মাটি—
i. বেলে দেআঁশ
ii. এঁটেল
iii.দোআঁশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ক
৮.মাটির প্রকৃতি ও গঠন অনুযায়ী বাংলাদেশকে কতটি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে?
ক) ১০
খ)২০
গ)৩০
ঘ)৪০
উ:গ
৯.মাটির গঠন ও প্রকৃতি অনুযায়ী ৩০টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক)৩টি
(খ) ৪টি
গ) ৫টি
ঘ) ৬টি
উ:গ
১০. কাদামাটি অঞ্চলের প্রধান ফসল কোনটি?
ক গম
খ) ভুট্টা
গ) ধান
ঘ)পাট
উ:গ
১১. কোন মাটি ধান চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো?
ক) এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ
খ) বেলে দোআঁশ
গ) পলি দোআঁশ
ঘ)দোআঁশ
উ:ক
১২.ধান উৎপাদনের জন্য কোন অঞ্চলটি উত্তম?
ক) উপকূলীয় অঞ্চল
খ) কাদামাটি অঞ্চল
গ) পাহাড়ি ও পাদভূমি অঞ্চল
(ঘ) দোআঁশ ও পলি দোআঁশ অঞ্চল
উ:খ
১৩. কাদা মাটি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য—
i. পলি কাদাবিশিষ্ট
ii. মাটি কর্দমবিশিষ্ট
iii. পটাশজাত খনিজ বেশি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ক
১৪. উঁচু ও মাঝারি উঁচু ভূমি কোন কৃষি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
(ক) উপকূলীয় অঞ্চল
(খ) কাদামাটির অঞ্চল
(গ) বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চল
(ঘ) দো-আঁশ ও পলি-দো-আঁশ অঞ্চল
উ:গ
১৫. নিচের কোন অঞ্চলের মাটির পি.এইচ মাত্রা বেশি।
ক) বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চল
খ)কাদামাটি অঞ্চল
গ)পাহাড়ি ও পাদভূমি অঞ্চল
ঘ)উপকূলীয় অঞ্চল
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৬ ও ১৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
ভূমিক্ষয় মাটির উর্বরতা হ্রাসের অন্যতম কারণ। আমাদের দেশে যে ধানের ভূমিক্ষয় হয় তার মধ্যে নদী ও সাগরকূলের ভূমিক্ষয় রোধ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।তবে বিশেষ ব্যবস্থায় পাহাড়ি ভূমিক্ষয় সহজেই রোধ করা যায়।
১৬. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিশেষ ব্যবস্থা নিচে কোনটিতে হতে পারে?
(ক) জুম চাষ
খ) কন্টোর পদ্ধতি
গ) সু-নিষ্কাশন
ঘ) জমি ঘন ঘন চাষ করে
উ:গ
১৭. উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ম ধরনের ভূমিক্ষয়টি বেশি হয়—
i. চাঁদপুরে
ii.সিরাজগঞ্জে
iii. গোয়ালন্দে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ঘ
১৮. কৃষির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো-
(ক) জমি নির্বাচন
খ)জমি প্রস্তুতি
গ) আগাছা দমন
ঘ) পানি সেচ
উ:ঘ
১৯.ভূমিকর্ষণের ফলে—
i. মাটিতে সহজেই বায়ু চলাচল করতে পারে
ii. উপরের মাটি নিচে আসে
iii. মাটিতে অণুজীবের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ঘ
২০.খনার বচর অনুযায়ী মুলা চাষের জন্য জমিতে কতটি চাষের কথা বলা হয়েছে?
ক) ১২
খ)১৬
গ)৮
ঘ)৪
উ:ঘ
২১. তুলার জমিতে কয়টি চাষ দেয়া দরকার?
ক) ২
খ) ৬
গ) ৮
ঘ) ৪
উ:ঘ
২২. মাটির নিচের পোকার মধ্যে অন্যতম কোনটি?
ক) উইপোকা
খ)মাজরা
গ)বিছা পোকা
ঘ) কাটুই পোকা
উ:ক
২৩. মাটিস্থ অণুজীবের মধ্যে প্রধান কোনটি?
ক)ছত্রাক
খ) ভাইরাস
গ) কেঁচো
ঘ)পিপীলিকা
উ:ক
২৪. নিচের কোনটি বিনা চাষে উৎপাদন করা হয়?
ক)মুলা
খ) ধান
গ) তুলা
ঘ)ভুট্টা
উ:ঘ
২৫. সবুজ সার হিসাবে ধৈঞ্চার চাষ করলে কখন চাষ দিয়ে মাটির সাথে মেশানো হয়?
ক) শারীরিক বৃদ্ধি পর্যায়
খ) ফুল আসার পরে
গ)ফুল আসার আগে
(ঘ) পরিপক্ক পর্যায়
উ:খ
২৬.ফসল উৎপাদন কীসের উপর নির্ভরশীল?
i. মাটির বৈশিষ্ট্য
ii. ফসলের জাত
iii. আবহাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ঘ
২৭. নালা ভূমি, ক্ষয় আস্তরণ ভূমিক্ষয়ের কত তম ধাপ?
ক) ১ম
খ)২য়
গ)৩য়
ঘ)৪ম
উ:গ
২৮. কোন ভূমিক্ষয়ের কারণে জমির উর্বরতা হ্রাস পায়?
ক) রিল ভূমিক্ষয়
খ) আস্তরণ ভূমিক্ষয়
গ) নদীভাঙ্গন ভূমিক্ষয়
ঘ) গালি ভূমিক্ষয়
উ:খ
২৯.আস্তরণ ভূমিক্ষয় কোথায় বেশি হয়-
(ক) সমতল ভূমিতে
খ) সমুদ্র উপকূলে
গ) চর এলাকায়
ঘ)ঢালু ভূমিতে
উ:ঘ
৩০. রিল ভূমিক্ষয়ের বৈশিষ্ট্য—
i.আস্তরণ ভূমিক্ষয়ের দ্বিতীয় ধাপ
ii. এক সময় নর্দমা বা ছোট নদীর মতো দেখায়
iii. ফাটলের মতো দেখায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:গ
৩১ .বছরের নির্দিষ্ট সময়ে দিনাজপুর এলাকায় ভূমিক্ষয় হবার অন্যতম কারণ—
i. বায়ু প্রবাহ
ii. মাটির প্রকৃতি
iii. ভূমির ঢাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ক
৩২. বাত্যাজনিত ভূমিক্ষয়ের প্রকোপ কখন দেখা যায়?
ক) আষাঢ়-শ্রাবণ
খ) বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য
গ) চৈত্র-বৈশাখ
(ঘ) আশ্বিন-কার্তিক
উ:গ
৩৩. ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণ কোনটি?
ক)জলোচ্ছ্বাস
খ) বৃষ্টিপাত
গ) পাহাড়ি ঢল
ঘ) জুম চাষ.
উ:খ
৩৪. বৃষ্টিপাত জনিত ভূমিক্ষয় কয় প্রকার?
ক) ২
খ) ৩
গ) ৪
ঘ) ৫
উ:গ
৩৫. ভূমিক্ষয়ের ফলে জমিতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনের জন্য কৃষকের কোন খরচটি বেড়ে যায়?
ক)কীটনাশক
খ) সার
গ)শ্রমিক
ঘ) বীজ
উ:খ
৩৬. ভূমিক্ষয় রোধে কোন ফসলগুলি চাষ করা উচিত?
ক) ধান
খ) চিনাবাদাম
গ)মাসকলাই
(ঘ) মাসকলাই
উ:খ
৩৭. কোন ফসলটি ভূমিক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে?
ক)ধান
খ) ডাল
গ)গম
ঘ)ভুট্টা
উ:খ
৩৮. নিচের কোনটি জমিতে অধিক মাত্রায় প্রয়োগে মাটির দানাবদ্ধন ভালো হয়?
ক) ইউরিয়া
(খ) টিএসপি
(গ) এমওপি
ঘ) জৈব পদার্থ
উ:ঘ
৩৯. কন্টোর পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রয়োজন হয় কোথায়?
ক) পাহাড়ের শীর্ষে
খ)পাহাড়ের ঢালে
গ) পাহাড়ের পাদদেশে
ঘ)উঁচু-নিচু জমিতে
উ:খ
৪০. জুম চাষের ফলে—
i. কৃত্রিম ভূমিক্ষয় হয়
ii. ভাঙ্গনজনিত ভূমিক্ষয় হয়
iii. গালি ভূমিক্ষয় হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:গ
৪১. বীজ উৎপাদনের জন্য কয়টি বিষয় জানতে হয়?
ক)৩-৮টি
খ)৩- ৭টি
গ)৫টি
ঘ)৪টি
উ:খ
৪২. বীজ উৎপাদনের জন্য নির্বাচিত জমিতে শতকরা কতভাগ জেব পদার্থ থাকা উচিত?
ক)1%
খ)2%
গ)3%
ঘ)8%
উ:খ
৪৩. ক্ষেত থেকে বীজের জন্য যখন ধান কাটা হয় তখন আর্দ্রতা থাকে—
ক) ১৮%-২০%
খ)১৮%-৩০%
গ) ১৮%-৪০%
ঘ) ১৮%-৫০%
উ:গ
৪৪.শতকরা কত ভাগ আর্দ্রতায় বীজ অংকুরিত হয়?
ক) ২০-৩০%
খ)২৫-৪৫%
গ) ৩৫-৬০%
ঘ) ৪৫-৬০%
উ:গ
৪৫. বীজকে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের জন্য বীজের আর্দ্রতা কত থাকা প্রয়োজন?
ক) ১২%
খ)১৮%
গ) ৩০%
ঘ) ৪০%
উ:ক
৪৬. বীজ সংরক্ষণের জন্য আর্দ্রতা কত শতাংশের কম হওয়া দরকার?
ক) ১৭%
খ) ১৬%
গ)১৫%
ঘ)১৪%
উ:ঘ
৪৭. বীজের জীবনীশক্তি হ্রাস পায়--
i.বেশি তাপমাত্রায় শুকালে
ii. অপর্যাপ্ত তাপে শুকালে
iii. নীজের আর্দ্রতা ১২% এর কম থাকলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:ক
৪৮. বীজকে সুষ্ঠু প্রক্রিয়াজাত করলে—
i.বীজের বিশুদ্ধতা বাড়ে
ii. বীজের সুপ্তকাল বাড়ে
iii.বীজের অঙ্কুরোদগম বাড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ)iও iii
ঘ)i,iiও iii
উ:গ
৪৯. বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা শতকরা কত ভাগ হলে ভালো হয়?
ক) ৫০
খ) ৬০
গ)৭০
ঘ)৮০
উ:ঘ
সৃজনশীল প্রশ্ন
করিম শেখ ১০ কেজি পোনা মাছ ছেড়ে একই সময়ে ৯৫ কেজি মাছ আহরণ করেন। তিনি উক্ত সময়ে সর্বমোট ১৬০ কেজি খাদ্য সরবরাহ করেন।
ক. মাছ কখন খাবার গ্রহণ করে?
খ.সম্পূরক খাদ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
গ. টুটুল মিয়ার উৎপাদিত মাছের FCR নির্ণয় করো।
ঘ. মৎস্য চাষে টুটুল মিয়া ও করিম শেখের মধ্যে কে বেশি লাভবান হবেন? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।
২. অভি ও শাওন দুই বন্ধু একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। অভি উপকূলীয় এলাকা ও শাওন পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা। দুজনের পিতা কৃষিকাজের সাথে জড়িত।
শাওন অভিকে বলল এ বছর বৃষ্টি কম হওয়াতে বৃষ্টি নির্ভর ফসলের ফলন খুব কম হয়েছে। অন্যদিকে সেচ নির্ভর ফসলের ফলন তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় কৃষকের
খরচ কিছুটা বেশি হলেও লাভবান হয়েছে।
ক. মাটি কাকে বলে?
খ. ভূমিক্ষয়ের কারণগুলো লেখো।
গ. অভির এলাকার মৃত্তিকা ও চাষ উপযোগী ফসলের বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অভি ও শাওনের এলাকার মৃত্তিকা ও চাষ
৩. কৃষি বিষয়ের শিক্ষক মাসুম স্যার তার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চল ও মধুপুর অঞ্চলে শিক্ষা সফরে যান।
তিনি হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের বরেন্দ্র ও মধুপুর এলাকার মাটি নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।
ক. জমি প্রস্তুতির প্রথম ধাপ কী?
খ. বায়ুর প্রভাবে আবাদি জমির উর্বরতা কমে যায় কেন?
উদ্দীপকে উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের মাটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ফলাফল বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত অঞ্চলটি কি সব ধরনের ফসল চাষের উপযোগী? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তোমার মতামত দাও।
৪.একটি পুকুরে ১০০০ টি কার্প জাতীয় মাছের পোনা ছাড়া হলো যার মোট ওজন ১০ কেজি। নিয়মিত খাদ্য প্রয়োগ করে ১ বছর পর আহরণের সময় মোট ৮০০ কেজি মাছ পাওয়া গেল। এক বছরে মোট ১২০০ কেজি খাদ্য প্রয়োগ করা হলো। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। ক. মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানিতে প্রতি লিটারে কী পরিমাণ দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন?
খ. চূন পুকুরের পানির গুণাগুণ বৃদ্ধি করে-ব্যাখ্যা করো । গ. উপরিউক্ত খাদ্যের FCR কত তা নির্ণয় করো ।
ঘ. যেসব কারণে উপরিউক্ত খাদ্যের FCR এর মান নির্ণয়কৃত মানের চেয়ে কম হতে পারত তা বিশ্লেষণ করো।
৫. মালেক মিয়ার গরুর খামারটি লাভজনক না হওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নেন। কর্মকর্তা খামারের গরুগুলোকে ইউরিয়া মোলাসেস খড় খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করায় খামারটি পরবর্তীতে লাভজনক খামার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জামালপুর জিলা
ক.খাদ্য সংরক্ষণ কাকে বলে?
খ.পশুপাখির জন্য সম্পূরক খাদ্য প্রয়োজন কেন?
গ. মালেক মিয়া কীভাবে ইউরিয়া মোলাসেস খড় তৈরি করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো ।
৬. শিমুল মিয়া তার জমিতে প্রতি বছর বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের আবাদ করেন। কিন্তু ভূমিক্ষয়ের কারণে তার জমিতে ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ এবং উর্বরতা বজায় রাখতে বেশ কিছু কার্যকর
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
ক. লালন পুকুর কাকে বলে?
খ. পানির PH বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের সমস্যাটির কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের সমস্যার সমাধানের গুরুত্ব বর্ণনা করো ।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url