সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র অধ্যায় -২ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি সাজেশন

অধ্যায় -২ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি

Society and culture of Bangladesh


এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১০০% কমন সাজেশন-২০২৩

HSC Sociology 2nd paper100% Common Suggestion-2023

পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় -২ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-১. সমাজ কী?

উত্তর: যখন কিছু মানুষ একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করে তখন তাকে সমাজ বলে ।

প্রশ্ন-২. এ. কে. নাজমুল করিম কয়টি ধারণার ভিত্তিতে সমাজকে সংজ্ঞায়িত করেছেন ?

উত্তর: এ. কে. নাজমুল করিম তিনটি ধারণার ভিত্তিতে সমাজকে সংজ্ঞায়িত করেছেন ।

প্রশ্ন-৩. ‘Culture' শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে? 

[দি বো.. চ. বো, ব. বো. ১৭]

উত্তর: ‘Culture' শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Colere' থেকে এসেছে।

প্রশ্ন-৪. সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Culture' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?

 [ঢা. বো, রা. বো, কু, বো, সি. বো, য. বো. ১৭]

 উত্তর: ‘Culture' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন ।

প্রশ্ন-৫. সংস্কৃতি কী?

 [সকল বোর্ড ১৫]

উত্তর: সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের সমগ্র জীবনাচরণ ।

প্রশ্ন-৬. ই. বি. টেইলরের মতে, সংস্কৃতি কী?

উত্তর: ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানী ই. বি. টেইলরের মতে, “সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের অর্জিত আচার-আচরণ, ব্যবহার, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্পকলা, নীতি, প্রথা, আইন ইত্যাদির জটিল সমন্বয়ই হলো সংস্কৃতি ।”

প্রশ্ন-৭. ট্যালকট পারসন্সের মতে, সংস্কৃতির বহমানতা কতভাবে হতে পারে?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ট্যালকট পারসন্সের মতে, সংস্কৃতির বহমানতা দুইভাবে হতে পারে

প্রশ্ন-৮. ট্যালকট পারসন্সের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য কয়টি?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ট্যালকট পারসন্সের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য তিনটি ।

প্রশ্ন-৯. ঘর-বাড়ি সংস্কৃতির কোন ধরনের উপাদান?

 [রা. বো., কু. বো, চ. বো, ব. বো. ১৮]

উত্তর: ঘর-বাড়ি সংস্কৃতির বস্তুগত উপাদান ।

প্রশ্ন-১০. সংস্কৃতি কয় প্রকার?

 [রা. বো, কু, বো, চ, বো, ব. বো. ১৮]

উত্তর: সংস্কৃতি দুই প্রকার। 

যথা- বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি ।

প্রশ্ন-১১. ম্যাকাইভার-এর মতে, সংস্কৃতি কী?

উত্তর: স্কটিশ সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভারের মতে, “আমরা যা তাই আমাদের সংস্কৃতি” ।

প্রশ্ন-১২. এ. কে. নাজমুল করিম সংস্কৃতিকে কয়ভাগে ভাগ করেছেন?

উত্তর: এ. কে. নাজমুল করিম সংস্কৃতিকে তিনভাগে ভাগ করেছেন।

প্রশ্ন-১৩.বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থব্যবস্থা কীসের ওপর নির্ভরশীল?

উত্তর: বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থব্যবস্থা কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন-১৪. বাংলাদেশের গ্রামে বসবাসকারী কত ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল? 

উত্তর: বাংলাদেশের গ্রামে বসবাসকারী শতকরা প্রায় ৭৬ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল

প্রশ্ন-১৫. কোনো অঞ্চলের ঘরবাড়ির ধরন কীসের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর: কোনো অঞ্চলের ঘরবাড়ির ধরন ওই অঞ্চলে প্রাপ্ত কাঁচামাল এবং অধিবাসীদের আর্থিক সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন-১৬. বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ মূলত কীরূপ জীবনধারায় পরিচালিত হয়?

উত্তর: বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ মূলত সনাতন জীবনধারায় পরিচালিত হয়।

প্রশ্ন-১৭. কোন দেশের বেশিরভাগ মানুষ অদৃষ্টবাদী?

উত্তর: বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অদৃষ্টবাদী।

প্রশ্ন-১৮. বাংলাদেশের নাগরিক জীবনের অর্থনীতি কীসের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর: বাংলাদেশের নাগরিক জীবনের অর্থনীতি অকৃষিজ পেশার ওপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন-১৯. কৃষি কাঠামো কী?

উত্তর: কৃষি উৎপাদনকেন্দ্রিক সামাজিক সম্পর্কের বিন্যাসই কৃষি কাঠামো।

প্রশ্ন-২০. ‘সমাজের শৈশবকালই হচ্ছে গ্রামীণগোষ্ঠী'— উক্তিটি কার?

উত্তর: 'সমাজের শৈশবকালই হচ্ছে গ্রামীণগোষ্ঠী'— উক্তিটি আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী বোগার্ডাসের।

প্রশ্ন-২১. উপসংস্কৃতি কী?

উত্তর: সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে প্রাধান্য বিস্তারকারী সংস্কৃতির মৌলিক বিষয়বস্তু (অর্থনৈতিক কার্যক্রম, সামাজিক রীতিনীতি, ভাষা ইত্যাদি) থেকে আলাদা ধরনের সংস্কৃতিকে ‘উপ-সংস্কৃতি' বলা হয় ।

প্রশ্ন-২২.বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির ব্যবধানকে সর্বপ্রথম তাত্ত্বিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন কে?

উত্তর: বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির ব্যবধানকে সর্বপ্রথম তাত্ত্বিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম ফিল্ডিং অগবার্ন ।

প্রশ্ন-২৩.সংস্কৃতির পশ্চাৎপদতাকে স্পেন্সার কী বলে আখ্যায়িত করেছেন?

উত্তর: সংস্কৃতির পশ্চাৎপদতাকে ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী হার্বার্ট স্পেন্সার ‘The dead hand' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

 প্রশ্ন-২৪. কোন পদটি দ্বারা কৃষিসমাজ থেকে যান্ত্রিক শিল্পের বিকাশকে বোঝানো হয়ে থাকে?

উত্তর: শিল্পায়ন পদটি দ্বারা কৃষিসমাজ থেকে যান্ত্রিক শিল্পের বিকাশকে বোঝানো হয়ে থাকে ।

প্রশ্ন-২৫. অগবার্ন ‘সাংস্কৃতিক ব্যবধান' তত্ত্ব প্রদান করতে গিয়ে কার মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন?

উত্তর: অগবার্ন ‘সাংস্কৃতিক ব্যবধান' তত্ত্ব প্রদান করতে গিয়ে জার্মান দার্শনিক কার্ল মার্কসের মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।

প্রশ্ন-২৬. সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্বটি সর্বপ্রথম কোন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্বটি সর্বপ্রথম আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী অগবার্নের 'Social Change' নামক গ্রন্থে প্রকাশিত হয় ।

প্রশ্ন-২৭. ব্যক্তি অভ্যাস ও রুচিবোধ কার কাছ থেকে রপ্ত করে?

উত্তর: ব্যক্তি অভ্যাস ও রুচিবোধ পরিবারের কাছ থেকে রপ্ত করে ।

প্রশ্ন-২৮.জাতীয় জীবনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্মাণে কোনটির গুরুত্ব অপরিসীম?

উত্তর: জাতীয় জীবনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্মাণে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন-২৯. জাতি গঠনের মূল উপাদান কী?

উত্তর: জাতি গঠনের মূল উপাদান হলো শিক্ষা ।

প্রশ্ন-৩০.বর্তমানে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের লোকেরা কোন সংস্কৃতির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে? 

উত্তর. বর্তমানে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের লোকেরা বিদেশি সংস্কৃতির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে।

প্রশ্ন-৩১. নগর সংস্কৃতিতে কোন ধরনের মর্যাদার গুরুত্ব অনেক বেশি?

উত্তর, নগর সংস্কৃতিতে অর্জিত মর্যাদার গুরুত্ব অনেক বেশি ।

প্রশ্ন-৩২. কীসের প্রভাবে বাংলাদেশের নগর সংস্কৃতি তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে?

উত্তর. পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে বাংলাদেশের নগর সংস্কৃতি তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে।

অনুধাবনমূলকপ্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-১. সমাজ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: সমাজ হলো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত সামাজিক সংগঠন। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। যখন কিছু সংখ্যক লোক এক বা একাধিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য লেনদেন ও ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, তখন তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের ওই জটিল অবস্থাকেই বলা হয় সমাজ। ম্যাকাইভার ও পেজ তাঁদের 'Society' নামক গ্রন্থে বলেন, “যেসব সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা জীবন ধারণ করি তাদের সংগঠিত রূপই হলো সমাজ।” 

প্রশ্ন-২. ‘সংস্কৃতি হচ্ছে শিক্ষালব্ধ বিষয়'- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: প্রকৃতিগত দিক থেকে সংস্কৃতি হচ্ছে শিক্ষালব্ধ বিষয়। আমরা জানি, সংস্কৃতি জৈবিকভাবে মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয় না। এটি সামাজিকভাবে শিখতে হয়। মানুষ প্রতিনিয়ত ভাষা, রীতি-নীতি, আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাস, প্রথাসহ শিক্ষা গ্রহণ করে। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি নতুন নতুন সংস্কৃতি গ্রহণ করে যুগের পর যুগ সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখে । আর এজন্যই সংস্কৃতিকে শিক্ষালব্ধ বিষয় বলা হয় ।

প্রশ্ন-৩. বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির ধরন ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: উপাদানের ভিত্তিতে সংস্কৃতিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা— বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি। মানুষ দৈনন্দিন জীবন নির্বাহে বস্তুগত যা কিছু তৈরি ও ব্যবহার করে, তাই বস্তুগত সংস্কৃতি। যেমন- চেয়ার, টেবিল, জামা-কাপড়, ঘরবাড়ি ইত্যাদি । অন্যদিকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে মানুষের ভাবনাজাত বিষয়কে বোঝায়, যা বস্তুগত নয়, বরং তথ্য বা ভাবনা আকারে প্রকাশ পায়। যেমন- জ্ঞান, কৌশল, চিন্তা, সাহিত্য, ধর্ম, দর্শন ইত্যাদি ।

প্রশ্ন-৪.'সংস্কৃতি সর্বত্র বিরাজমান’– ব্যাখ্যা কর। 

[দি. বো, চ. বো, ব. বো. ১৭]

উত্তর: সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় সংস্কৃতি অতীত থেকে বর্তমান সকল সমাজে বিরাজমান সংস্কৃতি হলো সমাজস্থ মানুষের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পরিচয়ের সুস্পষ্ট ইঙ্গিতবহ একটি উপাদান। সংস্কৃতি সর্বদা গতিশীল। প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে খাপখাইয়ে চলতে গিয়ে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মানুষ যা আবিষ্কার করেছে তার সবই সংস্কৃতি। অর্থাৎ কোনো সমাজই সংস্কৃতির অবস্থানকে অস্বীকার করতে পারে না। সংস্কৃতির অপরিহার্যতার কারণে তা সর্বদাই গতিশীল ও বিরাজমান । বংশপরম্পরায় সব দেশে ও যুগে সংস্কৃতি সর্বদা বিরাজমান ছিল এবং থাকবে। 

প্রশ্ন-৫.‘বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি অনেকটাই কৃষিনির্ভর’– ব্যাখ্যা কর। 

[সকল বোর্ড ১৯]

উত্তর: প্রকৃতিগত দিক থেকে বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি অনেকটাই কৃষির ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের শতকরা ৭৬ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষিনির্ভর। এসব মানুষের সিংহভাগই গ্রামে বাস করে । স্বাভাবিকভাবেই গ্রামীণ সংস্কৃতির বেশিরভাগ অংশই কৃষিনির্ভর এসব মানুষের আচার-আচরণের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে গ্রামের সামাজিক রীতিনীতি, পরিবার কাঠামো, ক্ষমতা কাঠামো, উৎসব ইত্যাদি অনেকটাই কৃষিনির্ভর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গ্রামের অন্যতম লোকজ উৎসব ‘নবান্ন’ কৃষি উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত। এমনিভাবে গ্রামে যার যতো বেশি কৃষি ভূমির মালিকানা ক্ষমতা কাঠামোতে তিনি ততো বেশি ক্ষমতাবান। এসব দিক লক্ষ করেই বলা হয়, এদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি অনেকটাই কৃষিনির্ভর ।

প্রশ্ন-৬. বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতির বড় বৈশিষ্ট্য হলো 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতির বড় বৈশিষ্ট্য বারো মাসে তেরো পার্বণ। এখানে বারো মাসে তেরো পার্বণ দ্বারা বাঙালির উৎসবপ্রিয়তাকে বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতিতে বছরের অধিকাংশ সময়ই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। এসব উৎসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুসলমান সম্প্রদায়ের-রমজান, দুই ঈদ, শবে-বরাত, মহররম, শবে মেরাজ ইত্যাদি। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা, দীপাবলি, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা ও খ্রিষ্টানদের বড়দিন। এছাড়াও নববর্ষ উৎসব, নবান্ন উৎসবসহ আরো অনেক উৎসব রয়েছে যেগুলো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেক আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। সারা বছরই এসব উৎসব একের পর এক পালিত হয়। এ জন্যই বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে 'বারো মাসে তেরো পার্বণকে' উল্লেখ করা হয়।

প্রশ্ন-৭. “শহুরে মানুষেরা আত্মকেন্দ্রিক'- ব্যাখ্যা কর।

 [কু. বো. 36]

উত্তর: শহুরে মানুষেরা পাশাপাশি বাস করলেও তাদের মধ্যে তেমন পরিচয় ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকে না বলে এরা আত্মকেন্দ্রিক হয় ।

শহর হচ্ছে গতিময় ও নিত্য পরিবর্তনশীল বিকাশমুখী জীবনযাত্রার মূর্ত প্রতীক। শহুরে মানুষ সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ কারণে শহুরে মানুষদের সামাজিক সম্পর্ক ততোটা অন্তরঙ্গ নয় । শহরে মূলত মানুষ নিজের আবশ্যককে চায়, পরস্পরকে চায় না। তাই বলা হয়, শহুরে মানুষেরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৮. 'নারী স্বাধীনতা নগর সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য'— ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: নগর সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নারী স্বাধীনতা। বাংলাদেশের নগরাঞ্চলে নারীদের একটি শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। মূলত শিক্ষার প্রসারের ফলেই এ অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নগরের অধিবাসীদের উদারবাদী মনোভাবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নগরাঞ্চলে নারীরা আজ চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আর্থিক ও সামাজিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী। নারী অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নগরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মহিলা সমিতি, নারী মঞ, মহিলা পেশাজীবী সমিতি ইত্যাদি। এসব সংগঠনের কার্যক্রম নারী স্বাধীনতাকে তুলে ধরে।

প্রশ্ন-৯. নগর সংস্কৃতির গতিশীলতার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত মনোভাবের কারণে নগর সংস্কৃতি গ্রামীণ সংস্কৃতির তুলনায় গতিশীল হয়। সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে নগর সংস্কৃতি চলতে থাকে। এজন্য নগরবাসীর জীবনধারায় গতিশীলতা ও উৎসাহ- উদ্দীপনার প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। নগরে উচ্চাভিলাষী লোকের সংখ্যা বেশি। তাই জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের প্রত্যাশায় নগরের অন্যান্য মানুষের মধ্যেও কর্মচাঞ্চল্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনা সঞ্চারিত হয়, যা সামাজিক গতিশীলতার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে ।

প্রশ্ন-১০. উপসংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: উপসংস্কৃতি বলতে সাধারণত জাতীয় সংস্কৃতির একটি অংশকে বোঝায় ।

সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে প্রাধান্য বিস্তারকারী সংস্কৃতির মৌলিক বিষয়বস্তু থেকে আলাদা ধরনের সংস্কৃতিকে ‘উপসংস্কৃতি' বলা হয় । উপসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে উপসংস্কৃতিভুক্ত সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সচরাচর একই ধরনের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও আদর্শ মেনে চলে, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হতে পৃথক। বাংলাদেশের উপসংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছে— বেদে সংস্কৃতি, হিজড়া সংস্কৃতি, উপজাতীয় সংস্কৃতি ইত্যাদি। 

প্রশ্ন-১১. সাংস্কৃতিক ব্যবধান বলতে কী বোঝ? 

[ঢা. বো.. রা. বো.. কু. বো, সি. বো, য. বো. ১৭]

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম এফ. অগবার্ন তার ‘Social Change' গ্রন্থে সংস্কৃতির পশ্চাৎপদতা সম্পর্কিত যে তত্ত্ব বা ব্যাখ্যা প্রদান করেন তাই মূলত ‘সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্ব' হিসেবে পরিচিত। সাংস্কৃতিক ব্যবধান বলতে সাধারণত সংস্কৃতির দুটি অংশের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্যকে বোঝায়। অর্থাৎ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতির ফলে বস্তুগত সংস্কৃতি দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, যার সাথে অবস্তুগত সংস্কৃতি খাপ খাইয়ে বা তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না । ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা বা পিছিয়ে পড়া। সংক্ষেপে এটাই হলো 'সাংস্কৃতিক ব্যবধান' । 

প্রশ্ন-১২.কৃষিক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ব্যবধানের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে কৃষিতে অনেক উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটেছে। যেমন- পাওয়ার টিলার, সেচযন্ত্র, নিড়ানি যন্ত্র, মাড়াই মেশিন, শস্যকর্তন মেশিন ইত্যাদি। কিন্তু প্রযুক্তিগত জ্ঞান তথা অবস্তুগত সংস্কৃতির অভাবের কারণে অনেক কৃষকই এ সকল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে না । এর ফলে তারা কৃষিক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে পড়ছে। ফলে সাংস্কৃতিক ব্যবধান সৃষ্টি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে।

প্রশ্ন-১৩.বাংলাদেশে ধর্মীয় সহনশীলতা বিদ্যমান ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশে ধর্মীয় সহনশীলতা বিদ্যমান। বাংলাদেশ মুসলমান প্রধান দেশ হলেও এখানে ধর্মীয় গোঁড়ামি খুব একটা দেখা যায় না। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীরাই নিরাপদে ধর্মচর্চা করতে পারে। এ সমাজে বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা বিশেষ করে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান যুগ যুগ ধরে পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করছে, যা সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতার সাক্ষ্য বহন করে।

প্রশ্ন-১৪. সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে সংস্কৃতির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

 [সকল বোর্ড ১৫]

উত্তর: সংস্কৃতি সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। সংস্কৃতি মানুষের মনে মূল্যবোধ সঞ্চার করে তার সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজ জীবনকে সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সামাজিক ধ্যান-ধারণা বিশ্বাস, মূল্যবোধ, আদর্শ, নীতি-প্রথা, আইন-কানুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো সবই সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত । তাই বলা যায়, সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১.“সমাজ হচ্ছে সেই ব্যক্তিবর্গের সমষ্টি যাদের পরস্পরের সাথে অনেকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ যোগাযোগ এবং উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সাধারণ কৃষ্টি বিদ্যমান রয়েছে” – উক্তিটি কে করেছেন?

ক. আলফ্রেড এ. রোজ 

খ. অধ্যাপক গার্নার 

গ. বাট্রান্ড রাসেল

ঘ. টি. এইচ. গ্রিন

উ:ক

 ২.নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী সংস্কৃতি কী? 

ক. মানুষের যাবতীয় আবিষ্কার

খ. মানুষের সৃজনশীল কাজ

গ. মানুষের জীবনধারা

ঘ. মানুষের জ্ঞান ও মেধা

উ:ক

৩. “আমরা যা তাই আমাদের সংস্কৃতি, আর আমাদের যা আছে তা হচ্ছে সভ্যতা” – উক্তিটি কার?

ক. ম্যাকাইভারের

খ. টি. এইচ. গ্রিনের

গ. নিমকফের

ঘ. হেগেলের

উ:ক

৪. রাকিব একটি বই রচনা করে বাজারে বিক্রি করল। বইটি কোন ধরনের সংস্কৃতির আভাস দেয়?

ক. সনাতন

খ. গুণগত

গ. বস্তুগত

ঘ. প্রথাগত

উ:গ

৫.Cultural lag' বলতে কী বোঝ?

ক. বস্তুগত সংস্কৃতির পরিবর্তনজনিত সমস্যা

খ. অবস্তুগত সংস্কৃতির পরিবর্তনজনিত সমস্যা

 গ. সাংস্কৃতিক পরিবর্তনজনিত সমস্যা

ঘ. বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির ব্যবধান

উ:ঘ

৬.“মানব সংস্কৃতির বস্তুগত উপাদানসমূহ যত সহজে পরিবর্তন হয়, অবস্তুগত উপাদান তত সহজে পরিবর্তন হয় না”— এটি কার মতামত?

ক. স্যান্ডারসনের

খ. সরোকিনের

গ. অগবার্নের

ঘ. নিমকফের

উ:গ

৭. বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ব্যবধানের উদাহরণ নিচের কোনটি?

ক. প্রয়োজনের তুলনায় মূলধন কম

খ. উদ্যোক্তার অভাব

গ. দক্ষ শ্রমিকের অভাব

ঘ. প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব

উ:গ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন ও উত্তর

৮. প্রথা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ সংস্কৃতির উপাদান, কারণ—

i. নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে সৃষ্টি

ii. নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জীবনধারার পরিচায়ক

iii. মানুষ ভিন্ন অন্য প্রাণির এগুলো নাই 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. ii ও iii

 গ. i ও iii

 ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ

৯. বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে সাদৃশ্য হচ্ছে-

 i. উভয়ের চাহিদা সমান

ii. উভয়ই মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে

 iii. উভয়ই পরিবর্তনশীল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

 খ. i ও iii 

গ. ii ও iii 

ঘ. i, ii ও iii

উ:গ

 ১০.এদেশের মুসলিম, খ্রিষ্টান, ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী একত্রে পাশাপাশি বাস করে। এটা সমাজের—

 i. সহনশীলতার বহিঃপ্রকাশ

ii. সৌহার্দ্যের বহিঃপ্রকাশ

 iii. অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

 খ. i ও iii 

গ. ii ও iii 

ঘ. i, ii ও iii 

উ:ক

১১. সমাজজীবনে সাংস্কৃতিক উপাদান কার্যকর ভূমিকা পালন করে—

i. উন্নয়নের ক্ষেত্রে

ii. গতিশীলতা আনয়নের ক্ষেত্রে

iii. সামাজিক সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii 

খ. ii ও iii 

গ. i ও iii

 ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর 

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১২ ও ১৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: 

আভি তার দাদার একটি মটর সাইকেল পায়। প্রথমে সে এটি চালাতে জানত না। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে সে তা চালানোর কৌশল শিখে ফেলে ।

১২. উদ্দীপকে আভির মটর সাইকেল চালানোর কৌশল শেখাকে কী বলা যাবে?

ক. গ্রামীণ সংস্কৃতি

খ. নগর সংস্কৃতি

গ. বস্তুগত সংস্কৃতি

ঘ. অবস্তুগত সংস্কৃতি

উ:ঘ

১৩. উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়—

i. বস্তুগত সংস্কৃতি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়

ii. অবস্তুগত সংস্কৃতি অর্জন করতে হয়

iii. উভয় ধরনের সংস্কৃতির গতি একই নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii 

খ. i ও iii

 গ. ii ও iii

 ঘ. i, ii ও iii 

উ:ক

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

 অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধানের পিঠা-পুলির আয়োজন করা হয় গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে। উক্ত আয়োজনকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সামাজিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয় ।

১৪. অনুচ্ছেদে কোন উৎসবের ইঙ্গিত করা হয়েছে?

ক. হালখাতা

খ. নববর্ষ উৎসব

গ. নবান্ন উৎসব

ঘ. ধর্মীয় উৎসব

উ:গ

১৫. উক্ত উৎসবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ হলো—

 i. সংস্কৃতির উৎস

ii. ধর্মীয় কর্তব্য পালন করা

iii. সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii 

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

বোর্ডপরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর

১৬. 'Culture' শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন কে?

ক. জোনস

খ. ই. বি. টেইলর

গ. ম্যাকাইভার

ঘ. ফ্রান্সিস বেকন

উ:ঘ

১৭. সংস্কৃতির প্রধান প্রকরণ কয়টি? 

[সকল বোর্ড ১৯]

ক.২

খ. ৩

 গ. 8

ঘ. ৫

উ:ক

১৮. নিচের কোনটি বস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ? 

[সকল বোর্ড ১৮]

ক. যাত্রাপালা

খ. কবিতা

গ. জাতীয় সঙ্গীত

ঘ. স্মার্ট ফোন

উ:ঘ

১৯. নিচের কোনটি বস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ? 

[সকল বোর্ড ১৫ ]

ক. ভাষা-সাহিত্য

খ. বিজ্ঞান

গ. প্রযুক্তিগত আবিষ্কার

 ঘ. শিল্পকলা

উ:গ

২০. নিচের কোনটি উপসংস্কৃতির বহির্ভূত?

 [সকল বোর্ড ১৫ ]

ক. বেদে 

খ. হিপ্পি 

গ. হিজড়া

ঘ. বাঙালি 

উ:ঘ

২১. নিচের কোনটি গ্রামীণ সংস্কৃতির উদাহরণ?

 [সকল বোর্ড ১৬]

ক. বৈসাবী উৎসব

খ. বইমেলা

গ. নবান্ন উৎসব

ঘ. বৃক্ষমেলা

উ:গ

২২.সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্বটি কে প্রদান করেন-

 [সকল বোর্ড ১৮]

ক. অগবার্ন ও নিমকফ 

খ. ডুর্খেইম ও ওয়েবার

 গ. কার্ল মার্কস ও স্পেন্সার 

ঘ. অগাস্ট কোঁৎ ও ড্রেসলার

উ: ক

২৩. বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিদ্যমান রূপ হলো—

[সকল বোর্ড ১৭]

i. গ্রামীণ সংস্কৃতি

ii. বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি

iii. নগর সংস্কৃতি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

 খ. i ও iii 

গ. ii ও iii 

ঘ. i, ii ও iii 

উ:খ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: 

গ্রামের মানুষ একসময় পুঁথি পাঠ, রূপকথা, যাত্রা, পালাগান উপভোগ করত । আজ আর এসব দেখা যায় না। তার পরিবর্তে বিদেশি চ্যানেলের নাটক, সিনেমা, গানের প্রতি মানুষের আজ আকর্ষণ বেশি । 

[সকল বোর্ড ১৯]

২৪. উদ্দীপকের আলোকে বলা যায় সংস্কৃতি—

 i. পরিবর্তনশীল

ii. শুধুমাত্র অবস্তুগত

iii. উপাদান নির্ভর

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

২৫. উদ্দীপকে উল্লেখিত পরিবর্তনের কারণ কোনটি?

ক. স্বল্প শিক্ষিত জনগোষ্ঠী 

খ.ব্যবসার ব্যাপক প্রসার

গ. স্থানান্তর গমন 

ঘ. সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ

উ:ঘ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: 

কাঁটাখালী গ্রামের কৃষকরা ট্রাক্টরের মাধ্যমে জমি চাষ, সেচ, বীজবপন, ফসলকর্তন ইত্যাদি কার্যসম্পাদন করে। এতে কৃষিফলন যেমন বেড়েছে তেমনি সময় ও শ্রমের সাশ্রয় হয়। কিন্তু যন্ত্র একবার বিকল হলে মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত কারিগর নেই বলে কৃষিকাজ বিঘ্নিত হয় । 

[সকল বোর্ড ১৬]

২৬. উদ্দীপকের সমস্যাটি নিচের কোন প্রত্যয়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়?

ক. সংস্কৃতির পরিবর্তন

 খ. সংস্কৃতির ব্যবধান 

গ. প্রযুক্তির উন্নয়ন

ঘ. কৃষির আধুনিকায়ন

উ:খ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url