এস এস সি বাংলা ১ম পত্র স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো নির্মলেন্দু গুণ
স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
নির্মলেন্দু গুণ
সূচীপত্র
কবি-পরিচিতি
নির্মলেন্দু গুণ ১৯৪৫ সালের ২১ জুন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সুখেন্দুপ্রকাশ গুণ চৌধুরী এবং মাতা বীণাপানি গুণ। মাত্র চার বছর বয়সে নির্মলেন্দু গুণ তাঁর মাতাকে হারান। বাবা আবার বিয়ে করলে সৎমা চারুলতার কাছে তাঁর হাতেখড়ি হয়। ১৯৬২ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৬৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি পান। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ও বাংলা বিভাগ এবং বুয়েটে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েও পড়তে পারেননি। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বিএ পাসকরেন।
পেশাগত জীবনে তিনি একজন সাংবাদিক। মেট্রিক পরীক্ষার আগেই নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা ‘নতুন কান্ডুরি’ প্রকাশিত হয়। তাঁর কবিতায় শ্রেণিসংগ্রাম, প্রতিবাদী চেতনা, নারী ও প্রেম মূল শিল্প-উপাদান হিসেবে গৃহীত। ষাটের দশকের সূচনা থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত তিনি কবিতায় ও গদ্যে স্বচ্ছন্দে সৃজনশীল হলেও কবি হিসেবেই তিনি খ্যাত। কবিতার পাশাপাশি আত্মজৈবনিক রচনা, ভ্রমণসাহিত্য ও গদ্যরচনাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। তিনি এখনও সাহিত্যসাধনা করে যাচ্ছেন। কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা
কাব্যগ্রন্থ : প্রেমাংশুর রক্ত চাই, না প্রেমিক না বিপ্লবী, চাষাভুষার কাব্য, বাংলার মাটি বাংলার জল, দূরহ দুঃশাসন, নিরঞ্জনের পৃথিবী, পঞ্চাশ সহস্র বর্ষ, আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি;
ছোটগল্প : আপন দলের মানুষ;
আত্মজীবনীমূলক : আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর, আত্মকথা;
উপন্যাস : দেশান্তর।
ভুমিকা
‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি নির্মলেন্দু গুণের ‘চাষাভুষার কাব্য’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের দৃঢ়তা ও তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পর্কে এই কবিতা থেকে ধারণা লাভ করা যাবে। স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট, গণজাগরণের স্বরূপ এবং বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা প্রকাশ করতেই লেখকের এই প্রচেষ্টা।
এই পাঠটি পড়া শেষে তুমি-
- এখনকার শিশুপার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাথে সেদিনের রেসকোর্স ময়দানের তুলনা করতে পারবে;
- বঙ্গবন্ধুর তেজোদ্দীপ্ত ঘোষণার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে পারবে;
- ‘স্বাধীনতা’ শব্দটির গভীর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে পারবে।
মূলপাঠ
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে : ‘কখন আসবে কবি?’
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না।
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি?
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
কালো হাত। তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ...।
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প।
সেদিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর।
না পার্ক না ফুলের বাগান, -এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প−াবিত
শুধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়।
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে।
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্নবিত্ত, করুণ কেরানি, নারী, বৃদ্ধ, ভবঘুরে
আর তোমাদের মতো শিশু পাতা-কুড়ানিরা দল বেঁধে।
এই কবিতা পড়া হবে, তার জন্য কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের : ‘কখন আসবে কবি ?’ ‘কখন আসবে কবি?’
শত বছরে শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী ?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি :
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।
নির্বাচিত শব্দের অর্থ
অখন্ড-- সমগ্র, আস্ত।
অতঃপর কবি এসে মঞ্চে দাঁড়ালেন-- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বক্তৃতামঞ্চে এসে দাঁড়ালেন লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে।
উদ্যত-- প্রবৃত্ত, প্রস্তুত।
উদ্যান-- বাগান।
উন্মত্ত-- দারুণ উত্তেজনায় আবেগবিহ্বল, ক্ষিপ্ত। উলঙ্গ
কৃষক-- খালিগায়ের দরিদ্র গ্রামীণ কৃষক।
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না-- বর্তমানে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উত্তরপ্রান্তের একটি অংশজুড়ে রয়েছে শিশু পার্ক; তখন এ শিশু পার্ক ছিল না, তখন এর নাম ছিল রমনা রেসকোর্স; এই রেসকোর্সের উত্তর প্রান্তে নির্মিত বিরাট প্রশস্ত মঞ্চ থেকে ৭ই মার্চ (১৯৭১) বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন; বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সেই স্মৃতিময় স্থানটির কোনো অস্তিত্ব এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না; সেখানে এখন নানা রঙ-বেরঙের টুল-বেঞ্চি, খেলনারাজ্য, আর চারদিকে বাগান।
কবি মনে করেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় নিংড়ানো স্বাধীনতা সংগ্রামের বাণী যেখান থেকে উচ্চারিত হয়েছিল সে স্মৃতিময় স্থানটি এভাবেই সুকৌশলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম-- ১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন, এদেশের মুক্তির ডাক দেন; তাঁর বক্তব্যের এটাই ছিল মূলকথা; তাঁর এ আহ্বানে সমগ্র দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অবশেষে আমরা জয়ী হই।
কখন আসবে কবি?-- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কল্পনা করা হয়েছে কবিরূপে; কারণ তিনি বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন ও অনুভূতির রূপকার; তাঁর বাঙালি হৃদয়ের আবেগপ্রবণ প্রকাশকে কবিসুলভই মনে হয়; ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউজউইক’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে আখ্যায়িত করে লেখা হয়, তিনি ‘লক্ষ লক্ষ মানুষকে আকর্ষণ করতে পারেন সমাবেশে এবং আবেগময় বাগ্মিতায় তরঙ্গের পর তরঙ্গে তাদের সম্মোহিত করে রাখতে পারেন; তিনি রাজনীতির কবি’; সুতরাং বঙ্গবন্ধুকে ‘কবি’ অভিধাটি যথার্থভাবেই দিয়েছেন একালের কবি।
কবির বিরুদ্ধে কবি ... মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ-- কবি এখানে বোঝাতে চেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশে অশুভশক্তির যে উত্থান ঘটেছে তাতে সব ইতিবাচক ভাবনা, সৌন্দর্য ও কল্যাণকে যেন সমাহিত করার প্রয়াস চলেছে।
করুণ কেরানি-- স্বল্প বেতনে দারিদ্র্যের মধ্যে করুণভাবে জীবন-যাপনকারী সাধারণ চাকরিজীবী কেরানি।
গণসূর্যের মঞ্চ-- জনগণের নেতা, যাঁর তেজীয়ান দ্যুতি চারদিকে বিচ্ছুরিত হচ্ছিল তিনি যেন এক গণসূর্য; সেই নেতা যেমঞ্চে দাঁড়িয়ে সেটা তো গণসূর্যের মঞ্চ; তাছাড়া সেদিন বিকেলে সূর্যের আলোতে ছিল প্রখরতা।
জনসমুদ্র-- বিরাট জনসমাবেশ, বিপুল জনতা।
জোয়াল-- লাঙল বা গাড়িতে সংযুক্ত বলদের কাঁধে যে কাষ্ঠখন্ড থাকে যার সাথে সাড়ি বা লাঙল বাঁধা হয়, যুগন্ধর।
জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে-- রমনা রেসকোর্সে সমবেত লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশকে কবি কল্পনা করেছেন জনসমুদ্রের বাগানরূপে; সেই জনসমুদ্রের একদিকে ছিল মঞ্চ, কবির দৃষ্টিতে সেটি যেন সেই জনসমুদ্রের তীর। তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল/ হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার/ সকল দুয়ার খোলা, কবি তাঁর বর্ণনাকে আরও সুন্দর ও অর্থবহ করে তোলার জন্য রবীন্দ্রনাথের ‘দেবতার গ্রাস’ ও বিষ্ণু দে-র ‘ঘোড়সওয়ার’ কবিতার চরণ ব্যবহার করেছেন খুব নৈপুণ্যের সঙ্গে; বাংলার মানুষের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বাধীনতারূপী নৌকার পাল তুলে যখন ডাক দিলেন, তখন জনতার জোয়ারের স্রোতে সে নৌকায় লাগল উদ্দাম হাওয়া, ছুটে চলল সেই স্বপ্নের বহু আকাক্সিক্ষত তরী।
তন্দ্রাচ্ছন্ন-- ঘুমে আচ্ছন্ন।
দারুণ ঝলকে-- প্রচন্ড ঝলক দিয়ে, প্রচন্ড আলোর দোলা লাগিয়ে।
দিগন্ত-- দিকের শেষ সীমা।
দিগন্ত পন্ঢাবিত -- আকাশ-ছোঁয়া, যে মাঠে দিগন্ত এসে মিশেছে এমন বিশাল।
দূর্বাদলে-- সবুজ ঘাসে।
দৃপ্ত-- গর্বিত, তেজস্বী।
পলকে-- মুহূর্তের মধ্যে।
পাতা-কুড়ানিরা-- যারা পাতা-কুড়িয়ে জীবন ধারণ করে।
প্রাণের সবুজ-- প্রাণের সজীবতা ও তারুণ্য; দরিদ্র কিশোর-কিশোরীর দল।
প্লাবিত-- জলমগ্ন, বন্যায় ডুবে গেছে এমন।
বজ্রকণ্ঠ বাণী-- সহজে উদ্দীপ্ত দ্যুতিময় বঙ্গবন্ধুর বাণী।
বজ্রকণ্ঠ-- মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থেকে বজ্র বা বিদ্যুতের ধ্বনি প্রচন্ড শক্তিধর শব্দের মতো; এখানে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বরকে বোঝানো হয়েছে।
বিবর্ণ-- মলিন, ফ্যাকাসে।
বিমুখ প্রান্তরে-- বিরুদ্ধ পরিবেশের মাঠ, প্রতিকূল পরিবেশে।
ভবঘুরে-- যাদের কোনো কাজকর্ম নেই, বেকার।
মাঠের সবুজ-- মাঠের সুন্দর সবুজ পরিবেশ।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে-- প্রকৃতপক্ষে বাংলার স্বাধীনতাসূর্য অস্তমিত হয় পলাশীর প্রান্তরে ১৭৫৭ সালে; ১৮৫৭ সালেব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হয়, যা সিপাহী বিপ−ব; ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ−বী সূর্যসেনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র যুদ্ধ হয় জালালাবাদ পাহাড়ে; অতঃপর পাকিস্তান সৃষ্টির এক বছর পর থেকে শুরু হয় পাকিস্তানিশাসকদের নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম; ১৯৪৮ সালের ভাষা সংগ্রাম থেকে ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, তারপর ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ; সুতরাং ইতিহাসের বহু অধ্যায় পার হয়ে, নানা সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা।
শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প-- ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে যে বিকেলটিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য, সে বিকেলটি কবির দৃষ্টিতে ছিল বাংলার মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ বিকেল; কারণ এদিন বিকেলেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
রোধে-- বন্ধ করে দেওয়া, বাধা দেওয়া।
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা-- ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠনিঃসৃত বক্তব্য শোনার জন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অপেক্ষা করছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ; তারা ব্যাকুল হয়ে বসেছিল বঙ্গবন্ধুর অপেক্ষায়; রেসকোর্সের মাঠে এসে তিনি কী নির্দেশ দেন, কী আশার বাণী শোনান সে জন্য সেদিন লক্ষ প্রাণ হয়েছিল আকুল; কারণ পাকিস্তানি শাসকরা সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বিজয়কে নস্যাৎ করার সমস্ত পরিকল্পনার ছক তৈরি করে বসেছিল; ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির বিজয়কে তারা স্বীকার করে নিতে পারেনি; পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রকারীদের সামরিক প্রতিভূ ইয়াহিয়া খান ১৯৭১-এর ১ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত করে দেয়; বঙ্গবন্ধুর আহ্বানের শুরু হয় সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধ অসহযোগ আন্দোলন; বাংলাদেশ হয়ে ওঠে গণমানুষের আন্দোলনে টালমাটাল; ক্ষুব্ধ দেশের মানুষ; ফেটে পড়ছে তাদের ক্রোধ; তারা তাকিয়ে আছে তাদের অকৃত্রিম বন্ধু, প্রাণের মানুষ, কোটি মানুষের নেতা শেখ মুজিবের দিকে; সমস্ত দেশের মানুষ যেন এ বিদ্রোহে ঝাঁপিয়ে পড়েছে; সেদিন রেসকোর্সের মাঠে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শোনার জন্য যারা এসেছিল সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে ছিল ব্যাকুলতা, বঙ্গবন্ধু কী বলবেন আজ; প্রত্যেক শ্রোতাই যেন এক একজন বিদ্রোহী; এ বিদ্রোহ ছিলপাকিস্তানি স্বৈরশাসক ও সামরিকতন্ত্রের অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।
শোভিত-- সজ্জিত।
সবুজ সবুজময়-- সবুজ ঘাসে আবৃত।
স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের-- ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি এখন অভিধানের একটি নিছক শব্দ নয়; এ শব্দটি উচ্চারণের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম ও মুক্তির প্রসঙ্গ যুক্ত; তাই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ যখন বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ থেকে ধ্বনিত হলো : এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তখন ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি পেল নতুন অর্থ ও ব্যঞ্জনা।
সারসংক্ষেপ
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১-এর ৭ মার্চ সমবেত হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। বিচিত্র পেশা-বয়স আর শ্রেণির মানুষ। ওই সবুজ দূর্বাদলে ঢাকা ময়দানে তারা সবাই এসেছিল একটি কণ্ঠের আওয়াজ শোনার জন্য। সেই ইতিহাস ঢেকে দেওয়ার জন্যই হয়ত বিস্তীর্ণ দূর্বাদল পরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে শিশুপার্কের বেঞ্চে, ফুলে আর বৃক্ষে। কিন্তু সে ইতিহাস মুছে যাওয়ার নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ হায়েনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সেদিন এখানে এসেছিল। আর বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমান এখানেই দিয়েছিলেন সেই অমর ঘোষণা: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ যেন এক অমর কবিতা, আর এই ঘোষণাকারী এক মহান কবি। তাঁর ওই মহাকাব্যিক ঘোষণার মধ্য দিয়েই ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি চিরকালের মতো আমাদের হলো।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১. কবি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কী মনে করেন?
ক. অমর কবিতা খ. কালজয়ী গান
গ. মননশীল প্রবন্ধ ঘ. মহৎ ছোটগল্প
২. ‘প্রাণের সবুজ’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন -
ক. সবুজ পোশাক খ. প্রাণের বার্ধক্য
গ. মনের আনন্দ ঘ. প্রাণের সজীবতা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠনিঃসৃত বক্তব্য শোনারজন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অপেক্ষা করছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। তারা ব্যাকুল হয়ে বসেছিল বঙ্গবন্ধুর অপেক্ষায়।
৩. উদ্দীপকের বঙ্গবন্ধুকে ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কী অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে?
ক. নেতা খ. পিতা
গ. কবি ঘ. নায়ক
৪. উদ্দীপক এবং ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটির মিল রয়েছে যে বিষয়ে-
i. জনতার জমায়েত ii. সংগ্রামী মনোভাব iii. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii
গ. iii ঘ. i, ii ও iii
৫. কবি কীভাবে এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন?
ক. আলস্য ভরে খ. দৃপ্ত পায়ে
গ. দুঃখিত চিত্তে ঘ. আনন্দিত চিত্তে
৬. ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কবিরূপে কল্পনা করা হয়েছে-
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খ. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দিকে
গ. শেরে বাংলা একে ফজলুল হককে ঘ. মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে-
সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।
৭. উদ্দীপকে ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ -কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
i. স্বাধিকারের কথা ii. মুক্তিযুদ্ধের কথা iii. স্বাধীনতার কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii
গ. iii ঘ. ii ও iii
৮. উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার কোন চরণের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?
i. এই ধুধ মাঠের সবুজে ii. এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না iii. সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হলো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii
গ. iii ঘ. i ও ii
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১. ক ২. ঘ ৩. গ ৪. ঘ ৫. খ ৬. ক ৭. গ ৮. গ
সৃজনশীল প্রশ্ন
এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে।
এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।
আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে।
আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।
এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণ চিহ্ণ ফেলে।
শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?
ক. কবি নির্মলেন্দু গুণের পেশা কী?
খ. কবি ‘শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প’ বলতে কী বুঝিয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বজ্রকণ্ঠ ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কার বজ্রকণ্ঠের পরিচয় প্রকাশ করে? আলোচনা কর।
ঘ. “জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠের মাধ্যমেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি।” উদ্দীপক ও ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
ক. কবি নির্মলেন্দু গুণের পেশা সাংবাদিকতা।
খ. ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কবি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বিকালের কথাকে শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প বলে অভিহিত করেছেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস ছিল বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনের উত্তাল সময়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে যে বিকেলটিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য, কবির দৃষ্টিতে সে বিকেলটি ছিল বাংলার মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ বিকেল। কারণ এদিন বিকেলেই তিনি বাংলার স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। কবির কাছে মনে হয়েছে এটি বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘বজ্রকণ্ঠ’ ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠের পরিচয় প্রকাশ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অবিসংবাদিত নাম। তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক। তাঁর দেশপ্রেম, সাহস, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং অধিকার-বঞ্চিত মানুষের জন্য অতুলনীয় লড়াই পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। ফলস্বরূপ বাঙালি জাতি এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
উদ্দীপকে ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানের কথা বলা হয়েছে। ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানের বীজমন্ত্রটি বাঙালি জাতিকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এই শ্লোগানটি দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন তিনি। অন্যদিকে ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায়ও বজ্রকণ্ঠের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। উক্ত ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বজ্রকণ্ঠের উচ্চারণেই সেদিন বাঙালি জাতি স্বাধীনতার দিশা পায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বজ্রকণ্ঠটি ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার জাতির জনকবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠের পরিচয়কে প্রকাশ করে।
ঘ. উদ্দীপক এবং ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতা, উভয়টিতে উচ্চারিত হয়েছে জয়বাংলা বজ্রকণ্ঠের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি অভিধানের একটি নিছক শব্দমাত্র নয়। এ শব্দটি উচ্চারণের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম ও মুক্তির প্রসঙ্গ যুক্ত। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনার রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্র শুনিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই দ্যুতিময় বাণী শোনার জন্য সেদিন সেই ময়দানে জমায়েত হয়েছিল লক্ষ লক্ষ জনতা। বঙ্গবন্ধু সেদিন বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
এটা ছিল এদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে লালিত আকাক্সক্ষা। এ ছিল এক সচেতন দ্রোহ। এ বিদ্রোহ ছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ও সামরিকতন্ত্রের অন্যায় এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ।উদ্দীপকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানের কথাটি উঠে এসেছে। উদ্দীপকের কবি জয় বাংলার বজ্রকণ্ঠকে তার চেতনায় ধারণ করেছেন। অন্যদিকে ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় জয় বাংলার বজ্রকণ্ঠকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার নিয়ামক শক্তি হিসাবে বিবেচনা করেছেন। কেননা বঙ্গবন্ধু একাত্তর সালের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ‘জয় বাংলা’ বজ্রকণ্ঠের মাধ্যমে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের নিগড় থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য ডাক দেন। আর এই বজ্রকণ্ঠের ডাক শুনেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার কবি মনে করেন ‘জয় বাংলা’র বজ্রকণ্ঠের মাধ্যমে আমরা বাংলার স্বাধীনতা পেয়েছি। উদ্দীপকের কবির চেতনায়ও একই ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলা যায়, ‘জয় বাংলা’রবজ্রকণ্ঠের মাধ্যমেই আমরা স্বাধীনতা শব্দটি পেয়েছি’ মন্তব্যটি যথার্থ।
নিজে কর
সৃজনশীল প্রশ্ন
যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান
তত দিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা
রক্তগঙ্গা বহমান
নাই নাই ভয়,হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।
ক. ‘পাতা-কুড়ানিরা’ কারা?
খ. ‘শত বছরে শত সংগ্রাম শেষে’ -উক্তিটি বুঝিয়ে বল।
গ. উদ্দীপকটি ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার কোন দিককে প্রতিফলিত করেছে?
ঘ. “উদ্দীপকের শেখ মুজিবুর রহমান ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় বাংলার রাজনীতির অমর কাব্যের কবি।” -মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url