পদার্থের গঠন

 পদার্থের গঠন (Structure Of Matter)

Science New Shyllabus-2024 Hand Note/ Goudie

নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান-2024

2024 সালের নতুন হ্যান্ড নোট বিজ্ঞান

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০২২ অনুযায়ী প্রণীত এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণির জন্য নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক বিজ্ঞান

অধ্যায় :5

পদার্থের গঠন

অধ্যায় 5:পদার্থের গঠন

Structure Of Matter

এই অভিজ্ঞতায় শিখতে পারবে---
  • পরমাণুর কণাসমূহ, রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল,
  • বোরের পরমাণু মডেল পরমাণুর শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের বিন্যাস
  • পারমাণবিক ভর অথবা আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর
  • আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ থেকে মৌলের আপেক্ষিক ভর নির্ণয়
  • মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয়

 ২.১ পরমাণুর কণাসমূহ

তোমরা পূর্ববর্তী শ্রেণিতে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছ। তোমরা ইতিমধ্যে জান যে, পরমাণু মূলত তিনটি কণা দিয়ে তৈরি, এই কণাগুলো হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন, এবং নিউট্রন। পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস আর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্ৰ করে ঘূর্ণায়মান থাকে ইলেকট্রন। নিউক্লিয়াসে থাকে প্রোটন ও নিউট্রন। ইলেকট্রন, প্রোটন, এবং নিউট্রন সম্বন্ধে কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো--
স্থায়ী কণিকা বা মৌলিক কণিকা বা  পরমাণুর কণাসমূহ(Basic Particles)আবিষ্কারক এর নাম
  মনে রাখার সহজ টেকনিক "ইট পরে নিচে "
আবিষ্কারক নাম, ইলেকট্রন,থমসন,প্রোটন , রাদারফোর্ড ,নিউট্রন,চ্যাডউইক

ইলেকট্রন (Electron)

ঋণাত্মক বা নেগেটিভ চার্জযুক্ত ইলেকট্রন হলো পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার চার্জ -1.602 × 10-19 কুলম্ব (Coulombs)। জে জে থমসন (J. J. Thomson) কে ইলেকট্রন আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয় কারণ, তিনিই প্রথম ইলেকট্রনের ভর ও চার্জ নির্ভুলভাবে গণনা করেছিলেন। নিচে ইলেকট্রনের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
  • ১) একটি ইলেকট্রনের ভর 9.109 × 10-31 kg যা একটি প্রোটনের ভরের 1837 গুণ কম, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর আপেক্ষিক ভর বিবেচনা না করলে খুব ক্ষতি হয় না।
  • ২) ইলেকট্রনের আপেক্ষিক চার্জ -1 ধরা হয়। ইলেকট্রনকে সাধারণত e প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

প্রোটন (Proton)

প্রোটন হলো ধনাত্মক বা পজিটিভ চার্জযুক্ত পরমাণুর একটি মূল কণিকা যার চার্জ বা আধানের পরিমাণ +1.602 × 10-19কুলম্ব। প্রোটন আবিষ্কারের কৃতিত্ব আর্নেস্ট রাদারফোর্ড (Ernest Rutherford) কে দেওয়া হয়। নিচে প্রোটনের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:love33
  • ১) একটি প্রোটনের ভর 1.673 × 1027 kg।
  • ২) হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে তার ইলেকট্রনটি অপসারণের মাধ্যমে প্রোটন পাওয়া যায়।
  • ৩) প্রোটনের আপেক্ষিক আধান বা চার্জ হলো +1 এবং আপেক্ষিক ভর +1 ধরা হয়। প্রোটনকে p প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

নিউট্রন (Neutron)

১৯৩২ সালে জেমস চ্যাডউইক (James Chadwick) নিউট্রন আবিষ্কার করেন। নিউট্রনের কোনো চার্জ নেই। শুধুমাত্র হাইড্রোজেন ছাড়া সকল মৌলের পরমাণুতেই নিউট্রন রয়েছে। নিউট্রন সম্বন্ধে আরও কিছু গুরত্তপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • ১) একটি মৌলের দুটি ভিন্ন আইসোটোপের ভর তাদের নিজ নিজ নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউট্রনের সংখ্যার পার্থক্যের কারণে ভিন্ন হয়।
  • ২) একটি নিউট্রনের ভর হলো 1.675 × 1027 kg যা একটি প্রোটনের ভরের চেয়ে সামান্য বেশি।
  • ৩) নিউট্রনের আপেক্ষিক আধান বা চার্জ o এবং আপেক্ষিক ভর 1 ধরা হয়। নিউট্রনকে n প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
  • ৪) নিউট্রনের একটি অত্যন্ত বিচিত্র ধর্ম আছে। এটি যখন নিউক্লিয়াসের ভেতর প্রোটনের সাথে থাকে তখন এটি স্থিতিশীল, কন্তু যদি মুক্ত অবস্থায় থাকে তখন অস্থিতিশীল,10 মিনিটের ভেতর এটি একটি প্রোটন, একটি ইলেকট্রন ও একটি নিউট্রনে বিভাজিত হয়ে যায়।

২.২ পরমাণুর মডেল (Atomic model)

পরমাণু মডেলের ধারণার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী শ্রেণিতে ধারণা পেয়েছ। কোয়ান্টাম মেকানিকস গোড়ে ওঠার পর প্রথমবার পরমাণুর গঠন সত্যিকার ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছে। এটি বিজ্ঞানের অনেক বড় একটি সাফল্য কিন্তু এটি একদিনে হয়ে উঠেনি, অসংখ্য বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। দুটি প্রচেষ্টার কথা আলাদা ভাবে বলা সম্ভব, তার একটি হচ্ছে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অন্যটি বোরের পরমাণু মডেল।

২.২.১ রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল

পরমাণুর মাঝে বিপরীত চার্জ বিশিষ্ট ইলেকট্রন ও প্রোটন রয়েছে সেটি বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছিলেন কিন্তু সেটি কীভাবে রয়েছে জানতেন না। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড (Ernest Rutherford ) পরীক্ষালব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রথম এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর দেওয়া মডেলটি রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল নামে পরিচিত। মডেলটি এরকম:


  • ১) একটি পরমাণুর ধনাত্মক চার্জ এবং পরমাণুটির অধিকাংশ ভর পরমাণুর কেন্দ্রে পুঞ্জীভূত থাকে যাকে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াসের ভিতরে প্রোটন ও নিউক্লিয়াসের বাইরে ইলেকট্রন থাকে। যেহেতু আপেক্ষিকভাবে ইলেকট্রনের ভর অত্যন্ত কম, তাই নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের ভরই পরমাণুর ভর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
  • ২) নিউক্লিয়াস অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং পরমাণুর অভ্যন্তরে অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা।
  • ৩) রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল প্রস্তাব করেছিল যে, কেন্দ্রের ধনাত্মক বাঁ পজিটিভ চার্জের চারদিকে তার আকর্ষণ বলের কারণে ঋণাত্মক বা নেগেটিভ চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রন ঘূর্ণায়মান থাকে। নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনের এইভাবে ঘূর্ণনকে তিনি সৌরজগতে সূর্যের চারদিকে গ্রহগুলোর ঘূর্ণায়মান অবস্থার সাথে তুলনা করেন। অর্থাৎ, ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষপথে ঘুরছে।
  • সৌরজগতের সাথে রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলকে তুলনা করার কারণে এই মডেলকে সোলার সিস্টেম মডেল বা সৌর মডেলও বলা হয়। আবার এই মডেলের মাধ্যমে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সর্বপ্রথম নিউক্লিয়াসের ধারণা প্রবর্তন করেন, তাই এ মডেলকে নিউক্লিয়ার মডেলও বলা হয়।

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা:

পরমাণুর কেন্দ্রে অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি নিউক্লিয়াসের অস্তিত্বের ধারণাটি পরমাণুর গঠনের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলেও সেটি পূর্নাঙ্গভাবে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তখন পর্যন্ত কোয়ান্টাম মেকানিক্স গড়ে উঠেনি বলে তার মডেল পরমাণুর স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যা করতে পারেনি। এই মডেলে ধরে নেওয়া হয়েছে যে নিউক্লিয়াসকে ঘিরে ইলেকট্রন ঘূর্নায়মান থাকে কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্ব (Maxwell's theory) অনুযায়ী ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণনের সময় ক্রমাগত শক্তি হারাতে
থাকবে। ফলে ইলেকট্রনের ঘূর্ণনপথও ছোট হতে থাকবে এবং এক সময় সেটি নিউক্লিয়াসে পড়ে যাবে। এ থেকে বুঝা যায় যে এই মডেলে পরমাণু স্থায়ী হবে না। তা ছাড়া এই মডেলটি ইলেকট্রনের কক্ষপথের ব্যাসার্ধ,আকৃতি কিংবা পরমাণুতে ইলেকট্রনের বিন্যাস সম্পর্কে সম্বন্ধে ধারণা দিতে পারেনি।

২.২.২ বোরের পরমাণু মডেল

১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী নীলস বোর (Niels Bohr) রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতাগুলো সমাধান করে একটি পরমাণু মডেল প্রস্তাব করেছিলেন। তখন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রাথমিক ধারণাগুলো বিজ্ঞানীরা জানতে শুরু করেছিলেন এবং সেগুলো ব্যবহার করে এই মডেলটি দেওয়া হয়েছিল। বোরের পরমাণু মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:


  • ১) পরমাণুতে থাকা ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইচ্ছামতো যেকোনো কক্ষপথে ঘুরতে পারে না, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের কতগুলো অনুমোদিত বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে থাকে। এই স্থিতিশীল কক্ষপথে ঘুরার সময় ইলেকট্রনগুলো কোনো শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে না।
  • ২। এই স্থিতিশীল কক্ষপথকে n সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়, যেখনে n এর মান 1, 2, 3, 4... ইত্যাদি। এই কক্ষপথগুলোকে কে K, L, M, N শেল (shell) হিসেবেও বলা বলা হয়। (ছবি) এগুলোকে কক্ষপথ বা শক্তিস্তর হিসেবেও ব্যাখ্যা করা হয়। উল্লেখ্য যে শক্তিস্তরে n এর মান কম সেটিকে নিম্ন শক্তিস্তর বলা হয়। আর n এর মান বেশি হলে সেটি উচ্চশক্তিস্তর হিসেবে পরিচিত।


তথ্য কণিকা (Information)

  •  পরমাণু পরিচিতি: প্রোটন সংখ্যা (পারমাণবিক সংখ্যা) ও নিউক্লিয়ন সংখ্যা (ভরসংখ্যা) সকল মৌলেরই নিজস্ব প্রোটন সংখ্যা এবং নিউক্লিয়ন সংখ্যা আছে। পারমাণবিক সংখ্যাকে Z দ্বারা ও ভরসংখ্যাকে A দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
  •  আইসোটোপ: একই মৌলের বিভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট ঐ মৌলের আইসোটোপ বলে। হাইড্রোজেনের 7টি আইসোটোপ (1H, 2H, 3H, 4H, 5H, 6H, 7H) আছে এদের মধ্যে তিনটি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। অবশিষ্ট চারটি গবেষনাগারে সংশ্লেষণ করা হয়।
  •  প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে তৈরি আইসোটোপের সংখ্যা1300 ছাড়িয়ে গেছে।
  •  অস্থিত আইসোটোপগুলো বিভিনড়ব ধরনের রশ্মি যেমন-- (α-আলফা, β-বিটা, γ-গামা) বিকিরণ করে অন্য মৌলের আইসোটোপে পরিণত হয়। মৌলের পরমাণুর এই ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। 
  • পরমাণুর গঠন এবং একই সাথে পারমাণবিক বর্ণালি ব্যাখ্যার জন্য নীলস বোর (Neils Bohr)1913 সালে তাঁর বিখ্যাত পরমাণু মডেল প্রকাশ করেন। 

শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস

বোরের পরমাণু মডেল থেকে আমরা জেনেছি যে পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ তাদের নিজ নিজ শক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন শক্তিস্তরে অবস্থান করে। নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে কাছের শক্তিস্তরকে ১ম অর্থাৎ n = 1বা Kশেল, ২য় শক্তিস্তরকে n = 2 বা L শেলn= 3 বা M শেল ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে ছ পর্যন্ত প্রধান শক্তিস্তর রয়েছে। প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্ব্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা 2n2 যেখানে n = 1, 2, 3, 4.... ইত্যাদি। 2n2  সূত্রানুসারে -
K শেলের ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা 2 x 12 = 2  টি
L শেলের ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা  2 x 22 = 8 টি
M শেলের ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা  2 x 32 = 18 টি
N শেলের ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা  2 x 42 = 32 টি ইত্যাদি।
1 থেকে 18 পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলসমূহ অর্থাৎ হাইড্রোজেন থেকে আর্গন পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলে। 

অরবিটালসমূহের শক্তিক্রম নিম্নরূপ : 

  1s, 2s, 2p, 3s,3p, 4s, 3d, 4p, 5s, 4d, 5p, 6s, 4f, 5d, 6p, 7s, 5f, 6d, 7p I 8s
উপরের  সাহায্য নিয়ে নিম্নোক্ত মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাস কর--
Ca 20 ,V 23 ,Fe 26, Zn 30, Ar 33, Kr 36 ,Sr 38, Br 35
ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম: সাধারণভাবে দেখা যায় যে, সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালসমূহ অর্ধপূর্ণ বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হলে সে ইলেকট্রন বিন্যাস অধিকতর সুস্থিতি অর্জন করে।
 অর্থাৎ np3, nd 5, nd 10, nf 7, এবং nf14
সবচেয়ে সুস্থিত হয়। এর ফলেই d10s1 এবং d5s1 ইলেকট্রন বিন্যাসবিশিষ্ট মৌল অধিকতর স্থায়ী হয়।
 এই নিয়ম অনুসরণ করে ক্রোমিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস: 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d5 4s 1

Mathematics

১.Al এর প্রোটন সংখ্যা 13, এর একটি পরমাণুর ভর যদি 4.482×10-23  গ্রাম হয় তবে এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত?

  Solution:  Al  এর  আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর = 4.482×10-23 g/1.66X10-23 g =  27  Ans. 

২. Mgএর প্রোটন সংখ্যা 12 এবং এর নিউট্রন সংখ্যা 12। গম এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নির্ণয় কর।

Solution:   Mg এর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর = প্রোটন সংখ্যা+ নিউট্রন সংখ্যা  = 12+12 = 24 Ans. 

৩. ক্লোরিনের ২টি আইসোটোপ রয়েছে এবং পর্যাপ্ততার দিক থেকে 35Cl ও 37Cl -এর শতকরা পরিমাণ যথাক্রমে 75% ও 25% । ক্লোরিনের  আপেক্ষিক পারমাণবিক  ভর কত?     
 Ans.35.5 
৪. আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর:
আমরা জানি, অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 তাহলে অক্সিজেন অণুর (O2) আপেক্ষিক আণবিক ভর কত হবে?

Solution:  একটি অক্সিজেন অণু অক্সিজেনের ২টি পরমাণু নিয়ে গঠিত।
 (O2)  এর আপেক্ষিক আণবিক ভর হবে=16×2 = 32 Ans. 

 ৫. একই ভাবে CO2 , N2 , HCl,,H2SO4 ইত্যাদির আপেক্ষিক আণবিক ভর নিণর্য় কর।    

Solution:  H2SO4  এর  আপেক্ষিক আণবিক ভর
= H2SO4
= (1×2)+32+(16×4) = 2+32+64=98 Ans. 

  অন্য গুলো অনুরুপভাবে কর। 

MCQ-পদার্থের গঠন

১। N প্রধান শক্তি স্তরে পরমানু ইলেকট্রনিক ধারনা ক্ষমতা কত?   

ক.২    খ.৮     গ.১৮   ঘ.৩৮   উঃ ঘ

২। ডিউটেরিয়ামের ভর সংখ্যা কত?  

 ক. ৪    খ.৩    গ.২    ঘ.১  উঃ গ 

৩। জিংক এর ইলেকট্রন বিন্যাসের  ক্ষেত্র সর্বশেষ ইলেকট্রন কোন উপশক্তি স্তরে প্রবেশ করে? 

 ক.s    খ.p   গ.d  ঘ.f   উঃ ঘ

৪। নাইট্রিক এসিডর আপেক্ষিক আণবিক ভর কত?  

 ক. ৪৪  খ.৫২  গ.৬৩  ঘ.৯৮  উঃগ 

৫। অক্সিজেনের আপেক্ষিক আণবিক ভর কত?

   ক.৮   খ.১৬   গ.৩২  ঘ.৬৪  উঃ গ

৬।  N  শেলে কয়টি উপশক্তিস্তর থাকে? 

  ক.১   খ.২   গ.৩   ঘ.৪   উঃ ঘ

৭। পটাশিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যার কত?   

ক.১৫  খ.১৭  গ.১৯  ঘ.২১   উঃ গ 

৮। পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে ব্যবহৃত কার্বনের আইসোটোপটিতে নিউট্রনের সংখ্যা কত?   

ক. ৬   খ. ৭   গ. ৮   ঘ. ৯  উঃগ  

৯। কোন ধরনের আইসোটোপের সংখ্যা বেশি ? 

 ক.সুস্থিত  খ. নিষ্ক্রিয়   গ. প্রাকৃতিক   ঘ.অস্তিত উঃ ঘ 

১০। পটাসিয়ামের পারমাণবিক ভর কত?

  ক.৩৯.১   খ. ৩৯.৯  গ.৪১ ঘ.২৩  উঃ ক

১১। সালফিউরিক এসিডের (H2SO4)আপেক্ষিক আণবিক ভর কত?

  ক.৫০  খ.৭৮  গ.৮৪  ঘ.৯৮   উঃ ঘ

১২। ক্লোরিনের দুইটি আইসোটোপ 37Cl  ও 35Clএর পর্যাপ্ততার শতকরা পরিমাণ যথাক্রমে  

  ক.25% ও25%   খ..25% ও 75%  
 গ.65% ও 35%   ঘ.75% ও 25%  উঃ খ

১৩। কোনটির বর্ণালি বোর পরমাণু মডেল ব্যাখ্যা করতে পারে?   

ক.Li+      খ.He  গ.Be  ঘ.H  উঃ ঘ

১৪।কোনটি থাইয়েরড গ্রন্থির কোষ-কলা বৃদ্ধি প্রতিহত করে? 

 ক.153Sm  খ.131I    গ.32P   ঘ.60Co  উঃ খ

১৫। কোন মৌলে নিউট্রন নেই? 

 ক.লিথিয়াম   খ.অক্সিজেন  
গ.হিলিয়াম   ঘ.হাইড্রোজেন   উঃ ঘ

গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান মূলক

১।পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কোন আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়? 

উঃ পৃথিবীর বয়স নির্ধরণে14C আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।

২। আইসোটোপ কাকে বলে? 

উঃ যেসব পরমাণু প্রোটন সংখ্যা সমান,কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন হয়,সে সব পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।

৩।প্রতিক কাকে বলে? 

উঃ মৌলের নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতিক বলে।

৪। মৌলিক কণিকা কী? 

উঃ যে ক্ষুদ্রতম কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত,তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে।

৫। পরমাণু কাকে বলে? 

উঃ মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য রক্ষাকারী ক্ষুদ্রতম কণা যা সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে তাকে পরমাণু বলে।

৬। অণু কাকে বলে?  

উঃ যৌগিক পদার্থেও বৈশিষ্ট্য রক্ষাকারী ক্ষুদ্রতম কণা যা সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে না তাকে অণু বলে।

৭। মৌলিক পদার্থ কাকে বলে? 

উঃ যে পদার্থের বিশ্লেষণ করলে শুধুমাত্র একই ধরনের মৌল পাওয়া যায়, তাকে মৌল পদার্থ বলে।

৮। যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?

 উঃ যে পদার্থের বিশ্লেষণ করলে বিভিন্ন ধরনের মৌল পাওয়া যায়, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।

৯।পরমাণুর প্রধান কণিকা কয়টি?  

 উঃ পরমাণুর প্রধান কণিকা ৩ টি।

১০।আণবিক ভর কাকে বলে? 

উঃ কোনো পদার্থের একটি অণুর ভর একটি কার্বণ-12 পরমাণুর ভরের 1/12  অংশের যত গুণ ভারী, সে সংখ্যাকে  সে পদার্থের আণবিক ভর বলে।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url