সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র অধ্যায় -১ বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার বিকাশ সাজেশন
অধ্যায় -১ বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার বিকাশ
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১০০% কমন সাজেশন-২০২৩
HSC Sociology 2nd paper100% Common Suggestion-2023
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় -১ বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার বিকাশ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১.সামাজিক বিজ্ঞানের নবতর শাখা কোনটি?
উত্তর: সমাজবিজ্ঞান শাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞানের নবতর শাখা ।
প্রশ্ন-২. ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজচিন্তার ইতিহাস কত বছরের পুরোনো?
উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজচিন্তার ইতিহাস প্রায় দুই হাজার বছরের পুরোনো
প্রশ্ন-৩.সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?
[ঢা. বৌ, রা. বো.. কু. বো, সি. বো. য. বো. ১৭ ]
উত্তর: সমাজবিজ্ঞানের জনক ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ।
প্রশ্ন-8. ‘Course de Philosophic Positive' বইটি কোন সমাজবিজ্ঞানীর লেখা?
[ম. বো.. রা. বো, দি. বো, চ. বো, সি. বো, ব, বো, ২২]
উত্তর: ‘Course de Philosophic Positive' বইটি ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ-এর লেখা।
প্রশ্ন-৫. ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজচিন্তা সম্পর্কিত প্রথম আলোচনা কার রচনায় দেখা যায়?
উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজচিন্তা সম্পর্কিত প্রথম আলোচনা মৌর্যযুগের কূটনৈতিক কৌটিল্যের রচনায় দেখা যায় ।
প্রশ্ন-৬. কাকে প্রাচ্যের সামাজিক বিজ্ঞানের অগ্রদূত বলা যায়?
উত্তর: কৌটিল্যকে প্রাচ্যের সামাজিক বিজ্ঞানের অগ্রদূত বলা যায় ।
প্রশ্ন-৭. ভারতের সমাজকাঠামো সম্পর্কিত আল-বেরুনি রচিত গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ভারতের সমাজকাঠামো সম্পর্কিত পারস্যের নামজাদা পণ্ডিত আল-বেরুনি রচিত গ্রন্থের নাম হচ্ছে ‘ভারততত্ত্ব” ।
প্রশ্ন-৮.‘সিয়ার-উল-মোতাখখিরিন' গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তর: ‘সিয়ার-উল-মোতাখখিরিন' গ্রন্থের লেখক সৈয়দ গোলাম হোসেন খান ।
প্রশ্ন-৯. 'The Indian Musalmans' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: 'The Indian Musalmans' গ্রন্থের রচয়িতা স্যার উইলিয়াম হান্টার
প্রশ্ন-১০. কোনটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার সূত্রপাত হয়?
উত্তর: ‘রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার সূত্রপাত হয় ।
প্রশ্ন-১১. কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলায় সমাজবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন ও গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হয়?
উত্তর: ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলায় সমাজবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন ও গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হয় ।
প্রশ্ন-১২. কে ‘Regional Sociology' গ্রন্থটি রচনা করেন?
উত্তর. অধ্যাপক রাধাকমল মুখার্জি 'Regional Sociology' গ্রন্থটি রচনা করেন ।
প্রশ্ন-১৩. 'History of Bengal' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর. 'History of Bengal' গ্রন্থের রচয়িতা হলেন অধ্যাপক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার
প্রশ্ন-১৪. 'Sociology of Young Asia' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর. 'Sociology of Young Asia' গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার।
প্রশ্ন-১৫. অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার রচিত সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর. অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার রচিত সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম হচ্ছে "The Positive Background of Hindu Sociology"।
প্রশ্ন-১৬.অবিভক্ত বাংলায় সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা শুরু হয় কত সালে?
উত্তর: অবিভক্ত বাংলায় সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা শুরু হয় ১৯১৭ সালে ।
প্রশ্ন-১৭. সমাজ সম্পর্কে নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে হলে কোন শাস্ত্র অধ্যয়নের কোনো বিকল্প নেই?
উত্তর, সমাজ সম্পর্কে নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে হলে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের কোনো বিকল্প নেই ।
প্রশ্ন-১৮.বাংলাদেশের সমাজকাঠামোয় বিশ্বায়নের প্রভাব নির্ণয় করতে হলে কোন শাস্ত অধ্যয়ন করা প্রয়োজন?
উত্তর: বাংলাদেশের সমাজকাঠামোয় বিশ্বায়নের প্রভাব নির্ণয় করতে হলে সমাজবিজ্ঞান শাস্ত্রটি অধ্যয়ন করা প্রয়োজন ।
প্রশ্ন-১৯. সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে কোন বিষয়টি প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা প্রদান করে?
উত্তর: সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞান বিষয়টি প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা প্রদান করে ।
প্রশ্ন-২০.কোন শাস্ত্র পাঠের মাধ্যমে সমাজে মানুষের অবদান ও অধিকার সম্পর্কে জানা যায়?
উত্তর: সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে সমাজে মানুষের অবদান ও অধিকার সম্পর্কে জানা যায় ।
প্রশ্ন-২১.রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কী প্রয়োজন?
উত্তর: রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োজন ।
প্রশ্ন-২২. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?
[সকল বোর্ড '২২; ১৫]
উত্তর: বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের অগ্রপথিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিম।
প্রশ্ন-২৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যাত্রা শুরু হয় কোন শিক্ষাবর্ষ থেকে?
[ঢা. বো.. দি. বো, সি. বো., য. বো. ১৮ ]
উত্তর: ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ।
প্রশ্ন-২৪.‘সমাজবিজ্ঞান সমীক্ষণ' গ্রন্থের লেখক কে?
[ঢা বো., দি, বো, সি. বো, য. বো. ১৮]
উত্তর: ‘সমাজবিজ্ঞান সমীক্ষণ' গ্রন্থের লেখক ড. এ. কে. নাজমুল করিম ।
প্রশ্ন-২৫. ‘The Dynamics of Bangladesh Society' গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর: “The Dynamics of Bangladesh Society' গ্রন্থটি অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিমের লেখা।
প্রশ্ন-২৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে কাকে নিযুক্ত করা হয়?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী ড. পিয়েরি বেসাইনিকে নিযুক্ত করা হয় ।
প্রশ্ন-২৭. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন সমাজবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন শুরু হয়?
উত্তর: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ সালের ২৪ আগস্ট থেকে সমাজবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন শুরু হয় ।
প্রশ্ন-২৮. কখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব নামক আলাদা একটি বিভাগের আত্মপ্রকাশ ঘটে?
[দি বো, চ. বো, ব. বো. ১৭]
উত্তর: ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব নামক আলাদা একটি বিভাগের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
প্রশ্ন-২৯. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের কার্যক্রম শুরু হয়?
উত্তর: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০২ সালে সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রশ্ন-৩০.বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তর: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে।
অনুধাবনমূলকপ্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. উপমহাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কীরূপ ছিল? ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপমহাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এখানে সমাজবিজ্ঞানের পাঠ শুরু হয় ১৯১৭ সালে। সে বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিকের ধ্যান-ধারণার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান। শুধু তাই নয়, এ কলকাতা যুক্তিবাদী পণ্ডিত আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল এক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। এর মাধ্যমে সে সময়ের বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপমহাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাজবিজ্ঞানের চর্চা শুরুর বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কাজেই বলা যায়, উপমহাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল পথিকৃতের।
প্রশ্ন-২. বাংলাদেশে কীভাবে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নির্মিত হয়?
উত্তর: বিভিন্ন বাঙালি জাতীয়তাবাদী ও সাম্যবাদী লেখকের রচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নির্মিত হয় ৷
চল্লিশের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী লেখক রাধাকমল মুখার্জি, ডি এন মজুমদার, নির্মল কুমার বসু ও বিনয় কুমার সরকার বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এসব সমাজচিন্তাবিদ বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনেক আলোচনা করেন এবং সমাজ পরিবর্তনের কথা বলেন । তাঁদের লেখনী ও আলোচনার মাধ্যমেই বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নির্মিত হয়।
প্রশ্ন-৩.বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার সংক্ষিপ্ত পটভূমি লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৫৭ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চালু হয় এবং ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের পঠন- পাঠন চালুর পেছনে ভূমিকা রাখেন ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্লদ লেভি স্ট্রস। তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকায় এসে এ বিষয়ে সমীক্ষা চালান। তাকে সহায়তা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তৎকালীন শিক্ষক এ. কে. নাজমুল করিম এবং অধ্যাপক অজিত কুমার সেন। তাদের সম্মিলিত উদ্যোগ এবং ইউনেস্কোর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয় ।
প্রশ্ন-৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষাদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় কীভাবে?
উত্তর: ব্রিটিশ শাসকদের প্রশাসনিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষাদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রশাসন পরিচালনা করতে গিয়ে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থা সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন অনুভব করেন। সমাজবিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা যায় বলে ১৯২৪ সালের ২৩ জুন তৎকালীন শিক্ষা কমিশনার জেমস আলেকজান্ডার রিচে আইসিএস পরীক্ষায় সমাজবিজ্ঞানকে একশ নম্বরের একটি পত্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগের অভিমত জানতে চেয়ে চিঠি দেন। উপাচার্য হার্টগ এতে সম্মতি দেন। এরই সূত্র ধরে ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে 'Ethics and Sociologir শিরোনামে সমাজবিজ্ঞানের পাঠদান শুরু হয়।ক্ষাবর্ষে এভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষাদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে।
প্রশ্ন-৫. অধ্যাপক নাজমুল করিমকে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের পঠন-পাঠনের সূচনার ক্ষেত্রে অধ্যাপক নাজমুল করিমের অসামান্য অবদানের জন্যই তাকে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
অধ্যাপক ড. এ. কে. নাজমুল করিম ও তার ছাত্র-ছাত্রীদের ঐকান্তিক সাধনার ফলেই এদেশে সমাজবিজ্ঞানের পঠন- পাঠন এবং আলোচনা বিস্তৃতি লাভ করেছে। সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে বিভাগীয় যাদুঘর প্রতিষ্ঠা, মনোগ্রাফ লেখার ব্যবস্থা, গ্রামীণ প্রশ্নমালা পূরণের কার্যক্রম সবই অধ্যাপক নাজমুল করিমের অবদান। এসব ভূমিকার জন্য তাকে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক' বলে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন-৬. “সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞান” – বুঝিয়ে লেখ।
[ম. বো.. রা. কো, দি বো, চ. বো, সি. বো. ব. কো ২২ ]
উত্তর: সমাজস্থ মানুষের ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্কের বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করায় সমাজবিজ্ঞানকে সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞান বলা হয়। সমাজবিজ্ঞান সমাজকাঠামো তথা ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভূমিকা, কার্যাবলি সম্পর্কে পঠন-পাঠন ও গবেষণা করে। এছাড়াও সমাজের শ্রেণিবিন্যাস, শ্রেণিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক, উৎপাদন যন্ত্রের সাথে তাদের সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয় নিয়েও আলোচনা করে। অর্থাৎ সমাজবিজ্ঞান সমাজ-সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় ও তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করে থাকে। এজন্যই সমাজবিজ্ঞানকে সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞান বলা হয়।
প্রশ্ন-৭. বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত যে, বাংলাদেশের সমাজকে উন্নত করতে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নও ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রের গৃহীত উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার সাথে সামাজিক জ্ঞানের সংস্পর্শ না থাকলে সমাজে তার বাস্তব রূপ দেওয়া সম্ভব হবে না। আবার নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সাথে সমাজব্যবস্থায় যেসব নতুন মূল্যবোধের সৃষ্টি হচ্ছে, পুরোনো মূল্যবোধের সাথে সেগুলোর বিরোধ দূরীকরণে সমাজবিজ্ঞানই সুষ্ঠু পথ নির্দেশ করতে সক্ষম। আর এ জন্যই বলা হয়, বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞান পাঠের বিকল্প নেই।
প্রশ্ন-৮.সামাজিক স্তরবিন্যাস সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
[সকল বোর্ড ১৫]
উত্তর: বিশ্বের প্রত্যেক সমাজেই স্তরবিন্যাস রয়েছে। এসব স্তরবিন্যাসের ধরন সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। কারণ সমাজবিজ্ঞান সমাজের শ্রেণিবিন্যাস, শ্রেণিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক, সমাজের উৎপাদন যন্ত্রের সাথে শ্রেণির সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। আর শ্রেণি সম্পর্কিত আলোচনাই মূলত সামাজিক স্তরবিন্যাসকে স্পষ্ট করে তোলে। এ জন্যই সামাজিক স্তরবিন্যাস সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন ।
প্রশ্ন-৯.কীভাবে সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়?
উত্তর: তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের সমাজ আজ নানাবিধ সামাজিক সমস্যায় (অধিক জনসংখ্যা, অপরাধ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি) জর্জরিত। এসব সমস্যার সমাধান বের করা একান্ত প্রয়োজন। সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে সমাজের এসব সমস্যার কারণ, স্বরূপ ও ফলাফলের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। আর কোনো সামাজিক সমস্যার কারণ বের করা গেলে তার সমাধানের পথও আবিষ্কৃত হয়। এভাবেই সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়।
প্রশ্ন-১০.বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান বিকাশে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ কর ।
[ঢা বো., রা, বো, কু. বো, সি. বো., য. বো. ১৭]
উত্তর: বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে যেসব শিক্ষাবিদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য পাঁচজন হলেন-
১. ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্লদ লেভি স্ট্রস
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ.কে. নাজমুল করিম
৩. ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞ ও ফরাসি সামাজিক-নৃবিজ্ঞানী ড. পিয়েরি বেসাইনি
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অজিত কুমার সেন
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রংগলাল সেন ।
প্রশ্ন-১১. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের যথাযথ বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান যেকোনো একটি সমস্যা ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর: বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের যথাযথ বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান একটি সমস্যা হলো বাংলা ভাষায় লিখিত বা বাংলায় অনুদিত সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকের অভাব। এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠাগারে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক ইংরেজি ভাষায় লিখিত বই বেশি দেখা যায়, যা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বোধগম্য নয়। ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে এসব গ্রন্থ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আবার যেসব বইয়ের অনুবাদ করা হয় সেগুলোর অনুবাদের মান তেমন ভালো না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাজে লাগে না। বিষয়টি এ দেশে সমাজবিজ্ঞানের যথাযথ বিকাশের ক্ষেত্রে একটি অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. কোন মনীষী ঊনবিংশ শতকে একটি নতুন বিজ্ঞান প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন?
ক. সেইন্ট সাইমন
খ. অগাস্ট কোঁৎ
গ. সেন্ট অগাস্টিন
ঘ. মিশেল ফুকো
উ:ক
২. ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজচিন্তার ইতিহাস কত বছরের পুরোনো?
ক. তিন হাজার বছর
খ. দুই হাজার বছর
গ. এক হাজার বছর
ঘ. পাঁচশত বছর
উ:খ
৩. প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিকরা কোন বিষয়ে উপমহাদেশের বেশি গুরুত্বারোপ করেছিলেন?
ক. অর্থনৈতিক বিষয়
খ. রাজনৈতিক বিষয়
গ. সামাজিক বিষয়
ঘ. ধর্মীয় বিষয়
উ:ঘ
৪. নিচের কোন ব্যক্তি 'Annals of Rural Bengal' গ্রন্থের রচয়িতা?
ক. উইলিয়াম জোনস
খ. হেনরি স্টোকস
গ. জন হারিংটন
ঘ. উইলিয়াম হান্টার
উ:ঘ
৫. কোন ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানীর সহায়তায় বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়?
ক. পিয়েরি বেসাইনি
খ. ক্লদ ডুবার
গ. ক্লদ লেভি স্ট্রস
ঘ. র্যামন্ড অ্যারন
উ:গ
৬. বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
ক. ১৯৫২
খ. ১৯৫৫
গ. ১৯৫৭
ঘ. ১৯৬৬
উ: গ
৭.নিচের কোন ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন?
ক. অজিত কুমার সেন
গ. নাজমুল করিম
খ. রংগলাল সেন
ঘ. পিয়েরি বেসাইনি
উ:ঘ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন ও উত্তর
৮. উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা অনুপ্রাণিত হন-
i. অগাস্ট কোঁতের ধ্যান-ধারণায়
ii. বেহামের ধ্যান-ধারণায়
iii. লেভি-স্ট্রসের ধ্যান-ধারণায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
৯. সমাজবিজ্ঞান পথ নির্দেশ করে বাংলাদেশের—
i. কৃষিভিত্তিক সমাজের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে
ii. কৃষি সম্পর্কে জানতে
iii. কৃষি কাঠামো সম্পর্কে জানতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:গ
১০. সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজের—
i. আত্মসচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পায়
ii. শ্রেণি সচেতন সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পায়
iii. উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞ মিশনের প্রতিনিধি হলেন ‘ক’, যার আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন অলিক কল্পনা ছিল।
১১. উদ্দীপকে ‘ক’ দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক. অজিত কুমার সেন
খ. নাজমুল করিম
গ. লেভি স্ট্রস
ঘ. পিয়েরি বেসাইনি
উ:গ
১২. যে বিষয়গুলো শিক্ষার বাংলাদেশে এসেছিলেন—
i. সমাজবিজ্ঞান
ii. সমাজ-মনোবিজ্ঞান
iii. নৃবিজ্ঞান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও ii
উ:খ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
জনাব রায়হান আলম বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত না হলেও বাংলা ভাষায় পঠন উপযোগী সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রচনায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত তার অনুবাদ গ্রন্থের অন্যতম হলো ‘উন্নয়নের সমাজতত্ত্ব’, ‘সমাজ নৃবিজ্ঞান’, ‘বাংলার কৃষক' ইত্যাদি ।
১৩. জনাব রায়হান আলমের সাথে কোন সমাজবিজ্ঞানীর মিল রয়েছে?
ক. এ. কে. নাজমুল করিম
খ. অজিত কুমার সেন
গ. রংগলাল সেন
ঘ. সাদাত উল্লাহ খান
উ:ঘ
১৪. জনাব রায়হান আলমের গ্রন্থসমূহ-
i. সমাজ বিশ্লেষণে সহায়ক
ii. অর্থনৈতিক পূর্বাভাষ প্রদান করে
iii. গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামো পর্যালোচনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:গ
বোর্ডপরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১৫.“বাংলাদেশ সামাজিক নৃবিজ্ঞানীদের স্বর্গ”— উক্তিটি কার?
[সকল বোর্ড ২১]
ক. এফ আর খান
খ. অজিত কুমার সেন
গ. লেভি স্ট্রস
ঘ. ডিডি কোসাম্বী
উ:গ
১৬. ‘অর্থশাস্ত্র' গ্রন্থটির লেখক কে?
[সকল বোর্ড ২২]
ক. আবুল ফজল
গ. ইবনে বতুতা
খ. কৌটিল্য
ঘ. আলবেরুনি
উ: খ
১৭. বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়?
[সকল বোর্ড ১৯]
ক. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
খ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
উ:খ
১৮. বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের পথিকৃৎ কে?
[সকল বোর্ড ১৮]
ক. অজিত কুমার সেন
খ. রাধাকমল মুখার্জি
গ. বিনয় সরকার
ঘ. এ. কে. নাজমুল করিম
উ:ঘ
১৯. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা কে?
[সকল বোর্ড ২২, ১৬]
ক. রামকৃষ্ণ মুখার্জী
খ. আবুল ফজল
গ. বিনয় সরকার
ঘ. এ. কে. নাজমুল করিম
উ:ঘ
২০. ‘সমাজবিজ্ঞান সমীক্ষণ' বইটির রচয়িতা কে?
[সকল বোর্ড ১৫]
ক. ড. এ. কে. নাজমুল করিম
খ. অধ্যাপক আফসার উদ্দিন
গ. অধ্যাপক ফজলুর রশিদ হক
ঘ. ড. রংগলাল সেন
উ:ক
২১. কখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়?
[সকল বোর্ড '২১, ১৫]
ক. ১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষ
খ. ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষ
গ. ১৯৬৪-১৯৬৫ শিক্ষাবর্ষে
ঘ. ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষে
উ:খ
২২. সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে—
[সকল বোর্ড ২২]
i. সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি করা যায়
ii. সামাজিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়
iii. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ঘ
২৩. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে-
i. সামাজিক সমস্যার উত্তরণে
ii. সামাজিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে
iii. ব্যক্তি মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে
নিচের কোনটি সঠিক?
[সকল বোর্ড ১৯]
ক. i ও ii
গ. ii ও iii
খ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ: ক
২৪. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তার উপযুক্ত কারণ হলো-
i. বাংলাদেশের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য
ii. বাংলাদেশের পরিবার, বিবাহ ও সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে জানার জন্য
iii. বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
[সকল বোর্ড ১৭]
ক. i ও ii
খ. i ও ii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
২৫. বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে সমাজবিজ্ঞান পাঠ প্রয়োজনীয়, কেননা সমাজবিজ্ঞান—
[সকল বোর্ড ১৬]
i. কোনো সমস্যার কারণ বিশ্লেষণ করে
ii. পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়ক
iii. অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
গ. ii ও iii
খ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
দেশ বিভাগের পূর্বে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত উচ্চশিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পথ সুগম হয়। তার পর অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা সমাজ ব্যবস্থায় নাড়া দেয়। সৃষ্টি হয় নানান সমস্যার। এ বিষয়টি এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।
[সকল বোর্ড ' ২১]
২৬. উদ্দীপকে কোন ঘটনাটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
খ. ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগ
গ. ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ
ঘ. ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব
উ:ক
২৭. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়বস্তুর আলোকে বলা যায়—
i. সমাজ পরিবর্তনশীল
ii. সামাজিক সমস্যা সমাজ বহির্ভূত
iii. সামাজিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:খ
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url