ভৌত জগৎ ও পরিমাপ
অধ্যায়:1
ভৌত জগৎ ও পরিমাপ
Physical World and Measurement
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলোর উত্তরসমূহ:
আমাদের ওয়েবসাইট ও চ্যানেলে তোমাদের স্বাগতম । আমরা প্রতিনিয়ত সকল বোর্ডের প্রশ্নের সমাধান দিয়ে থাকি । তোমাদের যে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে দিতে পার । আমরা উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পরবর্তিতে সকল প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান আপলোড দেব । পড়ার টেবিল নামের পুরো একটা লাইব্রেরী! এত বই পড়ে কি লাভ? যদি কমন না আসে এত বই পড়ার পরেও!
শিক্ষার্থীদের হতাশা থেকে মুক্তির পথে,আমরা শতভাগ (১০০%) কমনের নিশ্চয়তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ!
বিকল্পধারায় সহজ থেকেও সহজতর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপহার স্বরুপ শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, CQ, MCQ,মডেল টেষ্ট, সৃজনশীল প্রশ্ন+উত্তর ও ভিডিও ক্লাস। সম্পুর্ণ ডিজিটাল পথে শিক্ষার্থীদের সফলতার সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্বেগ।
এখানে ২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সালের বোর্ড প্রশ্ন ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের অধ্যায়ভিত্তিক সাজেশন দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ১। ভৌত জগৎ কী?
উত্তর : যেসব জিনিসে জীবন নেই, তার নাম ভৌত জগৎ ।
প্রশ্ন ২। পদার্থবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি এবং এদের মিথষ্ক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে ।
প্রশ্ন ৩। পদার্থবিজ্ঞানের মূলনীতি কী?
উত্তর : ভরের, ভরবেগের এবং শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানের মূলনীতি ।
প্রশ্ন ৪। প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব কী?
উত্তর : প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব হচ্ছে—কোনো উৎস থেকে শক্তি নিরবচ্ছিন্নভাবে নিঃসৃত হয় না। শক্তি বা বিকিরণ ছিন্নায়িত এবং এগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে প্যাকেটে বা কোয়ান্টাম হিসেবে নিঃসৃত হয় ।
প্রশ্ন ৫। সূত্র কী?
উত্তর : কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিক প্রমাণিত হলে যখন একটি উক্তির মাধ্যমে এটিকে প্রকাশ করা হয় তাই সূত্র।
প্রশ্ন ৬। নীতি কী?
উত্তর : নীতি হচ্ছে নিয়ম বা আইন যা অবশ্যই বা সাধারণত মেনে চলতে হয় বা ইচ্ছানুযায়ী মেনে চলতে পারে বা কোনো কিছুর অপরিহার্য পরিণতি ।
প্রশ্ন ৭। স্বীকার্য কী?
[ঢা. বো, '১৯]
উত্তর : স্বীকার্য হলো একটি প্রস্তাবনা যার প্রমাণের প্রয়োজন হয় না, নিজে থেকেই প্রতিষ্ঠিত অথবা সত্য বলে স্বীকার করার কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে এবং এটি অন্য একটি প্রস্তাবনা প্রমাণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ৮। অনুকল্প কী?
উত্তর : কোনো পর্যবেক্ষণ, ঘটনা বা বৈজ্ঞানিক সমস্যার জন্য একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা যা আরও অনুসন্ধানের মাধ্যমে যাচাই করা যায়, তাই অনুকল্প।
প্রশ্ন ৯। তত্ত্ব কী?
উত্তর : যথোপযুক্ত যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, ফলাফল বিশ্লেষণের আলোকে যখন একটি ঘটনাকে বিজ্ঞানীদের সামনে উপস্থাপনের উপযোগী করে প্রকাশ করা হয় তখন তাই তত্ত্ব।
প্রশ্ন ১০। ধারণা কী?
উত্তর : ধারণা হলো কোনো বিশেষভাবে নির্দিষ্ট আকস্মিক ঘটনা হতে উদ্ভূত সাধারণ কল্পনা। প্রমাণের বা পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল নয় এমন কোনো কিছু সম্পর্কে সার্বিক উপলব্ধি বা বোধগম্যতা হলো ধারণা।
প্রশ্ন ১১। স্থান কী?
উত্তর : স্থান হলো বস্তু কর্তৃক অধিকৃত অঞ্চল ।
প্রশ্ন ১২। কালপ্রবাহ কী?
উত্তর : কাল হলো এক অখণ্ড সমগ্রতা। এ অখণ্ড প্রবাহের মধ্যে আমরা তিনটি পর্ব কল্পনা করে নিয়েছি—অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মিলেই কালপ্রবাহ।
প্রশ্ন ১৩। মৌলিক একক কী?
উত্তর : যেসব মৌলিক ভৌত রাশির একক অনপেক্ষ বা পরস্পরের উপর নির্ভরশীল নয় তাদেরকে বলা হয় মৌলিক একক।
প্রশ্ন ১৪। লব্ধ একক কী?
[চ. বো. ১৬; সি. বো. ১৬]
উত্তর : যেসব ভৌত রাশির একক স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয় অন্য কোনো মৌলিক রাশির এককের উপর নির্ভর করে এবং এক বা একাধিক মৌলিক রাশির এককের গুণফল বা ভাগফল থেকে উৎপন্ন হয় তাই হলো লব্ধ একক।
প্রশ্ন ১৫। মৌলিক রাশি কাকে বলে?
[ব. বো. ১৬]
উত্তর : যেসব রাশি মূল অর্থাৎ স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, যেগুলো অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে।
প্রশ্ন ১৬। ভৌত রাশি কী?
উত্তর : ভৌত জগতের রাশিসমূহই হলো ভৌত রাশি ।
প্রশ্ন ১৭। মিটার কাকে বলে?
উত্তর : শূন্য মাধ্যমে আলো অতিক্রম করে সেই দূরত্বকে এক মিটার বলে।
প্রশ্ন ১৮। এক রেডিয়ান কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বৃত্তের ব্যাসার্ধের সমান বৃত্তচাপ কেন্দ্রের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে এক রেডিয়ান বলে।
প্রশ্ন ১৯। এক কেলভিন কাকে বলে?
উত্তর : পানির ত্রৈধবিন্দুর তাপমাত্রার1/273.16অংশকে এক কেলভিন বলে।
প্রশ্ন ২০। এক মোল কাকে বলে ?
উত্তর : যে পরিমাণ পদার্থে 0.12 kg কার্বন-12 এ অবস্থিত পরমাণুর সমান সংখ্যক প্রাথমিক ইউনিট যেমন পরমাণু, আয়ন, অণু ইলেকট্রন ইত্যাদি থাকে তাকে এক মোল বলে।
প্রশ্ন ২১। পরিমাপ কী?
উত্তর : কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাই হলো পরিমাপ। অর্থাৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মাপজোখের বিষয়টি হলো পরিমাপ ।
প্রশ্ন ২২। পরিমাপের একক কী?
উত্তর : যেকোনো পরিমাপের জন্য চাই একটি আদর্শ পরিমাণ, যার সাথে তুলনা করে সকল ভৌত রাশির পরিমাপ করা হয়। পরিমাপের এ আদর্শ পরিমাণই হলো পরিমাপের একক।
প্রশ্ন ২৩। বৈজ্ঞানিক প্রতীক কাকে বলে?
উত্তর : কোনো সংখ্যাকে 10 এর যেকোনো ঘাত এবং 1 থেকে 10 এর মধ্যে অপসংখ্যার গুণফল হিসেবে প্রকাশ করা হলে তাকে বৈজ্ঞানিক প্রতীক বলে।
প্রশ্ন ২৪। ভরের একক এক কিলোগ্রাম কাকে বলে?
উত্তর : ফ্রান্সের স্যাভ্রেতে ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েটস এন্ড মেজরস এ রক্ষিত 3.9 am উচ্চতা ও 3.9cm ব্যাস বিশিষ্ট প্লাটিনাম ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি সিলিন্ডারের ভরকে। কিলোগ্রাম বলে।
প্রশ্ন ২৫। ন্যানো ও মাইক্রো কী?
উত্তর : ন্যানো ও মাইক্রো হলো এককের উপগুণিতক, যেখানে ন্যানো 1/10ⴷ 9অর্থাৎ এককর 10ⴷ- 9 অংশ এবং মাইক্রো 1/10ⴷ6অর্থাৎ, এককের 10ⴷ-6 অংশ।
প্রশ্ন ২৬। মাত্রা সমীকরণ কাকে বলে?
উত্তর : যে সমীকরণ মৌলিক একক এবং লদি এককের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে মাত্রা সমীকরণ বলে।
প্রশ্ন ২৭। ভার্নিয়ার স্কেল কী?
উত্তর : মূল বা প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের ভগ্নাংশের নির্ভুল পরিমাপের জন্য প্রধান স্কেলের পাশে আর একটি সচল স্কেল ব্যবহার করা হয়। এটিই ভার্নিয়ার স্কেল ।
প্রশ্ন ২৮।স্ক্রু গজ কী?
উত্তর : যে পরিমাপ যন্ত্রে একটি সমব্যাসার্ধের মাইক্রোমিটার থাকে সেটিই স্ক্রু গজ
প্রশ্ন ২৯। মাইক্রোমিটার কী?
উত্তর : মাইক্রোমিটার হলো দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষত এক।এক মিটার দৈর্ঘ্যাকে দশ লক্ষ ভাগে ভাগ করলে প্রত্যেক ভাগার এক মাইক্রোমিটার বলে।
প্রশ্ন ৩০। গবেষণা কী?
উত্তর : কোনো বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সে বিষয়কে গভীরভাবে বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই হলো গবেষণা।
প্রশ্ন ৩১। ভার্নিয়ার ধ্রুবক কী?
উত্তর : প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের এক ভাগ কতটুকু ছোট তার পরিমাণ হলো ভার্নিয়ার ধ্রুবক। একে V C দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন ৩২। লঘিষ্ঠ গণন কী?
[দিবো, ১৭]
উত্তর : স্ক্রু-নাট নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত যন্ত্রগুলোর বৃত্তাকার স্কেলের একভাগ ঘুরালে স্কুটি যতটুকু সরে আসে তাকে লঘিষ্ঠ গণন বলে। অর্থাৎ পিচকে বৃত্তাকার স্কেলের ভাগ সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে লঘিষ্ঠ গণন পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৩৩। পরিমাপের লম্বন ত্রুটি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো রৈখিক বা বৃত্তাকার স্কেলের পাঠ নেওয়ার সময় দৃষ্টি রেখা স্কেলের তলের সাথে লম্বভাবে প্রক্ষেপণ করতে হয়। অন্যথায় দৃষ্টির দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থানের আপাত পরিবর্তন ঘটে এবং পাঠ নিতে ভুল হয়। একে লম্বন ত্রুটি বলা হয় ।
প্রশ্ন ৩৪। পদ্ধতিগত ত্রুটি কী?
উত্তর : যে সকল ত্রুটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বা জানা কারণে উদ্ভূত হয় তাকে পদ্ধতিগত ত্রুটি বলে ।
প্রশ্ন ৩৫ । পিছট ত্রুটি কী?
উত্তর : স্ক্রু গজ যন্ত্র ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে স্ক্রু ক্ষয় হয়ে আলগা হয়ে পড়ে এবং স্ক্রুকে উভয়দিকে একই পরিমাণ ঘুরালে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে না, তাই পিছট ত্রুটি।
প্রশ্ন ৩৬। পরম ত্রুটি কী?
উত্তর : কোনো ভৌত রাশির পরিমাপে প্রকৃত যান এবং পরিমাপকৃত মানের পার্থক্যকে পরম ত্রুটি বলে।
প্রশ্ন ৩৭। লেভেল ত্রুটি কী?
উত্তর : বিক্ষেপী চৌম্বক মান যন্ত্র নিক্তি ইত্যাদি যন্ত্রে যন্ত্রটি বা যন্ত্রের পাটাতন অনুভূমিকে না থাকলে যন্ত্রের পাঠে যে ভুল হয় তাই লেভেল ত্রুটি ।
প্রশ্ন ৩৮। এলোমেলো বা অনিয়মিত ত্রুটি কী?
উত্তর : বিভিন্ন ধরনের জানা ও অজানা কারণে যন্ত্রের পাঠে এক ধরনের ত্রুটি ঘটে, একে এলোমেলো বা অনিয়মিত ত্রুটি বলে।। ত্রুটি কখনও পুরোপুরি দূর করা যায় না।
প্রশ্ন ৩৯। ব্যক্তিগত ত্রুটি কী?
উত্তর : পর্যবেক্ষকের নিজের কারণে যে ত্রুটি হয় তাকে ব্যক্তিগত ত্রুটি বলে ।
প্রশ্ন ৪০। পুনরাবৃত্তিক বা নিয়মিত ত্রুটি কী?
উত্তর : একাদিক্রমে নেওয়া বেশ কয়েকটি পরীক্ষা পাঠের প্রত্যেকটিতে একই পরিমাণ ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তাকে ধ্রুব বা পুনরাবৃত্তিক বা নিয়মিত ত্রুটি বলে ।
প্রশ্ন ৪১। শূনাদাগ বা শূন্য ত্রুটি কী?
উত্তর : যন্ত্র তৈরি করার সময় বা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এ ত্রুটির উদ্ভব ঘটে। সাধারণত ভার্নিয়ার ফেল, স্লাইড ক্যালিপার্স, স্ক্রু-গজ, স্ফেরোমিটার ইত্যাদির প্রধান স্কেলের শূন্য দাগ যদি ভার্নিয়ার বা বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগের সাথে না মিলে সামনে বা পিছনে থাকে তাহলে তাকে শূন্যদাগ বা শূন্য ত্রুটি বলে । পরিমাপ্য রাশির শুদ্ধতর মান নির্ধারণ
প্রশ্ন ৪২। পীচ কী?
[রা. বো. ১৬) উত্তর : স্ক্রু গজের বৃত্তাকার স্কেলটি একবার ঘুরালে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যেটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে তাই স্ক্রুর পিচ।
প্রশ্ন ৪৩। পরিমাপের সূক্ষ্মতা কী?
উত্তর : সুহ্ম্যতা হলো সঠিক মানের কাছাকাছি মান অথবা পরিমাপের সুজ্জামান । সুক্ষ্মতা প্রকৃতপক্ষে যন্ত্রের সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে।
ব্যবহারিক
প্রশ্ন ৪৪। স্ফেরোমিটার কী?
উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে গোলীয় তল তথা গোলকের বক্রতার ব্যাসার্ধ, পরিমাপ করে গোলকের আয়তন ও গোলক পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল পরিমাপ করা যায় তাই স্ফেরোমিটার।
প্রশ্ন ৪৫ । প্রমাণ বিচ্যুতি কী?
উত্তর : অনেক সময় বিচ্যুতিগুলোর গড় নির্ণয়ের পরিবর্তে তাদের বর্গের গড় বের করে তার বর্গমূল নির্ণয় করা হয় যাকে প্রমাণ বিচ্যুতি বলে ।
প্রশ্ন ৪৬। ব্যবহারিক একক কী?
উত্তর : কোনো কোনো মৌলিক একক খুব বড় বা ছোট হওয়ায় ব্যবহারিক কাজে তাদের উপগুণিতক বা গুণিতককে একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর নাম ব্যবহারিক একক।
অনুশীলনীর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
Comprehension Based Questions & Answers of Exercise
প্রশ্ন ১। জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বুঝ?
উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় মহাকাশ ও মহাজাগতিক বস্তু সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয় তাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান বলে। জ্যোতির্বিজ্ঞানে মহাবিশ্বের গঠন ও গ্রহ নক্ষত্রের গতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকবাদ তত্ত্ব জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণায় আধুনিকতা এনে দিয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানের কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের আবির্ভাব জ্যোতির্বিদ্যার বহুসংখ্যক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য ব্যাখ্যায় উন্নতি সাধন করেছে।
প্রশ্ন ২। বিজ্ঞান ও দর্শন পরস্পরের সম্পূরক-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিজ্ঞানে দর্শন মানে তত্ত্বদর্শন অর্থাৎ জগতের ও জীবের স্বরূপ উপলব্ধি । জগদ্দর্শন বা জীবন দর্শন যাই হোক দর্শন একটি সামগ্রিক বা অখণ্ড দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়বস্তুকে বিচার করে। দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের পার্থক্য এসব কারণে। বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রকৃতির এক একটি বিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করে। বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি হলো খন্ড খন্ড বা বিশেষ বিশেষ বিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা এবং সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের চেষ্টা হলো বিশ্বজগতের একটি অংশের জ্ঞান দেওয়া। পক্ষান্তরে দর্শনের স্বরূপ হলো বিভিন্ন বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তসমূহ সমন্বয় সাধন করে তারই পরিপ্রেক্ষিতে জগৎ ও জীবনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করা।
প্রশ্ন ৩। সনাতনী পদার্থবিজ্ঞানকে নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞান বলা হয় কেন?
উত্তর : বলবিদ্যার জনক নিউটন গতির তিনটি সূত্র, বিশ্বজনীন মহাকর্ষ সূত্রসহ বহুসূত্র আবিষ্কার করেন। তিনি আলোর কণিকাতত্ত্বের প্রবক্তা। আলোর সরল পথে গমন, আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ গুণাবলি এ সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। তাপবিজ্ঞানে নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র, শব্দ বিজ্ঞানে বায়ুতে শব্দের বেগ সম্পর্কিত সূত্র থেকে শুরু করে পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সকল শাখায় তার বিচরণ ছিল। তার অবদান এতো সুদূরপ্রসারী ছিল বলে সনাতনী পদার্থবিজ্ঞানকে নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞান বলা হয় ।
প্রশ্ন ৪। ধারণা বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : ধারণা হলো কোনো বিশেষভাবে নির্দিষ্ট আকস্মিক ঘটনা হতে উদ্ভূত সাধারণ কল্পনা। প্রমাণের বা পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল নয় এমন খেয়ালি ধারণা অথবা যুক্তির উপরে স্থাপিত নয় এমন মতকে ধারণা বলে। বিচার-বিশ্লেষণ ব্যতিরেকে কেবল অনুভূতি বলেই চিন্তা প্রসূত কল্পনাই হচ্ছে ধারণা ।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিভিন্ন ধারণা ব্যক্ত করেন। যার অনেকগুলো পরবর্তীতে প্রমাণিত সত্য বলে গৃহীত হয়, আবার অনেক ধারণা সংশোধিত, সংযোজিত ও বিয়োজিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, কিছু ধারণা ভুল হিসেবে পরিগণিত হয়। যেমন জ্যোর্তিবিদ অ্যারিস্টার্কাস সর্বপ্রথম ধারণা দেন যে, সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্র, যা পরবর্তীতে টলেমি সমর্থন করেন এবং কেপলার তিনটি সূত্রের সাহায্যে গাণিতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন ।
প্রশ্ন ৫। স্বীকার্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব একটি সার্বিক বিবৃতির মাধ্যমে স্বীকার করে নিলে তাকে স্বীকার্য বলে । ঐ স্বীকার্য তত্ত্বটির একটি ভিত্তি প্রদান করে। এই বিবৃতিগুলো প্রাথমিকভাবে বিনা তর্কে স্বীকার করে নিলেও পরে তা পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত হতে হয়।
যেমন, আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব দুটি মৌলিক স্বীকার্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আইনস্টাইন মনে করেন যে, দুজন পর্যবেক্ষকের মধ্যে যদি আপেক্ষিক গতি বজায় থাকে তাহলে একটি মাত্র ঘটে যাওয়া ঘটনা দুজন দুই রকম দেখবেন ।
প্রশ্ন ৬। অনুকল্প বলতে কী বোঝ?
উত্তর : অনুকল্প হচ্ছে কোনো বৈজ্ঞানিক ঘটনার প্রস্তাবিত ব্যাখ্যা। একজন বিজ্ঞানী সরল নিয়ম বা প্রচলিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাধ্যমে ঘটনার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে যুক্তিসম্মত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উক্ত প্রকল্পটি যদি সংশ্লিষ্ট সমস্ত ঘটনা ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হয় তবে এটি প্রাকৃতিক নিয়ম হিসেবে গণ্য করা হয়। সঠিক কোনো বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে এটি ভবিষ্যতে পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রশ্ন ৭। ধারণা ও নীতির মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর।
উত্তর : ধারণা ও নীতির মধ্যে পার্থক্য হলো-
ধারণা
১. ধারণা হলো পরীক্ষা,
যুক্তি বা প্রমাণের উপর
নীতি
১. নীতি হচ্ছে নিয়ম বা আইন যা অবশ্যই বা সাধারণত মেনে চলতে হয়।
নির্ভরশীল নয় এমন মতামত ৷
ধারণাসমূহ সঠিক হতে
২.পারে আবার নাও হতে পারে।
৩. ধারণার উদাহরণ হলো-
অ্যারিস্টাকার্সের
সৌরকেন্দ্রিক
ধারণা,
ডেমোক্রিটাসের পরমাণুর ধারণা ইত্যাদি।
নীতিসমূহ বৈজ্ঞানিক সমাজ সর্বজনীনভাবে,
কর্তৃক স্বীকৃত।
৩. নীতির উদাহরণ হলো- ডপলার নীতি, শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি, হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি।
প্রশ্ন ৮। সূত্রের সাথে তত্ত্বের তফাৎ কী? ব্যাখ্যা কর।
[বাং. বো. ১৬]
উত্তর : সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট শর্ত বা অবস্থায় সবসময় কী ঘটবে তার বর্ণনা হলো সূত্র। আর কোনো কিছু ব্যাখ্যার জন্য যে আনুষ্ঠানিক চিন্তাধারা, ভাব বা ধারণা তাকে তত্ত্ব বলে। অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত তত্ত্বের মূল কথাগুলো যে বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশিত করা হয় তাই সূত্র এবং প্রকল্প ও নিয়মের সমন্বয়ে তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত ।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, সূত্র হলো প্রকৃতির নীতির বর্ণনা যা সর্বজনস্বীকৃত । আর তত্ত্ব হলো সেই ধরনের বর্ণনা যার একাধিক সূত্র থাকে কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বজনস্বীকৃত মান অর্জন করতে পারেনি।
প্রশ্ন ৯। খেলাধুলার সাথে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : খেলাধুলার সাথে পদার্থবিজ্ঞানের বলবিদ্যা শাখাটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। খেলার সময় খেলোয়ার নিজে এবং খেলার সরঞ্জাম উভয়েই বস্তুর ধর্ম মেনে চলতে বাধ্য। খেলার নিয়ম- কানুনের ব্যতয় ঘটতে পারে কিন্তু বস্তু কর্তৃক বলবিদ্যার নিয়মের ব্যতয় ঘটানো অসম্ভব । বলবিদ্যার নিয়ম জেনে এবং মেনেই প্রায় সকল খেলা খেলতে হয়। ক্রিকেট, ফুটবল, লনটেনিস, টেলিক টেনিস-এসব খেলায় নিক্ষেপ, নিক্ষেপ কোণ, ঘাত বল, স্পিন, বাউন্স, বায়ুর সাথে গতিশীল বলের মিথস্ক্রিয়ায় চলন্ত পথে ডানে বা বায়ে ধনুকের ন্যায় বেঁকে যাওয়া; ভূমি বা টেবিলে আঘাতের পর বেঁকে যাওয়া ইনসুইং, আউটসুইং এসবই বলবিদ্যার নিয়মে ঘটে।
প্রশ্ন ১০। লঘিষ্ঠ গশন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : স্কু গজের বৃত্তাকার স্কেলের মাত্র একভাগ ঘুরালে তারা এর প্রান্ত বা স্কুটি যতটুকু সরে আসে তাকে বলা হয় যন্ত্রের লঘিষ্ঠ গণন বা লঘিষ্ঠমান।
ব্যাখ্যা : স্ক্রু গজের সাহায্যে পাঠ নেওয়ার পূর্বে লঘিষ্ঠ মান নির্ণয় করতে হয়। বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগের সাথে রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগ মিলিয়ে নিতে হয়। বৃত্তাকার স্কেলটিকে একবার ঘুরালে এর যতটুকু সরণ ঘটে এবং রৈখিক স্কেল বরাবর যে দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে তাকে ঐ যন্ত্রের দৌড় বা পিচ বলে। যন্ত্রের পিচকে বৃত্তাকার ছেলের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে লঘিষ্ঠ মান পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১১। স্থান ও কালের আধুনিক ধারণা দাও ।
উত্তর : স্থান, কাল ও ভর সম্পর্কে আধুনিক ধারণার প্রবর্তন হয়েছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব এবং প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বের হাত ধরে। আইনস্টাইনের মতে স্থান, কাল, ভর কোনো কিছুই ধ্রুব নয়, বরং আপেক্ষিক। তিনি এজনা প্রথমেই আমাদের ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় একটি বস্তুকে সাপেক্ষ হিসেবে কল্পনা করে নেন। এর নাম দেন প্রসঙ্গ কাঠামো। এখন, এ প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোনো বস্তু যদি আলোর কাছাকাছি বেগে গতিশীল হয়, তবে সেই বস্তুর উপর প্রচলিত স্থান, কাল ও ভরের ধারণা খাটবে না, বরং দেখা যায়, এক সময় বস্তুর আপাত দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়, কাল ব্যবধান বৃদ্ধি পায়; এমনকি তার ভরও পরিবর্তিত হয়ে বেড়ে যায়।
প্রশ্ন ১২। স্থান-কালের চিরায়ত ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের মতে, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা—এই তিন মাত্রা নিয়ে স্থানের বিস্তৃতি। ত্রিমাত্রিক এ জগতের শুরু বা শেষ নেই। স্থান নিরবচ্ছিন্ন, একে অতি ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যায়। স্থানের যেকোনো এলাকা অন্য এলাকা থেকে অভিন্ন। স্থান বস্তু, ঘটনা এবং কাল নিরপেক্ষ। বিজ্ঞানীরা এক সময় মনে করতেন, মহাবিশ্বের সকল স্থান ইথার নামক অদৃশ্য পদার্থ দ্বারা পরিপূর্ণ। চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে সময় বা কাল নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হয়। পারিপার্শ্বিক বস্তু বা ঘটনার উপর এটি নির্ভরশীল নয়। সময় স্থান নিরপেক্ষ। এককথায় চিরায়ত ধারণায় আমাদের মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক স্থান ও একমাত্রিক সময় নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ১৩। বলের একককে মৌলিক এককের মাধ্যমে প্রকাশ কর।
উত্তর : বলের একক = ভরের একক × ত্বরণের একক
চ. বো. ১৫
= ভরের একক xদূরত্বের একক/সময়ের একক x সময়ের একক
বা, N = kg m s-2
প্রশ্ন ১৪। মৌলিক একক ও লব্ধ একক বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যেসব ভৌত রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি যাদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে। এই মৌলিক রাশির একককে মৌলিক একক বলে।
যেমন— মৌলিক রাশি দৈর্ঘ্যের একক মিটার । মিটার একটি মৌলিক একক, এটি অন্য কোনো এককের উপর নির্ভর করে না । যেসব ভৌত রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয় অন্য কোনো মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে এবং এক বা একাধিক মৌলিক রাশির গুণফল বা ভাগফল থেকে উৎপন্ন হয়, তাদেরকে লব্ধ বা যৌগিক রাশি বলে। এই লব্ধ রাশির একককে লব্ধ একক বলে। যেমন— লব্ধ রাশি ক্ষেত্রফলের একক (মিটার)। (মিটার) একটি লব্ধ একক যা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের এককের গুণফল দ্বারা নিদের্শিত হয় ।
প্রশ্ন ১৫। ক্ষমতা লব্ধ রাশি কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ক্ষমতার একক ওয়াট (W) যা একটি লব্ধ একক। লব্ধ একক বিভিন্ন মৌলিক একক হতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ক্ষমতা নির্ণয় করতে তিনটি মৌলিক রাশি ভর, সরণ বা দূরত্ব ও সময় প্রয়োজন । তাই ক্ষমতা লব্ধ রাশি।
ক্ষমতা =শক্তি/সময়
=কাজ /সময়
= বল x সরণ/ সময়
=ভর x (সরণ)2/(সময়)3
প্রশ্ন ১৬। কোনো রাশির পরিমাপ প্রকাশ করতে এককের প্রয়োজন হয় কেন?
[রা. বো. ১৭]
উত্তর : কোনো পরিমাপকে প্রকাশ করার জন্য পরিমাপের এককের প্রয়োজন। যেকোনো পরিমাপের জন্য প্রয়োজন একটি স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ পরিমাণ যার সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা যায়। যেমন—
- 1.কোনো একটি বস্তুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা পাওয়ার জন্য দৈর্ঘ্যের সংখ্যাগত মানের পাশে একক ব্যবহার করতে হয় । যেমন, একটি বস্তুর দৈর্ঘ্য 10 মিটার।
- 2.কোনো বস্তুর ভর সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা পাওয়ার জন্য ওজনের সংখ্যাগত মানের পাশে একক ব্যবহার করতে হয় । যেমন, বস্তুর ওজন 5 কেজি (kg)।
- 3'আবার সময়ের প্রকৃত ধারণা পাওয়ার জন্য সময়ের সংখ্যাগত মানের পাশে একক ব্যবহার করতে হয়। যেমন, দুপুর 2 ঘণ্টা 30 মিনিট 20 সেকেন্ড ।
প্রশ্ন ১৭। এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা SI একক বলতে কী বুঝ?
উত্তর : S.I (এস.আই) এককের পুরো নাম International System of Units. বাংলায় বলা হয় এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি। এ International System বা আন্তর্জাতিক পদ্ধতিকে সংক্ষেপে বোঝাতে S. I (এস. আই) ব্যবহার করা হয়। দৈনন্দিন কাজকর্ম ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই মাপজোখের প্রচলন ছিল। এ মাপজোখের জন্য বিভিন্ন এলাকায় বহু একক প্রচলন ছিল। বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য সারা বিশ্বে মাপজোখের একই রকম আদর্শের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ তাগিদে ১৯৬০ সাল থেকে দুনিয়াজোড়া বিভিন্ন রাশির একই রকম একক চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্বজোড়া চা হওয়া এককের এ পদ্ধতিকে বলা হয় এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা সংক্ষেপে এসআই (S.I) একক।
প্রশ্ন ১৮। পরিমাপের এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতির প্রয়োজন হয়েছিল কেন?
[সি. বো. '১৯]
উত্তর : একই রাশি ভিন্ন ভিন্ন এককে পরিমাপ করলে মান ভিন্ন হয়। যেমন যে দণ্ডটির দৈর্ঘ্য মিটার এককে 1 m, সেন্টিমিটার এককে তার মান 100 cm । এভাবে একই রাশি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন এককে পরিমাপ করলে বুঝতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্য ইউনিফর্ম পরিমাপ ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে পরিমাপের এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতির প্রয়োজন হয়েছিল।
প্রশ্ন ১৯। সময় পরিমাপের এনালগ ও ডিজিটাল যন্ত্রের মধ্যে কোনটির ব্যবহার সুবিধাজনক কেন ?
উত্তর : এনালগ স্টপওয়াচের চেয়ে ডিজিটাল স্টপওয়াচ ব্যবহার করা সুবিধাজনক । কারণ এনালগ স্টপওয়াচের চেয়ে ডিজিটাল স্টপওয়াচ অনেক নির্ভুল পাঠ দেয়। একটি এনালগ স্টপওয়াচ যেখানে ° 0.1 s পর্যন্ত নির্ভুল পাঠ দিতে পারে সেখানে একটি ডিজিটাল স্টপওয়াচ ° 0.01$ পর্যন্ত সঠিকভাবে পাঠ দিতে পারে । ফলে ফলাফল নির্ভুল হওয়ার হার অনেক বেড়ে যায় ।
প্রশ্ন ২০। ববের ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর : স্লাইড ক্যালিপার্স হচ্ছে এমন এক ধরনের পরিমাপক যন্ত্র যার সাহায্যে প্রতিসম, অপ্রতিসম, গোলাকার, বর্তুলাকার বা চতুর্ভুজাকার যেকোনো বস্তুর ক্ষেত্রফল এবং আয়তন নির্ণয় করা যায়। যেহেতু বব সাধারণত গোলাকার হয়ে থাকে সেহেতু গোলাকার বস্তুর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে মিটার স্কেল এবং স্ক্রু গজের পরিবর্তে স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহার করা উত্তম। কেননা, স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে বিভিন্ন দিক হতে ববের ব্যাসার্ধ নিয়ে তাদের গড় মান থেকে ববের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করা যায়। এজন্য ববের ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ২১। 2 am.u বলতে কী বুঝ ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : 2 amu বলতে দুই পারমাণবিক ভরকে বুঝায় । আমরা জানি, 1 amu = 1.66057 x 10-27 kg
2 amu = 2 × 1.66057 x 10-27 kg = 3.321 × 10-27 kg নিউট্রন, প্রোটন প্রভৃতি কণার ভর amu এককে প্রকাশ করা যায়। এই এককে প্রোটন ও নিউট্রনের ভর যথাক্রমে 1.007277 amu ও 1.008665 amu
2 amu ভরের সমতুল্য শক্তি = 2 x 934 MeV = 1868 Mev
প্রশ্ন ২২। কোণ একটি মাত্রাশূন্য রাশি— ব্যাখ্যা কর ।
বৃত্তচাপ ও ব্যাসার্ধ উভয় রাশির মাত্রা হলো দৈর্ঘ্যের মাত্রা [L] .. কোণ (ⵀ) = 1
সুতরাং সমতলিক কোণ একটি মাত্রাহীন রাশি ।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url