কৃষিশিক্ষা দ্বিতীয় পত্র অধ্যায়-১ মাৎস্য চাষ সাজেশন

অধ্যায়-১ মাৎস্য চাষ 


Fisheries


এইচএসসি কৃষিশিক্ষা ২য় পত্র ১০০% কমন সাজেশন-২০২৩

HSC Agricultural Education 2nd Paper 100% Common Suggestion-2023

পেজ সূচিপত্র :অধ্যায়-১ মাৎস্য চাষ 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. একুয়াকালচার কী?

 [ঢা বো., দি. বো., চ. বো, সি. বো., ব. বো. ১৯]

উত্তর : একুয়াকালচার বলতে নিয়ন্ত্রিত ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে সামুদ্রিক বা মিঠা পানির মাছ, চিংড়ি, ঝিনুক,কাকড়া ইত্যাদি জলজ প্রাণীর বিজ্ঞানসম্মত চাষকে বোঝায় ।

প্রশ্ন-২. মৎস্য বিজ্ঞান কাকে বলে?

উত্তর: বিজ্ঞানের যে শাখায় মাছের শ্রেণিবিন্যাস, মাছ চাষ ও ব্যবস্থাপনা, মাছের প্রজনন, প্রতিপালন, পরিবহন, বিপণন, মাছের রোগতত্ত্ব তথা মাছ সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করা হয়, তাকে মৎস্য বিজ্ঞান বলে । 


প্রশ্ন-৩. মাৎস্য ব্যবস্থাপনা কী?

উত্তর : মাৎস্য ব্যবস্থাপনা বলতে জলাশয় তৈরি ও পোনা উৎপাদন থেকে শুরু করে এর পরিচর্যা, রোগবালাই দমন, আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন, সংরক্ষণ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়কে বোঝায় ।

প্রশ্ন-৪. মাছ কাকে বলে?

উত্তর : ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় এবং পাখনার সাহায্যে চলাচল করে এমন শীতল রক্তবিশিষ্ট জলজ প্রাণীকে মাছ বলে ।

প্রশ্ন-৫. মাছ চাষ কী? 

(ঢা. বো; চ. বো,; ব. বো. ১৭]

উত্তর : মাছ চাষ হলো কোনো নির্দিষ্ট জলাশয়ে অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন মাছের পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন। 

প্রশ্ন-৬. মাছ চাষ পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তর : চাষযোগ্য মাছের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য জেনে তার সঠিক পালনে যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাকে মাহ চাষ পদ্ধতি বলে ।

প্রশ্ন-৭. হ্যাচারি কী?

উত্তর : বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছের পোনা উৎপাদনের জন্য কৃত্রিম প্রজনন খামারই হলো হ্যাচারি

প্রশ্ন-৮. ব্রুড মাছ কাকে বলে?

উত্তর : কৃত্রিম প্রজননে প্রাপ্তবয়স্ক যে মাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয় তাকে ব্রুড মাছ বলে ।

প্রশ্ন-৯. মিশ্র চাষ কাকে বলে?

উত্তর : একই পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে পুকুরের সকল স্তরে বিদ্যমান মৎস্য খাদ্যের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৃদ্ধি করাকে মিশ্র চাষ বলে।

প্রশ্ন-১০. মৌসুমি পুকুর কাকে বলে?

উত্তর: যে পুকুরে বছরের নির্দিষ্ট সময় (৩-৮ মাস) পর্যন্ত পানি থাকে এবং এক বছরের কম সময়ে বাজারজাত করা যায় এমন দ্রুত বর্ধনশীল মাছ চাষ করা হয় তাকে মৌসুমি পুকুর বলে ।

প্রশ্ন-১১. প্লাংকটন কী? 

[সকল বোর্ড ২২; ঢা বো.,দি. বো., চ.বো, সি. বো, ব. বো. ১৯: রা., বো; দি বো : ক. বো, সি. বো, য. বো. ১৭ ]

উত্তর : প্লাংকটন হলো পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান আণুবীক্ষণিক জীব যা মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-১২. ফাইটোপ্লাংকটন কী?

 [রা বো., কু, বো, য. বো. ১৯]

উত্তর : ফাইটোপ্লাংকটন হলো জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সবুজ কণা যা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় (যেমন— শেওলা, নষ্টক, এনাবিনা ইত্যাদি)।

প্রশ্ন-১৩. জু-প্লাংকটন কী?

উত্তর : জু-প্লাংকটন হলো জলাশয়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী (যেমন- ড্যাফনিয়া, রটিফার ইত্যাদি) যা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 প্রশ্ন-১৪.বেন্থোস কাকে বলে?

উত্তর : পুকুরের তলদেশে কাদার উপরে বা ভিতরে যেসব জীব বসবাস করে তাদেরকে তলবাসী বা বেহোস বলে ।

প্রশ্ন-১৫.নেকটন কাকে বলে?

উত্তর : পানিতে বসবাসকারী যে জীব সম্প্রদায় মুক্তভাবে সাঁতার কাটতে পারে এবং সমস্ত পানিতে চরে বেড়িয়ে খাদ্য খুঁজে খায় তাদেরকে নেকটন বলে।

প্রশ্ন-১৬. সম্পূরক খাদ্য কী? 

[চা. বো, মা বো, তা, বো, চ. বো, সি. বো, ধ, বো, ২২: রা. কো: দি কো: রা বো; সি, কো:- বা. বো. ১৭ ]

উত্তর : কোনো প্রাণীর যথাযথ বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি বাইরে থেকে যে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তাকে সম্পূরক খাদ্য বলে।

প্রশ্ন-১৭. রাক্ষুসে মাছ কী?

[দি, বো, ক. লো, হলো, ২২. কে. 10]

উত্তর : যে সকল মাছ অন্য চাষের মাছকে খেয়ে ফেলে এবং চাষযোগ্য মাছের জায়গা, খাদ্য, অক্সিজেন সবকিছুতেই ভাগ বসায় সে সকল মাছকে রাক্ষুসে মাছ বলে।

প্রশ্ন-১৮. মাছের রোগ কাকে বলে?

উত্তর : ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস ও পরজীবীর সংক্রমণের ফলে মাছের শরীরে সৃষ্ট অস্বাভাবিক অবস্থাকে মাছের রোগ বলে।

প্রশ্ন-১৯.পোষক কাকে বলে?

উত্তর: পরজীবী যে জীবের দেহে বসবাস করে পুষ্টি সংগ্রহ করে এবং ঐ জীবের ক্ষতি সাধন করে, সে জীবকে পোষক বলে।

প্রশ্ন ২০. প্লুরা কী?

উত্তর : প্লুরা হলো চিংড়ির ফুসফুসের আবরণী।

প্রশ্ন-২১.টেলসন কাকে বলে?

উত্তর : চিংড়ির উদরের শেষ খণ্ডের শেষ ভাগকে টেলসন (Telson) বলে ।

প্রশ্ন-২২. স্লিওপডস কী?

উত্তর : চিংড়ির উদরের উপাঙ্গগুলো প্রধানত সাঁতার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়, যাকে বলা হয় প্লিওপডস।

 প্রশ্ন-২৩. ক্যারাপেস কী?

উত্তর : চিংড়ির শিরোবক্ষ প্রধানত একটি পুরু আবরণে ঢাকা থাকে যা ক্যারাপেস নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-২৪.ঘের কাকে বলে?

উত্তর : উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ চাষের জন্য আইল তৈরির মাধ্যমে সমুদ্রের পানি আটকে রাখা হয় যাকে ঘের বলে।

প্রশ্ন-২৫.মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কাকে বলে?

 [রা বো, কু. বো, য. বো. ১৯]

উত্তর : মাছ আহরণের পর সকল গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ রেখে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদিভাবে সংরক্ষণ করে বাজারজাতকরণকে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ বলে ।

প্রশ্ন-২৬. ধূমায়িতকরণ কাকে বলে?

উত্তর; কাঠ পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া ব্যবহার করে মাছ সংরক্ষণ করাকে ধূমায়িতকরণ বলে ।

প্রশ্ন-২৭. টিনজাতকরণ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো পচনশীল খাদ্যদ্রব্যকে সম্পূর্ণরূপে বায়ুশূন্য নিরাপদ পাত্রে আবদ্ধ অবস্থায় উচ্চতাপ ও চাপ প্রয়োগে বাণিজ্যিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ করার পদ্ধতিকে টিনজাতকরণ বলে ।

প্রশ্ন-২৮. বরফজাতকরণ কাকে বলে?

উত্তর : যে পদ্ধতিতে বরফ ব্যবহার করে মাছের তাপমাত্রা কমিয়ে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা তার কাছাকাছি নামিয়ে আনা হয় তাকে বরফজাতকরণ বলে।

প্রশ্ন-২৯. ড্রেসিং কাকে বলে?

উত্তর: টিনজাতকরণের পূর্বে মাছের আঁইশ, পাখনা, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি অপসারণের পর টুকরা টুকরা করে ক্লোরিনযুক্ত পানি দ্বারা ধৌত করার প্রক্রিয়াকে ড্রেসিং বলে।

প্রশ্ন-৩০.গ্লেজিং কাকে বলে?

উত্তর : চিংড়ির প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় চিংড়ির শুষ্কতা ও পচন রোধে ৩-৫ পিপিএম ক্লোরিন মিশ্রিত ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে উঠানোকে গ্লেজিং বলে ।

প্রশ্ন-৩১.মাছ বাজারজাতকরণ কাকে বলে?

উত্তর : মাছ চাষি বা উৎপাদকের কাছ থেকে মাছ আড়তে নেওয়া বা সরাসরি ক্রেতা অথবা ভোক্তা বা খুচরা বিক্রেতার নিকট পৌছানোকেই মাছ বাজারজাতকরণ বলে।

প্রশ্ন-৩২. নিরাপদ মাছ কাকে বলে?

উত্তর : যেসব মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া হয় না সেগুলোকেই নিরাপদ মাছ বলে ।

প্রশ্ন-৩৩.জৈব সংরক্ষণ কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক বা নিয়ন্ত্রিত অণুজীব বা জীবাণু প্রতিরোধকারী উপাদান ব্যবহার করে খাদ্যের গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ রাখা ও জীবনকাল বৃদ্ধির পদ্ধতিই হলো জৈব সংরক্ষণ ।

প্রশ্ন-৩৪. ফরমালিন কী?

উত্তর: ফরমালডিহাইড বা মিথান্যাল গ্যাসের ৪০% জলীয় দ্রবণই হলো ফরমালিন ।

অনুধাবনমূলকপ্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-১. মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : একই প্রজাতির মাছ চাষ না করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ একত্রে পুকুরে চাষ করাকে মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ বলে। রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাদ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা করে না, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরে বাস করে এবং বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে ইত্যাদি গুণাবলি বিশিষ্ট কয়েক প্রজাতির মাছ একই পুকুরে একত্রে চাষ করা হয়। মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কার্প বা রুই জাতীয় মাছ, যেমন- সিলভার কার্প, রুই, কাতলা, কার্পিও ইত্যাদি বেশি উপযোগী। মিশ্র চাষে পুকুরের জলাশয়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় । এছাড়াও মিশ্র চাষে একক চাষ অপেক্ষা উৎপাদন বেশি পাওয়া যায় ।

 প্রশ্ন-২. নিবিড় পদ্ধতিতে মাছ চাষ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : কোনো পুকুর বা জলাশয় হতে কম সময়ে অধিক মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে যথাযথভাবে পুকুর প্রস্তুতকরণ, প্রজাতিভিত্তিক সঠিক সংখ্যক ও স্বাস্থ্যবান পোনা মজুদ, নিয়মিত সার প্রয়োগ ও পরিমিত সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ এবং পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছ চাষ করাকে নিবিড় পদ্ধতিতে মাছ চাষ বলে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে অল্প জায়গায়, স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়।

প্রশ্ন-৩. রাজপুঁটি মাছকে থাই সরপুঁটি বলা হয় কেন?

উত্তর: রাজপুঁটি মাছ ১৯৭৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে বলে একে থাই রাজপুঁটি বলা হয়। চকচকে উজ্জ্বল রূপালি বর্ণের এই মাছটি দেখতে আমাদের দেশীয় সরপুঁটি মাছের মতো তাই মাছটিকে অনেকে থাই সরপুঁটি বলে থাকে।

প্রশ্ন-৪. রাজপুঁটি মাছ চাষ করা লাভজনক কেন? ব্যাখ্যা কর।

 [চা বো., দি. বো., চ. বো, সি. বো., ব. বো. ১৯]

উত্তর : ফলনের দিক দিয়ে রাজপুঁটি মাছটি অন্য যেকোনো দেশিয় পুঁটি মাছের চেয়ে প্রায় ৪০-৫০% বেশি উৎপাদনশীল । 

পারিবারিক শ্রম দ্বারা অল্প খরচে ও স্বল্প ব্যবস্থাপনায় মৌসুমি বা বাৎসরিক পুকুরে এ মাছের চাষ করা যায়। ধানক্ষেতেও এর চাষ করা যায়। কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্রচাষ করা যায়। এ মাছ ৩-৬ মাসের মধ্যে বিক্রিয়যোগ্য হয় । খেতে সুস্বাদু বলে বাজারমূল্যও বেশি। এসকল কারণে রাজপুঁটি মাছ চাষ লাভজনক ।

 প্রশ্ন-৫.পুকুরে চুন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। 

[ঢা বো., ম. বো, রা. বো., চ. বো, সি. বো, ব, বো, ২২]

উত্তর : পুকুরে প্রয়োগকৃত বিভিন্ন সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য চুন প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ ।

চুন মাটি ও পানির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। পানির পিএইচ মানের ভারসাম্য বজায় রাখে। পানিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়। পানির ঘোলাত্ব কমায় ও পানি পরিষ্কার রাখে। মাছের রোগজীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস করে। এ সমস্ত কারণে পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়।

প্রশ্ন-৬.পুকুরে সার প্রয়োগ করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 

[ঢা বো., ম. বো.. রা. বো., চ. বো, সি. বো., ব. বো. ২২] 

উত্তর : পুকুরে নিয়মিত সার প্রয়োগ করলে পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির হার সন্তোষজনকভাবে বাড়ে এবং মাছের ফলন বৃদ্ধি পায় ৷

পুকুরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করা হয়। পুকুরে মাছের খাদ্য হিসেবে প্রাকৃতিকভাবে যে উদ্ভিদ ও প্রাণিকণা জন্মায় তাকে প্ল্যাংকটন বলে। প্ল্যাংকটন উৎপাদনের আধিক্যের ওপর মাছের উৎপাদন নির্ভর করে। ফাইটোপ্ল্যাংকটনের আধিক্যের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। পানিতে এইসব উপাদান অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। এছাড়াও মাছ আহরণ, পানি পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে পুকুরে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কমে যায়। তাই পানিতে সার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান দেওয়া হয়।

প্রশ্ন-৭. মাছ চাষে পুকুরের জলজ আগাছা দমন করা প্রয়োজন কেন?

উত্তর : মাছ চাষে পুকুর প্রস্তুতির অন্যতম একটি ধাপ হলো জলজ আগাছা দমন ।

জলজ আগাছা মাছের পুষ্টি উপাদান শুষে নেয়, পুকুরে সূর্যের আলো পড়তে বাধা দেয় এবং পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। এছাড়া জলজ আগাছা মাছের চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটায়। উদ বিড়াল, গুঁইসাপ ইত্যাদি প্রাণী আগাছার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং চাষকৃত মাছ খেয়ে ফেলে । যার ফলে মাছের উৎপাদন কমে যায়। তাই মাছ চাষে পুকুরের জলজ আগাছা দমন করা প্রয়োজন । 

প্রশ্ন-৮.ফাইটোপ্লাংকটন মাছের কোন ধরনের খাবার? 

[ঢা বো.,; চ. বো; ব, বো, ১৭]

উত্তর : ফাইটোপ্লাংকটন হলো পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলজ উদ্ভিদকণা। মাছ এসব উদ্ভিদকণাকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। ফাইটোপ্লাংকটনের মধ্যে রয়েছে শেওলা, অ্যানাবেনা, নষ্টক, ডায়াটম, ক্লোরেলা, ফেবাস, সিনোডেসমাস, নাভিকুলা, স্পাইরোগাইরা ইত্যাদি। জলাশয়ের মাটি ও পানির স্বাভাবিক উর্বরতায় প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয় বলে এগুলো মাছের প্রাকৃতিক খাবার ।

প্রশ্ন-৯.মাছ রোগাক্রান্ত হয় কেন?

 [রা.বো; দিবো,; কু.বো, সি. বো; য. বো. ১৭]

উত্তর : মূলত জলাশয়ের দূষিত পানি মাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী।

দূষিত পানিতে মাছের রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন জীবাণু, যেমন— ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পরজীবী ইত্যাদির বিস্তার বেশি হয়। এছাড়া পানির দূষিত পরিবেশে মাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে মাছ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এছাড়া স্বল্প পরিসরে অধিক সংখ্যক মাছ চাষ করা এবং পুকুরের ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলির পরিবর্তনের (যেমন— অক্সিজেনের অভাব, কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি) কারণেও মাছ রোগাক্রান্ত হয় ।

প্রশ্ন-১০. রোগাক্রান্ত মাছ কীভাবে চেনা যায়? 

[ঢা বো.,; দি, বো; সি. বো; য. বো. ১৮]

উত্তর: আচরণগত ও শারীরবৃত্তীয় অস্বাভাবিকতা দ্বারা রোগাক্রান্ত মাছ চেনা যায়। রোগাক্রান্ত মাছের লক্ষণগুলো হলো—

 ১. খাদ্য গ্রহণ বন্ধ করে দেয় অথবা স্বাভাবিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করে না ।

২. শরীরের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য থাকে না ।

৩. ফুলকার স্বাভাবিক লাল রং নষ্ট হয়ে যায়।

৪. দ্রুতগতিতে কিংবা অস্থিরভাবে সাঁতার কাটে।

৫. মাছ শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং পানির উপর মুখ হা করে থাকে।

প্রশ্ন-১১. পুকুরে হররা টানা হয় কেন?

উত্তর: একটি মোটা দড়ির সাথে ছোট ছোট দড়ি দিয়ে বেঁধে ইট ঝুলিয়ে দিয়ে হররা তৈরি করা হয় যা পুকুরের তলদেশে জমা হওয়া বিষাক্ত গ্যাস দূর করতে ব্যবহার করা হয় । 

পুকুরের তলদেশে ২০-২৫ সেমি এর অধিক কাদা থাকলে এবং বেশি পরিমাণ আবর্জনা ও লতাপাতা পচনের ফলে পুকুরে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এতে করে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মারা যায়। তাই পুকুরের তলদেশে হররা টেনে ক্ষতিকর বিষাক্ত গ্যাস দূর করা হয়।

প্রশ্ন-১২.মাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

 [রা.বো.,; দি.বো., কু.বো.,; সি. বো.; য.বো., ১৭]

উত্তর: মাছ বাংলাদেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সম্ভাবনাময় বৃহৎ একটি খাত। খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি মাছ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে। শিল্পক্ষেত্রে, সার হিসেবে, হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে মাছের নানা ব্যবহার আছে বলে কর্মসংস্থানের একটি ভালো উপায় হলো মাছ চাষ। মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ও উৎপাদিত মাছের বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১% মানুষ পত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে দেশের আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তাই বলা যায়, মাছ চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম ।

প্রশ্ন-১৩.চিংড়িকে নিশাচর বলা হয় কেন?

 [ঢা. বো; চ. বো; ব. বো. ১৭]

চিংড়ি প্রাকৃতিক পরিবেশে দিনের বেলায় তলদেশের নরম মাটিতে লুকিয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ স্বাভাবিক কার্যক্রম উত্তর : যেসব প্রাণী প্রধানত রাতে সক্রিয় থাকে এবং দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাটায় সেসব প্রাণীকে নিশাচর প্রাণী বলে। সাধারণত রাতের বেলায় করে। এদের খাদ্য গ্রহণ, খোলস পাল্টানো, প্রজনন ক্রিয়া, ডিম পাড়া প্রভৃতি কাজগুলো রাতেই সম্পন্ন হয়। এ কারণেই চিংড়িকে নিশাচর বলা হয় ।

প্রশ্ন-১৪. চিংড়ি চাষ কেন লাভজনক? ব্যাখ্যা কর।

 [ঢা বো; দি বো; সি. বো; য. বো. ১৮]

উত্তর : দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে চিংড়ির চাহিদা ও বাজারদর বেশি থাকায় চিংড়ি চাষ লাভজনক ।

চিংড়ির পোনা সহজলভ্য, অল্প বিনিয়োগেই চিংড়ির খামার গড়ে তোলা যায় এবং সারা বছর চিংড়ি চাষ করা যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে বর্তমানে হেক্টরপ্রতি ফলন ৪৫০ কেজি থেকে ৬০০ কেজিতে উন্নীত করা সম্ভব। আমাদের দেশে মাছ রপ্তানি আয়ের শতকরা ৫৮ ভাগ আসে চিংড়ি থেকে। চিংড়ির চাষ করে চাষির আয় ও কর্মসংস্থান ৩০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল ।

প্রশ্ন-১৫. মাছ পচার কারণ কী?

 [দি. বো., কু, বো, য, বো, ২২: রা., বো; কু, বো; চ. বো; ব. বো. ১৮]

উত্তর: পানি থেকে মাছ আহরণের ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই পচন ক্রিয়া শুরু হয়। মাছের দেহে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা রক্তনালির মাধ্যমে মাংসপেশী নরম করে মাছকে পচায়। মাছের শরীরের এনজাইম মাছের আমিষ ও চর্বি ভাঙে। ফলে মাছের কোষ ভেঙে গিয়ে মাছ পচতে শুরু করে। আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মাছের দেহের ভিতর এনজাইমের ক্রিয়া ও রাসায়নিক বিক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফলে মাছ পচে। এছাড়া মাছের আড়তে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র নষ্ট হলে, বিদ্যুতের কোনো সমস্যা হলে, অল্প জায়গায় অধিক মাছ রাখলে এবং পরিবহনের সময় বরফ গলে গেলে মাছ পচে যায় । 

প্রশ্ন-১৬. মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: মাছ আহরণের পর থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো, সংরক্ষণ ও রপ্তানি করার জন্য মাছের গুণগতমান ঠিক রেখে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থাপনা বা কার্যক্রমকে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ বলে ।

মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের অন্তর্ভুক্ত ব্যবস্থাপনাগুলো হচ্ছে মাছের দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ (যেমন— আঁইশ, পাখনা, নাড়িভুঁড়ি, ফুলকা, লেজ ইত্যাদি) অপসারণ করা, ধোয়া, কাটা, সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন ও যথাযথ পরিবহনের ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন-১৭.মাছ কেন শুকানো হয়?

 [রা. বো., কু. বো., য. বো. ১৯]

উত্তর : দেশের দরিদ্র মৎস্যজীবীরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাছ সংরক্ষণ করতে পারেন না। ফলে শুঁটকিকরণ পদ্ধতি তাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এ পদ্ধতিতে কোনো তাপ অপরিবাহী কক্ষের প্রয়োজন হয় না এবং পরিবহন খরচও কম লাগে। অর্থাৎ, এই পদ্ধতিতে মাছ সংরক্ষণে অতিরিক্ত ব্যয় হয় না। তাছাড়া বাংলাদেশের শীতকালের আর্দ্রতা ও সূর্যালোকের স্থায়িত্ব শুঁটকিকরণের জন্য উপযুক্ত। শুঁটকি মাছে প্রচুর আমিষ ও ভিটামিন ডি থাকে। এ পদ্ধতিতে মাছ সংরক্ষণ করে সারাবছর মাছ ও আমিষের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। এছাড়াও শুঁটকি মাছ বর্তমানে হাঁস-মুরগির অত্যন্ত পুষ্টিকর আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রশ্ন-১৮. চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণে গ্লেজিং গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: চিংড়ির গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে দীর্ঘসময় ধরে সংরক্ষণ করার জন্য চিংড়ির প্রক্রিয়াজাত করা হয় ।চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় জীবাণুমুক্ত চিংড়িকে পলিথিনের উপর ব্লক করে সাজানো হয়। ব্লকগুলোকে ৩-৫ পিপিএম ক্লোরিন মিশ্রিত ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে উঠানো হয়, যাকে গ্লেজিং বলে। গ্লেজিং এর ফলে চিংড়ির দেহের চারিদিকে একটি বরফের আস্তরণ সৃষ্টি হয়, যা চিংড়ির দেহ থেকে পানি বের হতে বাঁধা দেয় এবং জারণ বন্ধ হয়। এতে মাছের শুষ্কতা রোধ হয় এবং পচন হয় না ।

প্রশ্ন-১৯. নিরাপদ মাছ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: মাছ আহরণ কিংবা প্রক্রিয়াজাতকরণের পর সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা নীতিমালা অনুসরণ করে ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাছ সংরক্ষণ করাকে নিরাপদ মাছ সংরক্ষণ বলে ।

প্রাকৃতিকভাবে মাছ একটি দ্রুত পচনশীল খাদ্যদ্রব্য। আহরণের ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই মাছের মান নিম্নমুখী হতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে পচনক্রিয়া শুরু হয়। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পচন আরও ত্বরান্বিত হয়। আর এই পচন ক্রিয়া বন্ধ করার জন্য নিরাপদে মাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের কয়েকটি পদ্ধতি হলো— হিমায়িতকরণ, লবণায়ন, শুঁটকিকরণ, ধূমায়িতকরণ, ক্যানিং ইত্যাদি

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১. দেশি-বিদেশি ছোট বড় সকল প্রজাতির মাছকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

ক. ২

খ.৩

গ.৪

ঘ. ৫

উ:খ 

২.বাংলাদেশে প্রথম মাছের কৃত্রিম প্রজননের কাজ শুরু হয় কত সালে?

ক. ১৯৬৫

খ. ১৯৬৬

গ.১৯৮০

ঘ. ১৯৮২

উ: খ 

৩.মাছে কোন খাদ্য উপাদানটি বেশি পরিমাণে থাকে?

গ. আমিষ

খ. শর্করা

ঘ. চর্বি

উ: গ

৪.মাছ চাষে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা লিটার প্রতি কত হতে হবে?

ক.২-৩ মি. গ্রাম

গ. ৫-৭ মি. গ্রাম

খ. ৩-৫ মি. গ্রাম

ঘ. ৩-৪ মি. গ্রাম

উ: গ

৫. মাছ চাষে প্রতি লিটার পানিতে CO2 এর সহনীয় মাত্রা কত?

ক. ৬ মি. গ্রাম

খ. ৮ মি. গ্রাম

গ. ১০ মি. গ্রাম

ঘ. ১২ মি. গ্রাম

উ: ঘ 

৬.কোন মাটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি?

ক. এঁটেল মাটি

গ. বালিমাটি

খ. দোআঁশ মাটি

ঘ. পলি-দোআঁশ মাটি

উ: ক

৭. রাজপুঁটি মাছ কত সালে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে আনা হয়?

ক. ১৯৬৭ সালে, চীন 

খ.১৯৭৭ সালে, থাইল্যান্ড

গ. ১৯৭৭ সালে, জাপান 

ঘ.১৯৮৭ সালে, জার্মানি

উ: খ 

৮. রাজপুঁটি মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটির pH কত?

ক. ৪.৫ – ৫.৫

গ. ৬.০ – ৮..0

খ. ৫.৫ – ৬.৫

ঘ. ৮.৫ – ৯.৫

উ: গ

৯.পুকুরে ফসটক্সিন প্রয়োগ করা হয় কেন?

ক. জলজ আগাছা দমনে

খ. রাক্ষুষে মাছ দমনে

গ. মাছের খাদ্য হিসেবে

ঘ. প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে

উ: খ

১০. কোনটির কারণে রাজপুঁটির ফুলকা পচা রোগ হয়?

ক. ভাইরাস

খ. ব্যাকটেরিয়া

গ.ছত্রাক

ঘ. পরজীবী

উ: গ

১১. কোন রোগ হলে রাজপুঁটি মাছ ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করে?

ক. ক্ষতরোগ

খ. আঁইশ খসা রোগ

গ. পাখনা পচা রোগ

ঘ. ফুলকা পচা রোগ

উ: ক

১২. মৌসুমি পুকুরে চাষযোগ্য মাছ কোনটি?

ক. রুই

খ. মাগুর

গ. পাঙ্গাস

ঘ. তেলাপিয়া

উ: ঘ

১৩. সারাবছর পানি থাকে এমন স্থায়ী পুকুরে চাষযোগ্য ‘মাছের উপযুক্ত প্রজাতি কোনটি?

ক. নাইলোটিকা 

খ. রুই

গ. চিংড়ি

ঘ. কমন কার্প

উ:খ

১৪. পুকুরে সার প্রয়োগের কত দিন পর প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা করতে হয়?

ক. ১-৩ দিন

গ. ৫-৭ দিন

খ. ৩-৪ বার

ঘ. ৫-৬ বার

উ:খ

১৫.নাইলোটিকা মাছ বছরে কতবার ডিম পাড়ে ?

ক. ২-৩ বার

খ. ৩-৫ দিন

গ. ৪-৫ বার

ঘ. ৭-১০ দিন 

উ:খ

১৬. পুকুরে সার প্রয়োগের কত দিনের মধ্যে পোনা ছাড়তে হবে?

ক. ৬

গ. ৮

খ. ৭

ঘ. ৯

উ:খ

১৭. ইনকিউবেটরে কতদিনের মধ্যে নাইলোটিকার ডিম হতে রেণু পোনা প্রস্ফুটিত হয়?

ক. ৩-৪

গ. ৫-৬

খ. ৪-৫

ঘ. ৬-৭

উ:ক

১৮. নাইলোটিকা জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় শতকরা কতভাগ বেশি উৎপাদনশীল?

ক. ৪৫

খ. ৪৬

গ. ৪৮

ঘ. ৫০

উ:ঘ

১৯. ৫০ শতকের পুকুরে ১৫-২০ গ্রাম ওজনের সর্বোচ্চ কতটি নাইলোটিকার পোনা ছাড়া যাবে?

ক. ৯০০০-১১৫০০ 

খ. ১০০০০-১২৫০০

গ. ১১০০০-১৩৫০০ 

ঘ. ১২০০০-১৪৫০০

উ:খ

২০. নার্সিং হাঁপায় নাইলোটিকা মাছের পোনা মজুদ করে কতদিন পর্যন্ত পালন করতে হয়?

ক. ৭

গ. ২১

খ. ১৪

ঘ. ২৮

উ:গ

২১. মাছের ড্রপসি রোগের কারণ কোনটি?

ক. ছত্রাক

গ. ভাইরাস

খ. ব্যাকটেরিয়া

ঘ. পরজীবী

উ:খ 

২২.বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর কত শতাংশ লোক মৎস্য কার্যক্রমে নিয়োজিত?

ক. ১০

গ. ১২

খ. ১১

ঘ. ১৩

উ:গ

২৩.দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের কত শতাংশ মৎস্য হতে আসে? 

ক. ২.৫১

গ. ৪.৫২

খ. ৩.৫৭

ঘ. ৫.৫৭

উ:খ 

২৪. বর্তমানে আমাদের দেশে জনপ্রতি মাছের বার্ষিক চাহিদা কত কেজি?

ক. ২১.৯০

গ. ২৩.৯০

খ. 22.90

ঘ. 28.90

উ:ক

২৫.বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ জনপ্রতি কতগ্রাম মাছ গ্রহণনকরে?

ক. ৬০.০০

গ. ৬২.০০

খ. ৬১.০০

ঘ. ৬৩.০০

উ:ঘ 

২৬.প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছে কত শতাংশের আমিষের যোগান দেয়?

ক. ৫০%

খ. ৬০%

গ. ৬৫%

ঘ. ৭০%

উ:খ

২৭. চিংড়ি কোন পর্বের প্রাণী?

ক. আর্থ্রোপোডা

খ. কর্ডাটা

গ. পরিফেরা

ঘ. নেমাটোডা

উ:ক

২৮. চিংড়ির পোনা প্রথম দুই মাস কী খায়?

ক. চিটাগুড়

গ. ফিসমিল

খ. ল্যাবল্যান

ঘ. জুল্যাব

উ:খ

২৯. নিচের কোনটি ধানক্ষেতে চাষযোগ্য মাছের উপযুক্ত প্রজাতি?

ক. মৃগেল

গ, সরপুঁটি

খ. কালবাউশ

ঘ. পাঙ্গাস

উ:গ

৩০. গলদা চিংড়ির প্রজননকাল কখন?

ক. জুলাই-ডিসেম্বর 

খ. এপ্রিল-সেপ্টেম্বর

গ. ডিসেম্বর-জুলাই

ঘ. সেপ্টেম্বর-ফেব্রুয়ারি

উ:গ

৩১. চিংড়ির খোলস বদলানোর প্রক্রিয়াকে কী বলে?

ক. একডাইসিস

গ. মাইসিস

খ. ডাইসিস

ঘ. ফাইটোসিস

উ:ক

৩২. আমাদের দেশে কয়টি গলদা চিংড়ি হ্যাচারি আছে?

ক. ২০টি

গ. ৩০টি

খ. ২৫টি

ঘ. ৩৩টি

উ:ঘ 

৩৩.পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষে কত মাস বয়সে আহরণের উপযোগী হয়?

ক. ২-৪ মাস 

গ. ৬-৮ মাস

খ. ৪-৬ মাস

 ঘ. ৮-১০ মাস

উ:গ

৩৪. ধানক্ষেতে পর্যায়ক্রমিক চাষ পদ্ধতিতে শতক প্রতি কতটি গলদা চিংড়ি পোনা মজুদ করা যায়?

ক. ৬০-৮০টি

খ. ৮০-১০০টি

গ. ১০০-১২০টি 

ঘ. ১২০-১৪০টি

উ:খ 

৩৫. গলদা চিংড়ি চাষের পুকুরের পানির অম্লমান কত?

ক. ৭.০-৮.৫

গ. ৬.০-৬.৫

খ.৫.0.0-৮.o

ঘ..8.0-৫.0

উ: ক

৩৬. ক্যালসিয়ামের অভাবে বাগদা চিংড়িতে কোন রোগ হয়?

ক. নরম খোলস

খ. গায়ে শ্যাওলা পড়া

গ. খোলস পাল্টানোর পর মৃত্যু

ঘ. ক্যারাপেস

উ: ক

৩৭. শুঁটকি করতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে?

ক. ৭

গ. ১৩

খ. ১০

ঘ. ১৫

উ: খ 

৩৮. শুঁটকিকরণের জন্য মাছের জলীয় অংশ শতকরা কত ভাগে নামিয়ে আনা হয়?

ক. ৫০

গ. ২৬

খ. ৪৬

ঘ. ১৬

উ: ঘ 

৩৯. শুঁটকিতে শতকরা কত ভাগ আমিষ থাকে?

ক. ৫৫-৬০

খ. ৬০-৬৫

গ. ৬৫-৭০

ঘ.৭০-৭৫

উ: খ 

৪০. বরফজাতকরণের মাধ্যমে মাছের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কী ব্যবহার করা হয়?

ক. পেন্টাক্লোরোসাইক্লিন

খ, হেপ্টাক্লোরোসাইক্লিন

 গ. ক্লোরোটেট্রাসাইক্লিন 

ঘ. ট্রাইক্লোরোসাইক্লিন

উ: গ

৪১. লবণজাতকরণ পদ্ধতিতে মাছ সংরক্ষণে মাছ ও লবণের অনুপাত কত?

ক. ১:৪

গ. ৪ : ১

খ. ২:৩

ঘ. ৩:২

উ: গ

৪২. ইলিশ মাছ পুরোপুরি লবণজাত হতে কতদিন সময় লাগে?

ক. ১০-১৫ দিন

গ. ১৫-২০ দিন

খ. ১২-১৬ দিন

ঘ. ২০-২৫ দিন

উ: গ

৪৩. ধূমায়িত মাছে কোনটি ব্যবহার করা হয়?

ক. ক্লোরিন

খ. সোডিয়াম বাই কার্বনেট 

গ. ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট

 ঘ. পটাশিয়াম বাই কার্বনেট

উ: খ 

৪৪.কীটপতঙ্গের আক্রমণ প্রতিরোধে মাছ শুকানোর সময় কী ব্যবহার করা হয়?

ক. টেস্টিং সল্ট

গ. মোলার সল্ট

খ. খাবার লবণ

ঘ. মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট

উ: গ

৪৫. কোনটির ফলে অটোলাইসিস ঘটে থাকে? 

ক. ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়া 

খ. এনজাইমের ক্রিয়া 

গ. রাসায়নিক ক্রিয়া

 ঘ. তাপমাত্রা বৃদ্ধি 

উ: খ 

বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন ও উত্তর

৪৬. মলাস্কা শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত -

i. শামুক

ii. ঝিনুক

iii. কাঁকড়া

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ক

৪৭. অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের অন্তর্ভুক্ত-

i. সুন্দরবনের জলাভূমি

ii. মহীসোপান

iii. বাঁওড়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii 

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

৪৮. নির্গমনশীল উদ্ভিদের অন্তর্ভুক্ত-

i. টোপাপানা

ii. আড়ালি

iii. কলমি লতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. ii ও iii 

গ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ 

৪৯. রাক্ষুসে মাছের অন্তর্গত- 

i. বোয়াল

ii. শোল

iii. টাকি

নিচের কোনটি সঠিক? 

ক. i ও ii

খ. i ও iii 

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ 

৫০. মাছ চাষের পুকুরে রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করা যায়- 

i রোটেনন প্রয়োগ করে

ii. চুন প্রয়োগ করে

iii. পানি অপসারণ করে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii 

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:খ 

৫১. পুকুরে সার প্রয়োগের ফলে

i.পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়

ii. রোগবালাই দমন হয়

iii. প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদিত হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:খ

৫২. পুকুরে চুন প্রয়োগের ফলে—

i.পানির ঘোলাত্ব বজায় থাকে

ii. পরজীবী ও রোগ-জীবাণু ধ্বংস হয়

 iii. সারের কার্যকারিতা বাড়ে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:গ

৫৩. রাজপুঁটি মাছের চাষ বৈশিষ্ট্য -

i.গভীর জলাশয়ে জীবনচক্র সম্পন্ন করে 

ii. কম অক্সিজেন যুক্ত পানিতে চাষ করা যায় 

iii. অধিক তাপমাত্রার পানিতে চাষ করা যায় 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:গ

৫৪. মাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ---

i.উচ্চ মজুদ ঘনত্ব

ii. পরিত্যাক্ত খাবার

iii. বিপাকীয় বর্জ্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ

৫৫. রাজপুঁটি মাছের ক্ষত রোগ হলে—

i.পাখনা মুড়িয়ে যায়

ii.গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায় পাখনা মুড়িয়ে যায়

iii. ক্ষতস্থান থেকে দুর্গন্ধ ও পুঁজ বের হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

৫৬. নাইলোটিকা চাষ করা যায়- 

 i.স্বাদু পানিতে

ii. লবণাক্ত পানিতে

iii. অম্লীয় পানিতে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ক

৫৭. নাইলোটিকা মাছের সাদা দাগ রোগ হলে—

ii. শক্ত বস্তুতে দেহ ঘষে

iii. ক্ষতস্থান থেকে আঠালো পদার্থ বের হয় নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

৫৮. মাছের উচ্ছিষ্টাংশ ব্যবহৃত হয়——

i.প্রসাধনী শিল্পে

 ii. কুটির শিল্পে

iii. হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ ii ও iii 

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও ii

উ:ঘ

৫৯. চিংড়ির ম্যাক্সিলা উপাঙ্গ

i. খাদ্য গ্রহণে

ii. শ্বসনকার্যে

iii. সাঁতার কাটতে 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ.ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ক

৬০. গলদা চিংড়ির বৈশিষ্ট্য—

i.লবণাক্ত পানিতে বাস করে

ii.খোলসে ২-৫টি কালচে আড়াআড়ি দাগ থাকে

iii. রোস্ট্রাম বড় ও বাঁকানো

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: গ

৬১. বাগদা চিংড়ির ঘেরে চুন প্রয়োগ করা হয়-

i.আগাছা দমনে

ii. রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে

iii. মাটি শোধনে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:গ

৬২. চিংড়ির আশ্রয়স্থল তৈরি

i.তালের পাতা

ii. খেজুর পাতা

iii. আমের পাতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ.ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii 

উ:ক

৬৩. মাছ পচনের কারণ হলো—

i.এনজাইমের ক্রিয়া

ii. জীবাণুর ক্রিয়া

 iii. রাসায়নিক ক্রিয়া

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ

৬৪. নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের

I.শুঁটকিকরণ

ii. কার্বাইড যৌগ ব্যবহার

iii. লবণজাতকরণ

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

৬৫. মাছ সংরক্ষণের আধুনিক পদ্ধতি হলো—

 i .লবণজাতকরণ

ii. বরফজাতকরণ

iii. টিনজাতকরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:গ

৬৬. নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের উপায়—

i.ফরমালিন দিয়ে

ii. ক্যানিং করে

iii. ধূমায়িতকরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:গ

৬৭. ফরমালিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে যেসব উপসর্গ দেখা —

i.শ্বাসকষ্ট

iii. চুলপড়া

ii. ডায়রিয়া

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও ii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও ii

উ:ক

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর 

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : 

ফরিদ ২০ শতক আয়তনের পুকুরে রাজপুঁটির চাষ করে। পুকুরে কিছু মাছ Ichthyophthirius multitiliis নামক পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হলে রোগ দমনের জন্য সে ২-৩% কিউরিন দ্রবণে মাছকে গোসল করায়।

৬৮. ফরিদের পুকুরের মাছ কোন রোগে আক্রান্ত হয়?

ক. উঁকুন রোগ

খ. ফুলকা পচা রোগ

গ. সাদা দাগ রোগ

ঘ.শৌথ রোগ

উ:গ

 ৬৯. উক্ত পরজীবী সংক্রমণে মাছের

 i. গায়ে সাদা সাদা দাগ পড়ে

ii. ফুলকা ফুলে যায়

iii. ক্ষতস্থান থেকে আঠালো পদার্থ বের হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও ii

গ.ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:খ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৭০ ও ৭১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও: 

আমাদের দেশে দ্রুত বর্ধনশীল ও সুস্বাদু এক প্রকার মাছ চাষ করা হয়, যা থাইল্যান্ড থেকে ১৯৭৭ সালে আমদানি করা হয়।

৭০. মাছটির নাম কী?

 ক. তেলাপিয়া

গ. রাজপুঁটি

খ. নাইলোটিকা

ঘ. সিলভারকার্প

উ: গ

৭১. মাছটির বৈশিষ্ট্য-

i.গায়ের রঙ উজ্জল রূপালি বর্ণের

ii.কম অক্সিজেনে টিকে থাকতে পারে

iii. গম ক্ষেতেও চাষ করা যায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ: ক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও: 

এদেশের নদ-নদী, খাল-বিলে এক প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায় যা আকারে বেশ বড় হয়। এরা সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জুলাই মাসে প্রজনন সম্পন্ন করে ।

৭২. এ প্রজাতির চিংড়ির নাম কী?

ক. বাগদা চিংড়ি

খ.গলদা চিংড়ি

গ. চাপদা চিংড়ি

ঘ.টেরা চিংড়ি

উ: খ

৭৩. এদের বৈশিষ্ট্য-

i.রোস্ট্রাম লম্বা ও বাঁকানো

ii. মাথার চেয়ে দেহ বড়

iii. ১ম ও ২য় জোড়া পা চিমটাযুক্ত

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: খ

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

দুলাল তার গলদা চিংড়ির পুকুরে লক্ষ করেন কিছু চিংড়ির দেহে কালো দাগ পড়েছে এবং স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন।

৭৪. দুলালের পুকুরের চিংড়ির কী রোগ হয়েছে?

ক. পা খসা

গ. মেলানোসিস

খ. খোলস নরম হওয়া

ঘ. খোলস খসা

উ: গ

৭৫. উক্ত রোগ প্রতিকারের উপায় হলো—

i. আগাছা পরিষ্কার করতে হবে 

ii. পুকুরের পানি বদল করতে হবে

 iii. সুষম হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ.i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ঘ

নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং ৭৬ ও ৭৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:



৭৬. প্রদর্শিত চিত্রটি কোন প্রজাতির চিংড়ি?

ক. গলদা

গ. বাগদা

খ. চাপদা

ঘ. চ্যাগা

উ: গ

৭৭. প্রদর্শিত প্রজাতির চিংড়ির বৈশিষ্ট্য—

i. রোস্ট্রাম খাটো ও সোজা

ii. ইউরোপডে দুটি ঘন নীল বর্ণের দাগ থাকে

 iii. রোস্ট্রামের উপরের দিকে ৮টি খাঁজ থাকে 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ঘ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৭৮ ও ৭৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

 বাগদা চিংড়ি চাষ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি পদ্ধতি হলো নিবিড় পদ্ধতি যেখানে এরেটর মেশিন দ্বারা অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

৭৮. উক্ত চাষ পদ্ধতিতে ৫ বর্গমিটারে কতটি পোনা মজুদ করা যায়?

ক. ৩০০

খ. ৫০০

গ. ৭০০

ঘ. ১০০০

উ: খ

৭৯. উক্ত পদ্ধতিটির বৈশিষ্ট্য—

 i .পুরোপুরি সম্পূরক খাদ্য নির্ভরশীল

ii. পানির লবণাক্ততা ১৫-২৫ পিপিটি রাখা হয়

iii. দক্ষতার প্রয়োজন হয় না

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:ক 

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং ৮০ ও ৮১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও: 

হীরা চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তার এলাকায় শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে মাছ প্রক্রিয়াজাত করে রাখা হয় ।

৮০.হীরার এলাকায় উক্ত মৌসুমে কোন পদ্ধতিতে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়?

ক. লবণজাতকরণ

খ. টিনজাতকরণ

গ. শুঁটকিকরণ

ঘ. ধূমায়িতকরণ

উ: গ

৮১. উল্লিখিত সময়ে মাছ প্রক্রিয়জাতকরণ করার কারণ—

i. কম বৃষ্টিপাত

ii. অধিক আর্দ্রতা

iii. দীর্ঘ সময় সূর্যালোকের প্রাপ্তি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: খ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮২ ও ৮৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

আব্দুর রহিম তার বাড়ির পাশের বিল থেকে ছোট-বড় অনেক মাছ ধরেছে। মাছগুলো সে সহজে ও স্বল্প ব্যয়ে সংরক্ষণ করে 'বেশি দামে বিক্রি করতে চায়।

৮২. আব্দুর রহিম কোন প্রক্রিয়ায় মাছ সংরক্ষণ করতে পারে?

ক. টিনজাতকরণ

গ. ধূমায়িতকরণ

খ. শুঁটকিকরণ

ঘ. লবণায়ন

উ: খ

৮৩.তার সংরক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা হলো—

i. কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।

ii. সময় কম লাগে

iii. যন্ত্রপাতি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ.ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: খ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৮৪ ও ৮৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও: 

মাছকে পচনের হাত থেকে সহজ উপায়ে রক্ষার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা এক ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করছে যার ফলে মাছ দীর্ঘদিন না পচলেও মাছের গুণাগুণ নষ্ট হয় ও প্রকৃত মান থাকে না।

৮৪. উক্ত ক্ষতিকর পদার্থটির নাম কী?

ক. আয়োডিন

খ. ফরমালিন

গ. মেলানিন

ঘ. কার্বাইড

উ: খ

৮৫. উক্ত পদার্থযুক্ত মাছ খেলে —

i.প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়

ii.শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে

iii.চর্ম রোগ দেখা দেয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: খ

বোর্ডপরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর

৮৬. রোটেনন পাউডার পুকুরে প্রয়োগ করা হয় কেন?

[সকল বোর্ড-২০২২]

ক. মাছের খাদ্য হিসেবে

খ.জলজ আগাছা নিয়ন্ত্রন করতে

গ.প্লাঙ্কটন জন্মানোর জন্য

ঘ. রাক্ষুসে মাছ মারার জন্য

উ: ঘ

৮৭. নিম্নের কোনটি রাক্ষুসে মাছ?

[সকল বোর্ড-২০১৭]

ক. চিতল

খ. গ্রাসকার্প

গ. মিররকার্প

ঘ. সরপুঁটি

উ:ক

৮৮. পুকুরে মাটি ও পানির অম্লত্ব দূর করা যায় কী দিয়ে?

[সকল বোর্ড-২০২২, 2018]

ক. কম্পোস্ট

গ. ইউরিয়া

খ. চুন

ঘ. গোবর

উ:খ

৮৯. রাজপুঁটি মাছ অন্য কী নামে পরিচিত?

[সকল বোর্ড-২০১৮]

ক. কার্পিও

খ. থাই সরপুঁটি

গ. দেশি সরপুঁটি

ঘ. ক্যাটফিশ

উ: খ

৯০. নাইলোটিকা মাছ কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রথম আনা হয়?

[সকল বোর্ড-২০১৭; ২০১৯]

ক. ভারত

গ. মায়ানমার

খ. থাইল্যান্ড

ঘ. চীন

উ: খ

৯১. কোন মাছ বিপদের সময় মুখের ভিতর পোনা রাখে?

[সকল বোর্ড-২০১৯]

ক. নাইলোটিকা

গ. চিংড়ি

মাছ পচে যায়?

খ. রাজপুঁটি

ঘ. মিরর কার্প

উ: ক

৯২. সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় কতভাগ-

[সকল বোর্ড-২০১৮]

ক. ৫-১০

গ. ১৫-২০

খ. ১০-১৫

ঘ. ২০-২৫

উ: ঘ

৯৩. মাছ সংরক্ষণের সনাতন পদ্ধতি কোনটি?

 [সকল বোর্ড-২০১৮]

ক. বরফজাতকরণ

গ. লবণজাতকরণ

খ. হিমায়িতকরণ

ঘ. টিনজাতকরণ

উ: গ

৯৪.মাছের নিরাপদ সংরক্ষণ পদ্ধতি কয়টি?

 [সকল বোর্ড-২০১৮)

ক. ২

খ. ৩

গ. ৪

ঘ.৫

উ: ক

৯৫.ফরমালিন দেওয়া মাছ চেনার উপায় কোনটি?

[সকল বোর্ড- 2022, 2014]

ক. আইশ খসে পড়ে

খ. সতেজ দেখা যায়

গ. মাছে মাছি বসে

ঘ. ফুলকা কালচে হয়

উ: ঘ

৯৬. রাক্ষুসে মাছ হলো—

[সকল বোর্ড-২০১৯]

i.চিতল

 ii.কাতলা

iii. শোল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ: খ

৯৭. রাজপুঁটি মাছের বৈশিষ্ট্য-

[সকল বোর্ড-২০১৭, ২০১৯]

i. দ্রুত বর্ধনশীল

ii.বর্ণ উজ্জ্বল ও রূপালী সাদা

iii. পিঠে ডোরাকাটা দাগ আছে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ক

৯৮. গলদা চিংড়ির বৈশিষ্ট্য হলো—

 [সকল বোর্ড-২০২২]

i. এটি দেখতে সাধারণত হালকা নীল হয়

ii.এর মাথা দেহের তুলনায় বড়

iii. এর ফ্লাজেলা তিন জোড়া হয় 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ক

৯৯. মাছ সংরক্ষণের আধুনিক পদ্ধতি হলো—

[সকল বোর্ড-২০২২]

i.লবণজাতকরণ

ii. হিমায়িতকরণ

iii. টিনজাতকরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

গ. ii ও iii

উ: গ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১০০ ও ১০১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

 বেকার যুবক রবি পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। প্রচুর খাদ্য দেওয়ার পরও ভাল ফলন পাচ্ছেন না। পরে মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে জৈব ও রাসায়নিক সার দেন এবং লাভবান হন ।

 [সকল বোর্ড-২০১৮]

১০০. রবির পুকুরে সার দেওয়ার ফলে কী হবে?

ক. পুষ্টি উপাদান সহজলভ্য হবে 

খ. প্লাঙ্কটন সহজলভ্য হবে 

গ. অক্সিজেন সহজলভ্য হবে 

ঘ. পানির অল্পমান বৃদ্ধি পাবে

উ: খ

১০১.রবির সফলতার কারণ-

i.খাদ্যের সহজলভ্যতা

 ii. মাছের দৈহিক বৃদ্ধি

iii. উৎপাদন বৃদ্ধি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: ঘ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১০২ ও ১০৩নং প্রশ্নের উত্তরদাও:

জনাব রাশেদ এ বছর তার পুকুরে রাজপুঁটি মাছ চাষ করেন। পোনা মজুদের সপ্তাহ খানেক পর তিনি তার পুকুরে কিছু মাছের ফুলকায় রক্তক্ষরণ, পঁচন ও ফুলে যাওয়া লক্ষণ প্রত্যক্ষ করেন। এ সমস্যায় তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিলে কর্মকর্তা জনাব রাশেদকে এ রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা বলে দেন ।

 [সকল বোর্ড-২০২২]

১০২.মাছগুলো কোন রোগে আক্রান্ত?

ক. ক্ষতরোগ

গ. কৃমি রোগ

খ. ড্রপসি রোগ

ঘ. ফুলকা পচা রোগ

উ: ঘ

১০৩.জনাব রাশেদের মাছের রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয়

i. জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করা

ii. জাল রোদে শুকিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা

iii. পুকুরে চুন ও লবণ প্রয়োগ করা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ: গ

নিচের উদ্দীপকটি পড়এবং ১০৪ ও ১০৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

সজীব একজন ধানচাষি। সে ধানের পাশাপাশি মাছও চাষ করতে চায়। পরামর্শের জন্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলে মৎস্য কর্মকর্তা তাকে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিলেন ।

 [সকল বোর্ড-২০১৯, ২০১৭]

১০৪.সজীব কোন প্রজাতির চিংড়ি নির্বাচন করবে?

ক. হরিণা

খ. চ্যাগা

গ. গলদা

ঘ. বাগদা

উ:গ 

১০৫.ধানক্ষেত্রে উদ্দীপকের চিংড়ি চাষ করার সুবিধা হলো—

i. আগাছা কম হয়

ii. ধানের ফলন কম হয়

iii. উৎপাদন খরচ কম হয় 

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: খ

 কৃষিশিক্ষা দ্বিতীয় পত্র এর ১০০% কমন সাজেশন  আরো পড়ুন 

আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-14)

 কৃষিশিক্ষা ১ম পত্র এর ১০০% কমন সাজেশন  আরো পড়ুন 










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url