এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র অধ্যায়-২ সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা সাজেশন
অধ্যায়-২ সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা
পেজ সূচিপত্র : অধ্যায়-২ সমাজবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা
আমাদের ওয়েবসাইট ও চ্যানেলে তোমাদের স্বাগতম । আমরা প্রতিনিয়ত সকল বোর্ডের প্রশ্নের সমাধান দিয়ে থাকি । তোমাদের যে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে দিতে পার । আমরা উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পরবর্তিতে সকল প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান কনটেন্ট আপলোড দেব । পড়ার টেবিল নামের পুরো একটা লাইব্রেরী! এত বই পড়ে কি লাভ? যদি কমন না আসে এত বই পড়ার পরেও!
শিক্ষার্থীদের হতাশা থেকে মুক্তির পথে,আমরা শতভাগ (১০০%) কমনের নিশ্চয়তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ!
বিকল্পধারায় সহজ থেকেও সহজতর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপহার স্বরুপ শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, CQ, MCQ,মডেল টেষ্ট, সৃজনশীল প্রশ্ন+উত্তর ও ভিডিও ক্লাস। সম্পুর্ণ ডিজিটাল পথে শিক্ষার্থীদের সফলতার সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্বেগ।
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১০০% কমন সাজেশন-২০২৩
HSC Sociology 1st paper100% Common Suggestion-2023
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. ইংরেজি 'Science' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে কোন শব্দ থেকে?
উত্তর: ইংরেজি 'Science' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন 'Scientia' শব্দ থেকে।
প্রশ্ন-২. “বিজ্ঞান বলতে বোঝায় কার্যকারণ সূত্রে গ্রথিত জ্ঞান” – সংজ্ঞাটি কার?
উত্তর:“বিজ্ঞান বলতে বোঝায় কার্যকারণ সূত্রে গ্রথিত জ্ঞান”– সংজ্ঞাট ব্রিটিশ দার্শনিক টমাস হবস-এর ।
প্রশ্ন-৩. বিজ্ঞান কী?
উত্তর: পরীক্ষা, প্রমাণ, যুক্তি ইত্যাদি দ্বারা নির্ণীত সুশৃঙ্খল ধারাবাহিক জ্ঞানই হচ্ছে বিজ্ঞান ।
প্রশ্ন-৪. 'Science in History' গ্রন্থটি কার?
উত্তর: 'Science in History' গ্রন্থটি আইরিশ বিজ্ঞানী জে. ডি. বার্নাল-এর
প্রশ্ন-৫. অগবার্ন ও নিমকফের মতানুসারে বিজ্ঞানের কয়টি সাধারণ নিদর্শন থাকবে?
উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী অগবার্ন ও নিমকফ-এর মতানুসারে বিজ্ঞানের তিনটি সাধারণ নিদর্শন থাকবে। যথা- ১. তথ্য ও সূত্রগুলোর নির্ভরযোগ্যতা,
২. জ্ঞানের সংগঠিত রূপ এবং
৩. অনুশীলনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি ।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সংজ্ঞা; এর নীতিমালা ও বৈশিষ্ট্য
প্রশ্ন-৬. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কী?
[ঢা বো., রা. বো, দি. বো., চ. বো., সি. বো., য. বো. ১৯: রা.বো., ব. বো. ১৭; সকল বোর্ড ১৫]
উত্তর:সুসংঘবদ্ধ জ্ঞান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচালিত কিছু সংখ্যক নীতির সমষ্টিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে ।
প্রশ্ন-৭. জি. এ. লুন্ডবার্গের মতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কী?
উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী জি. এ. লুন্ডবার্গ (George Andrew Lundberg)-এর মতে “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলে তথ্যরাজির এক ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও শ্রেণিকরণ ।”
প্রশ্ন-৮. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বস্তুনিষ্ঠতা ।
প্রশ্ন-৯. এবনে গোলাম সামাদ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কয়টি পর্যায় উল্লেখ করেছেন ?
উত্তর: বাংলাদেশি বিজ্ঞানী এবনে গোলাম সামাদ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির তিনটি পর্যায় উল্লেখ করেছেন ।
প্রশ্ন-১০. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম স্তর কোনটি?
[কু. বো, ব. বো. ১৯]
উত্তর: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম স্তর হচ্ছে সমস্যা নির্বাচন।
প্রশ্ন-১১. কোনো বিজ্ঞানী নিজের মতো করে সংজ্ঞা প্রদান করলে তাকে কী বলে?
উত্তর: কোনো বিজ্ঞানী নিজের মতো করে সংজ্ঞা প্রদান করলে তাকে ‘কার্যকরী সংজ্ঞা’ বলে ।
প্রশ্ন-১২. গবেষণার মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: গবেষণার মূল লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগে প্রশ্নসমূহের উত্তর অনুসন্ধান ।
প্রশ্ন-১৩. অনুকল্প কী?
উত্তর: অনুকল্প হচ্ছে গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে পূর্বানুমান করা ।
প্রশ্ন-১৪, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রধান নির্ধারক কোনটি?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রধান নির্ধারক হচ্ছে সাধারণীকরণ
প্রশ্ন-১৫. তথ্য সংগ্রহের পর গবেষককে কী করতে হয়?
উত্তর: তথ্য সংগ্রহের পর গবেষককে নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত করতে হয়।
প্রশ্ন-১৬. সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ কোনটি?
উত্তর: সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ হচ্ছে, গবেষণাকৃত বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।
প্রশ্ন-১৭. সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু মানবসমাজ ।
প্রশ্ন-১৮. প্রকৃতিগত দিক থেকে সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়বস্তু কীরূপ?
উত্তর: প্রকৃতিগত দিক থেকে সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়বস্তু অবস্তুগত ।
. সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত পদ্ধতিসমূহ
প্রশ্ন-১৯.পদ্ধতি কী?
[ঢা. বো, দি, বো, সি. বো., য. বো. ১৮]
উত্তর: পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপকতার সাথে কোনো কিছু সম্পন্ন করতে হলে যে পন্থার সাহায্য নিতে হয় তাই পদ্ধতি ।
প্রশ্ন-২০.পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
[ঢা. বো., দি, বো, কু, বো, চ, বো, সি. বো, য. বো. ১৭]
উত্তর: পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘Method' |
প্রশ্ন-২১. সামাজিক বিজ্ঞানের আলোচনা ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি কোনটি?
উত্তর: সামাজিক বিজ্ঞানের আলোচনা ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি হচ্ছে দার্শনিক পদ্ধতি ।
প্রশ্ন-২২. ঐতিহাসিক পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তর: ঐতিহাসিক বর্ণনার ভিত্তিতে অতীত ঘটনা সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর গবেষণা প্রচেষ্টাকে ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলে ।
প্রশ্ন-২৩. ঘটনা অধ্যয়ন পদ্ধতি কাকে বলে ?
উত্তর: একাধিক প্রপঞ্চ বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ সূত্রে উপনীত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ঘটনা অধ্যয়ন পদ্ধতি বলে । প্রশ্ন-২৪. কে সর্বপ্রথম সামাজিক বিজ্ঞানে ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
উত্তর: ফরাসি অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ফ্রেডারিক লো প্লে সর্বপ্রথম সামাজিক বিজ্ঞানে ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করেন ।
প্রশ্ন-২৫. সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত কোন পদ্ধতিতে এক বা একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হয়?
উত্তর: সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত কেস্ স্টাডি পদ্ধতিতে এক বা একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন-২৬. প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কী?
উত্তর: যে গবেষণায় গবেষক গবেষণার লক্ষ্যে দলের মধ্যে উপস্থিত থেকে তাদের দৈনন্দিন আচার-আচরণ, মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সম্পৃক্ত থাকেন, তাকেই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলে ।
প্রশ্ন-২৭. পলিন ভি. ইয়ংয়ের মতে, সামাজিক জরিপ কী?
উত্তর: আমেরিকান গবেষক ও শিক্ষাবিদ পলিন ভি. ইয়ং বলেন, “সামাজিক অগ্রগতির জন্য গঠনমূলক কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সামাজিক অবস্থা ও চাহিদার ওপর বৈজ্ঞানিক উপায়ে সম্পন্ন অনুসন্ধানকে সামাজিক জরিপ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়।”
প্রশ্ন-২৮. সামাজিক জরিপকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তর: সামাজিক জরিপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা- নমুনা জরিপ ও পূর্ব গণনামূলক জরিপ।
প্রশ্ন-২৯. কোন পদ্ধতিতে Micro Level-এ গবেষণা করা যায়?
উত্তর: ঘটনা জরিপ পদ্ধতিতে Micro Level-এ গবেষণা করা যায়।
প্রশ্ন-৩০. কোন পদ্ধতিতে সামাজিক ঘটনাবলির গাণিতিক পরিমাপ নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: সামাজিক পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে সামাজিক ঘটনাবলির গাণিতিক পরিমাপ নির্ণয় করা যায় ।
প্রশ্ন-৩১.তুলনামূলক পদ্ধতি কী?
উত্তর: সাম্প্রতিক কোনো সামাজিক প্রপঞ্চ অতীতে কেমন ছিল তা এবং বর্তমান সময়ের অবস্থা কী সেসব জেনে এর অতীত ও বর্তমানের মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনাকেই তুলনামূলক পদ্ধতি বলা হয় ৷
প্রশ্ন-৩২. অন্তর্নিহিত নানা ঘটনা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি খুবই ফলপ্রসূ?
উত্তর: অন্তর্নিহিত নানা ঘটনা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি খুবই ফলপ্রসু।
প্রশ্ন-৩৩. কে সামাজিক ঘটনা বিশ্লেষণে সংখ্যাতাত্ত্বিক সর্বপ্রথম পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন?
উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ফ্রাংকলিন এইচ. গিডিংস সর্বপ্রথম সামাজিক ঘটনা বিশ্লেষণে সংখ্যাতাত্ত্বিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন ।
প্রশ্ন-৩৪.সমাজবিজ্ঞান একটি মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান উক্তিটি কার?
উত্তর: আর এ কারণেই সমাজবিজ্ঞানী স্যামুয়েল কোনিগ বলেছেন, “সমাজবিজ্ঞান একটি মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান”
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. বিজ্ঞান বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বিজ্ঞান হলো বিশেষ ধরনের জ্ঞান। সাধারণত বিজ্ঞান বলতে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিশেষ জ্ঞানকে বোঝায় যা মানুষের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ব্রিটিশ দার্শনিক টমাস হবস বলেন, “বিজ্ঞান বলতে বোঝায় কার্যকারণ সূত্রে গ্রথিত জ্ঞান।” আধুনিক বিজ্ঞানের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যুক্তিবাদ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ। সুতরাং বলা যায়, বিজ্ঞান হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান, যা কার্যত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ওপর নির্ভরশীল ।
প্রশ্ন-২. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধানের দক্ষ উপায়কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলা হয়। বিজ্ঞানী যে যৌক্তিক পদ্ধতিতে সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলির বর্ণনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সাধারণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন তাকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলা হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো বিজ্ঞানের ভিত্তি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বাস্তব অবস্থা যেমন আছে তাকে তেমনিভাবেই অনুসন্ধান করে । সত্য উদঘাটনই এ পদ্ধতির মুখ্য উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন-৩.“বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মূল্যবোধের ঊর্ধ্বে”- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এটা মূল্যবোধের ঊর্ধ্বে। কারণ বিজ্ঞান কোনো বিষয় বা ঘটনার ভালো-মন্দ, ঠিক ভুল, গ্রহণীয়-অগ্রহণীয় এ ধরনের মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান করে না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কিছু সুনির্দিষ্ট পর্যায় অতিক্রম করে ঘটনার নিরপেক্ষ অনুসন্ধান চালায়। যেমন- সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যার স্বরূপ নির্ধারন, সমস্যা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, সংগৃহীত তথ্যের যথার্থতা যাচাই ও ভবিষ্যদ্বাণীকরণ। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে গবেষণা করতে গিয়ে গবেষককে নিজের মূল্যবোধের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীনভাবে অনুসন্ধান করতে হয়। তাই বলা যায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মূল্যবোধের ঊর্ধ্বে ।
প্রশ্ন-৪. সমাজবিজ্ঞান কোন অর্থে বিজ্ঞান? ব্যাখ্যা করো।
[ঢা বো., রা. বো, দি. বো, চ..বো, সি. বো, য. বো. ১৯]
উত্তর: বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের পদ্ধতিগত দিক থেকে সমাজবিজ্ঞান বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচিত।
সমাজবিজ্ঞানে যদিও প্রত্যক্ষভাবে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো গবেষণাগারে মানুষ বা সমাজকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব না তবুও মানুষের সামাজিক আচরণকে যেকোনো প্রাকৃতিক প্রত্যয়ের মতো বৈজ্ঞানিকভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব । এছাড়া বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো সমাজবিজ্ঞানেও সূত্র নির্ণয় ও ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, সমাজবিজ্ঞানে কার্যকারণ সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হয়, যেমনটি আমরা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে লক্ষ করি। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতোই সুসংঘবদ্ধ কৌশল ব্যবহার করায় একে বিজ্ঞানের মর্যাদা দেয়া যায় ।
প্রশ্ন-৫. গবেষণার সমস্যা নির্বাচন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গবেষণার প্রথম পর্যায়ের কাজ হচ্ছে গবেষণার জন্য বিষয় বা সমস্যা নির্বাচন । দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত ঘটনা বা বিষয় কৌতূহলের উদ্রেক করে, আমরা সে সমস্ত বিষয় বা ঘটনার কার্য-কারণ সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই । এক্ষেত্রে গবেষক গবেষণা বিষয়ের আওতায় পড়ে শুধু এমন কোনো বিষয়কে সমস্যা হিসেবে নির্বাচন করেন। এছাড়া সমসাময়িক সমাজে সমস্যাটির পরিধি, গুরুত্ব, যৌক্তিকতা বিবেচনায় আনতে হয়।
প্রশ্ন-৬. কীভাবে অনুসিদ্ধান্ত যাচাই করা হয়?
উত্তর: গবেষণার জন্য প্রাপ্য তথ্যাবলিকে সারণিবদ্ধ করার পর যে কল্পনা বা কল্পনাসমূহ প্রণয়ন করা হয় তা প্রাপ্ত তথ্যাবলি দ্বারা সমর্থিত হচ্ছে কি না সেটা যাচাই করে দেখার মাধ্যমে অনুসিদ্ধান্ত যাচাই করা হয়। এ পর্যায়ের প্রধান কাজ হলো কল্পনা বা বিবৃতি বাস্তব ঘটনার সঙ্গে কতটা সম্পর্কযুক্ত বা সংগতিপূর্ণ তা যাচাই করে দেখা। এ যাচাই- বাছাইয়ের কাজে গৃহীত বিবৃতি বা কল্পনা পুরোপুরি সমর্থিত হতে পারে অথবা নতুন একটি সাধারণ বক্তব্য বা সূত্ৰ প্ৰণয়ন করা যেতে পারে ।
প্রশ্ন-৭. ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ঐতিহাসিক বর্ণনার ভিত্তিতে অতীত ঘটনা সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর গবেষণার প্রচেষ্টাকে 'ঐতিহাসিক পদ্ধতি' বলে। অতীতকালের সামাজিক ঘটনাবলির ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বর্তমান সমাজ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভ করার পন্থাকেই সমাজবিজ্ঞানে ঐতিহাসিক পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই পদ্ধতির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ঘটনা, সামাজিক প্রক্রিয়া এবং প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় ।
প্রশ্ন-৮. সমাজ গবেষণায় ব্যবহৃত তুলনামূলক পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বিভিন্ন সমাজ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে তুলনা করে তাদের জীবনযাপন পদ্ধতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে 'তুলনামূলক পদ্ধতি'। একটি সমাজের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান তথা গোটা সমাজ অন্য সমাজ থেকে কতটা ভিন্নমুখী বা কতটা সমধর্মী সে সম্পর্কে গবেষণা করতে হলে তুলনামূলক পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন সমাজের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ণয়ে সাহায্য করে। এ পদ্ধতিতে একই যুগের বিভিন্ন সমাজের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যেমন সম্ভব হয়, তেমনি একই সমাজের অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করাও সম্ভব।
প্রশ্ন-৯: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
[চা. বো, দিবো, সি. বো, হা. বো. ১৮
উত্তর: বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বস্তু বা ঘটনা সুশৃঙ্খলভাবে নিরীক্ষণ করাকে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলে। আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী পি. ভি. ইয়ং পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সংজ্ঞা প্রদানে বলেন, “দৃশ্যমান ঘটনা বা বিষয়কে সুশৃঙ্খলভাবে নিরীক্ষণ করাই হলো পর্যবেক্ষণ।” পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ক. কোনো গবেষণার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, খ. সুশৃঙ্খলভাবে পরিকল্পিত থাকে, গ. সুসংঘবদ্ধভাবে ধারণ করা হয়, ঘ. তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হয় ইত্যাদি। এ পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকার। যথা- সরাসরি অংশগ্রহণমূলক এবং অংশগ্রহণহীন পর্যবেক্ষণ। সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় সম্পর্কে গবেষণা করার জন্য পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-১০. সমাজ গবেষণায় ব্যবহৃত পরীক্ষণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: একটি সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দুই বা ততোধিক সামাজিক ঘটনা বা প্রপঞ্চের মধ্যে কার্য-কারণ সম্পর্ক নির্ণয় করার পদ্ধতিকে সমাজ গবেষণায় ব্যবহৃত ‘পরীক্ষণ পদ্ধতি' নামে অভিহিত করা হয়। সমাজ গবেষণায় দুটি চলকের মধ্যকার সম্পর্কের রূপ-প্রকৃতি সম্পর্কে কোনো কল্পনা, যাচাই বা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই পরীক্ষণ পদ্ধতির সাহায্য নেয়া হয় । এর একটি চলক হলো স্বাধীন, যার প্রভাব লক্ষ করা যায় আরেকটি নির্ভরশীল চলকের ওপর। যেমন— পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে স্বাধীন চলক এবং এর ফলে পরিবর্তনকে নির্ভরশীল চলক বলে আখ্যায়িত করা যায়।
প্রশ্ন-১১. ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রে একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ সূত্রে উপনীত হওয়ার প্রচেষ্টাকে বলা যায় ‘ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি’। এ পদ্ধতিতে সমাজের এক বা একাধিক ব্যক্তি, দল, সমষ্টি, প্রতিষ্ঠান, ঘটনা, অবস্থাকে একক হিসেবে বিবেচনা করে গবেষণা কার্য সম্পাদিত হয়। এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের প্রধান কৌশলগুলো হলো সাক্ষাৎকার, প্রশ্নমালা, অনুসূচি, ব্যক্তিগত চিঠিপত্র, পত্রিকার প্রতিবেদন, জীবন ইতিহাস, আত্মজীবনী ইত্যাদি ।
প্রশ্ন-১২. নমুনা জরিপ পদ্ধতি বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সংগৃহীত সামগ্রিক তথ্য থেকে একটি বিশেষ অংশ পর্যবেক্ষণ করে ধারণা পাওয়ার পদ্ধতির নাম ‘নমুনা জরিপ’ নমুনা থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে গোটা বা সমগ্র জনসংখ্যা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নমুনা থেকে সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে কোনো এলাকার জনসংখ্যার মতামত, মনোভাব, আয় ও জীবনযাত্রা প্রণালি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় । নমুনা জরিপে নমুনা চয়নে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন যাতে নমুনার মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি, বয়স, পেশা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মানুষ থাকে এবং গোটা জনসংখ্যার মূল বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করতে পারে ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. বিজ্ঞান বলতে কী বোঝ?
ক. সঠিক তথ্যাবলি সনাক্ত করা
খ. সঠিক গবেষণা পদ্ধতি নির্ণয় করা
গ. প্রাপ্ত তথ্যাবলির ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া
ঘ. গবেষণা কৌশলে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা
উ:গ
২. ল্যাটিন কোন শব্দ থেকে Science শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে?
ক. Society
খ. Socio
গ. Scientia
ঘ.Social
উ:গ
৩. বিজ্ঞানের চূড়ান্ত লক্ষ্য কোনটি?
ক. ঘটনার অনুসন্ধান
খ. ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়
গ. ভবিষ্যদ্বাণী ও নিয়ন্ত্রণ
ঘ. সর্বাধিক কল্যাণ সাধন
উ:ক
৪. কোনো কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে যে পন্থার সাহায্য নিতে হয় তাকে বলে—
ক. পন্থা
খ. পদ্ধতি
গ. কৌশল
ঘ. গবেষণা
উ:খ
৫.'Science in History'গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
ক. টমাস হবস
খ. হার্বার্ট স্পেন্সার
গ. জে. ডি. বার্নাল
ঘ. জন লক
উ:গ
৬. বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রধান নির্ধারক কোনটি?
ক. কার্যকরী সংজ্ঞা
খ. পর্যবেক্ষণ
গ. নিশ্চিতকরণ
ঘ. সাধারণীকরণ
উ:ঘ
৭. Order and System-এর ভিত্তিতে কাকে বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায়?
ক. দর্শনকে
খ. সমাজকল্যাণকে
গ. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে
ঘ. সমাজবিজ্ঞানকে
উ:ঘ
৮. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বিতীয় স্তর কোনটি?
ক. সমস্যার সংজ্ঞায়ন
খ. সমস্যা প্রণয়ন
গ. অনুসিদ্ধান্ত প্রণয়ন
ঘ. অনুসিদ্ধান্ত যাচাই
উ:ক
৯. সমাজবিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কোন ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়?
ক. গবেষণা পদ্ধতির ক্ষেত্রে
খ. গবেষণার যৌক্তিকতার ক্ষেত্রে
গ. ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে
ঘ. সাধারণীকরণের ক্ষেত্রে
উ:ঘ
১০. “সমাজবিজ্ঞান সবচেয়ে বেশি পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে এবং সবচেয়ে কম ফলাফল লাভ করেছে”— উক্তিটি কার?
ক. ই. বি. টেইলরের
খ. আর. এস. লিন্ডের
গ. সি. আর. কোথারির
ঘ. হেনরি পঁয়কারের
উ:ঘ
১১. সামাজিক বিষয়াদি অধ্যয়ন ও গবেষণায় ভারস্টেহেন পদ্ধতি ব্যবহারের কথা কে বলেছেন?
ক. অগাস্ট কোঁৎ
খ. ম্যাকাইভার
গ. ম্যাক্স ওয়েবার
ঘ. রবার্টসন
উ:গ
১২.একজন সমাজবিজ্ঞানীরগবেষণার প্রধান উপাদান কোনটি?
ক. মানুষ
খ. উদ্ভিদ
গ. জড়বস্তু
ঘ. জীবজগৎ
উ:ক
১৩. গবেষক কোনো বিষয়কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যখন নিজের মতো করে সংজ্ঞা প্রদান করেন, তখন তাকে কী বলে?
ক. সাধারণীকরণ
খ. ভবিষ্যদ্বাণী করা
গ. কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান
ঘ. অনুসিদ্ধান্ত প্রণয়ন
উ:গ
১৪. গবেষণা সমস্যার মধ্যকার ধারণাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণের মাধ্যমে গবেষণা সমস্যা সমাধানের আনুমানিক বিবৃতি কী?
ক. প্রকল্প
খ. কৌশল
গ. প্রযুক্তি
ঘ. পদ্ধতি
উ:ক
১৫.সমাজবিজ্ঞানের গবেষণাসমূহ কেন সম্পূর্ণ মূল্যবোধ নিরপেক্ষ হয় না?
ক. সমাজ পরিবর্তনশীল বলে
খ. সামাজিক সমস্যার জন্য
গ. গবেষণা উপাদান ও গবেষক মানুষ বলে
ঘ. পদ্ধতিগত দুর্বলতার জন্য
উ:গ
১৬. নিচের কোন পদ্ধতি সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচির পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে?
ক. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
খ. সামাজিক জরিপ পদ্ধতি
গ. দার্শনিক পদ্ধতি
ঘ. তুলনামূলক পদ্ধতি
উ:খ
১৭. ঘটনা অধ্যয়ন পদ্ধতি কী?
ক. অতীত ঘটনার বস্তুনির্ভর বিবরণ
খ. সমাজ বা সংস্কৃতির নানা আচরণ
গ. একাধিক প্রপঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ সূত্রেউপনীত হওয়া
ঘ. সামাজিক প্রপঞ্চসমূহের বা গুণগত তথ্যের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
উ:গ
১৮.গবেষণা পক্ষপাতদোষে দুষ্ট হয় কেন ?
ক. অধিক তথ্যের কারণে
খ. গবেষকের দূরদর্শিতার অভাবে
গ. সঠিক পদ্ধতি নির্বাচনের অভাবে
ঘ. সঠিক তথ্যের অভাবে
উ:ঘ
১৯.সমগ্রক বা সকলের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহকে বলা হয়-
ক. নমুনা জরিপ
খ. ঘটনা জরিপ
গ. গণনা জরিপ
ঘ. শুমারী জরিপ
উ:ক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন
২০. বৈজ্ঞানিক নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত
i. কার্যকরী বর্ণনা
ii. নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ
iii. নিশ্চিতকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:খ
২১. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যে সকল নীতিমালা প্রায় সকল বিজ্ঞানী অনুসরণ করে থাকেন—
i. সাধারণীকরণ
ii. পুনঃপর্যবেক্ষণ
iii. সমস্যার সংজ্ঞায়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ঘ
২২.সামাজিক গবেষণায় মৌলিক অধ্যয়নের বিষয় হচ্ছে—
i. প্রকৃতি
ii. সমাজ
iii. সামাজিক সম্পর্ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:খ
২৩. অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে একজন নৃ-বিজ্ঞানীগবেষণাকার্য পরিচালনা করেন—
i. গবেষণাধীন এলাকায় অতিথি হিসেবে দীর্ঘদিন বসবাস করে
ii. গবেষণাধীন এলাকায় প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অংশগ্রহণ করে
iii. গবেষণাধীন এলাকার ভাষা আয়ত্ত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
২৪. সামাজিক জরিপ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হলো—
i. উন্নয়নমূলক সামাজিক কর্মসূচির পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে
ii. প্রকল্প প্রণয়ন ও তত্ত্ব উন্নয়নকল্পে ব্যবহৃত পরীক্ষামূলক নকশার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে
iii. এটি বিশ্লেষণাধীন বিষয়ের একটি প্রতিনিধিত্বশীল অংশ নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ঘ
২৫. তুলনামূলক পদ্ধতির বিশেষ গুরুত্ব
i. বিভিন্ন সমাজের মধ্যে সাদৃশ্য বুঝতে সাহায্য করে
ii. বিভিন্ন সমাজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে
iii. বিভিন্ন সমাজের পার্থক্য সৃষ্টিতে সাহায্য করে নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
২৬.যেসব ক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়---
i. দুটি চলকের মধ্যকার সম্পর্কের রূপ প্রকৃতি সম্পর্কে কোনো কল্পনা করার জন্য
ii. দুটি চলকের মধ্যকার সম্পর্কের রূপ প্রকৃতি যাচাই করার জন্য
iii. দুটি চলকের মধ্যকার সম্পর্কের রূপ প্রকৃতি পরীক্ষা করে দেখার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ.i, ii ও iii
উ:ঘ
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন
উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৭ ও ২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
নিপা ও লিপু সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করে। নিপা পুরোনো কিছু নথিপত্র, দলিল ও কয়েকজনের ব্যক্তিগত ডায়েরি ঘাটাঘাটি করে তার নিজ গ্রামের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। অন্যদিকে, লিপু একই ধরনের প্রতিবেদন তৈরিতে তার গ্রামের | ৫০ জন প্রবীণ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণের পরিকল্পনা করেন কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সময়মত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি ।
২৭. উদ্দীপকে নিপা প্রতিবেদন তৈরিতে কোন ধরনের গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করেছে?
ক. সামাজিক জরিপ
খ ঐতিহাসিক
গ. ঘটনা অনুধ্যান
ঘ. দার্শনিক
উ:খ
২৮. লিপুর অনুসৃত পদ্ধতি নিপার তুলনায়—
i. অর্থ সাশ্রয়ী
ii. মতামত নির্ভর
iii. ভ্রান্তিসম্পন্ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:খ
বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর
২৯.পদ্ধতি শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি?
[সকল বোর্ড ১৯]
ক. Theory
খ. Way
গ Technique
ঘ. Method
উ:ঘ
৩০.কৌশলের ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি?
[সকল বোর্ড ১৭]
ক. Method
খ. Technique
গ logos
ঘ. Research
উ:খ
৩১.যে যৌক্তিক প্রণালিতে সামাজিক বিষয়াবলি ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তথ্যরাজি ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ করা হয় তাকে বলে—
[সকল বোর্ড ১৫]
ক. বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া
খ. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
গ. বৈজ্ঞানিক কল্পনা
ঘ. বৈজ্ঞানিক আলোচনা
উ:খ
৩২. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম ধাপ কোনটি?
[সকল বোর্ড ১৮; ১৬]
ক. উপাত্ত সংগ্রহ
খ. যথার্থতা যাচাই
গ. সমস্যা নির্বাচন
ঘ. উপাত্তের শ্রেণিবিন্যাস
উ:গ
৩৩. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ধাপ নয় কোনটি?
[সকল বোর্ড ১৫]
ক. সমস্যা নির্বাচন
খ. সুশৃঙ্খল অধ্যয়ন
গ. অনুসিদ্ধান্ত যাচাই
ঘ. সমস্যার সংজ্ঞায়ন
উ:খ
৩৪. গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে কোন গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
[সকল বোর্ড ১৮]
ক. জরিপ পদ্ধতি
খ. ঐতিহাসিক পদ্ধতি
গ. তুলনামূলক পদ্ধতি
ঘ. পরীক্ষণ পদ্ধতি
উ:ক
৩৫. সামাজিক জরিপ পদ্ধতি বলতে বোঝায়—
[সকল বোর্ড ১৬]
ক. সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধান
খ. কোনো ঘটনা বা ব্যক্তিকে অধ্যয়ন
গ. সমাজজীবনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান
ঘ. পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাইকরণ
উ:ক
৩৬. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক প্রভাব অনুসন্ধানেযথোপযুক্ত গবেষণা পদ্ধতি হলো—
[সকল বোর্ড ১৯; ১৬]
ক. পর্যবেক্ষণ
খ. দার্শনিক
গ. ঐতিহাসিক
ঘ. জরিপ
উ:গ
৩৭. বিজ্ঞান হলো—
[সকল বোর্ড '১৯]
i. গবেষণালব্ধ জ্ঞান
ii. পর্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞান
iii. অধিকাংশের সমর্থনলব্ধ জ্ঞান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ক
৩৮. সুশৃঙ্খল জ্ঞানই বিজ্ঞান যা নির্ণীত হয়—
[সকল বোর্ড ১৭]
i. পরীক্ষা দ্বারা
ii. প্রমাণ দ্বারা
iii. যুক্তি দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:ঘ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: কাসেম সাহেব গৌরনদী পৌর এলাকার গৃহকর্মীদের আর্থ- সামাজিক জীবন নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি পৌর এলাকায় কর্মরত ৩০০ জন গৃহকর্মীর মধ্যে ৫০ জনের তথ্য সংগ্রহ করেন । তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তিনি প্রশ্নমালা তৈরি করেন।
৩৯. কাসেম সাহেব তার গবেষণায় কোন পদ্ধতির ব্যবহার করেছেন?
ক. দার্শনিক পদ্ধতি
খ. পরিসংখ্যান পদ্ধতি
গ. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
ঘ. নমুনা জরিপ পদ্ধতি
উ:ঘ
৪০.ভবিষ্যতে গবেষকদের জন্য কাসেম সাহেব সুপারিশ করতে পারেন-
i. গবেষণার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা
ii. নমুনা নির্বাচনে সতর্ক হওয়া
iii. পদ্ধতি বাছাইয়ে সতর্ক হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উ:খ
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url