এইচএস সি ICT ৩য় অধ্যায় সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস Part-1
সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
Number systems and digital devices
এইচ এস সি ICT ১ম অধ্যায় ( বিশ্বগ্রাম) এর ওপর MCQ exam দিয়ে সাথে সাথে ফলাফল জানো---
সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ ও ব্যাসিক
পেজ সূচীপত্র:
- আমাদের আজকের পাঠ----
- এই পাঠ শেষে তুমি কি শিখবে-------
- সংখ্যা পদ্ধতি
- নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি:
- নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতিক :
- নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতিক :
- পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি:
- বেজ:
- পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ:
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি :
- অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি :
- দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি:
- Hexadecimal সংখ্যা পদ্ধতি :
- এক নজরে বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতি:
- পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি চেনার উপায়:
- দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল :
- অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল :
- হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল :
- MCQ
- মূল্যায়ন (Assessment)
আমাদের আজকের পাঠ----
সংখ্যা পদ্ধতি
(Number System)
এই পাঠ শেষে তুমি কি শিখবে-------
- সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবে ।
- বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে ।
- বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি ব্যাখ্যা করতে পারবে ।
সংখ্যা পদ্ধতি
কোনো সংখ্যাকে লেখা বা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকেই হলো সংখ্যা পদ্ধতি।
সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ:
অবস্থানের উপর নির্ভর করে সংখ্যাকে দুইভাগে ভাগ করা হয়
১. নন-পজিশন্যাল সংখ্যা পদ্ধতি
২. পজিশন্যাল সংখ্যা পদ্ধতি
নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি:
যে পদ্ধতিতে সংখ্যার মান ব্যবহৃত চিহ্ন বা অংকসমূহের পজিশন বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে না তাকে নন-পজিশন্যাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
একটি প্রাচীন পদ্ধতি। সভ্যতা বিকাশের পূর্বে মানুষ গণনা বা হিসাব-নিকাশের এটি জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করত। এই পদ্ধতিতে গণনা বা হিসাব-নিকাশের কাজ করা হতো-বিভিন্ন চিহ্ন বা প্রতীকের মাধ্যমে।
নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতিক :
হাতিয়ার |
পশুপাখি |
জীবজন্তু |
নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতিক :
এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অংকগুলোর পজিশন বা অবস্থান গুরোত্বপায় না। ফলে অংকগুলোর কোনো স্থানীয় মান থাকে না। শুধু অংকটির নিজস্ব মানের উপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাশ কার হয়। প্রাচীন যুগে ব্যবহৃত হায়ারোগ্লিফিক্স (Hieroglyphics) সংখ্যা পদ্ধতি একটি নন-পজিশন্যাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ।
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি:
যে পদ্ধতিতে সংখ্যার মান ব্যবহৃত চিহ্ন বা অংকসমূহের পজিশন বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে তাকে পজিশন্যাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
ব্যবহৃত চিহ্ন বা অংকসমূহের পজিশন বা অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এই ধরনের সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান নির্ণয় করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো
একটি অংকের পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে
MSB⇽ 125.25 ⇾ LSB
পয়েন্টকে বলে Radix পয়েন্ট দিয়ে সংখ্যাকে পূর্ণাংশ এবং ভগ্নাংশ এই
দুইভাগে বিভক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে সংখ্যা পদ্ধতির বেজ, অংকের অবস্থান এবং Radix পয়েন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বেজ:
সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক সংখ্যা নির্দেশকারী মোট চিহ্ন, অংক বা সংখ্যাকে সংখ্যা পদ্ধতির বেজ (Base) বা ভিত্তি বলা হয়।
অন্যকথায়, কোনো একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক সংখ্যা নির্দেশকারী প্রতীক বা চিহ্নের সমষ্টিকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ (Base) বা ভিত্তি বলে।
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ:
Binary
(বাইনারী)
Octal
(অকটাল)
Decimal
(দশমিক)
Hexadecimal
(হেক্সাডেসিমেল)
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি :
Bi শব্দের অর্থ হলো ২ (দুই)। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ (শুন্য) ও ১ (এক) এই দুইটি প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। ( 0) এবং ১ (এক) এই ২(দুই) টি প্রতিক বা
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে যেহেতু ০ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাই এর বেজ (Base) হচ্ছে ২ (Bi / দুই)।
- উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় ইংল্যান্ডের গণিতবিদ জর্জ বুল। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি উদ্ধাবন করেন। এজন্য জর্জ বুলকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির প্রবর্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সবচেয়ে সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে ০(শুন্য) কে বিদ্যুতের অনুপস্থিতি এবং ১(এক)-কে বিদ্যুতের উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করা হয় ।
- এ কারণে যা মেশিনের জন্য সহজেই কম্পিউটারের বোধগম্য হয় । সকল কমকান্ডে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়।
এই পদ্ধতিতে দুই চিহৃ বা মৌলিক প্রতিক ব্যবহার করা হয় বলে এর বেজ ২
অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি :
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি:
Decimal শব্দের অর্থ হলো 10 (দশ)। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১০টি(০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯) প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ (শুন্য) থেকে ৯ (নয়) পর্যন্ত ১০ (দশ) টি
- প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আমরা প্রতিনিয়ত সংখ্যা উপস্থাপন ও হিসাবনিকাশের জন্য সাধারণত দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। ব্যবহার করি।
Hexadecimal সংখ্যা পদ্ধতি :
Hexa শব্দের অর্থ হলো 6 এবং Decimal শব্দের অর্থ হলো 10। hexadecimal শব্দের অর্থ হলো 16। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬ (ষোল) টি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক বা চিহ্নঃ- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F ব্যবহার করা হয় তাকে বলে হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি।
এক নজরে বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতি:
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি চেনার উপায়:
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল :
অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল :
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের কৌশল :
MCQ
১. (10)16 এর পূর্বের সংখ্যাটি কত?
ক. ৯৯ খ. E
গ. F ঘ. FF
Answer: গ. F
২. BABA এর দশমিক সংখ্যাটি কত?
ক. ৪৭৬১৬ খ. ৪৭৬২৬
গ. ৪৭৮০২ ঘ ৪৭৮১২
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url