সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র অধ্যায়-৩ প্রত্নতত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমাজ ও সভ্যতা সাজেশন
অধ্যায়-৩ প্রত্নতত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমাজ ও সভ্যতা
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১০০% কমন সাজেশন-২০২৩
HSC Sociology 2nd paper100% Common Suggestion-2023
পেজ সূচিপত্র :অধ্যায়-৩ প্রত্নতত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমাজ ও সভ্যতা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. প্রত্নতত্ত্ব কী?
[সকল বোর্ড ১৯]
উত্তর: প্রাচীন বা বিলুপ্ত সংস্কৃতির অধ্যয়নই হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব ।
প্রশ্ন-২. কোন শব্দ থেকে Archaeology শব্দের উৎপত্তি হয়েছে?
উত্তর: গ্রিক শব্দ Arkhaios ও Logia থেকে Archaeology শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ।
প্রশ্ন-৩.“প্রত্নতত্ত্ব প্রাচীন মানুষের আংশিক পরিচয় দেয় না বরং তাদের জীবনযাত্রার পূর্ণাঙ্গ রেখাচিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করে”— উক্তিটি কার?
উত্তর: “প্রত্নতত্ত্ব প্রাচীন মানুষের আংশিক পরিচয় দেয় না বরং তাদের জীবনযাত্রার পূর্ণাঙ্গ রেখাচিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করে”— উক্তিটি অস্ট্রেলিয়ান নৃবিজ্ঞানী ভের গর্ডন চাইল্ডের ।
প্রশ্ন-৪.প্রত্নতত্ত্বের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: প্রত্নতত্ত্বের প্রধান উদ্দেশ্য হলো প্রাচীনকালের মানুষের ইতিহাস খুঁজে বের করা ।
প্রশ্ন-৫. প্রাচীন প্রস্তর যুগকে ভূবিজ্ঞানীরা কোন যুগ হিসেবে অভিহিত করেছেন?
উত্তর: প্রাচীন প্রস্তর যুগকে ভূবিজ্ঞানীরা ‘প্লাইসটোসিন' যুগ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্ন-৬.ব্যবহৃত হাতিয়ারের ভিত্তিতে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মানুষের ইতিহাসকে কয় ভাগে ভাগ করেছেন?
উত্তর: ব্যবহৃত হাতিয়ারের ভিত্তিতে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মানুষের ইতিহাসকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন ।
প্রশ্ন-৭.প্রস্তরযুগকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: প্রস্তরযুগকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. পুরোনো প্রস্তর যুগ ও
২. নব্যপ্রস্তর যুগ ।
প্রশ্ন-৮.নিয়ানডারথাল মানব কোন যুগের অধিবাসী?
উত্তর: নিয়ানডারথাল মানব প্লাইসটোসিন যুগের অধিবাসী
প্রশ্ন-৯.‘হাইডেলবার্গ মানব' কোন যুগের প্রতিনিধি?
[সকল বোর্ড ১৫]
উত্তর: ‘হাইডেলবার্গ মানব' নিম্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রতিনিধি ।
প্রশ্ন-১০. ক্রোম্যাগনন মানব কোন যুগের বাসিন্দা ছিল?
উত্তর: ক্রোম্যাগনন মানব উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগের বাসিন্দা ছিল ।
প্রশ্ন-১১. প্রাচীন প্রস্তর যুগ শুরু হয়েছিল কখন?
উত্তর: প্রাচীন প্রস্তর যুগ শুরু হয়েছিল আজ থেকে ২৫ লক্ষ বছর আগে।
প্রশ্ন-১২. সর্বপ্রথম পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার করে কারা?
উত্তর: সর্বপ্রথম পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার করে ক্রোম্যাগনন মানুষ ।
প্রশ্ন-১৩.মুন্তেরীয়া যুগের যন্ত্রপাতি কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর: মুন্তেরীয়া যুগের যন্ত্রপাতি নিয়ানডারথাল মানুষের ফসিলের সাথে পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন-১৪.আগুনের আবিষ্কার হয় কোন যুগে?
উত্তর: আগুনের আবিষ্কার উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগে হয়
প্রশ্ন-১৫. জাভা মানব কোন যুগের অধিবাসী?
[ঢা. বো., কু, বো, য, বো, '২২]
উত্তর: ইন্দোনেশিয়ার জাভা মানব নিম্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগের অধিবাসী।
প্রশ্ন-১৬. প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল খাদ্য সংগ্রহ করা ।
প্রশ্ন-১৭.‘নবোপলীয় বিপ্লব' কথাটি কে ব্যবহার করেছেন?
[ঢা. বো., কু, বো, য. বো, ২২]
উত্তর: ‘নবোপলীয় বিপ্লব' কথাটি ব্যবহার করেছেন অস্ট্রেলিয়ান নৃবিজ্ঞানী ও প্রত্নতাত্ত্বিক ভের গর্ডন চাইল্ড ।
প্রশ্ন-১৮.নবোপলীয় বিপ্লব কী?
[ম. বো.. রা. বো.. দি. বো. চ. বো, সি. বো, ব. বো. ২২; ঢা. বো., দি. বো, সি. বো., য, বো, ১৮]
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগে সংঘটিত সমাজ ও সভ্যতার বৈপ্লবিক অগ্রগতি হচ্ছে নবোপলীয় বিপ্লব ।
প্রশ্ন-১৯. ব্যক্তি মালিকানার উদ্ভব হয় কোন যুগে?
উত্তর: ব্যক্তি মালিকানার উদ্ভব হয় নব্যপ্রস্তর যুগে ।
প্রশ্ন-২০. কৃষির আবিষ্কার হয় কোন যুগে?
[ঢা. বো, রা. বো., দি. বো, চ. বো, সি. বো, য. বো, ব. বো. ১৬]
উত্তর: কৃষির আবিষ্কার হয় নব্যপ্রস্তর যুগে।
প্রশ্ন-২১. কৃষি বিপ্লবের সূচনা হয় কোন অঞ্চলে?
উত্তর: কৃষি বিপ্লবের সূচনা হয় পশ্চিম এশিয়ার ফার্টাইল ক্রিসেন্ট অঞ্চলে ।
প্রশ্ন-২২. বাংলাদেশের কোথায় নব্যপ্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।
প্রশ্ন-২৩. নব্যপ্রস্তর যুগের প্রধান আবিষ্কার কোনটি?
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগের প্রধান আবিষ্কার হলো পশুপালন ও কৃষিকাজ।
প্রশ্ন-২৪. চাকার আবিষ্কার হয় কোন যুগে?
[দি. বো., চ. বো., ব. বো. ১৭]
উত্তর: চাকার আবিষ্কার হয় নব্যপ্রস্তর যুগে ।
প্রশ্ন-২৫. প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, পশুপালনের সূত্রপাত ঘটে কোথায়?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, মেসোপটেমিয়া, মিসর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলে পশু পালনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রশ্ন-২৬. নব্যপ্রস্তর যুগে উৎপাদনের মূল উপকরণ ছিল কোনটি?
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগে উৎপাদনের মূল উপকরণ ছিল জমি ।
প্রশ্ন-২৭. ইউরোপে কখন তামা ও ব্রোঞ্জের যুগ প্রচলিত হয়?
উত্তর: ইউরোপে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে তামা ও ব্রোঞ্জের যুগ প্রচলিত হয়।
প্রশ্ন-২৮. ব্রোঞ্জযুগের অবসান হয় কখন?
উত্তর: খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দে লৌহ আবিষ্কারের সাথে সাথে ব্রোঞ্জ যুগের অবসান হয় ।
প্রশ্ন-২৯. কোথায় প্রথম ব্রোঞ্জ যুগের নগরসভ্যতার উদ্ভব ঘটেছিল?
উত্তর: মিসর ও মেসোপটেমিয়াতে প্রথম ব্রোঞ্জ যুগের নগরসভ্যতার উদ্ভব ঘটেছিল । .
প্রশ্ন-৩০.‘হায়ারোগ্লিফিক' লিপি আবিষ্কার হয় কোন যুগে?
উত্তর: ‘হায়ারোগ্লিফিক' লিপি আবিষ্কার হয় ব্রোঞ্জ যুগে।
প্রশ্ন-৩১.কোথায় প্রথম মুদ্রার প্রচলন হয়?
উত্তর: এশিয়া মাইনরের লিডিয়ায় প্রথম মুদ্রা প্রচলন হয়।
প্রশ্ন-৩২. লেখার আবিষ্কার হয়েছে কোন যুগে?
[ঢা. বো, কু. বো., য. বো. ২২]
উত্তর: লেখার আবিষ্কার হয়েছে ব্রোঞ্জ যুগে।
প্রশ্ন-৩৩. মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের সর্বোচ্চ স্তর কোনটি?
উত্তর: মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের সর্বোচ্চ স্তর লৌহযুগ।
প্রশ্ন-৩৪.সর্বপ্রথম লৌহ শিল্পের সূচনা করে কারা?
উত্তর: এশিয়া মাইনরে বসবাসরত হিট্টাইটরা সর্বপ্রথম লৌহ শিল্পের সূচনা করে।
প্রশ্ন-৩৫.নগর সভ্যতার উদ্ভব হয় কোন যুগে?
উত্তর: নগর সভ্যতার উদ্ভব হয় লৌহ যুগে ।
প্রশ্ন-৩৬.বর্ণভিত্তিক লিপির আবিষ্কার করে কারা?
উত্তর: বর্ণভিত্তিক লিপির আবিষ্কার করে ফিনিশীয়রা।
প্রশ্ন-৩৭. লৌহযুগের প্রচলন কখন শুরু হয়?
উত্তর: লৌহযুগের প্রচলন সম্ভবত শুরু হয় আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ থেকে।
প্রশ্ন-৩৮. মধ্যপ্রাচ্যে লৌহের ব্যবহার শুরু হয় কখন?
উত্তর: মধ্যপ্রাচ্যে লৌহের ব্যবহার শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে ।
প্রশ্ন-৩৯. ভারতবর্ষে লৌহের ব্যবহার শুরু হয় কবে?
উত্তর: খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দে ভারতবর্ষে লৌহের ব্যবহার শুরু হয় ৷
প্রশ্ন-৪০. উয়ারী-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত জনপদ কত বছরের পুরোনো?
উত্তর: উয়ারী-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত জনপদ আড়াই হাজার বছরের পুরোনো ।
প্রশ্ন-৪১.“উয়ারী-বটেশ্বর কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ বছরের প্রাচীন এবং এর সঙ্গে ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ ছিল”— উক্তিটি কার?
উত্তর: “উয়ারী-বটেশ্বর কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ বছরের প্রাচীন এবং এর সঙ্গে ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ ছিল”— উক্তিটি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ইমেরিটাস প্রফেসর দীলিপ কুমার চক্রবর্তীর ।
প্রশ্ন-৪২.ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের নগর সভ্যতার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে কোথায়?
উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের নগর সভ্যতার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে উয়ারী-বটেশ্বরে।
প্রশ্ন-৪৩.উয়ারী-বটেশ্বর কোন জেলায় অবস্থিত?
[ঢা. বো, রা. বো, কু. বো, সি. বো., য. বো. ১৭]
উত্তর: উয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদী জেলায় অবহিত।
প্রশ্ন-৪৪. বাংলাদেশের প্রাচীনতম মহাজনপদ কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রাচীনতম মহাজনপদ হচ্ছে উয়ারী-বটেশ্বর ।
প্রশ্ন-৪৬. বাংলাদেশের কোথায় গর্ত বসতি পওয়া গেছে?
উত্তর: বাংলাদেশের উয়ারী-বটেশ্বরে গর্ত বসতি পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন-৪৭. গ্রিক ভূগোলবিদ টলেমির মতানুযায়ী উয়ারী-বটেশ্বরের প্রাচীন নাম কী?
উত্তর: গ্রিক ভূগোলবিদ টলেমির মতানুযায়ী উয়ারী-বটেশ্বরের প্রাচীন নাম ‘সৌনাগড়া” ।
প্রশ্ন-৪৮. মহাস্থানগড় কোন জেলায় অবস্থিত?
[রা. বো., কু, বো, চ, বো, ব. বো. ১৮]
উত্তর: মহাস্থানগড় বগুড়া জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন-৪৯. মহাস্থানগড়ে সমৃদ্ধশালী জনপদ গড়ে ওঠে কখন?
উত্তর: তৃতীয় থেকে পনেরোশ শতাব্দীর মধ্যে মহাস্থানগড়ে সমৃদ্ধশালী জনপদ গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন-৫০. সর্বপ্রথম মহাস্থানগড়ের অবস্থান চিহ্নিত করেন কে?
উত্তর: স্কটিশ ভূতত্ত্ববিদ ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিলটন সর্বপ্রথম মহাস্থানগড়ের অবস্থান চিহ্নিত করেন ।
প্রশ্ন-৫১. মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত বাংলার সর্বপ্রাচীন শিলালিপি কোন ভাষায় লিখিত?
উত্তর: মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত বাংলার সর্বপ্রাচীন শিলালিপি প্রাকৃত ভাষায় লিখিত
প্রশ্ন-৫২.মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম কী?
উত্তর: মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম পুণ্ড্রনগর বা পুণ্ড্রবর্ধন ।
প্রশ্ন-৫৩.মহাস্থানগড় কোন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ?
উত্তর: মহাস্থানগড় বৌদ্ধ ও হিন্দু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ
প্রশ্ন-৫৪.কোথায় বৈরাগী ভিটা নামক দুটি বড় মন্দিরের ভগ্নাবশেষ রয়েছে?
উত্তর: মহাস্থানগড়ে বৈরাগী ভিটা নামক দুটি বড় মন্দিরের ভগ্নাবশেষ রয়েছে ।
প্রশ্ন-৫৫.‘মুনীর ঘোন' কী?
উত্তর: ‘মুনীর ঘোন’ হচ্ছে মহাস্থানগড়ে আবিষ্কৃত প্রাচীন দুর্গ প্রাচীর ।
প্রশ্ন-৫৬. উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় আয়তনের বৌদ্ধবিহারের নাম কী?
উত্তর: উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় আয়তনের বৌদ্ধবিহারটির নাম পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার ।
প্রশ্ন-৫৭. পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয় কত সালে?
উত্তর: পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয় ১৮০৭ সালে ।
প্রশ্ন-৫৮. সোমপুর বিহার কোথায় অবস্থিত?
[কু. বো. ১৬]
উত্তর: সোমপুর বিহার নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত।
প্রশ্ন-৫৯. খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে কার পৃষ্ঠপোষকতায় পাহাড়পুর বিহারটি নির্মিত হয়?
উত্তর: পাল রাজা ধর্মপালের পৃষ্ঠপোষকতায় পাহাড়পুর বিহারটি নির্মিত হয় ।
প্রশ্ন-৬০. বাংলাদেশের নালন্দা বলে অভিহিত করা হয় কোন স্থানকে?
উত্তর: পাহাড়পুর বিহারকে বাংলাদেশের নালন্দা বলে অভিহিত করা হয় ।
প্রশ্ন-৬১. গন্ধেশ্বরীর মন্দির কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: গন্ধেশ্বরীর মন্দির পাহাড়পুরে অবস্থিত
প্রশ্ন-৬২. পাহাড়পুরে প্রাপ্ত অধিকাংশ মুদ্রাই কোন আমলের?
উত্তর: পাহাড়পুরে প্রাপ্ত অধিকাংশ মুদ্রাই মুসলিম আমলের।
প্রশ্ন-৬৩. পাহাড়পুরে কতটি টেরাকোটা পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: পাহাড়পুরে প্রায় ২৮০০টি টেরাকোটা পাওয়া গিয়েছে।
প্রশ্ন-৬৪. ময়নামতি কোন জেলায় অবস্থিত?
[ম. বো, রা, বো, দি বো, চ, বো, সি. বো, ব. বো, ২২]
উত্তর: ময়নামতি কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন-৬৫. শালবন বিহার নির্মাণ করেন কে?
উত্তর: ১২০০ বছর পূর্বে অষ্টম শতকে দেব বংশীয় চতুর্থ রাজা ভবদেব শালবন বিহার নির্মাণ করেন।
প্রশ্ন-৬৬. ময়নামতিতে প্রাপ্ত ধ্বংসস্তূপগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ কোনটি?
উত্তর: ময়নামতিতে প্রাপ্ত ধ্বংসস্তূপগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ হলো আনন্দ বিহার ।
প্রশ্ন-৬৭. আনন্দ বিহার নির্মাণ করেন কে?
উত্তর: দেববংশীয় রাজা আনন্দদেব শালবন বিহারের উত্তরে আনন্দ বিহার নির্মাণ করেন ।
প্রশ্ন-৬৮. কোনটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার?
উত্তর: আনন্দ বিহার বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার ।
প্রশ্ন-৬৯. রূপবান মুড়া কী?
উত্তর: রূপবান মুড়া সমাধি মন্দির কিংবা মঠ বা আশ্রমের স্তূপ।
প্রশ্ন-৭০. সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল কত?
উত্তর: খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ২৯০ অব্দ পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল ।
প্রশ্ন-৭১. দ্রাবিড়েরা কোন সভ্যতার পত্তন করেছিল?
উত্তর: দ্রাবিড়েরা সিন্ধু সভ্যতার পত্তন করেছিল ।
প্রশ্ন-৭২. সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কত বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে?
উত্তর: প্রায় তের লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।
প্রশ্ন-৭৩. সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটেছিল কাদের হাতে?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটেছিল আর্যদের হাতে।
প্রশ্ন-৭৪. সিন্ধু প্রত্নস্থানে খননকাজ শুরু হয়েছিল কত সালে?
উত্তর: সিন্ধু প্রত্নস্থানে খননকাজ শুরু হয়েছিল ১৯২৪ সালে ।
প্রশ্ন-৭৫.কোন প্রাচীন সভ্যতার অধিবাসীরা পরিমাপ পদ্ধতির ব্যবহার জানত?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা পরিমাপ পদ্ধতির ব্যবহার জানত ।
প্রশ্ন-৭৬. সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা কোন বৃক্ষকে পবিত্র মনে করত?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা পিপল বৃক্ষকে পবিত্র মনে করত ।
প্রশ্ন-৭৭. সিন্ধু সভ্যতায় কোন পূজা খুব জনপ্রিয় ছিল?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতায় মাতৃ পূজা খুব জনপ্রিয় ছিল 1
প্রশ্ন-৭৮. সিন্ধু সভ্যতায় লেখার জন্য কয়টি চিহ্ন ব্যবহার করা হতো?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতায় লেখার জন্য ৩৬০টি চিহ্ন ব্যবহার করা হতো
প্রশ্ন-৭৯. সিন্ধু সভ্যতার সমাজে কয় ধরনের শ্রেণি লক্ষ করা যায়?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতার সমাজে চার ধরনের শ্রেণি লক্ষ করা যায় ।
প্রশ্ন-৮০. সিন্ধু সভ্যতায় প্রশাসনের শীর্ষে ছিলেন কে?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতায় প্রশাসনের শীর্ষে ছিলেন পুরোহিত রাজা ।
অনুধাবনমূলকপ্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. প্রত্নতত্ত্ব বলতে কী বোঝায়?
[ঢা বো., রা. বো, কু, বো, সি. বো, য. বো. ১৭]
উত্তর: প্রত্নতত্ত্ব বলতে বোঝায়, প্রাগৈতিহাসিক সমাজ ও মানুষ সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়ন । প্রত্নতত্ত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘Archaeology'। শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Arkhaios' এবং “Logia’ থেকে। এদের অর্থ যথাক্রমে ‘প্রাচীন' এবং 'বিদ্যা'। সুতরাং শব্দগতভাবে ‘Archaeology' মানে হচ্ছে ‘প্রাচীন বিদ্যা'। ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার ই.বি. টেইলর প্রত্নতত্ত্বের সংজ্ঞা প্রদান করে বলেন, “প্রত্নতত্ত্ব হচ্ছে অতীতের ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কিত পাঠ।” পূর্বে বর্ণিত শব্দগত অর্থ এবং টেইলর প্রদত্ত প্রামাণ্য সংজ্ঞা পর্যালোচনা করে বলা যায় যে, অতীতকালের মানুষের ব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রী, হাতিয়ার, বাসগৃহ ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সে কালের সামাজিক জীবনের অধ্যয়নই হলো প্রত্নতত্ত্ব।
প্রশ্ন-২. প্রত্নতাত্ত্বিক যুগ বিভাগ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিক যুগ বিভাগ বলতে ব্যবহৃত হাতিয়ার নির্মাণ উপকরণের ভিত্তিতে মানুষের ইতিহাসের যুগ-বিভাজনকে বোঝায়।
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং হাতিয়ার তৈরির উপাদানের ভিত্তিতে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মানুষের ইতিহাসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন।
যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ, (২) নব্যপ্রস্তর যুগ, (৩) তাম্র যুগ, (৪) ব্রোঞ্জ যুগ এবং (৫) লৌহ যুগ।
হাতিয়ার তৈরির উপকরণ ও কৌশল যদিও প্রত্নতাত্ত্বিক যুগ বিভাগের মূল ভিত্তি, তবুও এ ক্ষেত্রে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উপাদানকেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় ।
প্রশ্ন-৩. প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষ হাতিয়ার উদ্ভাবন করেছিল কেন?
উত্তর: খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষ হাতিয়ার উদ্ভাবন করে ।
প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল খাদ্য সংগ্রহ করা। খাদ্য সংগ্রহের কৌশল আয়ত্তে আনতে গিয়েই তারা বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার উদ্ভাবন করে। তাদের উদ্ভাবিত এসব হাতিয়ারের মধ্যে ছিল পাথরের চাকু, হাড়ের অস্ত্র ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৪.নব্যপ্রস্তর যুগে কৃষি অর্থনীতি প্রবর্তনের ফলে সমাজে কী ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগে কৃষি অর্থনীতি প্রবর্তনের ফলে মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে ।
কৃষিকাজে ব্যবহার করার জন্য এ যুগে উন্নত হাতিয়ার তৈরি করা হয়। কৃষিভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থায় নব্যপ্রস্তর যুগে খাদ্যের নিশ্চয়তা বেড়ে যায়। এ যুগে উদ্বৃত্ত ফসল সঞ্চয় করা হতো। কৃষিজ দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য এ যুগে মৃৎপাত্রের ব্যবহার শুরু হয় । কৃষি বিকাশের সাথে সাথে নব্যপ্রস্তর যুগে অর্থনৈতিক সফলতা আসে। আর এ অর্থনৈতিক ফলশ্রুতিতে সমাজে পরিবারের উদ্ভব ঘটে।
প্রশ্ন-৫.“চাকার আবিষ্কার সভ্যতা বিকাশের ভিত্তি”— ব্যাখ্যা কর।
[ম. বো, রা. বো, দি. বো, চ, বো, সি. বো, ব. বো. ২২, ঢা বো., দি, বো, সি. বো, য, বো. ১৮]
উত্তর: মানুষের প্রযুক্তিজ্ঞানের বিকাশে ঢাকার উদ্ভাবন এক মাইলফলক। চাকা আবিষ্কারের ফলে যাতায়াত, পণ্য পরিবহন ব্যবসা-বাণিজ্য, কারবার বৃদ্ধি পায় ও শ্রম বিভাগ প্রসারিত হয়। শুধু যানবাহনে নয়, চাকা শিল্প কর্মেও নতুন ধারা প্রবর্তন করেছিল। বিশেষ করে চাকা ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। চাকা আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করা সহজ হয় । ফলে বিভিন্ন জাতির মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ঢাকার আবিষ্কারকে সভ্যতা বিকাশের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রশ্ন-৬. নবোপলীয় বিপ্লব বলতে কী বোঝায়?
[কু. বো. ১৬]
উত্তর: নবোপলীয় বিপ্লব বলতে নব্যপ্রস্তর যুগে সংঘটিত সমাজ ও সভ্যতার বৈপ্লবিক অগ্রগতিকে বোঝায় ।
নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ প্রকৃতিকে আয়ত্তে এনে কৃষিকাজ ও পশুপালন শুরু করে। এ যুগের মানুষ তাঁতের কাজ, ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করে, সেইসাথে নৌকা, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি তৈরি করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি কৃষিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসল ফলায় সমাজের অনেকেই ব্যবসায়-বাণিজ্য আরম্ভ করে। ফলে এ সময় বাজার ও শহর গড়ে উঠে।এসব উন্নতি লক্ষ করে অস্ট্রেলিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃবিজ্ঞানী ভের গর্ডন চাইল্ড নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতিকে ‘নবোপলীয় বিপ্লব' হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
প্রশ্ন-৭.“ধাতুর ব্যবহার মানবজীবনকে অধিকতর সহজ করেছে”- বুঝিয়ে লেখ।
[সকল বোর্ড ১৯]
উত্তর: তামা, ব্রোঞ্জ ও লোহার মতো ধাতুর আবিষ্কার এবং ব্যবহার নিঃসন্দেহে মানবজীবনকে সহজ করে তুলেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে আবিষ্কৃত বিভিন্ন নিদর্শন বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারি, প্রাচীন প্রস্তর ও নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ দৈনন্দিন জীবনে পাথরের তৈরি নানা জিনিস বা হাতিয়ার ব্যবহার করত। এসব বস্তু তৈরি করা যেমন ছিল কষ্টসাধ্য তেমনি অনেক ক্ষেত্রেই পাথর নির্মিত বস্তু ব্যবহার করাও যেত না। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে যখন তাম্র ও ব্রোঞ্জ ব্যবহারের কলাকৌশল মানুষ শিখে ফেলল তখনই মানুষের জীবনযাপন অনেকখানি সহজ হয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে যখন লোহার ব্যবহার শুরু হলো তখন সভ্যতা একলাফে অনেক দূর এগিয়ে গেল। মানুষ সহজেই জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস ধাতু দিয়ে তৈরি করতে পারল। যা সভ্যতাকে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবনযাপনকেও অনেক সহজ করে তুলল ।
প্রশ্ন-৮.তাম্র যুগ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
[ঢা বো., কু, বো, য. বো. 22]
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগ ও ব্রোঞ্জ যুগের মাঝামাঝি সময়কালকে বলা হয় তাম্রযুগ ।
উৎপত্তিগতভাবে তাম্রযুগ বলতে বুঝায় সেই যুগকে যখন মানুষের যন্ত্রপাতি ও অস্ত্র তৈরির প্রধান উপাদান ছিল তামা। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে নিকট প্রাচ্যে (সাইপ্রাস, মিশর, ইরাক, ইরান, ইসরাইল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, তুরস্ক ইত্যাদি দেশ) তামার প্রচলন ছিল। এসব দেশ থেকে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপে তামার প্রচলন ছড়িয়ে পড়ে। তাম্রযুগের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েকশত বছর। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ থেকে ৩০০০ অব্দের মধ্যে ব্রোঞ্জের ব্যবহার শুরু হওয়ার সাথে সাথে তাম্র যুগের অবসান ঘটে ।
প্রশ্ন-৯.লৌহকে আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি বলা হয় কেন?
[রা. বো, কু, বো, চ, বো, ব. বো. ১৮, ঢা বো., রা. বো, দি. বো, চ. বো, সি. বো, য, বো, ব. বো. ১৬: সকল বোর্ড ১৫ ]
উত্তর: লৌহের ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক সভ্যতা গড়ে ওঠার কারণে লৌহকে আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি বলা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে মধ্যপ্রাচ্যে লৌহের ব্যবহার শুরু হয়। এশিয়া মাইনরে বসবাসকারী হিট্টাইটদের (Hittite) মধ্যে সর্বপ্রথম লৌহ শিল্পের ব্যবহার শুরু হয়। লৌহের ব্যবহার শুরু করা ছিল মানবসভ্যতার বিকাশে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ । কৃষিকাজের উদ্ভব যেমন মানুষের জীবনধারাকে পাল্টে দিয়েছিল, তেমনি লৌহের ব্যবহার মানুষের জীবনধারায় বিরাট পরিবর্তন এনেছে। লৌহ আবিষ্কারের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় যন্ত্রচালিত শক্তির ব্যবহার সম্ভব এবং শিল্পবিপ্লব ত্বরান্বিত হয়েছে । আর এসব কারণেই লৌহকে আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি বলা হয় ।
প্রশ্ন-১০.বাণিজ্যনগর হিসেবে উয়ারী-বটেশ্বরের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: স্বল্প মূল্যবান পাথরের পুঁতি ও অন্যান্য প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হওয়ায় উয়ারী-বটেশ্বরকে একটি বাণিজ্য নগর মনে করা হয়।ভারতীয় উপমহাদেশের আদি-ঐতিহাসিককালের অনেক নগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের সাথে উয়ারী-বটেশ্বরের যোগাযোগ ছিল। ভৌগোলিকভাবে উয়ারী-বটেশ্বর পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের উপত্যকায় অবস্থানের কারণে আসামের সাথে স্থানটির বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল বলে মনে করা হয় ।
প্রশ্ন-১১.পাহাড়পুরে কী কী পোড়ামাটির ফলক পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: পাহাড়পুরের মন্দিরগাত্রে দুই হাজারেরও অধিক পোড়ামাটির ফলক পাওয়া গিয়েছে।
এসব পোড়ামাটির ফলকে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা অপূর্ব ও অতুলনীয়। এর মধ্যে রয়েছে- সন্তান কোলে জননী, কলসি কাঁখে রমণী, লাঠি হাতে দাড়িওয়ালা পথিক, পূজারত ব্রাহ্মণ ইত্যাদি চিত্র। এছাড়া পাহাড়পুরে কিছু পোড়ামাটির ফলকে বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্য দেব-দেবীর চিত্র দেখা যায়। এখানে যেমন বোধিসত্ত, পদ্মাপাণি, মঞ্জুশ্রী, তারা ইত্যাদি মহাযানপন্থি বৌদ্ধ দেব-দেবীর চিত্র পাওয়া গিয়েছে তেমনি শিব, ব্রহ্ম, বিষ্ণু, গণেশ, সূর্য প্রভৃতি ব্রাহ্মণ্য দেবতার ফলকও পাওয়া গিয়েছে
প্রশ্ন-১২.ময়নামতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে কোন ধর্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়? বুঝিয়ে বল।
[দি, বো, চ. বো, ব. বো. ১৭]
অথবা
ময়নামতির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ধর্মের প্রভাব বিষয়টি বুঝিয়ে লেখ।
[সকল বোর্ড ১৯]
উত্তর:ময়নামতির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশে আবিষ্কৃত প্রাচীন বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষসমূহের সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ ময়নামতিতেই পাওয়া গেছে। ময়নামতিতে খনন কাজের ফলে প্রাপ্ত নিদর্শন সমূহের মধ্যে শালবনবিহার অন্যতম। মূলত এটি একটি বৌদ্ধ বিহার, যেখানে ১১৫টি কক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়, যা পূজা অর্চনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো। এছাড়াও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ যেমন- কৌটিলা মুড়া, আনন্দ বিহার থেকে প্রাপ্ত নিদর্শনসমূহের ধর্মীয় তাৎপর্য দেখে মনে হয় তৎকালীন সময়ে শাসকরা এ অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষক ছিল এবং বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপ্তি ও প্রসারে সমাজপতিরা কাজ করেছিল।
প্রশ্ন-১৩. উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কী এবং কেন?
উত্তর: উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম সিন্ধু সভ্যতা।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪ হাজার থেকে ২৫০০ অব্দ পর্যন্ত স্থায়িত্বকাল নিয়ে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ঘটে। মিসরীয়, ব্যাবিলনীয় ও আসিরীয় সভ্যতার সমসাময়িক এই সভ্যতা। এ উপমহাদেশের অন্যান্য সভ্যতা যেমন মহাস্থানগড়, ময়নামতি প্রভৃতির গোড়াপত্তন ঘটেছিল সিন্ধু সভ্যতার অনেক পরে । এজন্যই সিন্ধু সভ্যতাকে উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা বলা হয় ।
প্রশ্ন-১৪. সিন্ধু সভ্যতাকে নগর সভ্যতা বলা হয় কেন?
উত্তর: নগরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠায় সিন্ধু সভ্যতাকে নগর সভ্যতা বলা হয় ।
সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন তথা প্রশস্ত রাস্তা, পোড়ামাটির পরিকল্পিত দালান, ল্যাম্পপোস্ট, নগর সভা ভবন ইত্যাদি এ সভ্যতার নাগরিক প্রতিচ্ছবি নিশ্চিত করে। পরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এ সভ্যতার সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক রূপকাঠামো স্পষ্ট। গোসলখানা, পয়ঃপ্রণালি, পৌরসভা, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারব্যবস্থা, খাজনা আদায় প্রথা প্রভৃতি নগরকেন্দ্রিক নিদর্শনও এ সভ্যতায় পাওয়া যায় । এ কারণেই সিন্ধু সভ্যতাকে নগর সভ্যতা বলা হয় ।
প্রশ্ন-১৫. সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি কৃষি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল ।
সিন্ধু সভ্যতার জনগোষ্ঠী গম, বার্লি, ধান, যব, কার্পাস, খেজুর ইত্যাদি উৎপাদন করত। সিন্ধু সভ্যতা ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ সমৃদ্ধ ছিল। ব্যবসায়ী শ্রেণি মিসর, মেসোপটেমিয়া, পারস্য, এশিয়ার সমগ্র অঞ্চল, চীন প্রভৃতি দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলে । এছাড়া শিল্পের ক্ষেত্রে তাঁত শিল্পের বিকাশ সিন্ধু সভ্যতায় লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন-১৬. সিন্ধু সভ্যতার রাজনৈতিক অবস্থা ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতায় আবিষ্কৃত উন্নত নগর পরিকল্পনা, দুর্গ নগরী, ওজন পরিমাপ পদ্ধতি, বৃহৎ শস্যাগার প্রভৃতি থেকে একটি কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠীর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিশেষ করে মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা নগরীর একই ধরনের অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য থেকে ধারণা করা যায় যে, সিন্ধু সভ্যতা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থার অধীনে ছিল। ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আর. ই. মর্টিমার হুইলার বলেন, “সিন্ধু সভ্যতার মানুষ একজন যাজক রাজার দ্বারা শাসিত হতো।” অর্থাৎ রাজা একইসাথে পুরোহিত ও শাসকের ভূমিকা পালন করতেন। এছাড়া সিন্ধু সভ্যতায় আবিষ্কৃত সিলমোহর ও বাটখারা পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হয় যে, সে সময়ের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল ফসলের মাধ্যমে খাজনা আদায় করা । আর খাজনা আদায়ের জন্য শাসকগোষ্ঠী একটি সুশৃঙ্খল রাজস্বব্যবস্থা ও প্রশাসন গড়ে তুলেছিল।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. বিলুপ্ত সংস্কৃতির অধ্যয়নকে কী বলে?
ক. জীবাশ্মতত্ত্ব
খ. প্রত্নতত্ত্ব
গ. গবেষণা তত্ত্ব
ঘ. সমাজতত্ত্ব
উ:খ
২. লিখিত ভাষার প্রথম উদ্ভব হয়েছিল কোন যুগে?
ক. তাম্র
খ. ব্রোঞ্জ
গ. প্রাচীন প্রস্তর
ঘ. লৌহ
উ:খ
৩. প্রায় ১ লক্ষ বছর থেকে ৭০ হাজার বছর আগ পর্যন্ত কোন যুগের সময়কাল ধরা হয়?
ক. উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগ
খ.খমধ্যপ্রাচীন প্রস্তর যুগ
গ. ব্রোঞ্জ যুগ
ঘ.নিম্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগ
উ:ঘ
৪. বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির প্রাচীন ইতিহাস অনুসন্ধানে তুমি কী সুপারিশ করবে?
ক. বাধ্যতামূলক ইতিহাস পাঠ
খ. প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ
গ. প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ
ঘ. অধিক সংখ্যক জাদুঘর প্র
উ:গ
৫. কোনটি উপমহাদেশে দ্বিতীয় নগরায়ণের কেন্দ্র?
ক. উয়ারী-বটেশ্ব
খ. মহাস্থানগড়
গ. ময়নামতি
ঘ. পাহাড়পুর
উ:ক
৬.বরেন্দ্রকে পাল রাজাদের পিতৃভূমি বলে ইঙ্গিত করেছেন কে?
ক. কবি মালাধর বসু
খ.কবি সনাতন গোস্বামী
গ. কবি সন্ধ্যাকর নন্দী
ঘ.কবি বৃন্দাবন দাস
উ:গ
৭. মহাস্থানগড়ের সর্বশেষ হিন্দুনৃপতি কে ছিলেন?
ক. পরশুরাম
খ. শ্রী আনন্দদেব
গ. কৈবর্ত ভীম
ঘ. রাজেন্দ্র চোল
উ:ক
৮.কোন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি মৌর্য সাম্রাজ্যের পূর্বসীমা হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে?
ক. ময়নামতি
খ. উয়ারী-বটেশ্বর
গ. পাহাড়পুর
ঘ. মহাস্থানগড়
উ:খ
৯. সোমপু র বিহার কে প্রতিষ্ঠা করেন?
ক. ধর্মপাল ,
খ. গোপাল
গ. অশোক
ঘ. মহীপাল
উ;ক
১০.বৃহৎ স্নানাগার প্রাচীন কোন নগরের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়?
ক. মহেঞ্জোদারো
খ. হরপ্পা
গ. ইরাম
ঘ. ইনকা
উ:ক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন ও উত্তর
১১. হাড় দিয়ে বিভিন্ন প্রকার জিনিস বানিয়েছে—
i. আধুনিক যুগের মানুষেরা
ii. ব্রোঞ্জ যুগের মানুষেরা
iii. উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষেরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ.i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii
উ:গ
১২. নিম্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগের ক্ষেত্রে বলা যায়—
i. এই যুগে মানুষ পাথরের হস্ত কুঠার ব্যবহার করত
ii. উক্ত যুগে মানুষ পাথরের গায়ে নদীর গতিপথ খোদাই করত
iii. এই যুগে লিঙ্গভেদে শ্রম বিভাগ দেখা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ.i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii
উ:ক
১৩.নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষেরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছিল—
i. বিনিময় প্রথা চালুতে
ii. তামা ও চাকা আবিষ্কারে
iii. সমাজ কাঠামো ও প্রশাসনিক অগ্রগতিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
চীনের একটি জায়গায় খননের ফলে প্রাচীন মানুষের ফসিল পাওয়া যায়। পরীক্ষার পর জানা যায়, ফসিলটি খ্রিষ্টপূর্ব দুই লক্ষ বছর আগের।
১৪. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ফসিলটি কোন যুগের মানুষের?
ক. উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগের
খ. ব্রোঞ্জ যুগের
গ. নব্যপ্রস্তর যুগের
ঘ. নিম্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগের
উ:ঘ
১৫. উক্ত যুগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো, মানুষ—
i. খোলা জায়গায় বসবাস করত
ii. আত্মার অমরত্ব সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছিল
iii. আগুন জ্বালাবার কৌশল জেনেছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ.i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii
উ:ক
বোর্ডপরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১৬.প্রত্নতত্ত্ব কী?
[সকল বোর্ড ১৮]
ক. অতীত সমাজের বিবরণ
খ. অতীতের ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কিত পাঠ
গ. সংস্কৃতি সম্পর্কিত পাঠ
ঘ. অতীত ঘটনাবলির বিবরণ
উ:খ
১৭. লিখিত ভাষার আবিষ্কার হয় কোন যুগে?
[সকল বোর্ড ২২]
ক. প্রাচীন প্রস্তর
খ. তাম্র ও ব্রোঞ্জ
গ. নব্যপ্রস্তর
ঘ. লৌহ
উ:খ
১৮. সমাজ বিবর্তনের দীর্ঘতম যুগ কোনটি?
[সকল বোর্ড ১৯]
ক. তাম
খ. নবোপলীয়
গ. পুরোপলীয়
ঘ. ব্রোঞ্জ
উ:গ
১৯.সর্বপ্রথম পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার করে কোন ধরনের মানুষ?
[সকল বোর্ড ১৫]
ক. নিয়ানডারথাল
খ. হাইডেলবার্গ
গ. ক্রোম্যাগনন
ঘ. পিকিং
উ:গ
২০. নব্যপ্রস্তর যুগ বা নবোপলীয় যুগের সূচনা হয় কত খ্রিষ্টপূর্বে?
[সকল বোর্ড ১৭]
ক. ৪,০০০ অব্দে
খ. ৫,০০০ অব্দে
গ. ৬,০০০ অব্দে
ঘ. ৭,০০০ অব্দে
উ:ঘ
২১.বাংলাদেশের প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কোথায় পাওয়া গিয়েছে?
[সকল বোর্ড ১৬]
ক. রাজশাহী
খ. বগুড়া
গ. নরসিংদী
ঘ. কুমিল্লা
উ:গ
২২. পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত বেশিরভাগ মুদ্রাই—
[সকল বোর্ড ১৭]
ক. অষ্টম শতাব্দীর
গ. পঞ্চদশ শতাব্দীর
ঘ. ষোড়শ শতাব্দীর
উ:ঘ
২৩. সোমপুর বিহার কোন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের নিদর্শন?
[সকল বোর্ড ২২]
ক. ময়নামতি
খ. সিন্ধু সভ্যতা
গ. পাহাড়পুর
ঘ. মহাস্থানগড়
উ:গ
২৪. নিচের কোনটি ময়নামতির প্রত্ন নিদর্শন?
[সকল বোর্ড ১৬]
ক. সোমপুর বিহার
খ. সত্যপীর ভিটা
গ. গোবিন্দভিটা
ঘ. কৌটিলা মুড়া
উ:ঘ
২৫. সিন্ধু সভ্যতার সড়কবাতি, রাস্তাঘাটের বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করে, এখানে ছিল—
[সকল বোর্ড ১৬]
ক. শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন
খ. পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা
গ. বিভিন্ন শ্রেণির অস্তিত্ব
ঘ. আধুনিক স্থাপত্যের সমাহার
উ:খ
২৬. প্রত্নতত্ত্বের কল্যাণে—
[সকল বোর্ড ২০]
i. সমাজ বিবর্তনের ধারণা পাওয়া যায়
ii. ধর্মীয় অনুভূতির পরিচয় জানা যায়
iii. অর্থনৈতিক কার্যাবলির ধারণা মেলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৭ ও ২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
সুমনা একটি জাদুঘরে বেড়াতে গিয়ে একটি প্রাচীন ছবি দেখতে পায়। ছবিটিতে আদিম মানুষের হাতে তীর-ধনুক রয়েছে। এছাড়া এই মানুষগুলো আবার গুহার দেয়ালে ছবি আঁকছে।
২৭. উদ্দীপকে সুমনার দেখা ছবিতে কোন প্রত্নতাত্ত্বিক যুগের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়?
[সকল বোর্ড ১৯]
ক. প্রাচীন প্রস্তর যুগ
খ. তাম্র যুগ
গ. নব্যপ্রস্তর যুগ
ঘ. লৌহ যুগ
উ:ক
২৮. সুমনার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে—
i. সভ্যতার অগ্রগতি পরিমাপযোগ্য
ii. সভ্যতা মানেই অবস্তুগত
iii. উন্নত প্রযুক্তিই হচ্ছে সভ্যতা নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ;খ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৯ ও ৩০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
মিতুল ও তার বন্ধুরা বান্দরবান বেড়াতে গিয়ে এমন একটি জনগোষ্ঠীর খোঁজ পায়, যারা মাত্র কয়েক বছর আগে শিকারি জীবন পরিত্যাগ করে খাদ্য উৎপাদন করতে শিখেছে। এরপর দ্রুতই বদলে যায় তাদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি। স্থায়ী বসবাস, উৎপাদিত পণ্যের আদান-প্রদান এবং অবসর সময়ের যথার্থ ব্যবহার করে তারা সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করে ।
[সকল বোর্ড ১৬]
২৯. উদ্দীপকের জনগোষ্ঠীর জীবনধারার সাথে কোন প্রত্নতাত্ত্বিক যুগের সাদৃশ্য রয়েছে?
ক. পুরাতন প্রস্তর
খ. নব্যপ্রস্তর
গ. ব্রোঞ্জ
ঘ. লৌহ
উ”:খ
৩০. উদ্দীপকে বর্ণিত সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মূল নিয়ামক কোনটি?
ক. যাযাবর জীবনের অবসান
খ. ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার
গ. প্রচুর অবসর সময়
ঘ. কৃষির সূচনা
উ;গ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩১ ও ৩২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মূলে চাকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যা পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট যুগে উদ্ভাবিত হয়। শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ।
[সকল বোর্ড ১৫]
৩১. উদ্দীপকে চাকার আবির্ভাব কোন যুগকে নির্দেশ করে?
ক. নব্যপ্রস্তর
খ. লৌহ
গ. তাম
ঘ. প্রাচীন
উ:গ
৩২. উদ্দীপকের যুগটির বৈশিষ্ট্য হলো-
i. লেখার আবিষ্কার
ii. আগুনের ব্যবহার
iii. খাদ্য উৎপাদন অর্থনীতির উদ্ভব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:গ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
ইমন শিক্ষাসফরে বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পরিদর্শন করে। নরসিংদী জেলায় অবস্থিত এই প্রত্নস্থানের দুর্গনগর, গর্ভবসতি, ছাপাংকিত রৌপ্যমুদ্রা, তাম্র শাসন, লৌহ নির্মিত হস্তকুঠার ইত্যাদি দেখে সে চমকিত হয়।
[সকল বোর্ড ১৮]
৩৩. উদ্দীপকে কোন প্রত্নস্থানের কথা বলা হয়েছে?
ক. ময়নামতি
খ. পাহাড়পুর
গ. উয়ারী-বটেশ্বর
ঘ. মহাস্থানগড়
উ:গ
৩৪. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রত্ননিদর্শন থেকে প্রতীয়মান হয় এখানে—
i. ভূমিতে ব্যক্তি মালিকানা ছিল
ii. ব্রোঞ্জ ও তামা শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল
iii. দ্রব্য বিনিময় প্রথার অস্তিত্ব ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
তমা একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে বেড়াতে গিয়ে দেখে মন্দিরের দেয়ালে প্রায় দুই হাজার চিত্রফলক সেঁটে আছে । ফলকে বিভিন্ন বিষয় দেখা যায় । যেমন- ধর্মীয় বিভিন্ন দেব-দেবীর চিত্র, কলসী কাঁখে গ্রাম্য বধূ, সন্তান কোলে জননী, লাঙল কাঁধে কৃষক ইত্যাদি।
[সকল বোর্ড ১৫]
৩৫. উদ্দীপকে কোন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের কথা বলা হয়েছে?
ক. মহাস্থানগড়
খ. পাহাড়পুর
গ. উয়ারী-বটেশ্বর
ঘ. ময়নামতি
উ:খ
৩৬. উদ্দীপকের ফলকগুলোর মাধ্যমে ফুটে ওঠে-
i. গ্রামের মানুষের জীবনযাপন ব্যবস্থা
ii. বিভিন্ন পেশার অভিজ্ঞতা
iii. ধর্মীয় সম্প্রীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
শীতের ছুটিতে অপু তার বন্ধু-বান্ধবীর সাথে কুমিল্লার একটি পাহাড়ি অঞ্চলে বেড়াতে যায় । সেখানে খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল ।
[সকল বোর্ড ১৭]
৩৭. উদ্দীপকে অপুর বেড়াতে যাওয়া সভ্যতাটি পাঠ্যপুস্তকের কোন সভ্যতাকে ইঙ্গিত করে?
ক. মহাস্থানগড়
খ. উয়ারী-বটেশ্বর
গ. পাহাড়পুর
ঘ. ময়নামতি
উ:ঘ
৩৮. উক্ত সভ্যতাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব হলো-
i. এ যুগের সমাজ ও সংস্কৃতি ছিল প্রধানত ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত
ii. ধ্বংসাবশেষে মন্দির ও বিহারই বেশি ছিল
iii. স্থানীয় নৃপতিরা মন্দির তৈরিতে অবদান রেখেছিল। নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
আখতার তার পাঠ্যবইয়ে এমন একটি সভ্যতা সম্পর্কে অধ্যয়ন করছে, যা ভারতবর্ষের মধ্যে অত্যন্ত প্রাচীন । এ সভ্যতায় ছোট-বড় রাস্তা, রাস্তায় সড়ক বাতি, পরিকল্পিত সুয়ারেজ ব্যবস্থা, একতলা- দোতলা বাড়ির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় ।
[সকল বোর্ড ২২]
৩৯. উদ্দীপকে কোন সভ্যতার কথা বলা হয়েছে?
ক. মিশরীয়
খ. চৈনিক
গ. ব্যাবিলনীয়
ঘ. সিন্ধু
উ:ঘ
৪০. এ সভ্যতার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—
i. নগরভিত্তিক
ii. শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামোর উপস্থিতি
iii. সামাজিক স্তরবিন্যাস লক্ষণীয় নয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url