এস এস সি পদার্থের অবস্থা ৩য় অধ্যায় জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (ক ও খ )

এস এস সি রসায়ন ৩য় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা ১০০% কমনের   নিশ্চয়তায়… আমাদের প্রচেষ্টা-- বিভিন্ন ধরনের টেষ্ট পেপার ও মূলবই থেকে কমন উপযোগী প্রশ্ন গুলো নিয়ে আমাদের সাজেশন ,আশা করি অনেক কমন আসবে ইনশাআল্লাহ্…


জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলোর উত্তরসমূহ:

আমাদের  ওয়েবসাইট ও  চ্যানেলে তোমাদের  স্বাগতম । আমরা প্রতিনিয়ত সকল বোর্ডের প্রশ্নের সমাধান দিয়ে থাকি । তোমাদের যে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে দিতে পার । আমরা উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পরবর্তিতে সকল প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান আপলোড দেব । পড়ার টেবিল নামের পুরো একটা লাইব্রেরী!  এত বই পড়ে কি লাভ? যদি কমন না আসে এত বই পড়ার পরেও!

শিক্ষার্থীদের হতাশা থেকে মুক্তির পথে,আমরা শতভাগ (১০০%) কমনের নিশ্চয়তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! 

বিকল্পধারায় সহজ থেকেও সহজতর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপহার স্বরুপ শিক্ষা,  জ্ঞান-বিজ্ঞান, CQ, MCQ,মডেল টেষ্ট, সৃজনশীল প্রশ্ন+উত্তর ও ভিডিও ক্লাস। সম্পুর্ণ ডিজিটাল পথে শিক্ষার্থীদের সফলতার সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্বেগ।


পেজ সূচিপত্র (জ্ঞানমূলক প্রশ্নগুলো)

আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের ভিডিও লেকচার। এই ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।

    পেজ সূচিপত্র (অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো)


    জ্ঞানমূলক প্রশ্নগুলো


    প্রশ্ন ১। পরমাণু কী?

       [রা.বো-২২]

    উত্তর : পরমাণু হলো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকে ।

    প্রশ্ন ২। মৌল কী?

    উত্তর : যে পদার্থকে ভাঙলে সেই পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পা পাওয়া যায় না তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে । 

    প্রশ্ন ৩ । মানুষের শরীরে কয় ধরনের ভিন্ন ভিন্ন মৌল রয়েছে?

     উত্তর : মানুষের শরীরে ২৬ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন মৌল রয়েছে।

    প্রশ্ন ৪। প্রতীক কাকে বলে?  

       [রা.বো-২২,চ.বো.-২১,ব.বো-২২]

    উত্তর : কোনো মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে মৌলের প্রতীক বলে ।

    প্রশ্ন ৫। বক্সাইটের সংকেত লিখ । 

         [য.বো-১৭]

    উত্তর : বক্সাইটের সংকেত হলো— ALO 2H2O

    প্রশ্ন ৬। সালফার অণুটির সংকেত লিখ। 

            [য.বো-২১]

    উত্তর : সালফার অণুর সংকেত S8।

    প্রশ্ন ৭। ক্যালসিয়াম ফসফেটের সংকেত লিখ।

    উত্তর : ক্যালসিয়াম ফসফেটের সংকেত : Ca3(PO4)2 ।

    প্রশ্ন ৮। পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?

    উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

    প্রশ্ন ৯। আর্সেনিক এর পারমাণবিক সংখ্যা কত? 

    উত্তর : আর্সেনিক (As) এর পারমাণবিক সংখ্যা 33 ।

    প্রশ্ন ১০। পরমাণুর ভর সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা কাকে বলে?

     উত্তর : কোনো পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা বলা হয় ।

    প্রশ্ন ১১। একটি নিউট্রনের প্রকৃত ভর কত?

    উত্তর : একটি নিউট্রনের প্রকৃত ভর 1.675 × 10-24 g |

    প্রশ্ন ১২। পরমাণুর স্থায়ী কণিকাসমূহের নাম লিখ ।

    উত্তর : পরমাণুর স্থায়ী কণিকাসমূহ হলো ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন ।

    প্রশ্ন ১৩। একটি প্রোটনের ভর কত?

    উত্তর : একটি প্রোটনের ভর 1.673 × 1024

    প্রশ্ন ১৪। একটি ইলেকট্রনের ভর কত?

     উত্তর : একটি ইলেকট্রনের ভর 9.11 × 10 

    প্রশ্ন ১৫। নিউট্রনের প্রকৃত আধান কত?

     উত্তর : নিউট্রনের প্রকৃত আধান শূন্য (০)। 

    প্রশ্ন ১৬। চার্জবিহীন মূল কণিকা কোনটি?

     উত্তর : চার্জবিহীন মূল কণিকা নিউট্রন ।

    প্রশ্ন ১৭। ইলেকট্রনের আধান কত?

    উত্তর : ইলেকট্রনের আধান – 1.60 x 10-19 কুলম্ব ।

    প্রশ্ন ১৮। আইসোমার কী?

    উত্তর : একই পারমাণবিক ভরবিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলের পরমাণুকে পরস্পরের আইসোমার বলে ।

    প্রশ্ন ১৯। পরমাণুর কেন্দ্রে কী থাকে?

    উত্তর : পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে ।

    প্রশ্ন ২০। পরমাণুর নিউক্লিয়াস কী দ্বারা গঠিত?

    উত্তর : পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা গঠিত ।

    প্রশ্ন ২১। পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যাকে কী দ্বারা চিহ্নিত করা হয়?

     উত্তর : পারমাণবিক সংখ্যাকে Z এবং ভর সংখ্যাকে A দ্বারা চিহ্নিত করা হয় ।

    প্রশ্ন ২২। কোনটি পরমাণুর নিজস্ব সত্তা ও পরিচয় বহন করে?

     উত্তর : প্রোটন সংখ্যা তথা পারমাণবিক সংখ্যা পরমাণুর নিজস্ব সত্তা বহন করে |

    প্রশ্ন ২৩।পরমানুর কোন মূল কণিকা আধান আধান নিরপেক্ষ? 

    উত্তর : পরমাণুর নিউট্রন কণা আধান নিরপেক্ষ হয়।

    প্রশ্ন ২৪। প্রোটনের আপেক্ষিক আধান কত?

     উত্তর : প্রোটনের আপেক্ষিক আধান + 1 ।

    প্রশ্ন ২৫। নীলস বোর কত সালে পরমাণু মডেল প্রদান করেন?

    উত্তর : নীলস বোর 1913 সালে পরমাণু মডেল প্রদান করেন ।

    প্রশ্ন ২৬। -কণা কী?

    উত্তর : x-কণা হলো দ্বি-ধনাত্মক হিলিয়াম নিউক্লিয়াস ( Het)।

    প্রশ্ন ২৭। কোন পরীক্ষার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রাদারফোর্ড পরমাণুর মডেল প্রদান করেন?

    উত্তর : আলফা কণা (-কণা) বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রাদারফোর্ড পরমাণুর মডেল প্রদান করেন।

    প্রশ্ন ২৮। পারমাণবিক বর্ণালি (Atomic Spectra) কী?

    উত্তর : ইলেকট্রন উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে যাবার সময় যে আলো বিকিরণ করে তাকে প্রিজমের মধ্যদিয়ে প্রবেশ করালে সৃষ্ট আলোক রশ্মিকে পারমাণবিক বর্ণালি (Atomic Spectra) বলে ।

    প্রশ্ন ২৯। অর্বিটাল কী?

    উত্তর : পরমাণুতে বিদ্যমান প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর কতকগুলো উপশক্তিস্তরে বিভক্ত থাকে যাদেরকে অর্বিটাল বলে ।

    প্রশ্ন ৩০। অরবিট কী?

    উত্তর : পরমাণুর যে সকল স্থির কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে তাদেরকে অরবিট বলে ।

    প্রশ্ন ৩১। প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা কত?

    উত্তর : প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 2n2; যেখানে n = 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি ।

    প্রশ্ন ৩২। আইসোটোপ কাকে বলে? 

    উত্তর : যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে একে অপরের আইসোটোপ বলে।

    প্রশ্ন ৩৩। হাইড্রোজেনের কয়টি আইসোটোপ?

    উত্তর : হাইড্রোজেনের 7টি আইসোটোপ ('H, 2H, H, AH, SH, H, 7H) বিদ্যমান । 

    প্রশ্ন ৩৪। আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কাকে বলে ? 

     উত্তর : কোনো একটি পরমাণুর ভর এবং একটি কার্বন-12 পরমাণু ভরের 1124 অংশের অনুপাতকে ঐ মৌলের পারমাণবিক ভর বলে ।

    প্রশ্ন ৩৫। গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কী?

     উত্তর : পর্যায় সারণিতে যে পারমাণবিক ভর লেখা আছে, তা মূলত গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর; যেমন, Cu এর গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 63.5

    প্রশ্ন ৩৬। কোন স্থায়ী মূল কণিকাদ্বয়ের আপেক্ষিক ভর সমান?

    উত্তর : প্রোটন ও নিউট্রনের আপেক্ষিক ভর সমান হয় ।

    প্রশ্ন ৩৭। আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের একক কী? 

    উত্তর : আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের কোনো একক নেই ।

    প্রশ্ন ৩৮। কোন শর্তে একটি পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ও ভরসংখ্যা সমান হয়?

    উত্তর : কোনো পরমাণুর আইসোটোপ না থাকলে তার আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ও ভরসংখ্যা সমান হয়।

    প্রশ্ন ৩৯। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে? 

     উত্তর : যে সকল আইসোটোপের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে (নিজে নিজেই) ভেঙে আলফা রশ্মি, বিটা রশ্মি, গামা রশ্মি ইত্যাদি নিৰ্গত করে তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে ।

    প্রশ্ন ৪০। পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কোন আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়?

    উত্তর : পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-14 (C-14) আইসোটোপ ব্যবহৃত হয় । এটি একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ।

    প্রশ্ন ৪১। তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে?  

    উত্তর : তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে ।

    প্রশ্ন ৪২। বাংলাদেশের কোথায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে?

    উত্তর : বাংলাদেশের পাবনা জেলার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে।

    প্রশ্ন ৪৩। 99mTc থেকে গামা রশ্মি নির্গত হলে কী উৎপন্ন হয় ?

     উত্তর : 9mTe থেকে গামা রশ্মি নির্গত হলে 99mTc ভরবিশিষ্ট আইসোটোপ উৎপন্ন হয়।

    প্রশ্ন ৪৪। গাইগার কাউন্টার কী?

    উত্তর : গাইগার কাউন্টার একটি যন্ত্র, যার সাহায্যে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে বিকিরিত রশ্মি বা কণা শনাক্ত করা হয় ।

    প্রশ্ন ৪৫। 60Co থেকে নির্গত কোন রশ্মিটি ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম?

    উত্তর : “Co থেকে নির্গত গামা (Y) রশ্মি ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

    প্রশ্ন ৪৬। কোন রশ্মিটি জীবন্ত কোষের ক্ষতি সাধন করতে পারে? 

    উত্তর : গামা (y) রশ্মি জীবন্ত কোষের ক্ষতি সাধন করতে পারে। 

    প্রশ্ন ৪৭। ব্রেইন ক্যান্সার নিরাময়ে কোন আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়?

    উত্তর : ব্রেইন ক্যান্সার নিরাময়ে ইরিডিয়াম আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।

    অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো 


    প্রশ্ন ১। অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য লিখ।

    উত্তর : 


    প্রশ্ন ২। “পরমাণুর সমস্ত ভর নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত”- ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : পরমাণুর কেন্দ্রের নাম নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের ভিতরে প্রোটন ও নিউট্রন এবং বাইরে ইলেকট্রন অবস্থান করে। যেহেতু আপেক্ষিকভাবে ইলেকট্রনের ভর শূন্য ধরা হয়, কাজেই নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের ভরই পরমাণুর ভর হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।অর্থাৎ পরমাণুর সমস্ত ভর নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত।”


    প্রশ্ন ৩। 23 Na+ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : 23 Na' বলতে বুঝায় সোডিয়াম (Na) মৌলটির (i) প্রোটন সংখ্যা 11 (ii) ইলেকট্রন সংখ্যা = ( 11 – 1) = 10 (iii) নিউট্রন সংখ্যা = (23 – 11) = 12 (iv) ভরসংখ্যা = 23 (v) পারমাণবিক সংখ্যা তথা প্রোটন সংখ্যা যেহেতু 11, তাই মৌলটি সোডিয়াম (Na)।

    প্রশ্ন ৪। Mg এর পারমাণবিক সংখ্যা 12 বলতে কী বুঝ? 

    উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে । একে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়।  Mg পরমাণুর নিউক্লিয়াসে মোট 12টি প্রোটন অবস্থিত। এজন্য Mg এর পারমাণবিক সংখ্যা 12। পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা প্রতীকের নিচে বাম পাশে লেখা হয়।  যেমন, 12Mg দ্বারা বুঝায় Mg এর পারমাণবিক সংখ্যা 12। 

    প্রশ্ন ৫। সোডিয়াম এর ভরসংখ্যা 23 - ব্যাখ্যা কর। 

    উত্তর : কোনো পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে। অর্থাৎ, ভরসংখ্যা হচ্ছে প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টি। Na এর ভরসংখ্যা 23 বলতে বুঝায়, Na পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা 11 এবং নিউট্রন সংখ্যা (23 – 11 ) = 12, যাদের সমষ্টি (11 + 12) = 23 হচ্ছে 23 Na এর ভর সংখ্যা । 11

    প্রশ্ন ৬। Al এর পারমাণবিক সংখ্যা 13 বলতে কী বুঝ?

    উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে। Al এর পারমাণবিক সংখ্যা 13 বলতে Al পরমাণুর নিউক্লিয়াসে 13টি প্রোটন আছে।

    প্রশ্ন ৭। সালফারের পারমাণবিক ভর 32 এর অর্থ কী? ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসাবে ধরে তার সাপেক্ষে অপর কোনো মৌলের একটি পরমাণু কতগুণ ভারী এই আপেক্ষিক রাশিকে সংশ্লিষ্ট মৌলের পারমাণবিক ভর বলে।  সালফারের পারমাণবিক ভর 32 এর অর্থ হলো সালফারের একটি পরমাণুর ভর হাইড্রোজেনের  একটি পরমাণুর ভরের 32 গুণ (হাইড্রোজেন স্কেল অনুসারে)।

    প্রশ্ন ৮। পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যার মধ্যে ২টি পার্থক্য লিখ ।

    উত্তর : পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যার মধ্যে ২টি পার্থক্য নিম্নরূপ : পারমাণবিক সংখ্যা ভর সংখ্যা ১. কোনো মৌলের কেন্দ্রে ১. মৌলের কেন্দ্রে অবস্থিত অবস্থিত মোট প্রোটন প্রোটন ও নিউট্রনের মোট ঐ সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে । মৌলের সংখ্যাকে পারমাণবিক ভরসংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলে। দ্বারা প্রকাশ করা হয় । ২. পারমাণবিক সংখ্যাকে Z ২. ভর সংখ্যাকে A দ্বারা প্রকাশ করলে,

     A = Z + n; n = নিউট্রন সংখ্যা ৷

    প্রশ্ন ৯। 35cr দ্বারা কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : Cl বলতে বুঝায়- 17

     i. মৌলটির প্রোটন সংখ্যা = 17 

    ii. মৌলটির ইলেকট্রন সংখ্যা = 18

     iii. মৌলটির নিউট্রন সংখ্যা = 35 - 17 = 18 

     iv. মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা = 17

     v. মৌলটির পারমাণবিক ভর = 35 

    প্রশ্ন ১০। অক্সিজেন পরমাণুর 16O8 নিউক্লিয়াস থেকে দুটি নিউট্রন অপসারণ করলে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে?

    উত্তর : "o অক্সিজেন পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা তথা পারমাণবিক সংখ্যা ৪ এবং ভরসংখ্যা অর্থাৎ প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা 16 তাহলে এ অক্সিজেন পরমাণুটির নিউট্রন সংখ্যা হলো = 16 – 8 = 8। কাজেই "0 হতে দুটি নিউট্রন সরালে পারমাণবিক সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও ভরসংখ্যা 2 হ্রাস পেয়ে 14 হবে। তখন পরিবর্তিত অক্সিজেন পরমাণুর সংক্ষিপ্ত প্রকাশ হবে ৪O।

    প্রশ্ন ১১। রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা লিখ ।

    উত্তর : রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা নিম্নরূপ : ১. সৌরজগতের গ্রহগুলো চার্জহীন কিন্তু ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জযুক্ত । ২. একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর ক্ষেত্রে এ মডেল ব্যাখ্যা দিতে পারে না । ৩. বর্ণালি রেখার কোনো ধারণা এ মডেলে নেই ।

    প্রশ্ন ১২।পরমাণুতে কীভাবে বর্ণালি সৃষ্টি হয়?

    উত্তর : শক্তির উৎস থেকে মৌলের অসংখ্য পরমাণুর একই ইলেকট্রন বিভিন্ন পরিমাণে শক্তি শোষণ করে  উদ্দীপিত অবস্থায় বিভিন্ন নির্দিষ্ট শক্তির উচ্চ শক্তিস্তরে লাফিয়ে চলে। পরে শক্তির উৎস সরিয়ে নিলে ঐ  অসংখ্য হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন শক্তি বিকিরণ করে একই নিম্ন =শক্তিস্তরে ফিরে আসতে পারে ।  তখন বিভিন্ন রেখা বর্ণালির সৃষ্টি হয়ে থাকে ।

    প্রশ্ন ১৩। অরবিট এবং অরবিটালের মধ্যে পার্থক্য লিখ ।

    এটি পার্থক্য নিম্নরূপ :

    প্রশ্ন ১৪। 2p অপেক্ষা 2s অরবিটাল এর শক্তি কম - ব্যাখ্যা কর।

     উত্তর : দুটি অরবিটালের মধ্যে যার (n+l) এর মান কম, তার শক্তিও কম হয়। 2p অরবিটালের জন্য : n = 2 এবং 1 = 1 . ( n + 1) = 2 + 1 = 3 2s অরবিটালের জন্য : n = 2 এবং 1 = 0. ( n + 1) = 2 + 0 = 2 দেখা যাচ্ছে যে, 2p 3 2s এর মধ্যে 2s এর (n+l) এর মান কম, তাই 2s এর শক্তিও কম ।

    প্রশ্ন ১৫। 3p অপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তি বেশি কেন? ব্যাখ্যা কর ।

    উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটাল এবং পরে উচ্চ শক্তির অরবিটালে গমন করে।  দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটি নিম্নশক্তির আর কোনটি উচ্চশক্তির তা (n + 1) এর মানের ওপর নির্ভর করে। যার (n+l) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল । 3p 3 3d অরবিটালের জন্য (n+l) এর মান নিম্নরূপ :3p অরবিটালে : n = 3,1=1. n+1=3+1=43d অরবিটালে : n = 3, 1 = 2n+1=3+2=5দেখা যাচ্ছে যে, 3d এর ক্ষেত্রে (n + l) এর মান বেশি। তাই 3d অরবিটালের শক্তি 3p অপেক্ষা বেশি ।

    প্রশ্ন ১৬। ৩য় শক্তি স্তরে f orbital নেই, কেন ?

    উত্তর : ৩য় শক্তিস্তরে অরবিটাল নেই। কারণ ৩য় শক্তিস্তরের জন্য n = f3 এবং 1 = 0, 1, 2। জানা আছে, 1 এর মান 0, 1 ও 2 এর জন্য s, p ও d অরবিটাল সম্ভব হয়। তাই ৩য় শক্তিস্তরে f orbital নেই। f

    প্রশ্ন ১৭। 4sঅপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তি বেশি—ব্যাখ্যা কর।

     উত্তর : অরবিটালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (n+l) এর মান হিসাব করে । যে অরবিটালের (n+l) এর মান বেশি সেটির শক্তি বেশি। 4s অরবিটালের ক্ষেত্রে =n+1=4+0=43d অরবিটালের ক্ষেত্রে =n+1=3+2=5যেহেতু 3d অরবিটালের ( n + 1) এর মান বেশি, সেহেতু এর শক্তি বেশি ।

    প্রশ্ন ১৮।6sঅরবিটালের শক্তি 4d অরবিটাল অপেক্ষা বেশি— ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটালে এবং পরে উচ্চ শক্তির অরবিটালে গমন করে। যার (n + 1) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল । 6s ও 4d অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা, । এর যোগফল 

    অর্থাৎ (n + 1) এর মান নিম্নরূপ :6s অরবিটালে : n = 6, l = 0  ∴ n + 1 = 6+0=6 

    4d অরবিটালে : n =4,1=2 ∴ n + 1=4+2=6

    দেখা যাচ্ছে যে, 6s ও 4d অরবিটালের (n+l) এর মান সমান । 

    এক্ষেত্রে যে অরবিটালের n এর মান বেশি সেই অরবিটালের শক্তিও বেশি। কাজেই সেই অরবিটালে ইলেকট্রন পরে প্রবেশ করবে। আবার 4d এর n এর মান কম তাই এ অরবিটালের শক্তি কম। এ অরবিটালে আগে ইলেকট্রন প্রবেশ করবে। অর্থাৎ, 6s অরবিটালের শক্তি 4d অপেক্ষা বেশি ।

    প্রশ্ন ১৯। কপার (Cu) এর ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়ম মানে না কেন? 

    উত্তর : সাধারণভাবে দেখা যায় যে, সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালসমূহ অর্ধপূর্ণ বা সম্পূর্ণ পূর্ণ হলে সে ইলেকট্রন বিন্যাস অধিকতর সুস্থিতি অর্জন করে। এক্ষেত্রে dlls এবং d's ' ইলেকট্রন বিন্যাসবিশিষ্ট মৌল অধিকতর স্থায়ী হয়। কপার (Cu) এর ইলেকট্রন বিন্যাসে (1s2 2s2 2p 6 3s 2 3p 3d 10 4s') সুস্থিতির জন্য 3d 4s 2 এর পরিবর্তে 3d 10 4s ' হয় । এজন্য কপারের ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়ম মানে না ।


    প্রশ্ন ২০। Fe2+ ও Fe3+ আয়নের মধ্যে কোনটি অধিক সুস্থিত? ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : Fe2+ ও Fest আয়নের মধ্যে Fe3+ আয়ন অধিক সুস্থিত । কারণ আয়ন দুটির ইলেকট্রন বিন্যাস : Fe2+(26) = 1s2 2s2 2p 6 3s 2 3p 3d 4s (সুস্থিত নয়) Fest(26) = 1s2 2s2 2p 6 3s 2 3p 3ds, 4s° (সুস্থিত)6F ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে, Fe3+ আয়নের d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা অর্ধপূর্ণ থাকে বলে Fe3+ আয়নটি সুস্থিত। অপরদিকে Fe2+ আয়নের 3d অরবিটালে 6টি ইলেকট্রন থাকায় এটি ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ বা অর্ধপূর্ণ কোনটিই নয়। তাই Fe2+ সুস্থিত নয় ।

    প্রশ্ন ২১। Ca এর 19 ও 20 তম ইলেকট্রন 3d অরবিটালে না গিয়ে 4s অরবিটালে প্রবেশ করে কেন? ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটালে এবং পরে উচ্চশক্তির অরবিটালে গমন করে। দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটি নিম্নশক্তির আর কোনটি উচ্চশক্তির তা ( n + 1) এর মানের ওপর নির্ভর করে। যার (n + l) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল । 3d এবং 4s অরবিটালের জন্য (n+l)এর মান নিম্নরূপ : 3d অরবিটালে : n=3, 1=2 4s অরবিটালে : n = 4, 1 = 0... n + 1 = 3 + 2 = 5 n + 1 = 4+0= 4 সুতরাং, 3 3d এর চেয়ে 4s অরবিটালের শক্তি কম (4s < 3d) হওয়ায় Ca এর 19 ও 20 তম ইলেকট্রন 3d অরবিটালে না গিয়ে 4s অরবিটালে প্রবেশ করে। ফলে Ca(20) এর ইলেকট্রন বিন্যাস দাঁড়ায়- Ca(20) = 1s2 2s2 2p 6 3s 2 3p 6 4s 2

    প্রশ্ন ২২। 2d এবং 3f অরবিটাল অসম্ভব কেন- ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : 2d ও 3f অরবিটাল অসম্ভব। কারণ 2d অরবিটালের ক্ষেত্রে, n = 2, 1 = 0, 1 । 1 এর মান 0, 1 এর জন্য s ও D অরবিটাল সম্ভব। তাই 2d অসম্ভব। আবার, 3f অরবিটালের ক্ষেত্রে, n = 3, 1 = 0, 1, 2। । এর মান 0, 1, 2 এর জন্য s, p, d অরবিটাল সম্ভব। এজন্য 3f অরবিটাল অসম্ভব।

    প্রশ্ন ২৩। K এর 19 তম ইলেকট্রন 3d অরবিটালে প্রবেশ না করে 4s অরবিটালে যায় কেন- ব্যাখ্যা কর ।

    উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটালে এবং পরে উচ্চশক্তির অরবিটালে গমন করে। দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটি নিম্নশক্তির আর কোনটি উচ্চশক্তির তা ( n + 1) এর মানের ওপর নির্ভর করে । যার (n+l) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল । 3d এবং 4s অরবিটালের জন্য (n+l) এর মান নিম্নরূপ : 3d অরবিটালে : n = 3, 1 = 2: n + 1=3+2=5 4s অরবিটালে : n = 4, s = 0 n + 1 = 4+0= 4 সুতরাং 3d এর চেয়ে 4s 3d) হওয়ায় পটাসিয়ামের 19তম ইলেকট্রন 3d অরবিটালে না গিয়ে 4s অরবিটালে স্থান গ্রহণ করে। ফলে K (19) এর ইলেকট্রন বিন্যাস হয়- K(19)→ 1s22s22p 3s23p 4s1296

    প্রশ্ন ২৪। "x মৌলটি ইলেকট্রন বিন্যাসের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমশীলতা প্রদর্শন করে কি-না- ব্যাখ্যা কর ।

    উত্তর : ৭x মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপ— 29X ⇒ 1s2 2s2 2p 3s 2 3p 3d 10 4s !এখানে, মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাসে d' এর পরিবর্তে do হয়েছে। কারণ d" হলো পূর্ণ। যেহেতু d' এর পরিবর্তে d" পূর্ণ। তাই স্থিতিশীলতা লাভের জন্য 4s অরবিটাল থেকে একটি ইলেকট্রন লাফ দিয়ে 3d অরবিটালে চলে আসে। তাই মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাস সাধারণ নিয়মে না হয়ে ব্যতিক্রমশীলতা প্রদর্শন করে ।

    প্রশ্ন ২৫। H, H পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা দাও ।

    উত্তর : H, H হাইড্রোজেনের দুটি পরমাণুকে নির্দেশ করে। পরমাণু দুটির ভর সংখ্যা ভিন্ন। আমরা জানি, একটি মৌলের যে কোনো পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়। কিন্তু পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত নিউট্রন সংখ্যার তারতম্যের কারণে ভর সংখ্যা আলাদা হয়। H এবং H পরমাণু দুটির পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 0 ও 1।এ কারণে পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতা দেখা যায় ।

    প্রশ্ন ২৬। উদাহরণসহ আইসোটোপের সংজ্ঞা দাও । 

    উত্তর : একই মৌলের যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়। একই মৌলের এসব পরমাণু পর্যায় সারণিতে একই স্থানের জন্য নির্দিষ্ট হওয়ায় এদেরকে আইসোটোপ নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- হাইড্রোজেন মৌলের তিনটি আইসোটোপ হলো— প্রোটিয়াম (H), ডিউটেরিয়াম (H) ও ট্রিটিয়াম (H) যাদের প্রোটন সংখ্যা একই (1) কিন্তু ভরসংখ্যা যথাক্রমে 1, 2 ও 3 ।

    প্রশ্ন ২৭। আইসোটোপ ও আইসোবারের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

    উত্তর : আইসোটোপ ও আইসোবারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ— আইসোটোপ আইসোবার ১. যেসব পরমাণুর প্রোটন ১. যেসব পরমাণুর ভর সংখ্যা সংখ্যা সমান, কিন্তু ভর সংখ্যা | অর্থাৎ নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও ভিন্ন হয়, সেসব পরমাণুকে | নিউট্রনের মোট সংখ্যা সমান পরস্পরের আইসোটোপ বলে। ২. একই মৌলের পরমাণু । 3. ৩. উদাহরণ : H, H, H হয়, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোবার বলে । ২. ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু। 64 64. ৩. উদাহরণ : 29Cu, 30 Zn

    প্রশ্ন ২৮। প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম, ট্রিটিয়াম পরস্পরের আইসোটোপব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : আমরা জানি, যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।  প্রোটিয়াম (H), ডিউটেরিয়াম (H) ও ট্রিটিয়াম (H) প্রতিটি পরমাণুরই প্রোটন সংখ্যা অভিন্ন কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন।  এ কারণে প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম পরস্পরের আইসোটোপ ।

    প্রশ্ন ২৯। 14C আইসোটোপের ব্যাখ্যা দাও ।

    উত্তর : "C আইসোটোপ জীবাশ্ম, মমি, উল্কাপিণ্ড ইত্যাদি থেকে আরম্ভ করে পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। জীবিত উদ্ভিদ বা প্রাণিদেহে যতটুকু আইসোটোপ ক্ষয় হয় ঠিক ততটুকু আবার সৃষ্টি হয় বলে জীবিত অবস্থায় আইসোটোপের পরিবর্তন হয় না। তবে মৃত অবস্থায় আইসোটোপ সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের পরিমাণ দেখে মৃতের বয়স নির্ধারণ করা যায়।

    প্রশ্ন ৩০। 16M8 ও 18M8 পরস্পর আইসোটোপ কেন?

    উত্তর : যেসব মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়। 18,81M ও PM মৌলদ্বয়ের পারমাণবিক সংখ্যা সমান (৪) কিন্তু ভরসংখ্যা যথাক্রমে 16 ও 18 অর্থাৎ ভিন্ন। কাজেই এরা পরস্পরের আইসোটোপ । 8

    প্রশ্ন ৩১। একই মৌলের ভিন্ন ভরসংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু পাওয়া সম্ভব-ব্যাখ্যা কর ।

    উত্তর : একটি মৌলের যেকোনো পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়। কিন্তু পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত নিউট্রন সংখ্যার তারতম্যের কারণে একই মৌলের পরমাণুগুলোর ভরসংখ্যা পরিবর্তিত হয়। এভাবেই একই পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলের ভিন্ন ভরসংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু পাওয়া যায়। যেমন- হাইড্রোজেন মৌলের একই পারমাণবিক সংখ্যা (1) কিন্তু ভিন্ন ভরসংখ্যা বিশিষ্ট (1, 2, 3) তিনটি আইসোটোপ (H,H,H) পাওয়া যায়।

    প্রশ্ন ৩২। পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর হিসাব করার সময় কার্বন-12 আইসোটোপ ব্যবহারের সুবিধা কী?

    উত্তর : পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নির্ণয়ে কার্বন -12 আইসোটোপ ব্যবহারের সুবিধা হলো— ১. কার্বন -12 আইসোটোপ অত্যন্ত সহজলভ্য পদার্থ । 2. এ আইসোটোপ অধিক সংখ্যক যৌগ গঠনে অংশ নিতে পারে। ৩. হাইড্রোজেন, অক্সিজেন প্রভৃতি গ্যাসীয় মৌলের পরিবর্তে কার্বন কঠিন মৌল হওয়ায় এর সংরক্ষণ ও ব্যবহার অত্যন্ত সুবিধাজনক ।

    প্রশ্ন ৩৩। যৌগের আপেক্ষিক আণবিক ভরের ব্যাখ্যা দাও।

     উত্তর : কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে যে পরমাণুগুলো থাকে তাদের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যোগ করলে প্রাপ্ত যোগফলই হলো ঐ অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর। যেমন H2O অণুতে উপস্থিত H এর আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর 1.0 এবং পরমাণু সংখ্যা 2, O পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 এবং পরমাণু সংখ্যা 1। সুতরাং H2O এর আপেক্ষিক আণবিক ভর কর। - 1 x 2 + 16 = 18 ।

    প্রশ্ন ৩৪। আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের একক নেই কেন? ব্যাখ্যা কর। 

    উত্তর : জানা আছে, দুটি একই রকম রাশি অনুপাত আকারে থাকলে এর কোনো একক থাকে না। কোনো মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরকে নিম্নরূপে প্রকাশ করা হয়- মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর মৌলের 1টি পরমাণুর ভর ১টি কার্বন -12 আইসোটোপের ভরের অংশ 12CC সুতরাং, দেখা যায়, আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর দুটি পৃথক ভরের অনুপাত (kg/kg বা g/g)। তাই এর কোনো একক থাকে না।

    প্রশ্ন ৩৫। ক্লোরিনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 35.5 হয় কেন? 

     উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসেবে ধরে তার সাপেক্ষে অপর কোনো মৌলের একটি পরমাণু কতগুণ ভারী এই আপেক্ষিক রাশিকে সংশ্লিষ্ট মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলা হয়। ক্লোরিনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 35.5 বলতে বোঝায় যে ক্লোরিনের একটি পরমাণুর ভর হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভরের 35.5 গুণ (হাইড্রোজেন স্কেল অনুসারে)।

    প্রশ্ন ৩৬। অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 বলতে কী বুঝায়? 

    উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসেবে ধরে তার সাপেক্ষে অপর কোনো মৌলের একটি পরমাণু কতগুণ ভারী এই আপেক্ষিক রাশিকে সংশ্লিষ্ট মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলা হয়। অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 বলতে বোঝায় যে, অক্সিজেনের একটি পরমাণুর ভর হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভরের 16 গুণ (হাইড্রোজেন স্কেল অনুসারে) ।

    প্রশ্ন ৩৭। H2SO4 এর একটি অণুর ভর কত হবে?

    উত্তর : আমরা জানি, H2SO4 এর এক মোল = 98 g তাহলে 6.023 × 1023 টি অণুর ভর = 98 g.. 1 টি অণুর ভর 986.023 x 1023 8 = 1.627 × 10-22gপাঠ। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ও তাদের ব্যবহার

    প্রশ্ন ৩৮। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ— নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো : ১. দেহের হাড় বেড়ে যাওয়া এবং কোথায় কেন ব্যথা হচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য Te-99 m ব্যবহৃত হয়। ২. টিউমারের উপস্থিতি নির্ণয় এবং তা নিরাময়ে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ “Co ব্যবহার করা হয়। “Co থেকে নির্গত গামা রশ্যি ক্যান্সার কোষ কলা ধ্বংস করে। ৩. 60রক্তের লিউকোমিয়া রোগের চিকিৎসায় 2p এর ফসফেট ব্যবহার করা হয়। 8. ' থাইরয়েড গ্রন্থির কোষকলা বৃদ্ধি প্রতিহত করে । সুতরাং এ থেকে বলা যায় যে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ ।কর।

    প্রশ্ন ৩৯। কৃষিক্ষেত্রে ফসফরাসের আইসোটোপের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। 

    উত্তর : ফসফরাসের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন উন্নত মানের বীজ উদ্ভাবন করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ফলনের মানের উন্নতি ও পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। তেজস্ক্রিয় ±p যুক্ত ফসফেট দ্রবণ উদ্ভিদের মূলধারায় সূচিত করা হয়। গাইগার কাউন্টার ব্যবহার করে পুরো উদ্ভিদে এর চলাচল চিহ্নিত করে কী কৌশলে উদ্ভিদ বেড়ে উঠে তা ফসফরাস ব্যবহার করে জানা যায়।

    প্রশ্ন ৪০। ‘তেজস্ক্রিয়তা পদার্থের নিউক্লীয় ধর্ম' – ব্যাখ্যা কর।

    উত্তর : তেজস্ক্রিয়তা পদার্থের নিউক্লিয় ধর্ম। তেজস্ক্রিয়তা হলো কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন রশ্মি (a, P, Y) নির্গমনের ঘটনা। অপরদিকে নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্রিয়া হলো একটি বৃহৎ নিউক্লিয়াসকে নিউট্রন কণা দ্বারা আঘাত করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। যেহেতু তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে বিভিন্ন রশ্মি নির্গমনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস যুক্ত পরমাণুতে পরিণত হয়, সেহেতু তেজস্ক্রিয়তা একটি নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্ৰিয়া । সুতরাং বলা যায় যে, তেজষ্ক্রিয়তা পদার্থের নিউক্লীয় ধর্ম।

    প্রশ্ন ৪১। কৃষিক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের প্রায়োগিক দিক উল্লেখ কর।

    উত্তর : তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন উন্নত মানের বীজ উদ্ভাবন করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ফলনের মানের উন্নতি ও পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। তেজস্ক্রিয় 32P যুক্ত ফসফেট দ্রবণ উদ্ভিদের মূলধারায় সূচিত করা হয় । গাইগার কাউন্টার ব্যবহার করে পুরো উদ্ভিদে এর চলাচল চিহ্নিত করে বিজ্ঞানীরা কী কৌশলে (mechanism) ফসফরাস ব্যবহার করে উদ্ভিদ বেড়ে উঠে তা জানতে পারেন।

    প্রশ্ন ৪২। তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর দিকগুলো উল্লেখ কর।

    উত্তর : তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর দিকগুলো নিম্নরূপ— ১. তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গত বিভিন্ন রশ্মি ক্যান্সার সৃষ্টির বিশেষ কারণ । কেমোথেরাপির তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবহারের দরুন মাথার চুল পড়ে যায়, বমি বমি ভাব হয় এবং আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সব ধরনের পারমাণবিক বোমায় তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার মানব জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।

    এইচএস সি ICT বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের   Admission Part-3 গুরুত্বপূর্ণ MCQ সমূহ (নিজেকে যাচাই করি পরিক্ষা দেই,পুরুষ্কার নেই-- )

    ১ম অধ্যায় ➤  ১ম অধ্যায় কুইজ-১


    এইচ এস সি রসায়ন ২য় পত্র ১ম অধ্যায় পরিবেশ ও রসায়ন (MCQ) exam-1



    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url